সংবিধানে বর্নিত বাংলাদেশ শ্রম আইন (৩য় ধাপ)

দশম অধ্যায়

মজুরী উহার পরিশোধ

মজুরীর বিশেষ সংজ্ঞা

১২০। বিষয় অথবা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই অধ্যায়ে “মজুরী” বলিতে ধারা ২(৪৫) এ মজুরী বলিতে যে অর্থ করা হইয়াছে তাহা, এবং নিম্নলিখিত পাওনাগুলিও ইহার অর্ন্তভুক্ত হইবে, যথাঃ-

(ক) নিয়োগের শর্ত মোতাবেক প্রদেয় কোন বোনাস অথবা অন্য কোন অতিরিক্ত পারিশ্রমিক;

(খ) ছুটি, বন্ধ অথবা অধিকাল কর্মের জন্য প্রদেয় কোন পারিশ্রমিক;

(গ) কোন আদালতের আদেশ অথবা পৰদ্বয়ের মধ্যে কোন রোয়েদাদ বা নিষ্পত্তির অধীনে প্রদেয় কোন পারিশ্রমিক;

(ঘ) চাকুরীর অবসান, উহা ছাটাই, ডিসচার্জ, অপসারণ, পদত্যাগ, অবসর, বরখাসত অথবা অন্য যে ভাবেই হউক না কেন, এর কারণে কোন চুক্তি বা এই আইনের অধীন প্রদেয় কোন অর্থ; এবং

(ঙ) লে-অফ অথবা সাময়িক বরখাসতের কারণে প্রদেয় কোন অর্থ।

মজুরী পরিশোধের দায়িত্ব

১২১। প্রত্যেক মালিক তৎকর্তৃক নিযুক্ত প্রত্যেক শ্রমিককে, এই আইনের অধীন পরিশোধ করিতে হইবে এরূপ সকল মজুরী পরিশোধ করিবার জন্য দায়ী থাকিবেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, ঠিকাদার কর্তৃক নিযুক্ত কোন শ্রমিকের ক্ষেত্র ব্যতীত অন্যান্য সকল শ্রমিকের ক্ষেত্রে, কোন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপক অথবা উহার তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণের জন্য মালিকের নিকট দায়ী অন্য কোন ব্যক্তিও উক্তরূপ পরিশোধের জন্য দায়ী থাকিবেনঃ

আরো শর্ত থাকে যে, ঠিকাদার কর্তৃক নিযুক্ত কোন শ্রমিকের মজুরী উক্ত ঠিকাদার কর্তৃক পরিশোধ না করা হইলে সেই ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের মালিক কর্তৃক উক্ত শ্রমিকের মজুরী পরিশোধ করা হইবে, যাহা ঠিকাদারের নিকট হইতে সমন্বয় করা হইবে।

মজুরীকাল স্থিরিকরণ

১২২। (১) ধারা ১২১ এর অধীন মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী প্রত্যেক ব্যক্তি উক্তরূপ মজুরী পরিশোধ সমপর্কে মজুরীকাল স্থির করিবেন।

(২) কোন মজুরীকাল এক মাসের উর্ধে হইবে না।

মজুরী পরিশোধের সময়

১২৩। (১) কোন শ্রমিকের যে মজুরীকাল সমপর্কে তাহার মজুরী প্রদেয় হয় সেই কাল শেষ হওয়ার পরবর্তী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তাহার মজুরী পরিশোধ করিতে হইবে।

(২) যে ক্ষেত্রে কোন শ্রমিকের চাকুরী তাহার অবসর গ্রহণের কারণে অবসান হয়, অথবা মালিক কর্তৃক তাহার ছাটাই, ডিসচার্জ, অপসারণ, 100[শ্রমিক কর্তৃক চাকুরীর অবসান অথবা] অন্য কোন কারণে উহার অবসান করা হয় সে ক্ষেত্রে উক্ত শ্রমিককে প্রদেয় সকল মজুরী তাহার চাকুরী অবসানের তারিখ হইতে পরবর্তী 101[ত্রিশ] কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ করিতে হইবে।

(৩) সকল মজুরী কর্মদিবসে পরিশোধ করিতে হইবে।

প্রচলিত মুদ্রা অথবা কারেন্সী নোট ইত্যাদি দ্বারা মজুরী পরিশোধ

১২৪। 102[(১)] সকল মজুরী প্রচলিত মুদ্রা, কারেন্সী নোট অথবা ব্যাংকের চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করিতে হইবে।

103[(২) উপ-ধারা-(১) এ প্রবর্তিত পদ্ধতি ছাড়াও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে শ্রমিকের চাহিদা মোতাবেক শ্রমিকের ব্যবহৃত ব্যাংক একাউন্টে ইলেকট্রনিক ট্রান্সফারের মাধ্যমে কিংবা অন্য কোন ডিজিটাল পদ্ধতিতে সরাসরি পরিশোধ করা যাইবে।]

আপোষ মীমাংসার মাধ্যমে মজুরী সহ অন্যান্য পাওনাদি পরিশোধ

104[১২৪ক। (১) কর্মরত থাকা বা অবসরে যাওয়া বা চাকুরীর অবসান বা বরখাস্তাধীন থাকা ইত্যাদিসহ চাকুরীর যে কোন পর্যায়ে কোন শ্রমিকের বা শ্রমিকদের মজুরীসহ আইনত প্রাপ্য পাওনাদি আপোষ মীমাংসার মাধ্যমে পাওয়ার জন্য প্রধান পরিদর্শক বা প্রধান পরিদর্শক কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট আবেদন করা যাইবে।

(২) এইরূপ আবেদন পাওয়ার পর প্রধান পরিদর্শক বা প্রধান পরিদর্শক কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সর্বোচ্চ ২০ দিনের মধ্যে উত্থাপিত দাবী নিস্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট মালিক বা কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনা কিংবা আপোষ মীমাংসা বৈঠকের মাধ্যমে নিস্পত্তি করিবার কার্যক্রম গ্রহণ করিবেন।

(৩) এই ধারার অধীনে উত্থাপিত দাবী নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে প্রধান পরিদর্শক বা প্রধান পরিদর্শক কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উদ্যোগ গ্রহণ এবং আলাপ-আলোচনা কিংবা আপোষ মীমাংসার বৈঠকে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করিবেন।

(৪) এইরূপ আলাপ-আলোচনা অথবা আপোষ মীমাংসা বৈঠকের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত পক্ষদের জন্য প্রতিপালন করা বাধ্যতামূলক হইবে।

(৫) এই ধারার অধীনে অনুষ্ঠিত আলাপ-আলোচনা কিংবা আপোষ মীমাংসা বৈঠকে মধ্যস্থতাকারীর সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে উভয় পক্ষকে প্রদান করিতে হইবে।

(৬) শ্রমিক ও মালিক যে কোন পক্ষ বা উভয় পক্ষ এই ধারার অধীনে আপোষ-মীমাংসা বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীর আপোষ মীমাংসা কার্যক্রম সমাপ্তির পর তাহার সিদ্ধান্ত প্রতিপালনে কোন পক্ষ বা উভয় পক্ষ সম্মত না হইলে সংশ্লিষ্ট পক্ষ বা উভয় পক্ষ বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য শ্রম আদালতে মামলা করিতে পারিবেন এবং শ্রম আদালত এইরূপ মামলার বিচারকালে মধ্যস্থতাকারীর সিদ্ধান্ত বিবেচনায় নিবেন।]

মজুরী হইতে কর্তনযোগ্য বিষয়াদি

১২৫। (১) এই আইন দ্বারা অনুমোদিত কর্তনের ক্ষেত্র ব্যতীত অন্য কোন ৰেত্রে কোন শ্রমিকের মজুরী হইতে কিছুই কর্তন করা যাইবে না।

(২) কেবলমাত্র এই আইনের বিধান অনুযায়ী কোন 105[শ্রমিকের মূল মজুরী] হইতে কর্তন করা যাইবে, এবং উক্তরূপ কর্তন কেবলমাত্র নিম্নলিখিত প্রকারের হইবে, যথাঃ-

(ক) ধারা ২৫ এর অধীন আরোপিত জরিমানা;

(খ) কর্তব্য কাজে অননুমোদিত অনুপস্থিতির জন্য কর্তন;

(গ) কোন শ্রমিকের হেফাজতে প্রদত্ত মালিকের কোন মালামালের ৰতি বা লোকসান, অথবা তিনি যে অর্থের জন্য হিসাব দিতে দায়ী সে অর্থ বিনষ্টির জন্য কর্তন, যদি উক্তরূপ ৰতি বা বিনষ্টির জন্য সরাসরি তাহার অবহেলা বা গাফিলতি দায়ী হয়;

(ঘ) মালিক কর্তৃক সরবরাহকৃত বাসস্থানের জন্য কর্তন;

(ঙ) চাকুরীর প্রয়োজনে ব্যবহৃত কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি ব্যতীত, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত এবং মালিক কর্তৃক সরবরাহকৃত সুযোগ-সুবিধা ও সেবার জন্য কর্তন;

(চ) কোন অগ্রিম বা কর্জ আদায়ের জন্য কর্তন, অথবা কোন অতিরিক্ত মজুরী প্রদানের ক্ষেত্রে উহা সমন্বয়ের জন্য কর্তন;

(ছ) শ্রমিক কর্তৃক প্রদেয় আয়কর বাবদ কর্তন;

(জ) কোন আদালতের আদেশে কর্তন, অথবা উক্তরূপ কর্তনের আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন কোন কর্তৃপক্ষের আদেশে কর্তন;

(ঝ) ভবিষ্য তহবিল আইন, ১৯২৫ (১৯২৫ সনের ১৯ নং আইন) প্রযোজ্য হয় এই রকম কোন ভবিষ্য তহবিল অথবা আয়কর আইন, ১৯৮৪ (১৯৮৪ সনের ৩৬ নং আইন) এ সংজ্ঞায়িত কোন স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিল, অথবা সরকার কর্তৃক অনুমোদিত অন্য কোন ভবিষ্য তহবিলে জন্য চাঁদা কর্তন অথবা উহা হইতে প্রদত্ত অগ্রিম আদায়ের জন্য কর্তন;

(ঞ) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোন সমবায় সমিতিকে প্রদানের জন্য অথবা বাংলাদেশ ডাকবিভাগ অথবা সরকারী কোন বীমা কোমপানী কর্তৃক সংরক্ষিত কোন বীমা স্কীমকে প্রদানের জন্য কর্তন;

(ট) শ্রমিকগণের অথবা তাহাদের পরিবারের সদস্যগণের কল্যাণের জন্য সরকারের অনুমোদনক্রমে মালিক কর্তৃক গঠিত কোন তহবিল অথবা তৎকর্তৃক প্রণীত কোন স্কীমের জন্য শ্রমিকগণের লিখিত সম্মতিতে, চাঁদা কর্তন; এবং

(ঠ) চেক-অফ পদ্ধতিতে সিবিএ ইউনিয়নের জন্য চাঁদা কর্তন।

কর্তব্যে অনুপস্থিতির জন্য মজুরী কর্তন

১২৬। (১) ধারা ১২৫ (২) (খ) এর অধীন কর্মস্থল হইতে অনুপস্থিতির কারণে কোন শ্রমিকের মজুরী হইতে কর্তন কেবল তখনই করা যাইবে যখন তাহার নিয়োগ এর শর্তানুযায়ী কাজ করার কথা তখন যদি তিনি সমসত্দ সময়ের জন্য অথবা উহার কোন অংশের জন্য অনুপস্থিত থাকেন।

(২) উক্তরূপ কর্তনের পরিমাণ কোন ৰেত্রেই অনুপস্থিতির সময়ের জন্য তাহাকে প্রদেয় মজুরীর পরিমাণ এর অধিক হইবে নাঃ

তবে শর্ত থাকে যে, সরকার কতর্ৃক এতদউদ্দেশ্যে প্রণীত বিধি সাপেৰে, যদি দশ বা ততোধিক শ্রমিক একযোগে বিনা নোটিশে এবং যুক্তিসংগত কারণ ব্যতীত কাজে অনুপস্থিত থাকেন, তাহা হইলে উক্ত প্রত্যেক শ্রমিকের নিকট হইতে মজুরী কর্তনের সহিত অনধিক আট দিনের মজুরীও যুক্ত করা যাইবে যাহা তাহার নিয়োগের শর্তানুযায়ী নোটিশের পরিবর্তে মালিককে প্রদেয় হয়।

ব্যাখ্যাঃ এই ধারার উদ্দেশ্যে কোন শ্রমিক কোন কর্মস্থল হইতে অনুপস্থিত বলিয়া গণ্য হইবেন যদি তিনি উক্তস্থানে উপস্থিত হওয়া সত্ত্বেও কোন অবস্থান ধর্মঘটের কারণে অথবা অন্য কোন অযৌক্তিক কারণে তাহার কাজ করিতে অস্বীকার করেন। ইহা ট্রেড ইউনিয়ন কর্মকর্তার ৰেত্রেও প্রযোজ্য হইবে।

ক্ষতি বা বিনষ্টির জন্য মজুরী কর্তন

১২৭। (১) ধারা ১২৫ (২) (গ) এর অধীন কোন কর্তন সংশিস্নষ্ট শ্রমিকের অবহেলা বা গাফিলতির কারণে ঘটিত মালিকের ৰতি বা বিনষ্টির পরিমাণ অপেৰা বেশী হইবে না, এবং উক্তরূপ কোন কর্তন করা যাইবে না যতৰণ পর্যনত্দ না উক্ত কর্তনের বিরম্নদ্ধে ন্যায় বিচারের নীতি অনুসরণ করিয়া যথাযথ তদনত্দের মাধ্যমে উক্ত শ্রমিককে দোষী সাব্যসত্দ করা হয়।

(২) উক্তরূপ সকল কর্তন এবং উহার সকল আদায় বিধি দ্বারা নির্ধারিত রেজিষ্টারে মজুরী পরিশোধের দায়িত্বে নিযুক্ত ব্যক্তি কতর্ৃক লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

সেবা প্রদানের জন্য মজুরী কর্তন

১২৮। ধারা ১২৫ (২) (ঘ) এবং (ঙ) এর অধীন কোন শ্রমিকের মজুরী হইতে কোন কর্তন করা যাইবে না যদি না সরবরাহকৃত বাসস্থান, সুযোগ-সুবিধা বা সেবা নিয়োগের শর্ত অনুসারে অথবা অন্যভাবে সংশিস্নষ্ট শ্রমিক কতর্ৃক গৃহীত হয়, এবং উক্তরূপ কোন কর্তন কোন অবস্থায়ই সরবরাহকৃত বাসস্থান, সুযোগ সুবিধা বা সেবার মূল্যের অধিক হইবে না এবং দফা (ঙ) এর অধীন কর্তনের ৰেত্রে উহা সরকার কতর্ৃক আরোপিত শর্ত সাপেৰে হইবে।

