সংবিধানে বর্নিত বাংলাদেশ শ্রম আইন (৪র্থ ধাপ)

ত্রয়োদশ অধ্যায়

ট্রেড ইউনিয়ন এবং শিল্প সম্পর্ক

শ্রমিকের বিশেষ সংজ্ঞা

১৭৫৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে এই অধ্যায়ে ‘শ্রমিক’ অর্থ ধারা ২(৬৫) এ সংজ্ঞায়িত কোন শ্রমিক, এবং এই অধ্যারে অধীন শিল্প বিরোধ সম্পর্কে কোন কার্যধারার প্রয়োজনে, উক্ত বিরোধের সূত্রে অথবা বিরোধের ফলে লে-অফকৃত, ছাঁটাইকৃত, ডিসচার্জকৃত বা বরখাস্তকৃত অথবা অন্যভাবে চাকুরী হইতে অপসারিত কোন শ্রমিক অথবা যাহার লে-অফ, ছাটাই, ডিসচার্জ, বরখাস্ত বা অপসারণ হইতে উক্ত বিরোধ উত্থিত হইয়াছে এরূপ কোন শ্রমিক ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন; কিন্তু কোন প্রতিষ্ঠানের পাহারা টহলদারী অথবা নিরাপত্তা স্টাফ, অগ্নি-নির্বাপক স্টাফের কোন সদস্য এবং গোপনীয় সহকারী ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন না৷

মালিক ও শ্রমিকের ট্রেড ইউনিয়ন

১৭৬৷ এই অধ্যায়ের বিধান সাপেক্ষে-

(ক) মুখ্যতঃ শ্রমিক এবং মালিকের সম্পর্ক, অথবা শ্রমিক এবং শ্রমিকের সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে কোন পার্থক্য ছাড়াই সকল শ্রমিকের ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র সাপেক্ষে তাহাদের নিজস্ব পছন্দের ট্রেড ইউনিয়নে যোগদানের অধিকার থাকিবে;

(খ) মুখ্যতঃ মালিক এবং শ্রমিকের সম্পর্ক, অথবা মালিক এবং মালিকের সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে কোন পার্থক্য ছাড়াই সকল মালিকের ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র সাপেক্ষে তাহাদের নিজস্ব পছন্দের ট্রেড ইউনিয়নে যোগদানের অধিকার থাকিবে;

(গ) শ্রমিকগণের এবং মালিকগণের ট্রেড ইউনিয়নের ফেডারেশন গঠন করার এবং উহাতে যোগদান করার অধিকার থাকিবে, এবং উক্তরূপ কোন ইউনিয়ন বা ফেডারেশন এর শ্রমিক অথবা মালিকগণের সংগঠনের কোন আন্তর্জাতিক সংস্থা বা কনফেডারেশনের সহিত সম্বন্ধীকরণের অধিকার থাকিবে; এবং

(ঘ) ট্রেড ইউনিয়নসমূহের এবং মালিকদের সমিতিসমূহের নিজস্ব গঠনতন্ত্র ও বিধিমালা প্রণয়নের, সম্পূর্র্র্ণ স্বাধীনভাবে নিজস্ব প্রতিনিধদের নির্বাচনের, সমিতির প্রশাসন ও কর্মতত্পরতা, সংগঠনের এবং কর্মসূচী প্রণয়নের অধিকার থাকিবে119[;

(ঙ) যে প্রতিষ্ঠানের জন্য ট্রেড ইউনিয়ন গঠিত হইবে উক্ত প্রতিষ্ঠানের মোট শ্রম শক্তি বা সদস্যের শতকরা ২০ ভাগ মহিলা থাকিলে সে ক্ষেত্রে ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটিতে ন্যূনতম ১০% মহিলা সদস্য থাকিতে হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, এই আইন দ্বারা যে ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন হইবে সেই ইউনিয়ন এই আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে।]

রেজিস্ট্রিকরণের জন্য দরখাস্ত

১৭৭৷ 120[(১)] কোন ট্রেড ইউনিয়ন উহার সভাপতি এবং সম্পাদকের স্বাক্ষরে, এই অধ্যায়ের অধীন উহার রেজিস্ট্রিকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন এর নিকট দরখাস্ত করিতে পারিবে৷

121[(২) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়নস্ বলিতে শ্রম পরিচালক অথবা তাহার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন প্রতিনিধিকে বুঝাইবে।]

দরখাস্তের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়াদি

১৭৮৷ (১) কোন ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রিকরণের জন্য দরখাস্ত শ্রম পরিচালকের অথবা এতদসংশ্লিষ্ট বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট পেশ করিতে হইবে৷

(২) উক্ত দরখাস্তের সহিত নিম্নলিখিত বিষয়গুলি সংযোজিত থাকিবে, যথাঃ-

(ক) নিম্নলিখিত তথ্য সরবরাহ করিয়া একটি বিবরণ, যথাঃ-

(১) ট্রেড ইউনিয়নের নাম এবং উহার প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানা,

