কারসাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে পুঁজিবাজারকে টেনে তোলা যাবে না

পুঁজিবাজারের চরিত্র বুঝতে পারলে কিছুই যেনো করার নেই সংশ্লিষ্টদের। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে তারা এখন অনেকটাই ক্লান্ত। এমন পরিস্থিতির জন্য যারা দায়ী তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে না পারলে এই বাজারকে টেনে তোলার কোনো জাদুই কাজ করবে বলে মনে হচ্ছে না।

কয়েক দিন চেষ্টা করে পতন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থাও এখন বাজারকে আর টেনে তোলার চেষ্টা করছে না। বরং বাজারকে বাজারের নিয়মেই চলতে দেওয়ার পথে হাঁটছে তারা। এমনটিই মনে হচ্ছে। গত সপ্তাহের শুরুতেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির পক্ষ থেকে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের ফোন করে শেয়ারের বিক্রি কমিয়ে পতন ঠেকানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কয়েক দিন ধরে সেই চেষ্টা আর করা হয়নি।

মনে হচ্ছে,‘বাজারকে বাজারের গতিতেই চলতে দেওয়া হচ্ছে। এতে শিগগিরই নিজস্ব শক্তিতেই বাজার আবার ঘুরে দাঁড়াবে কিনা সেটি দেখার বিষয়। কারণ, ভালো অনেক কোম্পানির শেয়ারের দাম অবমূল্যায়িত পর্যায়ে নেমে গেছে। কৃত্রিমভাবে বাজারকে টেনে তোলার বদলে এখন তদারকি বা সার্ভেইল্যান্স ব্যবস্থা জোরদার  করাও হতে পারে। কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে বাজারে দরপতনের চেষ্টা করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিতে না পারলে বাজার সঠিক অবস্থানে ফিরবে বলে মনে হচ্ছে না।

একদিকে ভালো কোম্পানির শেয়ারের দরপতন হচ্ছে, অন্যদিকে কারসাজির মাধ্যমে বাড়ানো হচ্ছে খারাপ কোম্পানির শেয়ারের দাম। এটিও বাজারের প্রতি ভালো বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমে যাওয়ার একটি বড় কারণ। বছরের পর বছর কিছু খারাপ কোম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়লেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেগুলোর বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপই নেয়নি।

Tagged