কর্জ বা অগ্রিম আদায়ের জন্য মজুরী কর্তন

১২৯। ধারা ১২৫ (২) (চ) এর অধীন সকল কর্তন নিম্নলিখিত শর্তাধীনে হইবে, যথাঃ-

(ক) চাকুরী শুরম্ন হইবার পূর্বে প্রদত্ত ঋণ বা অগ্রিম আদায় বাবদ কর্তন একটি পূর্ণ মজুরীকালের জন্য পরিশোধকৃত প্রথম মজুরী হইতে করা হইবে, কিন্তু অনুরূপ কোন কর্তন ভ্রমণ খরচের জন্য প্রদত্ত ঋণ বা অগ্রিমের ক্ষেত্রে করা যাইবে না;

(খ) অর্জিত হয় নাই এমন কোন মজুরী বাবদ প্রদত্ত ঋণ বা অগ্রিম উহা কি পরিমাণে দেওয়া যাইবে এবং কত কিস্তিতে আদায় করা যাইবে তৎসম্বন্ধে সরকার কর্তৃক প্রণীত কোন কোন বিধি সাপেক্ষে নির্ধারিত হইবে।

মজুরী হইতে অন্যান্য কর্তন

১৩০। ধারা-১২৫ (২) (ঞ), (ট) এবং (ঠ) এর অধীন মজুরী হইতে সকল কর্তন সরকার কর্তৃক আরোপিত শর্ত সাপেক্ষে হইবে।

মৃত বা নিখোঁজ শ্রমিকের অপরিশোধিত মজুরি পরিশোধ

106[ ১৩১। (১) এই অধ্যায়ের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, কোনো শ্রমিককে মজুরি হিসাবে প্রদেয় সকল অর্থ তাহার মৃত্যুজনিত কারণে অথবা তাহার কোনো খোঁজ না পাওয়ার কারণে যদি পরিশোধ করা না যায়, তাহা হইলে—

(ক) বিধি অনুযায়ী এতদুদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক কর্তৃক মনোনীত ব্যক্তিকে অথবা মৃত শ্রমিকের আইনগত উত্তরাধিকারী বা উত্তরাধিকারীগণকে তাহা প্রদান করা হইবে; বা

(খ) উক্তরূপ কোনো মনোনীত ব্যক্তি বা উত্তরাধিকারী না থাকিলে অথবা পরবর্তী ১২ (বারো) মাসের মধ্যে কোনো কারণে উক্তরূপ কোনো মনোনীত ব্যক্তি বা উত্তরাধিকারীকে উহা প্রদান করা সম্ভব না হইলে প্রদেয় অর্থ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের ‘শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল’ এ জমা প্রদান করিতে হইবে।

(২) ‘শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল’ এ অর্থ জমা প্রদানের তারিখ হইতে পরবর্তী ১০ (দশ) বৎসরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মনোনীত ব্যক্তি বা উত্তরাধিকারীর খোঁজ না পাওয়া গেলে জমাকৃত অর্থ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের নিজস্ব অর্থ বলিয়া বিবেচিত হইবে।]

মজুরী হইতে কর্তন বা মজুরী বিলম্বে পরিশোধের কারণে উত্থিত দাবী

১৩২। (১) যে ক্ষেত্রে এই আইনের বিধানের খেলাপ 107[ করিয়া] কোন শ্রমিকের মজুরী হইতে কোন কর্তন করা হয় অথবা কোন শ্রমিকের মজুরী পরিশোধ করা না হয় অথবা তাহার মজুরী কিংবা কোন বিধির আওতায় প্রদেয় গ্রাচুইটি বা ভবিষ্য তহবিলের প্রাপ্য পরিশোধে বিলম্বে ঘটে সে ক্ষেত্রে তিনি, অথবা তাহার মৃতু্য হইলে তাহার কোন উত্তরাধিকারী অথবা কোন আইনসঙ্গত প্রতিনিধি কর্তৃক মজুরী ফেরত পাওয়ার জন্য অথবা বকেয়া বা বিলম্বিত মজুরী ও অন্যান্য পাওনা আদায়ের জন্য শ্রম আদালতে দরখাসত্দ করিতে পারিবেন।

(২) উক্তরূপ দরখাসত্দ, সংশিস্নষ্ট শ্রমিক যে স্থানে কাজ করিতেন অথবা যে স্থানে তাহাকে মজুরী পরিশোধ করা হইত সে স্থান যে শ্রম আদালতের এখতিয়ারাধীন, সে শ্রম আদালতে মজুরী কর্তনের তারিখ হইতে অথবা, ক্ষেত্রমত, মজুরী প্রদেয় হওয়ার তারিখ হইতে বারো মাসের মধ্যে পেশ করিতে হইবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ কোন দরখাস্ত উক্ত সময়ের পরেও পেশ করা যাইবে যদি দরখাস্তকারী শ্রম আদালতকে এই মর্মে সন্তুষ্ট করিতে পারেন যে, উক্ত সময়ের মধ্যে দরখাসত্দ দাখিল না করার পিছনে তাহার যথেষ্ট কারণ ছিল।

(৩) শ্রম আদালত উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন দরখাসত্দ প্রাপ্তির পর উহার উপর দরখাসত্দকারী এবং মালিক অথবা মজুরী পরিশোধের জন্য এই অধ্যায়ের বিধান অনুযায়ী দায়ী অন্য কোন ব্যক্তিকে শুনানীর জন্য যুক্তসংগত সুযোগ দান করিবে এবং প্রয়োজনীয় সাৰ্য প্রমাণ গ্রহণ করিবে, এবং যে মজুরী কর্তন করা হইয়াছে বা যে মজুরী পরিশোধ করা হয় নাই বা পরিশোধে বিলম্ব করা হইতেছে উহা দরখাসত্দকারীকে পরিশোধ করিবার জন্য মালিক বা মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী উক্ত ব্যক্তিকে নির্দেশ দিতে পারিবে।

(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন কোন আদেশ এই আইনের অধীন উক্ত মালিক বা মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী ব্যক্তির বিরম্নদ্ধে গ্রহণীয় কোন শাসত্দিমূলক ব্যবস্থার হানি করিবে না।

(৫) শ্রম আদালত উপ-ধারা (৩) এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশের সময় মজুরীর শতকরা পঁচিশ ভাগ ৰতিপূরণ হিসাবে দরখাসত্দকারীকে প্রদানের জন্যও মালিক বা মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী ব্যক্তিকে নির্দেশ দিতে পারিবে।

(৬) মজুরী পরিশোধে বিলম্বের ক্ষেত্রে উপ-ধারা (৫) এর অধীন ৰতিপূরণ প্রদানের জন্য কোন নির্দেশ দেওয়া যাইবে না, যদি শ্রম আদালত এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, উক্ত বিলম্বের কারণ ছিল-

(ক) শ্রমিককে প্রদেয় মজুরীর পরিমাণ সম্পর্কে প্রকৃত ভুল বা প্রকৃত বিরোধ;

(খ) কোন জরম্নরী অবস্থা অথবা বিশেষ পরিস্থিতির কারণে মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী ব্যক্তি কর্তৃক তাহার যুক্তিসংগত চেষ্টা সত্ত্বেও যথাসময়ে উহা প্রদান করিতে অৰমতা; অথবা

(গ) মজুরী গ্রহণে অথবা উহার জন্য দরখাসত্দ করিতে শ্রমিকের ব্যর্থতা।

(৭) এই ধারার অধীন কোন দরখাসত্দ শুনানীকালে যদি শ্রম আদালত এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, উক্ত দরখাসত্দ বিদ্বেষ প্রসূত অথবা বিরক্তিকর তাহা হইলে আদালত দরখাসত্দকারীকে অনধিক দুইশত টাকা পর্যনত্দ জরিমানা করিতে পারিবে এবং উহা মালিক বা মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী ব্যক্তিকে প্রদান করিবার নির্দেশ দিতে পারিবে।

ধারা ১৩২ এর অধীন দরখাস্তের ক্ষেত্রে কোর্ট-ফিস

১৩৩। (১) ধারা ১৩২ এর অধীন কোন দরখাস্তের জন্য দরখাস্তকারীকে সমন জারীর ফিস ব্যতীত আর কোন কোর্ট ফিস দিতে হইবে না।

(২) যে ক্ষেত্রে দরখাস্তকারী মামলায় সফল হন সে ক্ষেত্রে শ্রম আদালত, দরখাসত্দটি যদি অর্থ আদায়ের জন্য কোন দেওয়ানী আদালতে দাখিলকৃত আরজি হইত তাহা হইলে উহার জন্য যে কোর্ট ফিস প্রদেয় হইত উক্ত কোট ফিস এই মামলার জন্য প্রদেয় বলিয়া হিসাব করিবে এবং মালিক বা ধারা ১২১ এর অধীন মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী ব্যক্তিকে উক্ত অর্থ প্রদানের জন্য নির্দেশ দিবে।

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদেয় অর্থ যদি শ্রম আদালত কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আদায় করা না হয় তাহা হইলে উহা সরকারী প্রাপ্য হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে।

মজুরী প্রাপ্ত হন নাই অথবা মজুরী কর্তন হইয়াছে এইরূপ শ্রমিকদের পক্ষে দাবী আদায়ের জন্য একটি মাত্র দরখাস্ত

১৩৪। (১) মজুরী প্রাপ্ত হন নাই অথবা মজুরী কর্তিত হইয়াছে এইরূপ শ্রমিকদের পৰে অর্ন্তভুক্ত সকল অথবা একাধিক শ্রমিকের পৰে ধারা ১৩২ এর অধীন মাত্র একটি দরখাসত্দ দাখিল করা যাইবে, এবং এইরূপ ক্ষেত্রে ধারা ১৩২ (৫) অনুযায়ী ৰতিপূরণ প্রদেয় হইবে।

(২) শ্রম আদালত ধারা ১৩২ এর অধীন দাখিলকৃত মজুরী প্রাপ্ত হন নাই এরূপ শ্রমিক দলভুক্ত একাধিক শ্রমিক কর্তৃক দাখিলকৃত স্বতন্ত্র দরখাস্তসমূহকে একটি দরখাসত্দ হিসাবে গণ্য করিতে পারিবে, এবং তদনুযায়ী ঐ গুলি একত্রে এক দরখাস্ত হিসাবে নিষ্পত্তি করিতে পারিবে এবং সেক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর বিধান প্রযোজ্য হইবে।

(৩) এই ধারার প্রয়োজনে “মজুরী প্রাপ্ত হন নাই এরূপ শ্রমিক দল” এর অর্ন্তভুক্ত বলিয়া ঐ সমসত্দ শ্রমিককে বুঝাইবে যাহারা একই প্রতিষ্ঠানে চাকুরীরত আছেন, এবং যাহাদের অনাদায়ী মজুরী অথবা বিলম্বিত মজুরী একই মজুরীকালের জন্য হইয়া থাকে।

আপীল

১৩৫। (১) ধারা ১৩২ এর অধীন প্রদত্ত শ্রম আদালতের কোন আদেশের বিরম্নদ্ধে উহা প্রদানের তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে ট্রাইবু্যনালে আপীল করা যাইবে।

(২) উপ-ধারা (১) এ যাহাই থাকুক না কেন, শ্রম আদালতের উক্ত আদেশে প্রদেয় মজুরী বা ৰতিপূরণের পরিমাণ যদি এক হাজার টাকার অধিক না হয় তাহা হইলে মালিক বা মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী কোন ব্যক্তি উক্ত আদেশের বিরম্নদ্ধে কোন আপীল করিতে পারিবেন না এবং যদি মোট দাবীকৃত মজুরী পাঁচশত টাকার ঊধের্্ব না হয় তাহা হইলে কোন শ্রমিক, বা তাহার মৃতু্যর পর তাহার কোন উত্তরাধিকারী অথবা আইনসংগত প্রতিনিধি উক্ত আদেশের বিরম্নদ্ধে কোন আপীল করিতে পারিবেন না।

(৩) মালিক বা মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী কোন ব্যক্তি কতর্ৃক কোন আপীল করা যাইবে না, যদি না আপীলের স্মারকের সঙ্গে শ্রম আদালত কতর্ৃক প্রদত্ত এই মর্মে একটি প্রত্যয়ন পত্র সংযুক্ত থাকে যে, আপীলকারী যে অর্থ প্রদানের আদেশের বিরম্নদ্ধে আপীল করিতেছে সেই অর্থ শ্রম আদালতে জমা দিয়াছেন।

(৪) এই ধারার অধীন আপীলের ৰেত্র ব্যতীত অন্য সকল ৰেত্রে ধারা ১৩২ এর অধীন শ্রম আদালত কতর্ৃক প্রদত্ত সকল আদেশ চূড়ানত্দ হইবে।

(৫) তামাদী আইন, ১৯০৮ (১৯০৮ সনের ৯নং আইন) এর ধারা ৫ এর বিধান এই ধারার অধীন আপীলের ৰেত্রেও প্রযোজ্য হইবে।

মালিক বা মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী অন্য কোন ব্যক্তির সম্পত্তির শর্তাধীন ক্রোক

১৩৬। (১) যে ক্ষেত্রে যে কোন সময়-

(ক) ধারা ১৩২ এর অধীন কোন দরখাসত্দ পেশ করার পর, শ্রম আদালত; অথবা

(খ) ধারা ১৩৫ এর অধীন কোন শ্রমিক কর্তৃক আপীল পেশ করার পর, ট্রাইবু্যনাল;

এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, মালিকের অথবা ধারা ১২১ এর অধীন মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী অন্য কোন ব্যক্তির ধারা ১৩২ বা ধারা ১৩৫ এর অধীন প্রদানের জন্য আদেশকৃত কোন অর্থ পরিশোধ এড়াইবার সম্ভাবনা আছে, তাহা হইলে উক্ত আদালত বা, ক্ষেত্রমত, ট্রাইবু্যনাল উক্ত মালিক বা ব্যক্তিকে শুনানীর সুযোগদান করিয়া উক্ত আদেশকৃত অর্থ পরিশোধের জন্য তাহার সম্পত্তি ক্রোক করিতে পারিবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, বিলম্বের কারণে উদ্দেশ্য ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকিলে, উক্ত আদালত বা ট্রাইবু্যনাল শুনানীর সুযোগ দেওয়ার পূর্বেও উক্তরূপ ক্রোকের আদেশ দিতে পারিবেঃ

আরোও শর্ত থাকে যে, উক্ত আদালত বা ট্রাইবু্যনালের বিবেচনায় যে পরিমাণ সম্পত্তি ক্রোক আদেশকৃত অর্থ আদায়ের জন্য যথেষ্ট হইবে, সে পরিমাণ সম্পত্তিই ক্রোক করা হইবে।

(২) বিচারের পূর্বে সম্পত্তি ক্রোক সম্পর্কীয় দেওয়ানী কার্য বিধি এর সকল বিধান উপ-ধারা (১) এর অধীন ক্রোকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।

কতিপয় ক্ষেত্রে মালিকের নিকট হইতে অর্থ আদায়

১৩৭। যে ক্ষেত্রে ধারা ১২১ এর অধীন মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী অন্য কোন ব্যক্তির নিকট হইতে শ্রম আদলত তৎকর্তৃক বা ট্রাইবু্যনাল কর্তৃক আদেশকৃত কোন অর্থ আদায় করিতে অৰম হয় সে ক্ষেত্রে উক্ত আদালত উহা মালিকের নিকট হইতে আদায় করিতে পারিবে।