(২) ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের তারিখ,

122[ (৩) ট্রেড ইউনিয়নের কর্মকর্তাগণের নাম, পিতা ও মাতার নাম, বয়স, ঠিকানা, পেশা এবং ইউনিয়নে তাহাদের পদ এবং অনানুষ্ঠানিক সেক্টরে কর্মরত শ্রমিকদের ক্ষেত্রে ছবিসহ প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র বা জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ,]

(৪) সকল চাঁদা দানকারী সদস্যগণের বিবরণ,

(৫) যে প্রতিষ্ঠানের সহিত ট্রেড ইউনিয়নটি সংশ্লিষ্ট উহার নাম, এবং উহাতে নিযুক্ত বা কর্মরত শ্রমিকের মোট সংখ্যা,

(৬) কোন ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের ক্ষেত্রে, উহার সদস্য ইউনিয়নের নাম, ঠিকানা ও রেজিস্ট্রি নম্বর৷

(খ) ট্রেড ইউনিয়নের গঠনতন্ত্রের তিনটি কপি, এবং তত্সহ যে সভায় উহা গ্রহণের জন্য প্রস্তাব গৃহীত হইয়াছে, উক্ত সভার সভাপতির দস্তখতসম্বলিত উক্ত প্রস্তাবের একটি কপি;

(গ) ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি এবং সম্পাদককে উহার রেজিস্ট্রিকরণের জন্য দরখাস্ত করিবার ক্ষমতা প্রদান করিয়া উহার সদস্যগণ কর্তৃক গৃহীত প্রস্তাবের একটি কপি; এবং

(ঘ) ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের ক্ষেত্রে, উহার সদস্য হওয়ার জন্য সম্মতি প্রকাশ করিয়া প্রত্যেক সদস্য ইউনিয়ন কর্তৃক গৃহীত প্রস্তাবের একটি কপি;

123[ ***]

রেজিস্ট্রিকরণের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়াদি

১৭৯৷ (১) এই অধ্যায়ের অধীন কোন ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রিকরণের অধিকারী হইবে না, যদি না উহার গঠনতন্ত্রে নিম্নলিখিত বিষয়াদির বিধান থাকে, যথাঃ-

(ক) ট্রেড ইউনিয়নের নাম ও ঠিকানা;

(খ) ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের উদ্দেশ্য;

124[ (গ) কোনো শ্রমিকের ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার পদ্ধতি এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে সদস্যপদ গ্রহণের ঘোষণা;]

(ঘ) ট্রেড ইউনিয়নের তহবিলের উত্স এবং উক্ত তহবিল কি উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হইবে তাহার বর্ণনা 125[ :

তবে শর্ত থাকে যে, ইউনিয়নের চাঁদা ব্যতিরেকে দেশি বা বিদেশি অন্য কোনো উৎস হইতে অর্থ সংগ্রহ করিবার ক্ষেত্রে তাহা সরকারকে অবহিত করিতে হইবে;]

(ঙ) ট্রেড ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র কর্তৃক নিশ্চিত কোন সুবিধা কোন সদস্য কর্তৃক পাওয়ার অধিকারী হওয়ার জন্য শর্ত এবং কোন সদস্যের উপর জরিমানা অথবা বাজেয়াপ্তির আদেশ প্রদানের শর্ত;

(চ) ট্রেড ইউনিয়নের সদস্যগণের তালিকা সংরক্ষণ এবং উহার কর্মকর্তা ও সদস্য কর্তৃক উহা পরিদর্শনের পর্যাপ্ত সুবিধা;

(ছ) গঠনতন্ত্রের পরিবর্তন, সংশোধন ও বাতিলের পন্থা;

(জ) ট্রেড ইউনিয়ন তহবিলের নিরাপদ 126[ সংরক্ষণ], উহার বাত্সরিক নিরীক্ষা, নিরীক্ষার পন্থা, এবং ট্রেড ইউনিয়নের কর্মকর্তা ও উহার সদস্য কর্তৃক উহার হিসাব বই পরিদর্শনের পর্যাপ্ত সুবিধা;

(ঝ) ট্রেড ইউনিয়ন অবলুপ্তির পন্থা;

(ঞ) ট্রেড ইউনিয়নের সাধারণ সদস্যগণ কর্তৃক উহার কর্মকর্তা নির্বাচনের পন্থা, এবং কর্মকর্তাগণের কার্যকালের মেয়াদ যাহা কোন ক্ষেত্রেই দুই বত্সরের বেশী হইবে না 127[ এবং প্রতিষ্ঠানপুঞ্জের ক্ষেত্রে কর্মকর্তাগণের কার্যকালের মেয়াদ তিন বৎসরের বেশী হইবে না:

তবে শর্ত থাকে যে, রাষ্ট্রীয় জরুরী অবস্থা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ (Force majure) বা অনুরূপ কোন কারণে ট্রেড ইউনিয়নের ক্ষেত্রে ২ বৎসর অথবা প্রতিষ্ঠানপুঞ্জের ক্ষেত্রে ৩ বৎসরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হইলেও উক্ত কমিটিকে অবৈধ ঘোষণা করা যাইবে না।]

