পুঁজিবাজারে সমন্বয়হীনতার অবসান হওয়া জরুরি

নীতিগত বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার পরস্পরবিরোধী এ অবস্থান নতুন কিছু নয়। অতীতে অসংখ্যবার এর নজির দেখা গেছে। গত আগস্টেও বাংলাদেশ ব্যাংকের এক নির্দেশনা ঘিরে দুই সংস্থার সমন্বয়হীনতার বিষয়টি আবার আলোচনায় আসে। বাংলাদেশ ব্যাংক পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ নিয়ে প্রতিদিন প্রতিবেদন চেয়ে চিঠি দেয়। সেই সঙ্গে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ খতিয়ে দেখতে ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউস পরিদর্শনও শুরু করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই ব্যবস্থার পর পুঁজিবাজারে যাতে পতন না হয়, সে জন্য শেয়ারের বিপরীতে সর্বোচ্চ ঋণসীমার আওতা বাড়িয়ে সূচকের ৮ হাজার পয়েন্ট পর্যন্ত উন্নীত করা হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে দুই সংস্থার পরস্পরবিরোধী অবস্থান তার মাধ্যমে আবারও প্রকাশ্যে আসে। এরপর সম্প্রতি দুই সংস্থার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় সমন্বয় বৈঠক। ওই বৈঠকের কয়েক দিন আগে বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম। এরপর ধারণা করা হয়েছিল, দুই সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতার অবসান ঘটবে। আমরা বিশ্বাস করি পুঁজিবাজারকে একটি উন্নত স্তরে নিয়ে যেতে হলে হলে সংস্থাদুটির কাজে সমন্ব থাকার কোনো বিকল্প নেই।

Tagged