একাদশ অধ্যায়

মজুরী বোর্ড

নিম্নতম মজুরী বোর্ড প্রতিষ্ঠা

১৩৮। (১) সরকার নিম্নতম মজুরী বোর্ড নামে একটি বোর্ড প্রতিষ্ঠা করিবে।

(২) নিম্নতম মজুরী বোর্ড, অতঃপর এই অধ্যায়ে মজুরী বোর্ড বলিয়া উলিস্নখিত, নিম্নরূপ সদস্য-সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথাঃ-

(ক) চেয়ারম্যান;

(খ) একজন নিরপেৰ সদস্য;

(গ) মালিকগণের প্রতিনিধিত্বকারী একজন সদস্য; এবং

(ঘ) শ্রমিকগণের প্রতিনিধিত্বকারী একজন সদস্য।

(৩) ধারা ১৩৯ এ উলিস্নখিত দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনে, মজুরী বোর্ডে নিম্নলিখিত সদস্যদ্বয়ও অনত্দর্ভুক্ত হইবেন, যথাঃ-

(ক) সংশিস্নষ্ট শিল্পের মালিকগণের প্রতিনিধিত্বকারী একজন সদস্য;

(খ) সংশিস্নষ্ট শিল্পে নিযুক্ত শ্রমিকগণের প্রতিনিধিত্বকারী একজন সদস্য।

(৪) মজুরী বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সদস্যগণ সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন।

(৫) মজুরী বোর্ডের চেয়ারম্যান ও নিরপেৰ সদস্য এমন ব্যক্তিগণের মধ্যে হইতে নিযুক্ত হইবেন যাহাদের শিল্প শ্রমিক ও দেশের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান আছে, এবং যাহারা কোন শিল্পের সহিত সংশিস্নষ্ট নহেন অথবা কোন শ্রমিক বা মালিকগণের ট্রেড ইউনিয়নের সহিত সংযুক্ত নহেন।

(৬) সরকারের মতে, যে সকল প্রতিষ্ঠান মালিকগণের প্রতিনিধিত্বকারী এবং যে সকল প্রতিষ্ঠান শ্রমিকগণের প্রতিনিধিত্বকারী সে সকল প্রতিষ্ঠানের কোন মনোনয়ন থাকিলে উহা বিবেচনা করিয়া উপ-ধারা (২) বা (৩) এর অধীন মালিক এবং শ্রমিকগণের প্রতিনিধিত্বকারী সদস্যগণকে নিযুক্ত করা হইবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, যদি একাধিক প্রচেষ্টায় মালিক কিংবা শ্রমিক প্রতিনিধির মনোনয়ন না পাওয়া যায় তাহা হইলে সরকার, নিজ বিবেচনায়, যাহাকে উপযুক্ত মনে করিবে তাহাকেই মালিক কিংবা শ্রমিক প্রতিনিধিত্বকারী সদস্য হিসাবে নিযুক্ত করিতে পারিবে।

কতিপয় শ্রমিকের জন্য নিম্নতম মজুরী হারের সুপারিশ

১৩৯। (১) যে ক্ষেত্রে কোন শিল্পে নিযুক্ত শ্রমিকগণের বিরাজমান মজুরী হারের পরিপেক্ষিতে সরকার এই মর্মে অভিমত পোষণ করে যে, উক্ত শিল্পে নিযুক্ত সকল বা যে কোন শ্রেণীর শ্রমিকের নিম্নতম মজুরী হার স্থির করা প্রয়োজন এবং যুক্তিসংগত সে ক্ষেত্রে সরকার মজুরী বোর্ডকে প্রয়োজনীয় তদন্তান্তে উক্ত শ্রমিকগণ বা শ্রমিক শ্রেণীর জন্য নিম্নতম মজুরী হার সুপারিশ করার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে।

ব্যাখ্যাঃ কোন শিল্পের মালিক কিংবা শ্রমিক পক্ষ অথবা উভয় পক্ষের দাখিলকৃত আবেদনক্রমে সরকার সেই শিল্পে নিযুক্ত শ্রমিকের ন্যুনতম মজুরীর হার নির্ধারণের বিষয়টি বিবেচনা করিতে পারিবে।

(২) মজুরী বোর্ড উক্তরূপ নির্দেশ প্রাপ্তির ছয় মাসের মধ্যে সরকারের নিকট উহার সুপারিশ পেশ করিবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, মজুরী বোর্ডের অনুরোধে সরকার উক্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করিতে পারিবে।

(৩) উপ-ধারা (১) এর নির্দেশ মোতাবেক মজুরী বোর্ড কোন গ্রেডের সকল শ্রমিক শ্রেণীর জন্য নিম্নতম মজুরী হারের সুপারিশ করিতে পারিবে, এবং উক্তরূপ সুপারিশে-

(ক) মেয়াদী কাজ এবং ঠিকা কাজের জন্য নিম্নতম মজুরীর হার; এবং

(খ) ঠিকা কাজে নিযুক্ত শ্রমিকগণের জন্য নিম্নতম মেয়াদী হার;

এরও সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করিতে পারিবে।

(৪) মজুরী বোর্ড কর্তৃক সুপারিশকৃত মেয়াদী হার ঘন্টা, দৈনিক, সাপ্তাহিক বা মাসিক ভিত্তিতে হইতে পারিবে।

(৫) মজুরী বোর্ড উহার সুপারিশে নিম্নতম মজুরীর হার সমগ্র দেশের জন্য একইভাবে গ্রহণ করা উচিত হইবে না কি উহাতে উল্লিখিত স্থানে উহাতে বর্ণিত স্থানীয় ব্যতিক্রম সহকারে গ্রহণ করা উচিত হইবে-ইহাও নির্দেশ করিবে।

(৬) কোন শিল্পে নিযুক্ত শ্রমিকের জন্য স্থিরকৃত ন্যূনতম মজুরীর হার সরকারের নির্দেশক্রমে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর পুনঃনির্ধারণ করিবে।

নিম্নতম মজুরী হার ঘোষণা করার ক্ষমতা

১৪০। (১) ধারা ১৩৯ এর অধীন মজুরী বোর্ডের সুপারিশ প্রাপ্ত হইবার পর সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ঘোষণা করিতে পারিবে যে, মজুরী বোর্ড কর্তৃক বিভিন্ন শ্রমিকের জন্য সুপারিশকৃত নিম্নতম মজুরীর হার, প্রজ্ঞাপনে উলিস্নখিত ব্যতিক্রম সাপেক্ষে, উক্তরূপ শ্রমিকগণের জন্য নিম্নতম মজুরীর হার হইবে।

(২) যদি সরকার মনে করে যে, উক্তরূপ সুপারিশ কোন ব্যাপারে মালিকগণের বা শ্রমিকগণের জন্য ন্যায়সঙ্গত নহে, তাহা হইলে সরকার সুপারিশ প্রাপ্তির 108[পঁয়তাল্লিশ] দিনের মধ্যে, উহা পুনরায় বিবেচনা করিয়া দেখিবার জন্য মজুরী বোর্ডের নিকট ফেরৎ পাঠাইতে পারিবে, এবং উক্তরূপ ফেরত পাঠাইবার সময়, সরকার উচিত বিবেচনা করিলে, সুপারিশের উপর উহার কোন মন্তব্য এবং তৎসম্পর্কে কোন তথ্যও প্রদান করিতে পারিবে।

(৩) যে ক্ষেত্রে কোন সুপারিশ উপ-ধারা (২) এর অধীন মজুরী বোর্ডের নিকট ফেরত পাঠানো হয় সে ক্ষেত্রে, মজুরী বোর্ড সরকারের মন্তব্য ও তৎকর্তৃক প্রেরিত তথ্য বিবেচনা করিয়া উহার সুপারিশ পুনরায় পর্যালোচনা করিয়া দেখিবে, এবং প্রয়োজন হইলে, আরও তদন্ত পরিচালনা করিবে, এবং তৎপর সরকারের নিকট একটি সংশোধিত সুপারিশ পেশ করিবে অথবা, যদি বোর্ডের বিবেচনায় সুপারিশের কোন সংশোধন বা পরিবর্তনের প্রয়োজন না থাকে, তাহা হইলে, কারণ বিবৃত করিয়া সেই মর্মে সরকারকে অবহিত করিবে।

(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন সুপারিশপ্রাপ্ত হইবার পর সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ঘোষণা করিতে পারিবে যে, মজুরী বোর্ড কর্তৃক উক্ত উপ-ধারার অধীন 109[অথবা সরকার কর্তৃক সংশোধিত উক্ত সুপারিশকৃত] বিভিন্ন শ্রমিকগণের নিম্নতম মজুরীর হার, প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত সংশোধন ও ব্যতিক্রম সাপেক্ষে, উক্ত শ্রমিকগণের জন্য নিম্নতম মজুরীর হার হইবে।

(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রজ্ঞাপনে যদি এতদসম্পর্কে কোন তারিখ উল্লেখ না থাকে তাহা হইলে উহার অধীন ঘোষণাটি উহা প্রকাশিত হইবার তারিখ হইতে কার্যকর হইবে।

(৬) যে ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) অথবা (৪) এর অধীন কোন প্রজ্ঞাপন প্রকাশিত হইবার পর অথবা উহার অধীন ঘোষিত কোন নিম্নতম মজুরীর হার কার্যকর হইবার পর ইহা সরকারের নজরে আসে যে, উক্তরূপ ঘোষিত নিম্নতম মজুরীর হারে কোন ত্রুটি আছে সে ক্ষেত্রে সরকার বিষয়টি মজুরী বোর্ডের নিকট প্রেরণ করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ প্রেরণ উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রেরণ বলিয়া গণ্য হইবে।

(৭) এই ধারার অধীন ঘোষিত নিম্নতম মজুরীর হার চূড়ান্ত হইবে এবং তৎসম্পর্কে কোনভাবে কোন আদালতে বা কোন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রশ্ন করা বা আপত্তি উত্থাপন করা যাইবে না।

সরকারের বিশেষ ক্ষমতা

110[১৪০ক। এই আইনের ধারা ১৩৯, ১৪০ ও ১৪২ এ যে বিধানই থাকুক না কেন, বিশেষ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় সরকার কোন শিল্প সেক্টরের জন্য ঘোষিত নিম্নতম মজুরী কাঠামো বাস্তবায়নের যে কোন পর্যায়ে নূতনভাবে নিম্নতম মজুরী কাঠামো ঘোষণার জন্য নিম্নতম মজুরী বোর্ড পুনঃগঠন এবং প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা প্রতিপালন সাপেক্ষে পুনরায় নিম্নতম মজুরী হার ঘোষণা করিতে পারিবে:

তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ ক্ষেত্রে সরকার প্রয়োজন মনে করিলে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নূতনভাবে নিম্নতম মজুরী হার ঘোষণা না করিয়া শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সহিত আলোচনাক্রমে চলমান মজুরী হারের কোন সংশোধন বা পরিবর্তন কার্যকর করিতে পারিবে।]

সুপারিশ প্রণয়নে বিবেচ্য বিষয়

১৪১। কোন সুপারিশ প্রণয়ন করা কালে মজুরী বোর্ড জীবন যাপন ব্যয়, জীবনযাপনের মান, উৎপাদন খরচ, উৎপাদনশীলতা, উৎপাদিত দ্রব্যের মূল্য, মুদ্রাস্ফীতি, কাজের ধরন, ঝুঁকি ও মান, ব্যবসায়িক সামর্থ, দেশের এবং সংশিস্নষ্ট এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয় বিবেচনা করিয়া দেখিবে।

নিম্নতম মজুরী হারের পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনা

১৪২। (১) ধারা ১৪১ এ উলিস্নখিত বিষয়াদি বা অন্য কোন প্রাসঙ্গিক বিষয়ের কোন পরিবর্তনের কারণে প্রয়োজন হইলে মজুরী বোর্ড উহার কোন সুপারিশ পুনরায় পর্যলোচনা করিয়া দেখিবে এবং সরকারের নিকট ধারা ১৪০ এর অধীন ঘোষিত নিম্নতম মজুরী হারের কোন সংশোধন বা পরিবর্তন সুপারিশ করিবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, কোন ৰেত্রে কোন বিশেষ পারিপাশ্বর্িক অবস্থার কারণ ব্যতীত কোন সুপারিশ উহা পেশের এক বৎসরের মধ্যে অথবা তিন বৎসর পরে উক্তরূপ পর্যালোচনা করা যাইবে না।

(২) এই ধারার অধীন কোন পর্যালোচনা এবং সুপারিশ ধারা ১৩৯ এর অধীন তদনত্দ এবং সুপারিশ বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং এই অধ্যায়ের বিধান, যতদূর সম্ভব এ ৰেত্রেও প্রযোজ্য হইবে।

সংবাদপত্র শ্রমিকগণের মজুরী বোর্ড গঠন

১৪৩। (১) সরকার প্রয়োজন মনে করিলে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সংবাদপত্র শ্রমিকগণের মজুরী নির্ধারণের জন্য সংবাদপত্র শ্রমিক মজুরী বোর্ড নামে একটি স্বতন্ত্র মজুরী বোর্ড গঠন করিতে পারিবে।

(২) উক্ত বোর্ড, অতঃপর এই অধ্যায়ে সংবাদপত্র মজুরী বোর্ড বলিয়া উলিস্নখিত, সরকার কর্তৃক নিয়োজিত একজন চেয়ারম্যান এবং সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানের মালিক ও সংবাদপত্র শ্রমিকগণের প্রতিনিধিত্বকারী সমসংখ্যক সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে।

সংবাদ পত্র শ্রমিকগণের জন্য মজুরী নির্ধারণ

১৪৪। (১) সংবাদপত্র শ্রমিকগণের জন্য মজুরী নির্ধারণকালে সংবাদপত্র মজুরী বোর্ড জীবন যাত্রার ব্যয়, সরকার, কর্পোরেশন এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের সমতুল্য চাকুরীর মজুরীর বিরাজমান হার, দেশের বিভিন্ন এলাকার সংবাদপত্র শিল্পের অবস্থা এবং বোর্ডের বিবেচনায় প্রাসঙ্গিক অন্যান্য অবস্থা বিবেচনা করিয়া দেখিবে।

(২) সংবাদপত্র মজুরী বোর্ড মেয়াদী কাজ ও ঠিকা কাজের জন্য মজুরীর হার নির্ধারণ করিতে পারিবে।

(৩) মজুরী নির্ধারণ করার পর সংবাদপত্র মজুরী বোর্ড উহার সিদ্ধানত্দ, যতশীঘ্র সম্ভব, সরকারের নিকট প্রেরণ করিবে।

সংবাদপত্র মজুরী বোর্ডের সিদ্ধান্ত প্রকাশ

১৪৫। (১) সরকার, সংবাদপত্র মজুরী বোর্ডের সিদ্ধানত্দ পরীৰা করিয়া দেখিবে এবং উহা প্রাপ্তির তিন মাসের মধ্যে তৎকর্তৃক প্রয়োজনীয় বিবেচিত এরূপ সংশোধনসহ উহা সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা প্রকাশ করিবে।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রকাশিত উক্তরূপ সংশোধনসহ সংবাদপত্র মজুরী বোর্ডের সিদ্ধানত্দ উক্ত প্রজ্ঞাপনে উলিস্নখিত তারিখ হইতে অথবা উক্তরূপ কোন তারিখ না থাকিলে, উহা প্রকাশের তারিখ হইতে কার্যকর হইবে।