(ট) কর্মকর্তাগণের সংখ্যা যাহা বিধি দ্বারা নির্ধারিত পাঁচজনের কম এবং পঁয়ত্রিশ জনের বেশী হইবে না;

(ঠ) ট্রেড ইউনিয়নের কর্মকর্তাগণের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশের পদ্ধতি; এবং

(ড) ট্রেড ইউনিয়নের নির্বাহী কমিটি এবং সাধারণ সদস্যগণের সভা আহ্বান, যাহা নির্বাহী কমিটির ক্ষেত্রে প্রতি তিন মাসে অন্তত একবার এবং সাধারণ সদস্যগণের ক্ষেত্রে প্রতি বত্সরে অন্তত একবার হইতে হইবে৷

(২) শ্রমিকগণের কোন ট্রেড ইউনিয়ন এই অধ্যায়ের অধীন রেজিস্ট্রিকরণের অধিকারী হইবে না, যদি না যে প্রতিষ্ঠানে উহা গঠিত হইয়াছে, সে প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত শ্রমিকগণের মোট সংখ্যার অন্যুন শতকরা 128[ বিশভাগ] শ্রমিক উহার সদস্য হনঃ

129[ (২ক) শ্রম পরিচালক অথবা এতদ্সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটি সরেজমিন পরিদর্শন করিয়া অথবা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ হইতে তালিকা সংগ্রহ করিয়া ধারা ১৭৮ এর উপ-ধারা (২) এর দফা (ক) এর উপ-দফা (৫) এবং এই ধারায় বর্ণিত বিষয়াদির সঠিকতা যাঁচাই করিবেন।]

তবে শর্ত থাকে যে, একই মালিকের অধীন একাধিক প্রতিষ্ঠান যদি একই শিল্প পরিচালনার উদ্দেশ্যে একে অপরের সহিত সংশ্লিষ্ট ও সম্পর্কযুক্ত হয়, তাহা হইলে উহারা যেখানেই স্থাপিত হউক না কেন এই উপ-ধারার উদ্দেশ্যে একটি প্রতিষ্ঠান বলিয়া গণ্য হইবে৷

(৩) যে ক্ষেত্রে কোন দুই বা ততোধিক প্রতিষ্ঠান একই মালিকের অধীন কি না, অথবা একই শিল্প পরিচালনার উদ্দেশ্যে উহারা পরস্পর সংশ্লিষ্ট ও সম্পর্কযুক্ত কি না এইরূপ কোন সন্দেহ বা বিরোধ দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য শ্রম পরিচালকের নিকট প্রেরণ করা যাইবে৷

(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন শ্রম পরিচালক কর্তৃক প্রদত্ত কোন সিদ্ধান্তের দ্বারা কোন ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি সিদ্ধান্তপ্রদানের তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে উহার বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে আপীল করিতে পারিবেন, এবং এই বিষয়ে শ্রম আদালতের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে৷

(৫) কোন প্রতিষ্ঠানে অথবা প্রতিষ্ঠানপুঞ্জে কোন সময়ে তিনটির অধিক 130[ রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা যাইবে না]৷

ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য বা কর্মকর্তা হওয়ার অযোগ্যতা

১৮০। (১) কোন ট্রেড ইউনিয়নের গঠনতন্ত্রে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যক্তি উহার কর্মকর্তা অথবা সদস্য নির্বাচিত হওয়ার বা থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি-

(ক) তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোন ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যসত্দ হইয়া থাকেন, অথবা ধারা ১৯৬(২)(ঘ) অথবা ধারা ২৯৮ এর অধীন কোন অপরাধের জন্য দোষী সাব্যসত্দ হইয়া থাকেন এবং তাহার মুক্তিলাভের পর দুই বৎসর কাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে;

(খ) যে প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা হইয়াছে সে প্রতিষ্ঠানে তিনি শ্রমিক হিসাবে নিয়োজিত বা কর্মরত না থাকেন131[:

তবে শর্ত থাকে যে, রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্প সেক্টরের ক্ষেত্রে ইউনিয়নের সদস্যরা ইচ্ছা পোষণ করিলে ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী কমিটির মোট কর্মকর্তার শতকরা দশ ভাগকে নির্বাচিত করিতে পারিবে, যাহারা উক্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নয়।]

(২) উপ-ধারা (১)(খ) এর কোন কিছুই কোন ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের ৰেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।

রেজিস্ট্রিকৃত ট্রেড ইউনিয়ন কর্তৃক রেজিস্টার, ইত্যাদি সংরক্ষণ

১৮১৷ প্রত্যেক রেজিস্ট্রিকৃত ট্রেড ইউনিয়ন, বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে নিম্নলিখিত রেজিস্টার বা বই সংরক্ষণ করিবে, যথাঃ-

(ক) সদস্য রেজিস্টার-যাহাতে প্রত্যেক সদস্য কর্তৃক পরিশোধিত চাঁদার বর্ণনা থাকিবে;

