বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজার ছেড়ে যাওয়া রোধ করতে হবে

দীর্ঘ পতনে হতাশ হয়ে পুঁজিবাজার ছেড়ে যাচ্ছেন অনেক বিনিয়োগকারী। তাদের এই চলে যাওয়ার পেছনে নানামুখী কারণ থাকতে পারে। সম্প্রতি ঈদের আগের শেষ দুই কার্যদিবসে দেশের শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। এই দুই দিনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেশির ভাগ শেয়ারেরই দাম বেড়েছে। বদৌলতে এই বাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৬৮ পয়েন্ট বেড়েছে। তা সত্ত্বেও শেয়ারবাজার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট যেন কাটছে না। দাম বাড়লেও বিনিয়োগকারীরা বাজার ছেড়ে যাচ্ছেন।

চলতি মাসে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগে ছয় কার্যদিবসে শেয়ারবাজার ছেড়েছেন চার হাজারের বেশি বিনিয়োগকারী। এই ছয় দিনে এসব বিনিয়োগকারী তাঁদের বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবে থাকা সব শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে বাজারে সার্বিকভাবে শেয়ারশূন্য বিও হিসাবের সংখ্যা আরও বেড়েছে।

শেয়ারবাজারে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বিনিয়োগকারীদের শেয়ারধারণ–সংক্রান্ত তথ্য ও বিও হিসাবের সংখ্যা সংরক্ষণ করে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)। প্রতিষ্ঠানটির বিও হিসাব–সংক্রান্ত পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজার ছেড়ে যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

সিডিবিএলের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩১ মার্চ শেয়ারবাজারে শেয়ারশূন্য বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৫২ হাজার ৬২৯। ঈদের ছুটির আগের সর্বশেষ কার্যদিবস ৯ এপ্রিলে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৬৪৩–এ। সেই হিসাবে ১ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ছয় কার্যদিবসে শেয়ারশূন্য বিও হিসাবের সংখ্যা বেড়েছে ৪ হাজার ১৪। অর্থাৎ এসব হিসাবের সব শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।

যেখানে দেশের পুঁজিবাজারে অনেক বিনিয়োগকারী যুক্ত করার সুযোগ রয়েছে, সেখানে বিনিয়োগকারীদের এভাবে বাজার ছেড়ে যাওয়া কিছুতেই কাম্য নয়।

Tagged