সংবাদ পত্র মজুরী বোর্ডের অন্তর্বর্তী মজুরী নির্ধারণের ক্ষমতা

১৪৬। (১) সংবাদপত্র মজুরী বোর্ড কোন ৰেত্রে প্রয়োজন মনে করিলে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, অনত্দর্বতর্ী মজুরীর হার নির্ধারণ করিতে পারিবে।

(২) উক্তরূপ কোন অনত্দর্বতর্ী মজুরীর হার সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানের সকল মালিকের জন্য অবশ্য পালনীয় হইবে এবং প্রত্যেক সংবাদপত্র শ্রমিক অনূ্যন উক্তরূপ অনত্দর্বতর্ী হারে মজুরী পাইবার অধিকারী হইবেন।

(৩) উক্তরূপ কোন অনত্দর্বতর্ী মজুরীর হার ধারা ১৪৫ (২) এর অধীন সংবাদপত্র মজুরী বোর্ডের সিদ্ধানত্দ কার্যকর না হওয়া পর্যনত্দ বলবৎ থাকিবে।

শ্রম আদালতে দরখাস্ত

১৪৭। যে ৰেত্রে ধারা ১৪৫ (২) এর অধীন প্রকাশিত সংশোধনসহ সংবাদপত্র মজুরী বোর্ডের কোন সিদ্ধানত্দের কারণে কোন সংবাদপত্র বা সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানের শ্রেণী বিন্যাস বা পুনর্বিন্যাস সম্পর্কে কোন বিরোধ দেখা দেয় সে ৰেত্রে উক্তরূপ সিদ্ধানত্দের দ্বারা সংৰুব্ধ কোন ব্যক্তি বিরোধটি নিষ্পত্তির জন্য শ্রম আদালতে দরখাসত্দ করিতে পারিবেন।

নিম্নতম মজুরী প্রত্যেক মালিকের উপর অবশ্য পালনীয়

১৪৮। ধারা ১৪০ এর অধীন ঘোষিত অথবা ধারা ১৪৫ এর অধীন প্রকাশিত মজুরীর নিম্নতম হার সংশিস্নষ্ট সকল মালিকের উপর অবশ্য পালনীয় হইবে এবং প্রত্যেক শ্রমিক উক্তরূপ ঘোষিত বা প্রকাশিত মজুরীর অনূ্যন হারে মজুরী পাইতে অধিকারী হইবেন।

নিম্নতম মজুরী হারের কম হারে মজুরী প্রদান নিষিদ্ধ

১৪৯। (১) কোন মালিক কোন শ্রমিককে এই অধ্যায়ের অধীন ঘোষিত বা প্রকাশিত নিম্নতম হারের কম হারে কোন মজুরী প্রদান করিতে পারিবেন না।

(২) উপ-ধারা (১) এর কোন কিছুই কোনভাবে কোন শ্রমিকের এই অধ্যায়ের অধীন ঘোষিত বা প্রকাশিত নিম্নতম হারের অধিক হারে মজুরী অথবা অন্য কোন সুযোগ-সুবিধা অব্যাহতভাবে পাইবার অধিকার ৰুণ্ন করিবে না, যদি কোন চুক্তি বা রোয়েদাদের অধীন বা অন্য কোন কারণে তিনি উক্তরূপ অধিক হারে মজুরী পাইবার অথবা কোন প্রথা অনুযায়ী উক্তরূপ সুযোগ-সুবিধা পাইবার অধিকারী হন।

দ্বাদশ অধ্যায়

দুর্ঘটনাজনিত কারণে জখমের জন্য ক্ষতিপূরণ

ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য মালিকের দায়িত্ব

১৫০। (১) চাকুরী চলাকালে উহা হইতে উদ্ভূত দুর্ঘটনার ফলে যদি কোন শ্রমিক শরীরে জখমপ্রাপ্ত হন তাহা হইলে মালিক তাহাকে এই অধ্যায়ের বিধান অনুযায়ী ৰতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকিবেন।

(২) কোন মালিক উক্তরূপ ৰতিপূরণ প্রদানে বাধ্য থাকিবেন না, যদি-

(ক) জখমের ফলে তিন দিনের অধিক সময় কোন শ্রমিক সম্পূর্ণ বা আংশিক কর্মৰমতা না হারান;

(খ) জখমের ফলে মারা যান নাই এরূপ কোন শ্রমিকের দুর্ঘটনায় জখম প্রাপ্ত হওয়ার প্রত্যৰ কারণ ছিল-

(১) দুর্ঘটনার সময় শ্রমিকের মদ্যপান বা মাদক দ্রব্য সেবনের ফলে উহার প্রভাবাধীন থাকা;

(২) শ্রমিকগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রণীত বিধি বা সুষ্পষ্ট আদেশ শ্রমিক কর্তৃক ইচ্ছাকৃতভাবে অমান্য করা;

(৩) শ্রমিকগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা করা হইয়াছে ইহা জানা সত্ত্বেও শ্রমিক কর্তৃক ইচ্ছাকৃতভাবে কোন আঘাত নিরোধক নিরাপত্তা সরঞ্জাম বা অন্য কোন কৌশল অপসারণ করা বা উপেৰা করা।

(৩) যদি-

(ক) তৃতীয় তফসিলের “ক” অংশে বর্ণিত কোন চাকুরীতে নিযুক্ত কোন শ্রমিক উহাতে উক্তরূপ চাকুরী সম্পর্কিত বিশেষ পেশাজনিত ব্যাধি বলিয়া উলিস্নখিত কোন ব্যাধিতে আক্রানত্দ হন, অথবা

(খ) কোন শ্রমিক অবিচ্ছিন্নভাবে কোন মালিকের অধীন অনূ্যন ছয় মাস তৃতীয় তফসিলের “খ” খন্ডে বর্ণিত কোন চাকুরীতে নিযুক্ত থাকাকালে উক্ত তফসিলে উক্তরূপ চাকুরী সম্পর্কে বিশেষ পেশাজনিত ব্যাধি বলিয়া উলিস্নখিত কোন ব্যাধিতে আক্রানত্দ হন,

তাহা হইলে উক্তরূপ ব্যাধিতে আক্রানত্দ হওয়া এই ধারার অধীন কোন দুর্ঘটনার ফলে জখম বলিয়া গণ্য হইবে এবং, যদি না মালিক ইহার বিপরীত কিছু প্রমাণ করেন, দুর্ঘটনাটি চাকুরী চলাকালে উহা হইতে উদ্ভূত বলিয়া গণ্য হইবে।

ব্যাখ্যাঃ এই উপ-ধারার প্রয়োজনে, কোন চাকুরীকাল অবিচ্ছিন্ন বলিয়া গণ্য হইবে যদি উহার সহিত অন্য কোন মালিকের অধীন একই প্রকার কোন চাকুরী যুক্ত না থাকে।

(৪) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, তৃতীয় তফসিলে উলিস্নখিত চাকুরীর সহিত অন্য কোন প্রকারের চাকুরীও যোগ করিতে পারিবে এবং এরূপ ৰেত্রে উক্ত চাকুরী সম্পর্কিত বিশেষ পেশাজনিত ব্যাধি কি হইবে তাহাও সুনির্দিষ্টভাবে উলেস্নখ করিবে, এবং তৎপর উপ-ধারা (৩) এর বিধান এরূপভাবে প্রযোজ্য হইবে যেন এই অধ্যায় দ্বারা উক্ত ব্যাধি উক্ত চাকুরী সম্পর্কে বিশেষ পেশাজনিত ব্যাধি বলিয়া ঘোষিত হইয়াছে।

(৫) উপ-ধারা (৩) এবং (৪) এর ৰেত্র ব্যতীত অন্য ৰেত্রে, কোন ব্যাধি সম্পর্কে কোন শ্রমিককে কোন ৰতিপূরণ প্রদেয় হইবে না যদি না উক্ত ব্যাধি প্রত্যৰভাবে সংশিস্নষ্ট শ্রমিকের চাকুরী চলাকালে উহা হইতে উদ্ভূত কোন দুর্ঘটনায় জখমের কারণে হয়।

(৬) এখানে উলিস্নখিত কোন কিছুই কোন শ্রমিকের জখম সম্পর্কে কোন ৰতিপূরণ পাওয়ার অধিকার প্রদান করা হইয়াছে বলিয়া বুঝাইবে না যদি তিনি মালিকের অথবা অন্য কোন ব্যক্তির বিরম্নদ্ধে উক্ত জখমের ৰতিপূরণের জন্য দেওয়ানী আদালতে কোন মোকদ্দমা দায়ের করিয়া থাকেন।

(৭) কোন আদালতে উক্ত জখম সম্পর্কে শ্রমিক কর্তৃক কোন ৰতিপূরণ মামলা দায়ের করা যাইবে না, যদি-

(ক) তিনি শ্রম আদালতে উক্ত জখমের জন্য ৰতিপূরণের দাবী করিয়া দরখাসত্দ পেশ করিয়া থাকেন; অথবা

(খ) তাহার এবং তাহার মালিকের মধ্যে এই অধ্যায়ের বিধান অনুযায়ী উক্ত জখম সম্পর্কে ৰতিপূরণ প্রদানের জন্য কোন চুক্তি হইয়া থাকে।

(৮) এই অধ্যায়ের উদ্দেশ্যে, “শ্রমিক” বলিতে মালিক কর্তৃক সরাসরি অথবা ঠিকাদার কর্তৃক নিযুক্ত এমন ব্যক্তিকে বুঝাইবে, যিনি-

(ক) রেলওয়ে আইন, ১৮৯০ (১৮৯০ সনের ৯নং আইন) এর ধারা ৩ এর সংজ্ঞা অনুযায়ী একজন রেল কর্মচারী (যিনি রেলওয়ের কোন প্রশাসনিক, জেলা বা উপজেলা অফিসে কোন স্থায়ী পদে নিযুক্ত নহেন, এবং চতুর্থ তফসিলে উলিস্নখিত কোন পদেও নিযুক্ত নহেন) অথবা

(খ) চতুর্থ তফসিলে উলিস্নখিত কোন পদে নিযুক্ত কোন ব্যক্তি;

তাহার চাকুরীর চুক্তি লিখিত হউক বা অলিখিত হউক, স্পষ্ট হউক বা অস্পষ্ট হউক, এবং কোন জখম প্রাপ্ত শ্রমিকের উলেস্নখের ৰেত্রে, তিনি মারা গেলে তাহার উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিগণ অথবা তাহাদের যে কোন একজনও উহার অনত্দর্ভুক্ত হইবেন।

ব্যাখ্যাঃ এই অধ্যায়ের উদ্দেশ্যে, কোন স্থানীয় কর্তৃপৰ অথবা সরকারের পৰে কোন বিভাগের কোন ৰমতা প্রয়োগ বা কর্তব্য সম্পাদনকে, যদি না কোন ভিন্ন উদ্দেশ্য প্রকাশ পায়, উক্ত কর্তৃপৰ বা বিভাগ এর ব্যবসা বা বাণিজ্য বলিয়া গণ্য হইবে।

ক্ষতিপূরণ পরিমাণ

১৫১। (১) এই অধ্যায়ের বিধান সাপেক্ষে, ক্ষতিপূরণের পরিমাণ হইবে নিম্নরূপ, যথাঃ-

(ক) যে ক্ষেত্রে জখমের ফলে মৃত্যু হয়, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকটি পঞ্চম তফসিলের দ্বিতীয় কলামে যে অর্থ উল্লেখ করা হইয়াছে সে অর্থ 111[ :

তবে শর্ত থাকে যে, এই ক্ষতিপুরণের পরিমাণ তার চাকুরির স্বাভাবিক ছাঁটাই, বরখাস্ত, অবসান, পদত্যাগজনিত ক্ষতিপূরণের অতিরিক্ত হইবে;]

112[ (খ) যে ক্ষেত্রে যখমের ফলে স্থায়ী সম্পূর্ণ অক্ষমতা ঘটে সেই ক্ষেত্রে পঞ্চম তফসিলের তৃতীয় কলামে যে অর্থ উল্লেখ করা হইয়াছে সেই অর্থ;]

(গ) যে ক্ষেত্রে জখমের ফলে স্থায়ী আংশিক অক্ষমতা ঘটে সে ক্ষেত্রে-

(১) জখমটি প্রথম তফসিলে বর্ণিত হইলে, স্থায়ী সম্পূর্ণ অক্ষমতার ক্ষেত্রে প্রদেয় ক্ষতিপূরণ এর ঐ শতকরা হার, যাহা উহাতে উল্লিখিত উক্ত জখমের কারণে উপার্জন ক্ষমতা হানির শতকরা হারের সমান;

(২) জখমটি প্রথম তফসিলে বর্ণিত না হইলে, স্থায়ী সম্পূর্ণ অক্ষমতার ক্ষেত্রে প্রদেয় ক্ষতিপূরণের ঐ শতকরা হার যাহা উক্ত জখমের কারণে স্থায়ীভাবে উপার্জন ক্ষমতা হানির অনুপাতের সমান; এবং

(ঘ) যে ক্ষেত্রে জখমের ফলে সম্পূর্ণ বা আংশিক অস্থায়ী অক্ষমতা ঘটে সে ক্ষেত্রে মাসিক ক্ষতিপূরণ যাহা অক্ষমতার তারিখ হইতে চার দিন অপেক্ষাকাল অতিবাহিত হইবার পর যে মাসে প্রদেয় হইবে উহার পরবর্তী মাসের প্রথম দিনে প্রদেয় হইবে এবং তৎপর অক্ষমতার সময়কালে অথবা পঞ্চম তফসিলের শেষ কলামে উল্লিখিত সময়ের জন্য, যাহা স্বল্প হইবে, মাসিক ভিত্তিতে প্রদেয় হইবে।

(২) যে ক্ষেত্রে একই দুর্ঘটনার কারণে একাধিক জখম হয় সে ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) (গ) এর অধীন তৎসম্পর্কে প্রদেয় ক্ষতিপূরণ একত্রিত করা হইবে, কিন্তু কোন ক্ষেত্রে ইহা এমন ভাবে করা হইবে না যাহাতে ইহা জখম- গুলি হইতে স্থায়ী সম্পূর্ণ অক্ষমতা ঘটিলে যে ক্ষতিপূরণ প্রদেয় হইত উহা হইতে বেশী হয়।

(৩) কোন মাসিক ক্ষতিপূরণ প্রদেয় হওয়ার তারিখের পূর্বে যদি অক্ষমতার অবসান হয় তাহা হইলে উক্ত মাস সম্পর্কে প্রদেয় ক্ষতিপূরণের অর্থ উক্ত মাসের অক্ষমতা থাকাকালীন সময়ের আনুপাতিকহারে প্রদেয় হইবে।