(খ) হিসাব বই- যাহাতে আয় এবং ব্যয় প্রদর্শিত হইবে; এবং

(গ) কার্য-বিবরণী বই- যাহাতে সকল প্রকার কার্য বিবরণী লিপিবদ্ধ থাকিবে৷

রেজিস্ট্রিকরণ

১৮২৷ (১) 132[ মহাপরিচালক], কোন ট্রেড ইউনিয়ন কর্তৃক এই অধ্যায়ের সকল প্রয়োজনীয় বিষয়াদি পালিত হইয়াছে এই মর্মে সন্তুষ্ট হওয়ার পর, বিধি দ্বারা নির্ধারিত রেজিস্টারে উহাকে রেজিস্ট্রি করিবেন, এবং রেজিস্ট্রিকরণের জন্য দরখাস্ত প্রাপ্তির 133[ পঞ্চান্ন] দিনের মধ্যে বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে একটি রেজিস্ট্রিকরণ-প্রত্যয়নপত্র প্রদান করিবেন৷

(২) যদি 134[ মহাপরিচালক] উক্ত দরখাস্তে অত্যাবশ্যক কোন তথ্যের অসম্পূর্র্র্ণতা দেখিতে পান তাহা হইলে তিনি দরখাস্ত প্রাপ্তির 135[ বারো] দিনের মধ্যে উক্ত বিষয়ে তাহার আপত্তি ট্রেড ইউনিয়নকে লিখিতভাবে জানাইবেন, এবং ট্রেড ইউনিয়ন উহা প্রাপ্তির পনর দিনের মধ্যে ইহার জবাব দিবে 136[ , তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পক্ষের জবাব পাওয়া না গেলে আবেদনটি নথিজাতকরণের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা যাইবে] ৷

(৩) যখন শ্রম পরিচালক কর্তৃক উত্থাপিত আপত্তি সন্তোষজনকভাবে মিটানো হয়, তখন তিনি উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুযায়ী ট্রেড ইউনিয়নটিকে রেজিস্ট্রি করিবেন; এবং উহা যদি সন্তোষজনক ভাবে মিটানো না হয়, তাহা হইলে তিনি দরখাস্ত প্রত্যাখ্যান করিবেন৷

(৪) যে ক্ষেত্রে শ্রম পরিচালক কোন দরখাস্ত প্রত্যাখ্যান করেন অথবা আপত্তি মিটানোর পরেও উপ-ধারা (১) এর উল্লিখিত 137[ পঞ্চান্ন] দিন সময়সীমার মধ্যে দরখাস্ত নিষ্পত্তি না করেন, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ট্রেড ইউনিয়ন উক্তরূপ প্রত্যাখ্যানের তারিখ অথবা উল্লিখিত সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার তারিখ, যাহা আগে হইবে, উহা হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে শ্রম আদালতে আপীল করিতে পারিবে৷

(৫) শ্রম আদালত আপীলটি শুনানীর পর উপযুক্ত বিবেচনা করিলে, উহার রায়ে কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া শ্রম পরিচালককে ট্রেড ইউনিয়নটি রেজিস্ট্রি করিবার জন্য এবং উহার তারিখ হইতে সাত দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রি প্রত্যয়নপত্র প্রদান করিবার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে অথবা আপীলটি খারিজ করিতে পারিবে৷

(৬) উপ-ধারা (৫) অনুসারে শ্রম আদালত কর্তৃক প্রদত্ত রায়ের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ পক্ষ শ্রম আদালতের আদেশ প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে শ্রম আপীল আদালতে আপলি দায়ের করিতে পারিবেন৷

138[ (৭) রেজিস্ট্রেশনের আবেদন নিষ্পত্তির জন্য সরকার এই ধারার বিধানাবলির সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া মানসম্পন্ন পরিচালনা পদ্ধতি (Standard Operating Procedure) প্রণয়ন করিবে।]

প্রতিষ্ঠান-পুঞ্জে ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রিকরণ

১৮৩৷ (১) এই অধ্যায়ে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের উদ্দেশ্যে কোন প্রতিষ্ঠানপুঞ্জ একটি প্রতিষ্ঠান বলিয়া বিবেচিত হইবে, এবং এই প্রতিষ্ঠানপুঞ্জের অন্তর্ভুক্ত কোন প্রতিষ্ঠানে কোন স্বতন্ত্র ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা যাইবে না৷

(২) এই ধারার উদ্দেশ্যে কোন “প্রতিষ্ঠানপুঞ্জ” বলিতে কোন নির্ধারিত এলাকায় একই প্রকারের কোন নির্ধারিত শিল্পে নিয়োজিত এবং অনধিক বিশ জন শ্রমিক নিযুক্ত আছেন- এইরূপ সকল প্রতিষ্ঠানকে বুঝাইবে৷

(৩) উপ-ধারা (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন নির্ধারিত এলাকায় নিম্নবর্ণিত যে কোন শিল্প পরিচালনারত সকল প্রতিষ্ঠান, উহাদের প্রত্যেকটিতে নিযুক্ত শ্রমিকসংখ্যা যাহাই থাকুক না কেন, উক্ত এলাকার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানপুঞ্জ বলিয়া গণ্য হইবে, যথাঃ-

