পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় কেনো

দীর্ঘদিন পর আবারও রাস্তায় নেমেছেন পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা। এটি অপ্রত্যাশিত, অনাঙিক্ষত। এই ধরনের ঘটনা তখনই ঘটে যখন বিনিয়োগকারীদের আর কিছু করার থাকে না। পুঁজিবাজারে যখন নৈরাজ্য চলে। এমনটা ঘটছে দেশের পুঁজিবাজারে। অব্যাহত দরপতনের প্রতিবাদে একদল বিনিয়োগকারী মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় বিক্ষুব্ধ এসব বিনিয়োগকারী ব্যানার নিয়ে ডিএসই ভবনের সামনে জড়ো হন। এ সময় তাঁরা শেয়ারবাজারের দরপতনের প্রতিবাদে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটির অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান, ডিএসইর চেয়ারম্যানসহ পুঁজিবাজার–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পদত্যাগ দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা বলেন, টানা দরপতনে পুঁজি হারিয়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়ে গেছেন; তাই তাঁরা হারানো পুঁজি ফিরে পাওয়ার দাবি জানান।

বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ ও মানববন্ধন শেষে সংক্ষিপ্ত এক সমাবেশে বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা বলেন, শেয়ারবাজারে ১৯৯৬ ও ২০১০ সালে বড় ধরনের দুটি ধস হয়েছে। কিন্তু ২০২৪ সালে এসে বাজারে যে ধস নেমেছে, তা অতীতের দুই ধসকে হার মানিয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার ব্যর্থতায় এটা হচ্ছে। তাঁদের অভিযোগ, পুঁজি হারিয়ে কোনোরকমে তাঁরা বেঁচে আছেন—অনন্যোপায় হয়ে রাস্তায় নেমেছেন তাঁরা।

তাদের পুঁজি হারানোর বিষয়টি নতুন নয়। দীর্ঘ সময় ধরে পুঁজিবাজারে অস্থিরতা চলছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন। এখনও যদি নিয়ন্ত্রক সংস্থার টনক না নড়ে, তা হলে আর কিছুই বলার থাকে না।

Tagged