মজুরী হিসাবের পদ্ধতি

১৫২। (১) এই অধ্যায়ের প্রয়োজনে, “মাসিক মজুরী” বলিতে এক মাসের কাজের জন্য প্রদেয় বলিয়া গণ্য মজুরীর পরিমাণ বুঝাইবে, উহা মাসিক ভিত্তিতে প্রদেয় হউক অথবা অন্য সময়ের ভিত্তিতে প্রদেয় হউক অথবা ঠিকা-হারে হউক। মজুরী হিসাবের পদ্ধতি

(২) উক্তরূপ মজুরী নিম্নরূপ ভাবে হিসাব করা হইবে, যথাঃ-

(ক) যে ৰেত্রে দুর্ঘটনার অব্যবহিত পূর্বে ৰতিপূরণ প্রদানে বাধ্য কোন মালিকের অধীন সংশিস্নষ্ট শ্রমিকটি অবিচ্ছিন্নভাবে অনূ্যন বারো মাস কর্মরত ছিলেন সে ৰেত্রে, তাহার মাসিক মজুরী হইবে তাহার পূর্ববতর্ী বারো মাসে উক্ত মালিক কর্তৃক প্রদেয় মোট মজুরীর এক-দ্বাদশাংশ;

(খ) যে ৰেত্রে সংশিস্নষ্ট শ্রমিকটি উক্তরূপ মালিকের অধীন দুর্ঘটনার অব্যবহিত পূর্বে অবিচ্ছিন্নভাবে এক মাসের কম সময় কর্মরত ছিলেন সে ৰেত্রে, তাহার মাসিক মজুরী হইবে দুর্ঘটনার অব্যবহিত পূর্ববতর্ী বারো মাস সময়ে একই মালিকের অধীন তাহার মত অনুরূপ কাজে নিয়োজিত অন্য কোন শ্রমিক, অথবা উক্তরূপ অন্য কোন শ্রমিক না থাকিলে, একই এলাকায় অনুরূপ কাজে নিয়োজিত অন্য কোন শ্রমিকের অর্জিত আয়ের মাসিক গড়ের সমান অর্থ;

(গ) অন্যান্য ৰেত্রে, মাসিক মজুরী হইবে-

ৰতিপূরণ প্রদানে বাধ্য মালিক হইতে দুর্ঘটনার অব্যবহিত পূর্বে অবিচ্ছিন্নভাবে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে সংশিস্নষ্ট শ্রমিক কর্তৃক অর্জিত মোট মজুরীকে ত্রিশ গুণ করিয়া উক্ত কর্মরত সময়ের মোট দিনগুলির দ্বারা উহাকে ভাগ করিলে যে ভাগফল পাওয়া যায় উহার সমপরিমাণ অর্থ।

ব্যাখ্যাঃ এই ধারার প্রয়োজনে কোন কর্মরত সময় অবিচ্ছিন্ন বলিয়া গণ্য হইবে যদি চৌদ্দ দিনের অধিক কাল কাজে অনুপস্থিতির কারণে ইহার ধারাবাহিকতা ভঙ্গ না হয়।

পুনর্বিবেচনা

১৫৩। (১) এই অধ্যায়ের অধীন প্রদেয় কোন মাসিক ৰতিপূরণ, উহা পৰ- দ্বয়ের মধ্যে চুক্তির অধীন হউক অথবা শ্রম আদালতের আদেশের অধীন হউক, শ্রম আদালত কর্তৃক পূনর্বিবেচনা করা যাইবে, যদি-

(ক) শ্রমিকের অবস্থার পরিবর্তন হইয়াছে এই মর্মে রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্রসহ মালিক অথবা শ্রমিক কর্তৃক দরখাসত্দ করা হয়, অথবা

(খ) উক্তরূপ প্রত্যয়নপত্র ছাড়াও, প্রতারণার মাধ্যমে অথবা অবৈধ প্রভাব অথবা অন্যান্য অসংগত উপায়ের মাধ্যমে ৰতিপূরণ নির্ধারণ করা হইয়াছে অথবা রেকর্ড হইতে সুস্পষ্ট দেখা যায়, যে উক্তরূপ নির্ধারণ ভুল-এই মর্মে মালিক অথবা শ্রমিক কর্তৃক দরখাসত্দ করা হয়।

(২) এই অধ্যায়ের বিধান সাপেৰে, এই ধারার অধীন পুনর্বিবেচনার ভিত্তিতে কোন মাসিক ৰতিপূরণ চালু রাখা যাইবে, বৃদ্ধি করা যাইবে, কমানো যাইবে অথবা বন্ধ করা যাইবে অথবা যদি দেখা যায় যে, দুর্ঘটনার কারণে স্থায়ী অৰমতা ঘটিয়াছে তাহা হইলে প্রদেয় মাসিক ৰতিপূরণ শ্রমিকের প্রাপ্যতা অনুযায়ী থোক অর্থে রূপানত্দরিত করা যাইবে, তবে ইহা হইতে মাসিক ৰতিপূরণ বাবদ ইতিমধ্যে প্রাপ্ত অর্থ বাদ যাইবে।

মাসিক ক্ষতিপূরণ থোক অর্থ দ্বারা পরিশোধ

১৫৪। (১) উভয় পৰের চুক্তির ভিত্তিতে মালিক থোক অর্থ প্রদান করিয়া শ্রমিককে প্রদেয় মাসিক ৰতিপূরণ পরিশোধ করিতে পারিবেন।

(২) যদি উক্তরূপ কোন চুক্তি না হয়, এবং অনূ্যন ছয় মাস কোন মাসিক ৰতিপূরণ প্রদান বলবৎ থাকে তাহা হইলে যে কোন পৰের দরখাসত্দের পরিপ্রেৰিতে শ্রম আদালত কর্তৃক নির্ধারিত থোক অর্থ প্রদান করিয়া মাসিক ৰতিপূরণ পরিশোধ করা যাইবে।

ক্ষতিপূরণ বন্টন

১৫৫। (১) জখমের ফলে মৃত কোন শ্রমিক সম্পর্কে প্রদেয় কোন ৰতিপূরণ এবং আইনগত অৰমতার অধীন কোন ব্যক্তিকে ৰতিপূরণ বাবদ প্রদেয় থোক অর্থ শ্রম আদালতে জমা দেওয়া ব্যতীত ভিন্ন কোন পন্থায় পরিশোধ করা যাইবে না।

(২) উপ-ধারা (১) এ উলিস্নখিত কোন ৰতিপূরণ যদি মালিক সরাসরিভাবে পরিশোধ করিয়া থাকেন, তাহা হইলে উহা ৰতিপূরণ পরিশোধ বলিয়া গণ্য হইবে না, যদি না সংশিস্নষ্ট শ্রমিক তাহার চাকুরীকালে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পন্থায় জখমজনিত কারণে তাহার মৃতু্যর ৰেত্রে ৰতিপূরণ গ্রহণের জন্য তাহার কোন উত্তরাধিকারীকে মনোনীত করিয়া থাকেন, এবং সেই মনোনীত উত্তরাধিকারীকে ৰতিপূরণ প্রদত্ত হইয়া থাকে।

(৩) উপ-ধারা (১) এ যাহাই থাকুক না কেন, কোন মৃত শ্রমিকের ক্ষেত্রে তাহার কোন পোষ্যকে মালিক ক্ষতিপূরণ বাবদ অগ্রিম অর্থ প্রদান করিতে পারিবেন, এবং শ্রম আদালত উক্ত পোষ্যকে প্রদেয় ক্ষতিপূরণ হইতে উক্ত অগ্রিম কর্তন করিয়া উহা মালিককে ফেরত দিবে113[:

তবে শর্ত থাকে যে, কোন মৃত শ্রমিকের ক্ষেত্রে মৃতের দাফন-কাফন বা চিকিৎসা, মৃত দেহ পরিবহণ ইত্যাদি বাবদ কোন অর্থ প্রদান করা হইলে মালিক কর্তৃক অগ্রিম প্রদানকৃত কোন অর্থ কিংবা শ্রম আদালতের মাধ্যমে পোষ্যকে প্রদেয় ক্ষতিপূরণ হইতে উক্ত অর্থ কর্তন করা যাইবে না।]

(৪) ৰতিপূরণ বাবদ প্রদেয় অন্য কোন অর্থ উহা পাওয়ার অধিকারী ব্যক্তির পৰে শ্রম আদালতে জমা করা যাইবে।

(৫) শ্রম আদালত কর্তৃক প্রদত্ত রশিদ উহাতে জমাকৃত ৰতিপূরণ সম্পর্কে যথেষ্ট দায়মুক্তি হইবে।

(৬) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন মৃত শ্রমিক সম্পর্কে ৰতিপূরণ বাবদ কোন অর্থ জমা হইলে শ্রম আদালত প্রয়োজনবোধে, তৎকর্তৃক বিবেচিত উপযুক্ত পন্থায়, নোটিশ প্রকাশ করিয়া অথবা প্রত্যেক পোষ্যের উপর উহা জারী করিয়া ৰতিপূরণ বন্টন নির্ধারণের জন্য তৎকর্তৃক নির্ধারিত তারিখে উহার সম্মুখে হাজির হওয়ার জন্য তাহাদিগকে নির্দেশ দিতে পারিবে।

(৭) যদি শ্রম আদালত তৎকর্তৃক প্রয়োজনীয় কোন তদনত্দ সমাপনানত্দে এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোন পোষ্য বিদ্যমান নাই, তাহা হইলে আদালত, জমার তারিখ হইতে অনূ্যন দুই বৎসর পর উহার নিকট জমা অবন্টিত অর্থ শ্রমিকগণের কল্যাণের জন্য, সরকার কতর্ৃক সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্দিষ্ট অথবা স্থাপিত কোন তহবিলে হসত্দানত্দর করিবে।

(৮) মালিক দরখাসত্দ করিলে শ্রম আদালত তৎকর্তৃক বন্টনকৃত অর্থের একটি বিসত্দারিত বর্ণনা তাহাকে সরবরাহ করিবে।

(৯) কোন মৃত শ্রমিক সম্পর্কে জমাকৃত ৰতিপূরণ, উপ-ধারা (৩) এর অধীন কর্তন সাপেৰে, মৃত শ্রমিকের পোষ্যগণের মধ্যে অথবা তাহাদের কাহারও মধ্যে এমন অনুপাতে বন্টন করা হইবে, যাহা শ্রম আদালত উপযুক্ত বিবেচনা করিবে, অথবা আদালত নিজ বিবেচনায় যে কোন একজন পোষ্যকে উহা বরাদ্দ করিতে পারিবে।

(১০) যে ৰেত্রে শ্রম আদালতে জমাকৃত কোন ৰতিপূরণ কোন ব্যক্তিকে প্রদেয় হয় সে ৰেত্রে শ্রম আদালত, যে ব্যক্তিকে উহা প্রদেয় তিনি যদি কোন আইনগত অৰমতার অধীন না হন তাহা হইলে, তাহাকে প্রদান করিবে এবং অন্যান্য ৰেত্রে যিনি উহা পাওয়ার অধিকারী, তাহাকে প্রদান করিতে পারিবে।

(১১) যে ৰেত্রে আদালতে জমাকৃত কোন থোক অর্থ আইনগত অৰমতার অধীন কোন ব্যক্তিকে প্রদেয় হয় সে ৰেত্রে, উক্ত অর্থ উক্ত ব্যক্তির উপকারার্থে তাহার অৰমতাকালীন সময়ে শ্রম আদালতের নির্দেশ মোতাবেক বিনিয়োগ বা ব্যবহার করা যাইবে।

(১২) যে ৰেত্রে আইনগত অৰমতার অধীন কোন ব্যক্তিকে অর্ধ মাসিক ৰতিপূরণ প্রদেয় হয় সে ৰেত্রে, আদালত স্ব-ইচ্ছায় অথবা কোন দরখাসত্দের পরিপ্রেৰিতে উক্ত ৰতিপূরণ তাহার অৰমতাকালীন সময়ে সংশিস্নষ্ট শ্রমিকের কোন পোষ্যকে, অথবা আদালতের বিবেচনায় উক্ত শ্রমিকের কল্যাণ ব্যবস্থা করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বলিয়া বিবেচিত অন্য কোন ব্যক্তিকে প্রদান করার জন্য আদেশ দিতে পারিবে।

(১৩) যে ৰেত্রে কোন দরখাসত্দের পরিপ্রেৰিতে অথবা অন্যভাবে শ্রম আদালত এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোন মাতা বা পিতা কর্তৃক উহার সনত্দানের অবহেলার কারণে, অথবা কোন পোষ্যের পরিস্থিতির পরিবর্তনের কারণে, অথবা অন্য কোন পর্যাপ্ত কারণে, ৰতিপূরণ হিসাবে পরিশোধিত কোন অর্থ বন্টন সম্পর্কে শ্রম আদালতের কোন আদেশ অথবা উক্তরূপ কোন পোষ্যকে প্রদেয় ৰতিপূরণের বিনিয়োগ বা ব্যবহার সম্পর্কিত উহার কোন আদেশ পরিবর্তন করা উচিত, তাহা হইলে আদালত উহার উক্ত আদেশ পরিবর্তন করার জন্য অবস্থার পরিপ্রেৰিতে যেরূপ নূতন আদেশ দেওয়া প্রয়োজন সেরূপ আদেশ দিতে পারিবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, যদি উক্তরূপ কোন আদেশ কোন ব্যক্তির জন্য হানিকর হয়, তাহা হইলে তাহাকে উক্ত আদেশের বিরম্নদ্ধে কারণ দর্শানোর সুযোগ না দিয়া, অথবা কোন ৰেত্রে যদি উক্ত আদেশের ফলে কোন পোষ্য কর্তৃক তাহাকে পরিশোধিত কোন ৰতিপূরণ ফেরত দেওয়ার প্রয়োজন হয় তাহা হইলে উক্তরূপ কোন আদেশ প্রদান করা যাইবে না।

(১৪) যে ৰেত্রে শ্রম আদালত উপ-ধারা (১৩) এর অধীন কোন আদেশ এই কারণে পরিবর্তন করে যে, কোন ব্যক্তিকে পরিশোধিত ৰতিপূরণ তিনি প্রতারণা, মিথ্যা পরিচয়, অথবা অন্য কোন অসংগত উপায়ে হাছিল করিয়াছেন সে ৰেত্রে উক্ত পরিশোধিত ৰতিপূরণ তাহার নিকট হইতে ধারা ৩২৯ এর বিধান অনুযায়ী উসুল করা যাইবে।

ক্ষতিপূরণের হস্তান্তর, ক্রোক বা দায়বদ্ধকরণ নিষিদ্ধ

১৫৬। এই অধ্যায়ে যে রকম বিধান আছে সে রকম ব্যতীত, এই অধ্যায়ের অধীন প্রদেয় কোন থোক অথবা মাসিক ৰতিপূরণ কোনভাবে হসত্দানত্দর, ক্রোক অথবা দায়বদ্ধ করা যাইবে না, অথবা কোন আইনের প্রয়োগ দ্বারা শ্রমিক ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তির নিকট হসত্দানত্দর করা যাইবে না; অথবা উহার সহিত অন্য কোন দাবী কাটা-কাটি করা যাইবে না।