139[(ক) বাস,মিনিবাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ইত্যাদি ব্যক্তি মালিকানাধীন যান্ত্রিক সড়ক পরিবহন;

(কক) রিক্সা, রিক্সাভ্যান, ঠেলাগাড়ী ইত্যাদি ব্যক্তি মালিকানাধীন অযান্ত্রিক সড়ক পরিবহন;]

(খ) ব্যক্তিমালিকানাধীন অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন;

(গ) অনূর্ধ ১০০ জন শ্রমিক নিয়োজিত দর্জি ও পোষাক প্রস্তুতকারী শিল্প;

(ঘ) চা শিল্প;

(ঙ) জুট বেলিং;

(চ)চামড়া শিল্প;

(ছ) বিড়ি;

(জ) হস্তচালিত তাঁত;

(ঝ) হোশিয়ারী;

(ঞ) ছাপাখানা;

(ট) অনধিক পঁচিশ অতিথি কক্ষবিশিষ্ট হোটেল অথবা মোটেল;

(ঠ) হোটেলের অংশ হিসাবে নহে-এমন রেস্তোরাঁ;

(ড) ক্ষুদ্র ধাতব শিল্প;

(ঢ) বই-বাঁধাই;

(ণ) সিনেমা এবং থিয়েটার140[;

(ত) জাহাজ নির্মাণ ;

(থ) জাহাজ পুন: প্রক্রিয়াজাতকরণ (রিসাইক্লিং)

(দ) নির্মাণ শ্রমিক ;

(ধ) চাতাল বা চাল কল শ্রমিক ;

(ন) কৃষি খামার:]

তবে শর্ত থাকে যে, সরকার যদি জাতীয় স্বার্থে উচিত বলিয়া মনে করে, তাহা হইলে সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উপরোক্ত শিল্পের তালিকার সহিত অন্য কোন শিল্প যোগ করিতে পারিবে৷

(৪) উপ-ধারা (২) অথবা (৩) এ উল্লিখিত নির্ধারিত এলাকা বলিতে সরকার কর্তৃক, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এতদউদ্দেশ্যে কোন নির্ধারিত শিল্পের জন্য নির্ধারিত কোন এলাকা বুঝাইবে; এবং উক্তরূপ এলাকা জাতীয়, আঞ্চলিক অথবা স্থানীয় ভিত্তিতে নির্ধারিত হইতে পারিবে; এবং ভিন্ন ভিন্ন শিল্পের জন্য ভিন্ন ভিন্ন এলাকা নির্ধারণ করা যাইবে৷

(৫) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নির্ধারিত শিল্প বলিতে সরকার কর্তৃক, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এতদ্‌উদ্দেশ্যে নির্ধারিত কোন শিল্পকে বুঝাইবে৷

(৬) কোন প্রতিষ্ঠানপুঞ্জে গঠিত কোন ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রি করা যাইবে যদি উক্ত প্রতিষ্ঠানপুঞ্জের অন্তর্ভুক্ত সকল প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত সকল শ্রমিকের মোট সংখ্যার অন্যুন ত্রিশ শতাংশ উহার সদস্য হয়৷

(৭) এই অধ্যায়ে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কোন প্রতিষ্ঠানপুঞ্জে গঠিত কোন ট্রেড ইউনিয়নের গঠনতন্ত্রে এরূপ বিধান থাকে যে, উক্ত প্রতিষ্ঠানপুঞ্জের অন্তর্ভুক্ত কোন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত নহেন এরূপ কোন ব্যক্তি উহার কর্মকর্তা নির্বাচিত হইতে বা থাকিতে পারিবেন-তাহা হইলে উক্তরূপ কোন ব্যক্তি উহার কোন কর্মকর্তা নির্বাচিত হইতে বা থাকিতে পারিবেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, কোন অবস্থাতেই উক্তরূপ ব্যক্তির সংখ্যা উহার মোট কর্মকর্তার সংখ্যার এক-চতুর্থাংশের অধিক হইতে পারিবে না৷

(৮) এই ধারার বিধান সাপেক্ষে, কোন স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানে গঠিত ট্রেড ইউনিয়নের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এই অধ্যায়ের অন্য সকল ধারা কোন প্রতিষ্ঠানপুঞ্জে গঠিত ট্রেড ইউনিয়নের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে৷

বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিষ্ঠানে বিশেষায়িত পেশার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সংস্থার সহিত সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন

141[ ১৮৪। এই অধ্যায়ে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বেসামরিক বিমান পরিবহনের ক্ষেত্রে পাইলট, প্রকৌশলী ও কেবিন ক্রু পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ স্বীকৃত স্ব-স্ব আন্তর্জাতিক সংস্থার সহিত সম্বন্ধীকরণের জন্য ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করিতে পারিবেন।]

নাবিকগণের ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রিকরণ

১৮৫৷ (১) এই অধ্যায়ে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সমুদ্রগামী জাহাজে সাধারণতঃ কর্মরত থাকেন এরূপ বাংলাদেশী নাবিকগণ তাহাদের নিজস্ব ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করিতে পারিবেন৷