নোটিশ ও দাবী

১৫৭। (১) কোন শ্রম আদালত ৰতিপূরণের কোন দাবী বিবেচনায় আনিবে না যদি না দুর্ঘটনা ঘটিবার পর যতশীঘ্র সম্ভব এতদ্নিম্নে বর্ণিত পদ্ধতিতে তৎসম্পর্কে নোটিশ প্রদান করা হয় এবং যদি না দুর্ঘটনা ঘটিবার দুই বৎসরের মধ্যে অথবা মৃতু্যর ৰেত্রে উহার দুই বৎসরের মধ্যে দাবী উত্থাপন করা হয়।

(২) যে ৰেত্রে দুর্ঘটনাটি হইতেছে ধারা ১৫০ (৩) এর বিধান প্রযোজ্য হয় এমন কোন রোগের আক্রমণ সে ৰেত্রে দুর্ঘটনাটি উক্ত রোগ দ্বারা অৰমতার কারণে শ্রমিকের অবিচ্ছিন্ন অনুপস্থিতির প্রথম তারিখে ঘটিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।

(৩) কোন নোটিশের কোন ত্রম্নটি বা অনিয়ম অথবা উহা প্রদান না করার কারণে কোন দাবী বিবেচনার অযোগ্য হইবে না-

(ক) যদি উত্থাপিত দাবী এমন কোন দুর্ঘটনার ফলে শ্রমিকের মৃতু্যজনিত কারণে হয় যে, দুর্ঘটনাটি-

(১) মালিকের বাড়ীঘর বা আংগিনায় ঘটে; বা

(২) এমন কোন জায়গায় ঘটে যেখানে শ্রমিক মালিক বা তৎকর্তৃক নিয়োজিত অন্য ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে কাজ করিতে ছিলেন; এবং শ্রমিকটি উক্ত বাড়ীঘর বা আংগিনায় বা স্থানে মারা যান অথবা উক্ত বাড়ীঘর বা আংগিনা বা স্থানের সনি্নহিত এলাকা ত্যাগের পূর্বে মারা যান; অথবা

(খ) যদি মালিক অথবা জখমপ্রাপ্ত শ্রমিকটি মালিকের যে ব্যবসা বা বাণিজ্যে নিয়োজিত ছিলেন উহার ব্যবস্থাপনার জন্য মালিকের নিকট দায়ী কোন ব্যক্তি অন্য কোন সূত্র হইতে দুর্ঘটনাটি ঘটিবার সময়ে অথবা উহার কাছাকাছি সময়ে তৎসম্পর্কে অবহিত হইয়াছিলেন।

(৪) উপরোক্ত উপ-ধারা অনুযায়ী যথাসময়ে কোন নোটিশ প্রদান অথবা দাবী উত্থাপন না করা সত্ত্বেও শ্রম আদালত ৰতিপূরণের কোন দাবী বিবেচনায় আনিতে এবং তৎসম্পর্কে সিদ্ধানত্দ দিতে পারিবে যদি উহা এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, নোটিশ প্রদান না করার বা দাবী উত্থাপন না করার যথেষ্ট কারণ ছিল।

(৫) উক্তরূপ প্রত্যেক নোটিশে জখমপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম এবং ঠিকানা দেওয়া হইবে এবং সহজ ভাষায় জখমের কারণ ও দুর্ঘটনার তারিখ বর্ণনা করা হইবে, এবং ইহা মালিকের উপর অথবা জখমপ্রাপ্ত শ্রমিকটি মালিকের যে ব্যবসা-বাণিজ্যে নিয়োজিত ছিলেন উহার ব্যবস্থাপনার জন্য মালিকের নিকট দায়ী কোন ব্যক্তির উপর জারী করা হইবে।

(৬) এই ধারার অধীন কোন নোটিশ, যাহার উপর উহা জারী করিতে হইবে তাহার বাসায় অথবা অফিসে অথবা ব্যবসার স্থানে হসত্দানত্দর করিয়া অথবা রেজিস্ট্রি ডাকযোগে প্রেরণ করিয়া জারী করা হইবে অথবা যে ৰেত্রে কোন নোটিশ বই সংরৰিত হয় সেৰেত্রে উক্ত বইয়ে লিপিবদ্ধ করিয়া জারী করা যাইবে।

মারাত্মক দুর্ঘটনা সম্পর্কে মালিকের নিকট হইতে বিবৃতি তলবের ক্ষমতা

১৫৮। (১) যে ৰেত্রে কোন শ্রম আদালত কোন সূত্র হইতে এই খবর পায় যে, কোন শ্রমিক তাহার চাকুরী চলাকালে উহা হইতে উদ্ভূত কোন দুর্ঘটনার কারণে মারা গিয়াছেন, সে ৰেত্রে আদালত রেজিস্ট্রি ডাকযোগে প্রেরিত নোটিশ দ্বারা সংশিস্নষ্ট শ্রমিকের মালিককে নোটিশ জারীর ত্রিশ দিনের মধ্যে বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে উহার নিকট একটি বিবৃতি পেশ করিবার জন্য নির্দেশ দিবে, যাহাতে শ্রমিকের মৃতু্যর কারণ ও তৎসম্পর্কিত পরিস্থিতি এবং মালিকের মতে উক্ত মৃতু্যর কারণে তিনি কোন ৰতিপূরণ জমা দিতে বাধ্য কি না তৎসম্পর্কে বর্ণনা থাকিবে।

(২) যদি মালিক এই মত পোষণ করেন যে, তিনি ৰতিপূরণ জমা দিতে বাধ্য তাহা হইলে নোটিশ জারীর ত্রিশ দিনের মধ্যে তিনি তাহা জমা দিবেন।

(৩) যদি মালিক এই মত পোষণ করেন যে, তিনি কোন ৰতিপূরণ প্রদানে বাধ্য নহেন তাহা হইলে তিনি তাহার বিবৃতিতে উহার কারণ উলেস্নখ করিবেন।

(৪) যে ৰেত্রে মালিক উক্তরূপভাবে তাহার দায়িত্ব অস্বীকার করেন সে ৰেত্রে, শ্রম আদালত, উহার বিবেচনায় প্রয়োজনীয় তদনত্দের পর, মৃত শ্রমিকের যে কোন পোষ্যকে জানাইতে পারিবে যে, তাহারা ৰতিপূরণ দাবী করিতে পারেন, এবং আদালত উহার বিবেচনায় প্রয়োজনীয় অন্য কোন তথ্যও তাহাদিগকে দিতে পারিবে।

মারাত্মক দুর্ঘটনার রিপোর্ট

১৫৯। যে ৰেত্রে আপাততঃ বলবৎ কোন আইনের দ্বারা কোন মালিকের বাড়ীঘর বা আংগিনায় ঘটিত কোন দুর্ঘটনায় মৃতু্য সম্পর্কে কোন কর্তৃপৰকে নোটিশ দেওয়া প্রয়োজন সেৰেত্রে মালিক অথবা তাহার পৰে অন্য কেহ উক্তরূপ মৃতু্যর সাত দিনের মধ্যে মৃতু্যর কারণ ও পারিপাশ্বর্িক অবস্থা বর্ণনা করিয়া শ্রম আদালতে একটি রিপোর্ট প্রেরণ করিবেন।

চিকিৎসা পরীক্ষা

১৬০। (১) যে ক্ষেত্রে কোন শ্রমিক কোন দুর্ঘটনার নোটিশ প্রদান করেন সে ক্ষেত্রে মালিক নোটিশ জারীর তিন দিনের মধ্যে 114[মালিকের নিজ খরচে] কোন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক দ্বারা শ্রমিককে পরীক্ষা করাইবেন এবং উক্ত শ্রমিক উক্তরূপ পরীক্ষার জন্য নিজেকে হাজির করিবেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, শ্রমিকের দুর্ঘটনা বা অসুস্থতা গুরম্নতর হইলে, শ্রমিক যেখানে অবস্থান করিতেছেন মালিক সেখানে তাহাকে পরীৰা করাইবার ব্যবস্থা করিবেন।

(২) এই অধ্যায়ের অধীন কোন শ্রমিক মাসিক ৰতিপূরণ পাইতে থাকিলে, যদি তিনি নির্দেশিত হন তাহা হইলে সময় সময় উক্তরূপ পরীৰার জন্য নিজেকে হাজির করিবেন।

(৩) যে ৰেত্রে বিনা খরচে কোন শ্রমিককে উক্তরূপ কোন পরীৰা না করা হয় সে ৰেত্রে তিনি নিজ উদ্যোগে কোন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক দ্বারা পরীৰিত হইতে পারিবেন এবং তৎসম্পর্কিত খরচ মালিক তাহাকে পরিশোধ করিতে বাধ্য থাকিবেন।

(৪) এই অধ্যায়ের অধীন প্রণীত বিধি মোতাবেক ব্যতীত অথবা বিধি দ্বারা নির্ধারিত দিন ব্যতীত উপ-ধারা (১) অথবা

(২) এর অধীন কোন চিকিৎসা পরীৰার জন্য কোন শ্রমিককে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া যাইবে না।

(৫) যদি কোন শ্রমিক উপ-ধারা (১) অথবা (২) এর অধীন মালিক কর্তৃক নির্দেশিত অথবা শ্রম আদালত কর্তৃক কোন সময়ে নির্দেশিত হওয়া সত্ত্বেও চিকিৎসা পরীৰার জন্য তিনি কোন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের নিকট নিজেকে হাজির করিতে অস্বীকার করেন অথবা অন্য কোনভাবে উহাতে বাধা প্রদান করেন, তাহা হইলে উক্ত অস্বীকৃতি বা বাধা দেওয়াকালে তাহার ৰতিপূরণ পাওয়ার অধিকার সাময়িকভাব স্থগিত থাকিবে যদি না, অস্বীকৃতির ৰেত্রে, নিজেকে উক্তরূপ হাজির করার ব্যাপারে তিনি পর্যাপ্ত কারণ দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হইয়া থাকেন।

(৬) যদি কোন শ্রমিক উপ-ধারা (১) অথবা (২) এর অধীন যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চিকিৎসা পরীৰার জন্য তাহাকে হাজির হওয়ার কথা ঐ সময় অতিক্রানত্দ হইবার পূর্বেই স্ব-ইচ্ছায় উক্তরূপভাবে পরীৰিত না হইয়া তাহার কর্মস্থলের এলাকা ত্যাগ করিয়া চলিয়া যান তাহা হইলে তিনি ফিরিয়া না আসা পর্যনত্দ অথবা নিজেকে উক্তরূপ পরীৰার জন্য হাজির না করা পর্যনত্দ তাহার ৰতিপূরণ পাওয়ার অধিকার সাময়িকভাবে স্থগিত থাকিবে।

(৭) উপ-ধারা (৫) ও (৬) এর অধীন ৰতিপূরণ পাওয়ার অধিকার স্থগিত হইয়াছে এরূপ কোন শ্রমিক যদি উক্ত কোন উপ-ধারার অধীন নির্দেশিত কোন চিকিৎসা পরীৰার জন্য নিজেকে হাজির না করা কালে মারা যান তাহা হইলে শ্রম আদালত, উপযুক্ত মনে করিলে, মৃত শ্রমিকের পোষ্যগণকে ৰতিপূরণের অর্থ পরিশোধ করিবার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে।

(৮) যে ৰেত্রে উপ-ধারা (৫) অথবা (৬) এর অধীন কোন ৰতিপূরণ পাওয়ার অধিকার স্থগিত হয় সে ৰেত্রে স্থগিতকালের জন্য কোন ৰতিপূরণ প্রদেয় হইবে না এবং যদি ধারা ১৫১ (১)(খ) এ উলিস্নখিত অপেৰাকাল অবসান হইবার পূর্বে উক্ত স্থগিতকাল শুরম্ন হয় তাহা হইলে অপেৰাকাল স্থগিতকালের দ্বারা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইবে।

(৯) যে ৰেত্রে মালিক কর্তৃক কোন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক দ্বারা কোন জখমপ্রাপ্ত শ্রমিকের বিনা খরচে চিকিৎসা করাইবার প্রসত্দাব দেওয়া সত্ত্বেও উক্ত শ্রমিক তাহা গ্রহণ করিতে অস্বীকার করেন, অথবা উক্তরূপ প্রসত্দাব গ্রহণের পর ইচ্ছাকৃতভাবে উক্ত চিকিৎসকের নির্দেশ উপেৰা করেন, এবং যদি ইহা প্রমাণিত হয় যে, শ্রমিকটি উহার পর কোন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক দ্বারা নিয়মিতভাবে চিকিৎসীত হন নাই অথবা চিকিৎসীত হওয়াকালে ইচ্ছাকৃতভাবে চিকিৎসকের নির্দেশ অনুসরণ করিতে ব্যর্থ হইয়াছেন এবং উক্তরূপ অস্বীকৃতি, অবহেলা অথবা ব্যর্থতা অবস্থার পরিপ্রেৰিতে অযৌক্তিক ছিল এবং ইহার ফলে জখমের অবনতি ঘটে, সে ৰেত্রে জখমটি এবং উহা হইতে স্পষ্ট অৰমতা, শ্রমিকটি রেজিষ্টার্ড চিকিৎসক দ্বারা নিয়মিতভাবে চিকিৎসীত হইয়া তাহার নির্দেশমত চলিলে যে প্রকৃতির হইত এবং যে সময় পর্যনত্দ থাকিত-উহা সে প্রকৃতির এবং সে সময় পর্যনত্দ চলিতেছে বলিয়া গণ্য হইবে, এবং কোন ৰতিপূরণ প্রদেয় হইলে উহা তদানুযায়ী প্রদত্ত হইবে।

(১০) যে ৰেত্রে কোন মালিক অথবা জখমপ্রাপ্ত শ্রমিক কোন রেজিষ্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক প্রদত্ত চিকিৎসা পরীৰার রিপোর্টে সন্তুষ্ট না হন, সে ৰেত্রে তিনি বিষয়টি পুনরায় পরীৰা করার জন্য মেডিকেল কলেজের অনূ্যন সহযোগী অধ্যাপকের মর্যাদাসম্পন্ন্ন কোন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞের নিকট প্রেরণ করিতে পারিবেন, এবং এই প্রকার পরীৰার জন্য যে খরচ হইবে উহা মালিক বা, ৰেত্রমত, শ্রমিক বহন করিবেন।

115[(১১) কোন প্রতিষ্ঠানে অন্যূন ১০ জন শ্রমিক কর্মরত থাকিলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক শ্রমিকদের জন্য যৌথ বীমা কর্মসূচির অধীনে দুর্ঘটনা জনিত বীমা স্কীম চালু ও বাস্তবায়ন করিতে পারিবেন এবং উক্তরূপ দুর্ঘটনা বীমা স্কীম হইতে প্রাপ্ত সুবিধাদি বা অর্থ শ্রমিকের চিকিৎসা কাজে ব্যয় করিতে হইবে।]