(২) কোন নাবিক উক্তরূপ কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য হইবেন না যদি না তাহার একটি অবিচ্ছিন্ন ডিসচার্জ প্রত্যয়নপত্র থাকে অথবা বাণিজ্যিক জাহাজ ব্যবসায়ের কোন প্রতিষ্ঠানে নাবিক হিসাবে নিযুক্তির কোন নিয়োগ পত্র থাকে৷

(৩) এই অধ্যায়ের অধীন নাবিকগণের কেবলমাত্র একটি ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা যাইবে৷

চট্রগ্রাম বন্দর কতৃর্পক্ষ ও মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষে ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রিকরণ, ইত্যাদি

142[১৮৫ক। (১) এই অধ্যায়ে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চাকুরীতে নিযুক্ত কর্মচারীগণ তাহাদের নিজস্ব ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করিতে পারিবেন।

(২) চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষে নিযুক্ত কর্মচারীগণ তাহাদের স্ব-স্ব কর্তৃপক্ষে কেবল একটি করিয়া ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করিতে পারিবেন।

(৩) উপ-ধারা (৫) এর বিধান সাপেক্ষে, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারকারী, বার্থ-অপারেটর, শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর ও বন্দর সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত নিয়োগ পত্রসহ কাজে নিযুক্ত শ্রমিক ও কর্মচারীগণ সমষ্টিগতভাবে স্ব-স্ব বন্দরে কেবল একটি করিয়া ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করিতে পারিবেন।

(৪) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষে শ্রমিক নিয়োগকারী মালিকগণ স্ব-স্ব কর্তৃপক্ষে সমষ্টিগতভাবে কেবল একটি করিয়া ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করিতে পারিবেন।

(৫) কোন শ্রমিক বা কর্মচারী উপ-ধারা (৩) এর অধীন কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য হইতে পারিবেন না, যদি না-

(ক) তিনি বন্দর ব্যবহারকারী, বার্থ-অপারেটর, শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর ও বন্দর সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ১(এক) বৎসর অধিককাল অবিরামভাবে নিযুক্ত থাকেন ; এবং

(খ) তাহার শ্রমিক বা কর্মচারী হিসাবে নিযুক্তির কোন নিয়োগ পত্র থাকে।

(৬) বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০০৯ কার্যকর হইবার ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে এই ধারার বিধান অনুযায়ী ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করিতে হইবে।

(৭) এই ধারার অধীন ট্রেড ইউনিয়ন গঠিত হইবার সংগে সংগে অথবা উপ-ধারা (৬) এ উল্লিখিত ৬ (ছয়) মাস মেয়াদ অতিক্রান্ত হইবার পর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষে শ্রমিক নিয়োগকারী মালিকগণ, নিযুক্ত কর্মচারীগণ এবং বন্দর কার্যক্রমের সহিত সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মালিক শ্রমিক ও কর্মচারীগণের জন্য গঠিত বিদ্যমান সকল ট্রেড ইউনিয়ন বিলুপ্ত হইবে।

(৮) এই আইনের অন্যান্য ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, জনস্বার্থে,-

(ক) এই ধারার অধীন গঠিত ট্রেড ইউনিয়নের কার্যক্রম এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, যে কোনভাবে নিয়ন্ত্রণ; এবং

(খ) ধারা ১৯০ এর অধীন যে কোন ট্রেড ইউনিয়নের নিবন্ধন বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ, করিতে পারিবে।]

রেজিস্ট্রিকরণের দরখাস্ত অনিষ্পন্ন থাকাকালে চাকুরীর শর্তাবলী অপরিবর্তিত থাকিবে

১৮৬। (১) কোন মালিক উহার প্রতিষ্ঠানে গঠিত কোন ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রিকরণের দরখাসত্দ অনিষ্পন্ন্ন থাকাকালে শ্রম পরিচালকের পূর্ব অনুমতি ব্যতীরেকে উক্ত ইউনিয়নের কোন কর্মকর্তার অসুবিধা হয়-এইরূপভাবে তাহার দরখাসত্দ পূর্ব চাকুরীর শর্তাবলীর কোন পরিবর্তন করিবেন না।

(২) ধারা ২৬ এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন মালিক উক্তরূপ কোন দরখাসত্দ অনিষ্পন্ন থাকাকালে উক্ত ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য-এরূপ কোন শ্রমিকের চাকুরী উক্ত ধারার অধীন অবসান করিতে পারিবেন না।

সভাপতি ও কতিপয় কর্মকর্তাকে বদলী করা যাইবে না

১৮৭। কোন ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি 143[ও সাধারণ সম্পাদকসহ কোন কর্মকর্তাকে তাহাদের] সম্মতি ব্যতিরেকে এক জেলা হইতে অন্য জেলায় বদলী করা যাইবে না।