চুক্তির ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ

১৬১। (১) যে ক্ষেত্রে কোন মালিক তাহার ব্যবসা বা বাণিজ্য চলাকালে অথবা উহার প্রয়োজনে সাধারণতঃ তাহার ব্যবসা-বাণিজ্যের অংশ এরূপ কোন কাজ বা উহার অংশ বিশেষ সম্পাদন করার জন্য অন্য কোন ব্যক্তির, অতঃপর এই ধারায় “116[ঠিকাদার সংস্থা]” বলিয়া উল্লিখিত, সহিত চুক্তি করেন, সে ক্ষেত্রে উক্ত মালিক, কোন শ্রমিক সরাসরি তাহার দ্বারা নিযুক্ত হইলে তাহাকে যে ক্ষতিপূরণ প্রদান করিতে বাধ্য থাকিতেন, উক্ত কার্য সম্পাদনের জন্য ঠিকাদার কর্তৃক নিযুক্ত শ্রমিককেও তিনি অনুরূপ ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকিবেন, এবং যে ক্ষেত্রে মালিকের নিকট হইতে কোন ক্ষতিপূরণ দাবী করা হয় সে ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ নির্ণয়ের জন্য ঠিকাদারের নিকট হইতে প্রাপ্ত মজুরী আমলে আনা হইবে।

117[(২) যে ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) প্রযোজ্য, সে ক্ষেত্রে প্রিন্সিপাল বা মূল মালিক সমস্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করিবেন।

(৩) যে ক্ষেত্রে প্রিন্সিপাল বা মূল মালিক মনে করেন যে সংশ্লিষ্ট কোন শ্রমিকের নিহত কিংবা আহত হওয়ার ঘটনাটি বিশেষভাবে এবং বাস্তবিক অর্থে ঠিকাদারের পক্ষ হইতে কোন আচরণবিধি লংঘনের ফলে সংঘটিত হইয়াছে, তবে তিনি, শ্রম আদালতে ক্ষতিপূরণের পূর্ণ অর্থ জমা দেওয়ার পর (যে ক্ষেত্রে কোন শ্রমিক নিহত হয়), কিংবা সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ প্রদানের পর (যে ক্ষেত্রে কোন শ্রমিক আহত হয়), উক্ত অর্থের কত অংশ ঠিকাদার কর্তৃক প্রিন্সিপাল বা মূল মালিককে প্রদান করা উচিত, তাহা নির্ধারণের জন্য প্রধান পরিদর্শকের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন এবং প্রধান পরিদর্শক আবেদন প্রাপ্তির পর ৪৫ দিনের মধ্যে বিধি মোতাবেক তা নিস্পত্তি করিবেন।]

মালিকের দেউলিয়াত্ব

১৬২। (১) যে ৰেত্রে কোন মালিক এই অধ্যায়ের অধীন শ্রমিকগণের প্রতি কোন দায় সম্পর্কে কোন বীমাকারীর সহিত চুক্তিবদ্ধ হন, সে ৰেত্রে মালিক দেউলিয়া হইলে, অথবা পাওনাদারের সহিত কোন ব্যবস্থা সম্পর্কে স্কীম প্রণয়ন করিলে, অথবা মালিক যদি কোন কোম্পানী হয় এবং ইহা যদি গুটাইয়া ফেলা শুরম্ন করে, তাহা হইলে উক্ত দায় সম্পর্কে বীমাকারীর বিরম্নদ্ধে মালিকের অধিকার, অন্য কোন আইনে দেউলিয়াত্ব অথবা কোম্পানী গুটাইয়া ফেলা সম্পর্কে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, শ্রমিকের নিকট হসত্দানত্দরিত ও ন্যসত্দ হইবে, এবং উক্তরূপ হসত্দানত্দরের পর বীমাকারীর এইরূপ অধিকার এবং প্রতিকারের উপায় থাকিবে এবং তিনি এমন দায়-দায়িত্বের অধীন থাকিবেন যেন তিনি মালিক, তবে শ্রমিকগণের প্রতি মালিকের যে দায় উহা হইতে শ্রমিকের প্রতি বীমাকারীর দায় অধিক হইবে না।

(২) যদি শ্রমিকের প্রতি বীমাকারীর দায় মালিকের দায় হইতে কম হয় তাহা হইলে দেউলিয়াত্ব অথবা অবসায়ন কার্যক্রমে শ্রমিক উহা প্রমাণ করিতে পারিবেন।

(৩) যে ৰেত্রে উপ-ধারা (১) এ উলিস্নখিত কোন ৰেত্রে বীমাকারীর সহিত মালিকের চুক্তি এই কারণে অবৈধ বা অবৈধ হইবার যোগ্য যে, মালিক প্রিমিয়াম আদায়ের বিষয় ব্যতীত অন্য কোন বিষয়ে চুক্তির কোন শর্ত পালন করেন নাই, সে ৰেত্রে উক্ত উপ-ধারার বিধান এরূপভাবে প্রযোজ্য হইবে যেন চুক্তিটি অবৈধ বা অবৈধযোগ্য ছিল না, এবং বীমাকারী দেউলিয়াত্ব বা অবসায়ন কার্যক্রমে শ্রমিককে প্রদত্ত অর্থ প্রমাণ করার অধিকারী হইবেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারার বিধানগুলি এরূপ কোন ৰেত্রে প্রযোজ্য হইবে না যেখানে শ্রমিক দুর্ঘটনা সম্পর্কে এবং উহার ফলে কোন অৰমতা সম্পর্কে দেউলিয়াত্ব বা অবসায়ন কার্যক্রম শুরম্ন হওয়া সম্পর্কে তিনি জ্ঞাত হওয়ার যতদূর সম্ভব পরে বীমাকারীকে নোটিশ দিতে ব্যর্থ হইয়াছেন।

(৪) দেউলিয়া (ঢাকা) আইন, ১৯০৯ (১৯০৯ সনের ৩নং আইন) এর ধারা ৪৯ অথবা দেউলিয়া আইন, ১৯২০ (১৯২০ সনের ৫নং আইন) এর ধারা ৬১, এবং কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ এবং ধারা ২৩০ এর অধীন যে দেনা দেউলিয়ার সম্পত্তি বন্টনের ৰেত্রে অথবা গুটাইয়া ফেলা হইতেছে এরূপ কোন কোম্পানীর সম্পদ বন্টনের ৰেত্রে অন্য কোন দেনার উপরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রদেয় হয়, এইরূপ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত দেনার সহিত এমন ৰতিপূরণও যোগ হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে যাহা পরিশোধের দায়িত্ব দেউলিয়া সাব্যসত্দ হওয়া সংক্রানত্দ আদেশের তারিখের পূর্বে অথবা, ৰেত্রমত, গুটাইয়া ফেলা কার্যক্রম আরম্ভ হওয়ার তারিখের পূর্বে উদ্ভূত হইয়াছে, এবং ঐ আইনগুলি তদানুযায়ী কার্যকর হইবে।

(৫) যে ৰেত্রে ৰতিপূরণটি হইতেছে একটি মাসিক অর্থ, সে ৰেত্রে এই ধারার প্রয়োজনে, তৎসম্পর্কে প্রদেয় অর্থ বলিতে ধারা ১৫৪ এর অধীন দরখাসত্দ করা হইলে যদি উক্ত মাসিক অর্থকে থোক অর্থে পরিশোধ করা সম্ভব হইত সে থোক অর্থ বলিয়া বিবেচিত হইবে, এবং এই থোক সম্পর্কে শ্রম আদালতের প্রত্যয়নপত্র এই বিষয়ে চূড়ানত্দ প্রমাণ হইবে।

(৬) উপ-ধারা (৩) এর অধীন যে অর্থ কোন বীমাকারী প্রমাণ করার অধিকারী সে অর্থের ৰেত্রে উপ-ধারা (৪) এর বিধান প্রযোজ্য হইবে, কিন্তু অন্যথায় উক্ত বিধান ঐ ৰেত্রে প্রযোজ্য হইবে না যেখানে দেউলিয়া ব্যক্তিটি অথবা গুটাইয়া ফেলা হইতেছে এরূপ কোম্পানীটি উপ-ধারা (১) এ যেরূপ উলিস্নখিত আছে সেরূপ কোন চুক্তি কোন বীমাকারীর সহিত সম্পাদন করে।

(৭) কোন কোম্পানী পুনর্গঠিত হওয়ার জন্য অথবা অন্য কোন কোম্পানীর সহিত একত্রিত হওয়ার জন্য স্বেচ্ছায় গুটাইয়া ফেলার ৰেত্রে এই ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে না।

মাষ্টার ও নাবিকের ক্ষেত্রে বিশেষ বিধান

১৬৩। (১) এই অধ্যায়, এই ধারার বিধান সাপেৰে, কোন জাহাজের মাষ্টার অথবা নাবিকের ৰেত্রে প্রযোজ্য হইবে।

(২) কোন দুর্ঘটনার নোটিশ ও ৰতিপূরণের দাবী, যে ৰেত্রে জখমপ্রাপ্ত ব্যক্তিটি জাহাজের মাষ্টার সে ৰেত্র ব্যতীত, জাহাজের মাষ্টারের উপর জারী করা হইবে যেন তিনিই মালিক, কিন্তু যে ৰেত্রে দুর্ঘটনা জাহাজেই ঘটে এবং অৰমতা জাহাজে শুরম্ন হয় সে ৰেত্রে কোন নাবিকের পৰে দুর্ঘটনার কোন নোটিশ দেওয়ার প্রয়োজন হইবে না।

(৩) কোন মাষ্টার অথবা নাবিকের মৃতু্যর ৰেত্রে ৰতিপূরণের দাবী দাবীকারী কর্তৃক মৃতু্যর খবর পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যে, অথবা যে ৰেত্রে জাহাজটি উহার সকলকে নিয়া হারাইয়া গিয়াছে, অথবা হারাইয়া গিয়াছে বলিয়া গণ্য হয়, সে ৰেত্রে হারাইয়া যাওয়ার বা গিয়াছে বলিয়া গণ্য হওয়ার তারিখ হইতে আঠারো মাসের মধ্যে করিতে হইবে।

(৪) যে ৰেত্রে জখমপ্রাপ্ত মাষ্টার অথবা নাবিককে বিদেশে কোথাও ডিসচার্জ করা হয় অথবা ছাড়িয়া আসা হয়, সে ৰেত্রে সেই দেশের কোন বিচারক বা ম্যাজিস্ট্রেট অথবা ঐ দেশে কোন কনসু্যলার কর্মকর্তা কর্তৃক গৃহীত এবং তৎকর্তৃক সরকারের নিকট প্রেরিত কোন সাৰ্য কোন দাবী আদায় সংক্রানত্দ কার্যক্রমে সাৰ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য হইবে, যদি-

(ক) সাৰ্যটি উক্ত বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট অথবা কনসু্যলার কর্মকর্তার স্বাৰর দ্বারা প্রমাণিকৃত হয়;

(খ) বিবাদী অথবা অভিযুক্ত ব্যক্তি স্বাৰীকে জেরা করিবার সুযোগ পান; এবং

(গ) সাৰ্যটি কোন ফৌজদারী কার্যক্রমে গৃহীত হইলে ইহা প্রমাণ করা হয় যে, সাৰ্য অভিযুক্ত ব্যক্তির উপস্থিতিতে গৃহীত হইয়াছিল;

এবং কোন ৰেত্রে উক্তরূপ সাৰ্য দসত্দখত করিয়াছেন বলিয়া দৃষ্ট ব্যক্তির দসত্দখত বা পদমর্যাদা প্রমাণ করার প্রয়োজন হইবে না, এবং বিবাদী অথবা অভিযুক্ত ব্যক্তি সাৰীকে জেরা করিবার সুযোগ পাইয়াছিলেন এবং সাৰ্য, ফৌজদারী কার্যক্রমের ৰেত্রে, অভিযুক্ত ব্যক্তির উপস্থিতিতে গৃহীত হইয়াছিল এই মর্মে উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত কোন প্রত্যয়নপত্র ভিন্নরূপ প্রমাণিত না হইলে, তিনি উক্তরূপ সুযোগ পাইয়াছিলেন এবং উহা উক্তরূপে গৃহীত হইয়াছিল ইহার পর্যাপ্ত প্রমাণ হইবে।

(৫) বাংলাদেশে প্রচলিত বাণিজ্যিক জাহাজ সম্পর্কিত কোন আইনের অধীন জাহাজের মালিক জখম প্রাপ্ত মাষ্টার এবং নাবিকের কোন সময়ের জন্য খোরপোষ বহন করিতে বাধ্য হইলে ঐ সময়ের জন্য ৰতিপূরণ বাবদ কোন মাসিক অর্থ প্রদেয় হইবে না।

(৬) অবসর ভাতা (নৌ, সেনা, বিমান বাহিনী এবং বাণিজ্য-নৌ) আইন, ১৯৩৯ এর অধীন প্রণীত যুদ্ধ অবসর ভাতা এবং আটক ভাতা (বাণিজ্য-নৌ, ইত্যাদি) স্কীম, ১৯৩৯ অথবা যুদ্ধ অবসর ভাতা এবং আটক ভাতা (ভারতীয় নাবিক, ইত্যাদি) স্কীম, ১৯৪১, অথবা সরকার কতর্ৃক প্রণীত যুদ্ধ অবসর ভাতা এবং আটক ভাতা (ভারতীয় নাবিক) স্কীম, ১৯৪২ এর অধীন কোন জখম সম্পর্কে গ্রেচুইটী, ভাতা, বা অবসর ভাতার ব্যবস্থা করা হইলে এই অধ্যায়ের অধীন তৎসমপর্কে কোন ৰতিপূরণ প্রদেয় হইবে না।

(৭) এই অধ্যায়ের অধীন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোন নোটিশ প্রদান বা দাবী পেশ বা কার্যক্রম শুরম্ন করিতে ব্যর্থতা এই অধ্যায়ের অধীন কোন ব্যক্তিগত জখমের সম্পর্কে কোন কার্যক্রম চালু করার বিষয়ে বাধা হইবে না, যদি-

(ক) উপ-ধারা (৬) এ উলিস্নখিত কোন স্কীমের অধীন উক্ত জখম সম্পর্কে অর্থ প্রদানের জন্য দরখাসত্দ করা হইয়া থাকে; এবং

(খ) সরকার এই মর্মে প্রত্যয়ন করে যে, উক্ত দরখাসত্দ এই যুক্তিসংগত বিশ্বাসে করা হইয়াছিল যে, জখমটি এমন যে, উহা সম্পর্কে যে স্কীমের অধীনে দরখাসত্দ করা হইয়াছিল উক্ত স্কীমে উহার জন্য অর্থ প্রদানের ব্যবস্থা আছে, এবং জখমটি উক্তরূপ কোন জখম নহে এই কারণে দরখাসত্দখানি না মঞ্জুর করা হইয়াছিল অথবা উক্ত দরখাসত্দের পরিপ্রেৰিতে প্রদত্ত অর্থ প্রদান বন্ধ করিয়া দেওয়া হইয়াছিল; এবং

(গ) এই অধ্যায়ের অধীন কার্যক্রম সরকারের উক্ত প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার এক মাসের মধ্যে শুরম্ন করা হইয়াছে।