গঠনতন্ত্র এবং নির্বাহী কমিটির কতিপয় পরিবর্তনের ৰেত্রে নোটিশ প্রদান

১৮৮। (১) কোন ট্রেড ইউনিয়নের গঠনতন্ত্রের প্রত্যেক সংশোধন, উহার কর্মকর্তার প্রত্যেক পরিবর্তন, এবং উহার নাম ও ঠিকানার পরিবর্তন উহাকে উক্তরূপ সংশোধন বা পরিবর্তনের পনর দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে অথবা হাতে হাতে নোটিশ প্রদান করিয়া শ্রম পরিচালককে অবহিত করিতে হইবে, এবং শ্রম পরিচালক উক্তরূপ নোটিশ প্রাপ্তির পর সংগে সংগে উহার একটি কপি সংশিস্নষ্ট মালিককে, তাহার অবগতির জন্য প্রেরণ করিবেন।

144[ (২) মহাপরিচালক উক্তরূপ কোনো সংশোধন বা পরিবর্তন রেজিস্ট্রি করিতে অস্বীকার করিতে পারিবেন যদি উহা এই অধ্যায়ের কোনো বিধানের খেলাপ করিয়া করা হয়।]

(৩) কোন ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনকে উহার সহিত কোন নূতন সদস্য ইউনিয়নের সংযুক্তি অথবা উহা হইতে কোন সদস্য ইউনিয়নের বিযুক্তি সম্পর্কে, উহা সংগঠিত হওয়ার ষাট দিনের মধ্যে, রেজিস্ট্রি ডাকযোগে প্রেরিত নোটিশ মারফত শ্রম পরিচালককে অবহিত করিতে হইবে।

(৪) যদি কোন ট্রেড ইউনিয়নের কর্মকর্তা পরিবর্তনের ব্যাপারে কোন বিরোধ থাকে, অথবা উপ-ধারা (২) এর অধীন শ্রম পরিচালকের প্রত্যাখ্যান আদেশ দ্বারা কোন ট্রেড ইউনিয়ন সংৰুদ্ধ হয়, তাহা হইলে উক্ত ট্রেড ইউনিয়নের যে কোন সদস্য বা কর্মকর্তা শ্রম আদালতে আপীল করিতে পারিবেন।

(৫) শ্রম আদালত উপ-ধারা (৪) এর অধীন কোন আপীল প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে উহার শুনানীর পর, উপযুক্ত বিবেচনা করিলে উহার রায়ে কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া সংশিস্নষ্ট ট্রেড ইউনিয়নের সংশোধন অথবা উহার কর্মকর্তার পরিবর্তন রেজিস্ট্রি করার জন্য শ্রম পরিচালককে নির্দেশ দিতে, অথবা শ্রম পরিচালকের তত্ত্বাবধানে ইউনিয়নের নূতন নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশ দিতে পারিবে।

রেজিস্ট্রিকরণের প্রত্যয়নপত্র

১৮৯৷ শ্রম পরিচালক ধারা ১৮২ এর অধীন কোন ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রি করার পর বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে একটি রেজিস্ট্রিকরণের প্রত্যয়নপত্র প্রদান করিবেন, এবং উক্ত প্রত্যয়নপত্র সংশ্লিষ্ট ট্রেড ইউনিয়ন এই অধ্যায়ের অধীন যথাযথভাবে রেজিস্ট্রিকৃত হইয়াছে বলিয়া চূড়ান্ত প্রমাণ হইবে৷

রেজিস্ট্রি বাতিলকরণ

১৯০৷ (১) এই ধারার অন্য বিধান সাপেক্ষে, শ্রম পরিচালক কোন ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রি বাতিল করিতে পারিবেন, যদি-

145[ (ক) রেজিস্ট্রি বাতিলের জন্য ট্রেড ইউনিয়ন সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে দরখাস্ত করে;]

(খ) উহার অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়;

(গ) উহা প্রতারণা অথবা কোন তথ্যের মিথ্যা বর্ণনার মাধ্যমে রেজিস্ট্রি হাসিল করিয়া থাকে;

146[ ***]

(ঙ) উহা কোন অসত্ শ্রম আচরণ করিয়া থাকে;

(চ) উহার সদস্য সংখ্যা এই অধ্যায়ের অধীন প্রয়োজনীয় সংখ্যার নীচে নামিয়া যায়; অথবা

(ছ) উহা এই অধ্যায় বা কোন বিধির বিধান লঙ্ঘন করিয়া থাকে৷

(২) যে ক্ষেত্রে শ্রম পরিচালক তদন্তান্তে এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, কোন ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রি বাতিল করা উচিত, সে ক্ষেত্রে তিনি উহার রেজিস্ট্রি বাতিল করার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করিয়া শ্রম আদালতে দরখাস্ত পেশ করিবেন৷

(৩) শ্রম পরিচালক শ্রম আদালত হইতে অনুমতি প্রাপ্তির ত্রিশ দিনের মধ্যে উক্ত ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রি বাতিল করিয়া দিবেন৷