ক্ষতিপূরণ সম্পর্কে বিবরণী

১৬৪। সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই মর্মে নির্দেশ দিতে পারিবে যে শ্রমিক নিয়োগকারী প্রত্যেক ব্যক্তি অথবা উক্তরূপ ব্যক্তিগণের কোন শ্রেণী, প্রজ্ঞাপনে উলিস্নখিত কতর্ৃপৰের নিকট, উহাতে উলিস্নখিত সময়ে ও ফরমে একটি শুদ্ধ বিবরণী প্রেরণ করিবেন যাহাতে পূর্ববতর্ী বৎসরে যে সমসত্দ জখমের জন্য মালিক কতর্ৃক ৰতিপূরণ প্রদান করা হইয়াছে উহার সংখ্যা, উক্তরূপ ৰতিপূরণের পরিমাণ এবং সরকার কতর্ৃক নির্দেশিত ৰতিপূরণ সম্বন্ধে অন্যান্য বিষয়ও উলেস্নখ থাকিবে।

দায় মুক্তি বা লাঘবের চুক্তি বাতিল

১৬৫। এই আইন বলবৎ হওয়ার পূর্বে বা পরে সম্পাদিত কোন চুক্তি দ্বারা যদি কোন শ্রমিক তাহার চাকুরীকালে অথবা উহা হইতে উদ্ভূত কোন ব্যক্তিগত জখমের জন্য মালিকের নিকট হইতে কোন ৰতিপূরণ পাওয়ার অধিকার পরিত্যাগ করেন, তাহা হইলে উক্ত চুক্তি দ্বারা এই অধ্যায়ের অধীন কোন ব্যক্তির ৰতিপূরণ পরিশোধের দায় যতখানি অপসারিত অথবা হ্রাস করা হইবে ততখানি পর্যনত্দ বাতিল হইবে।

কতিপয় প্রশ্ন শ্রম আদালতের নিষ্পত্তির জন্য প্রেরণ

১৬৬। (১) এই অধ্যায়ের অধীন কোন কার্যক্রমে কোন ব্যক্তির ৰতিপূরণ পরিশোধের দায় অথবা কোন জখম প্রাপ্ত শ্রমিক কি না, অথবা ৰতিপূরণের পরিমাণ ও মেয়াদ, অথবা কোন অৰমতার প্রকৃতি বা পরিমাণ সম্পর্কে যদি কোন প্রশ্ন উত্থাপিত হয়, তাহা হইলে প্রশ্নটি, কোন চুক্তির অবর্তমানে, শ্রম আদালত নিষ্পত্তি করিবে।

(২) এই অধ্যায়ের অধীন যে প্রশ্ন নিষ্পত্তি করার এখতিয়ার শ্রম আদালতকে দেওয়া আছে, সে সম্পর্কে অথবা এই অধ্যায়ের অধীন কোন দায় বলবৎ করার ব্যাপারে কোন দেওয়ানী আদালতের এখতিয়ার থাকিবে না।

কার্যধারার স্থান

১৬৭। যে ৰেত্রে এই অধ্যায়ের অধীন কোন বিষয় শ্রম আদালত কতর্ৃক বা শ্রম আদালত সমীপে সম্পাদন হওয়ার কথা সে ৰেত্রে উহা এই অধ্যায়ের এবং কোন বিধির বিধান সাপেৰে ঐ শ্রম আদালত কর্তৃক বা শ্রম আদালত সমীপে সম্পাদিত হইবে যাহার এলাকার মধ্যে যে দুর্ঘটনার ফলে জখম হইয়াছে উহা ঘটিয়াছেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, যে ৰেত্রে শ্রমিকটি কোন জাহাজের মাষ্টার বা নাবিক, সে ৰেত্রে জাহাজের মালিক অথবা এজেন্ট যে এলাকায় বাস করেন বা ব্যবসা পরিচালনা করেন, সেই এলাকার উপর এখতিয়ার সম্পন্ন শ্রম আদালত কতর্ৃক বা শ্রম আদালত সমীপে উক্তরূপ বিষয়টি সম্পাদিত হইবে।

দরখাস্তের শর্ত

১৬৮। এই অধ্যায়ের অধীন 118[কোন ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিক নিজে অথবা পোষ্য] কর্তৃক ক্ষতিপূরণের দরখাস্ত ব্যতীত, কোন বিষয় নিষ্পত্তির জন্য শ্রম আদালতে দরখাস্ত করা যাইবে না যদি না উভয়পক্ষ উক্ত কোন বিষয় সম্পর্কে উত্থিত কোন প্রশ্ন চুক্তির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করিতে ব্যর্থ হন।

মারাত্মক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে শ্রম আদালত কর্তৃক অতিরিক্ত জমা তলব করার ক্ষমতা

১৬৯। (১) যে ৰেত্রে জখমের ফলে মৃত কোন শ্রমিক সম্পর্কে প্রদেয় ৰতিপূরণ বাবদ কোন অর্থ মালিক কতর্ৃক জমা দেওয়া হইয়াছে এবং শ্রম আদালতের মতে উক্ত অর্থ অপর্যাপ্ত, সে ৰেত্রে উক্ত আদালত উহার যুক্তি উলেস্নখপূর্বক লিখিত নোটিশ জারী করিয়া, উহাতে উলিস্নখিত সময়ের মধ্যে, আরোও অধিক অর্থ কেন জমা করা হইবে না তৎসম্পর্কে কারণ দর্শানোর জন্য মালিককে নির্দেশ দিতে পারিবে।

(২) যদি মালিক শ্রম আদালতের সনত্দোষমত কারণ প্রদর্শনে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে উক্ত আদালত ৰতিপূরণ বাবদ মোট প্রদেয় অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ করিয়া রোয়েদাদ দিতে পারিবে এবং মালিককে উক্ত পরিমাণের ঘাটতি অর্থ জমা দিবার নির্দেশ দিতে পারিবে।

চুক্তি রেজিস্ট্রিকরণ

১৭০। (১) যে ৰেত্রে ৰতিপূরণ বাবদ প্রদেয় কোন থোক অর্থের পরিমাণ চুক্তি দ্বারা নির্ধারিত করা হয়, উহা মাসিক অর্থ পরিশোধ করিয়া হউক অথবা অন্য কোনভাবে হউক, অথবা যে ৰেত্রে উক্তরূপ নির্ধারিত ৰতিপূরণ আইনগত অৰমতার অধীন কোন ব্যক্তিকে প্রদেয় হয়, সে ৰেত্রে তৎসম্পর্কে একটি স্মারকলিপি মালিক কতর্ৃক শ্রম আদালতে প্রেরণ করিতে হইবে এবং উক্ত আদালত উহার যথার্থতা সম্বন্ধে নিশ্চিত হওয়ার পর বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে একটি রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করিয়া রাখিবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে-

(ক) উক্তরূপ কোন স্মারক উক্ত আদালত কতর্ৃক পৰগণকে তৎসম্পর্কে অবহিত করার সাত দিনের মধ্যে লিপিবদ্ধ করা যাইবে না;

(খ) উক্ত আদালত যে কোন সময়ে রেজিস্টার সংশোধন করিতে পারিবে;

(গ) যে ৰেত্রে উক্ত আদালতের নিকট ইহা প্রতীয়মান হয় যে, থোক অর্থ পরিশোধের জন্য কোন চুক্তি, উহা মাসিক অর্থ পরিশোধ করিয়া হউক অথবা অন্য কোন ভাবে হউক, অথবা আইনগত অৰমতার অধীন কোন ব্যক্তিকে প্রদেয় ৰতিপূরণের পরিমাণ সম্বন্ধে কোন চুক্তি, উক্ত অর্থ বা পরিমাণের অপর্যাপ্ততার কারণে অথবা প্রতারণা অথবা অবৈধ প্রভাব অথবা অন্য কোন অসংগত উপায় অবলম্বনের দ্বারা হাছিল করার কারণে উহা রেজিস্টারভুক্ত করা উচিত হইবে না; সে ৰেত্রে উক্ত আদালত, অবস্থার পরিপ্রেৰিতে চুক্তির অধীন প্রদত্ত অর্থ পরিশোধ সম্পর্কেসহ যথাযথ আদেশ দিতে পারিবে।

(২) অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (১) এর অধীন রেজিস্টারভুক্ত ৰতিপূরণ প্রদান সম্পর্কে কোন চুক্তি এই আইনের অধীন বলবৎযোগ্য হইবে।

চুক্তি রেজিস্ট্রি করিতে ব্যর্থতার ফল

১৭১। যে ৰেত্রে ধারা ১৭০ এর অধীন রেজিস্ট্রিকরণ প্রয়োজন এরূপ কোন চুক্তির স্মারকলিপি উক্ত ধারার বিধান অনুযায়ী শ্রম আদালতে প্রেরণ করা না হয়, সে ৰেত্রে মালিক এই অধ্যায়ের অধীন তৎকতর্ৃক প্রদেয় ৰতিপূরণের সম্পূর্ণর্র্ অর্থ পরিশোধ করিতে বাধ্য থাকিবেন এবং উক্ত আদালত ভিন্নরূপ নির্দেশ না দিলে, তিনি ৰতিপূরণ বাবদ শ্রমিককে পরিশোধিত অর্থের, উহা চুক্তির অধীন হউক অথবা অন্যভাবে হউক, অর্ধেকের অধিক কর্তন করিতে অধিকারী হইবেন না।

আপীল

১৭২। (১) এই অধ্যায়ের অধীন প্রদত্ত শ্রম আদালতের নিম্নলিখিত আদেশের বিরম্নদ্ধে ট্রাইবু্যনালে আপীল করা যাইবে, যথাঃ-

(ক) ৰতিপুরণ হিসাবে থোক অর্থ রোয়েদাদের আদেশ, উহা মাসিক অর্থ পরিশোধ করিয়া হউক অথবা অন্যভাবে হউক, অথবা থোক অর্থ প্রদানের দাবী সম্পূর্ণর্র্ বা আংশিক না মঞ্জুরের আদেশ;

(খ) অর্থ পরিশোধ করতঃ মাসিক ৰতিপূরণ প্রদানের দায় হইতে মুক্ত হওয়ার আবেদন প্রত্যাখানের আদেশ;

(গ) কোন মৃত শ্রমিকের পোষ্যগণের মধ্যে ৰতিপূরণের অর্থ বন্টনের ব্যবস্থাসম্বলিত আদেশ, অথবা উক্তরূপ পোষ্য বলিয়া দাবীদার কোন ব্যক্তির ৰতিপূরণ পাওয়ার দাবী না মঞ্জুরের আদেশ;

(ঘ) ধারা ১৬১ (২) এর অধীন ৰতিপূরণের কোন অর্থ দাবী মঞ্জুর বা না মঞ্জুরের আদেশ;

(ঙ) চুক্তির স্মারকলিপির রেজিস্ট্রিকরণ প্রত্যাখ্যান, অথবা উহার রেজিস্ট্রিকরণ অথবা উহার শর্তসাপেৰে রেজিস্ট্রিকরণের আদেশ; অথবা

(চ) ধারা ১৫৫ (৭) এর অধীন আদেশ।

(২) পৰগণ কতর্ৃক শ্রম আদালতের সিদ্ধানত্দ মানিয়া চলিতে সম্মত হওয়ার ৰেত্রে অথবা পৰগণের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি কার্যকর করার জন্য শ্রম আদালত কতর্ৃক প্রদত্ত কোন আদেশের বিরম্নদ্ধে আপীল চলিবে না।

(৩) মালিক কর্তৃক উপ-ধারা (১) (ক) এর অধীন কোন আপীল দায়ের করা যাইবে না যদি না আপীলের স্মারকলিপির সহিত শ্রম আদালত কতর্ৃক প্রদত্ত এই মর্মে প্রত্যয়নপত্র থাকে যে, আপীলকারী উক্ত আদালতে সংশিস্নষ্ট আদেশের অধীন প্রদেয় অর্থ জমা দিয়াছেন।

(৪) কোন আদেশের বিরম্নদ্ধে কোন আপীল চলিবে না যদি না আপীলে কোন উলেস্নখযোগ্য আইনগত প্রশ্ন জড়িত থাকে, এবং উপ-ধারা (১) (খ) এ উলিস্নখিত কোন আদেশ ব্যতীত অন্য কোন আদেশের বিরম্নদ্ধে কোন আপীল চলিবে না, যদি না আপীলে বিরোধীয় অর্থের পরিমাণ অনূ্যন এক হাজার টাকা হয়।

(৫) এই ধারার অধীন আপীলের জন্য তামাদির মেয়াদ হইবে ষাট দিন।

(৬) তামাদী আইন, ১৯০৮ (১৯০৮ সনের ৯নং আইন) এর ধারা ৫ এর বিধান এই ধারার অধীন আপীলের ৰেত্রে প্রযোজ্য হইবে।

আপীলের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে কতিপয় পরিশোধ স্থগিতকরণ

১৭৩। যে ৰেত্রে কোন মালিক ধারা ১৭২ (১) (ক) এর অধীন কোন আপীল দায়ের করেন, সে ৰেত্রে শ্রম আদালত, আপীলের সিদ্ধানত্দ সাপেৰে, উহার নিকট জমাকৃত কোন অর্থ পরিশোধ স্থগিত রাখিতে পারিবে, এবং ট্রাইবু্যনাল নির্দেশ দিলে উহা অবশ্যই স্থগিত রাখিবে।

ক্ষতিপূরণ হিসাবে প্রদত্ত কোন অর্থ হস্তান্তর করা সম্পর্কে অন্য কোন রাষ্ট্রের সংগে ব্যবস্থা কার্যকর করার জন্য বিধি

১৭৪। (১) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা-

(ক) এই অধ্যায়ের অধীন শ্রম আদালতে জমাকৃত কোন অর্থ, যাহা অন্য কোন দেশে বসবাস করিতেছেন অথবা করিতে যাইতেছেন এমন কোন ব্যক্তিকে প্রদেয় অথবা তাহার প্রাপ্য, উক্ত দেশে হসত্দানত্দরের জন্য; এবং

(খ) বাংলাদেশে বসবাস করিতেছেন অথবা করিতে যাইতেছেন এমন কোন ব্যক্তিকে প্রদেয় বা তাহার প্রাপ্য কোন অর্থ, যাহা অন্য কোন দেশে শ্রমিকগণের ৰতিপূরণ সম্পর্কিত কোন আইনের অধীন জমা করা হইয়াছে, বাংলাদেশে গ্রহণ, বন্টন এবং পরিচালনার জন্য;

বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, কোন মারাত্মক দুর্ঘটনা সম্পর্কে এই অধ্যায়ের অধীন জমাকৃত কোন অর্থ সংশিস্নষ্ট মালিকের সম্মতি ব্যতিরেকে উক্তরূপে হসত্দানত্দর করা যাইবে না, যতৰণ পর্যনত্দ জমাগ্রহণকারী শ্রম আদালত ধারা ১৫৫(৪) এবং (৫) এর অধীন উক্ত অর্থের বন্টন এবং ভাগ নির্ণয় করিয়া আদেশ প্রদান না করে।

(২) যে ৰেত্রে এই ধারার অধীন প্রণীত বিধি মোতাবেক কোন শ্রম আদালতে জমাকৃত কোন অর্থ উক্তরূপে হসত্দানত্দর করা হয়, সে ৰেত্রে উক্ত অর্থ সম্পর্কে শ্রম আদালতে জমাকৃত কোন ৰতিপূরণ বিলি বন্টন সমপর্কে এই অধ্যায়ের অন্য কোন বিধান আর প্রযোজ্য হইবে না।

চলবে ৪র্থ ধাপ…….

তথ্যসুত্র: http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-details-952.html

Tagged