(৪) কোন ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রি উপ-ধারা (১) (ঙ) অনুযায়ী বাতিল করা যাইবে না যদি না উক্ত ট্রেড ইউনিয়ন কর্তৃক অভিযোগে বর্ণিত অসত্ শ্রম আচরণ সংঘঠিত হওয়ার তিন মাসের মধ্যে শ্রম আদালতে দরখাস্ত করা হয়৷

অনুমতি, ইত্যাদির বিরুদ্ধে আপীল

১৯১৷ (১) ধারা ১৯০ এর অধীন কোন ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রি বাতিল করার অনুমতি প্রদান করিয়া অথবা অনুমতির প্রার্থনা না-মঞ্জুর করিয়া প্রদত্ত শ্রম আদালতের কোন আদেশ অথবা শ্রম পরিচালক কর্তৃক উক্ত ধারার অধীন কোন ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রি বাতিল করিয়া প্রদত্ত কোন আদেশের দ্বারা সংক্ষুব্ধ কোন ব্যক্তি আদেশের তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে আপীল দায়ের করিতে পারিবেন এবং এই বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে৷

(২) যে ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন আপীল দায়ের করা হয়, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ট্রেড ইউনিয়নকে, আপীল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত, উহার কাজ চালাইয়া যাওয়ার অনুমতি দিতে হইবে৷

রেজিস্ট্রিকরণ ব্যতীত কোন ট্রেড ইউনিয়নের কাজ চালানো নিষিদ্ধ

১৯২৷ (১) কোন ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রিকৃত না হইলে অথবা উহার রেজিস্ট্রি বাতিল করা হইলে, ধারা ১৯১(২) এর বিধান সাপেক্ষে, উহা ট্রেড ইউনিয়ন হিসাবে কাজ করিতে পারিবে না৷

(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোন ট্রেড ইউনিয়নের তহবিলের জন্য, সদস্যভুক্তির চাঁদা ব্যতীত, অন্য কোন চাঁদা আদায় করিতে পারিবেন না৷

দ্বৈত সদস্য পদের উপর বাধা

১৯৩। একই সময়ে কোন মালিক অথবা কোন শ্রমিক একই প্রতিষ্ঠানের একাধিক ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য হইতে বা থাকিতে পারিবেন না।

রেজিস্ট্রিকৃত ট্রেড ইউনিয়নের সংবিধিবদ্ধ হওয়া

১৯৪। (১) প্রত্যেক রেজিস্ট্রিকৃত ট্রেড ইউনিয়ন উহার রেজিস্ট্রিকৃত নামে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে, এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা এবং একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে, এবং ইহার চুক্তি করার, স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করার, অধিকারে রাখার এবং হসত্দানত্দর করার ৰমতা থাকিবে, এবং ইহার নামে ইহা মামলা করিতে পারিবে বা ইহার বিরম্নদ্ধে মামলা দায়ের করা যাইবে।

(২) সমিতিসমূহ রেজিস্ট্রিকরণ আইন, ১৮৬০ (১৮৬০ সনের ২১ নং আইন), সমবায় সমিতি অধ্যাদেশ, ১৯৮৫ (১৯৮৫ সনের ১নং অধ্যাদেশ) এবং কোম্পানীসমূহ আইন, ১৯৯৪ কোন রেজিস্ট্রিকৃত ট্রেড ইউনিয়নের ৰেত্রে প্রযোজ্য হইবে না, এবং উক্ত কোন আইনের অধীন কোন ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রিকরণ অবৈধ হইবে।

মালিকের পক্ষে অসৎ শ্রম আচরণ

১৯৫৷ 147[ (১)] কোন মালিক অথবা মালিকগণের ট্রেড ইউনিয়ন অথবা তাহাদের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি-

(ক) কোন চাকুরী চুক্তিতে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের কোন ট্রেড ইউনিয়নে যোগদান করা অথবা কোন ট্রেড ইউনিয়নে উহার সদস্য পদ চালু রাখার অধিকারের উপর বাধাসম্বলিত কোন শর্ত আরোপ করিবেন না;

(খ) কোন শ্রমিক কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য বা কর্মকর্তা আছেন অথবা নহেন-এই অজুহাতে তাহার চাকুরীতে নিয়োজিত করিতে অথবা নিয়োজিত রাখিতে অস্বীকার করিবেন না;

(গ) কোন শ্রমিক কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য বা কর্মকর্তা আছেন অথবা নহেন-এই অজুহাতে তাহার চাকুরীতে নিযুক্তি, পদোন্নতি, চাকুরীর শর্তাবলী অথবা কাজের শর্তাবলী সম্বন্ধে তাহার বিরুদ্ধে কোন বৈষম্য করিবেন না;

(ঘ) কোন শ্রমিক কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য অথবা কর্মকর্তা আছেন অথবা হইতে চাহেন, অথবা অন্য কোন ব্যক্তিকে উক্তরূপ সদস্য বা কর্মকর্তা হওয়ার জন্য প্ররোচিত করেন, এই কারণে অথবা কোন ট্রেড ইউনিয়নের গঠন, কার্যকলাপ ও উহার প্রসারে অংশগ্রহণ করেন এই কারণে তাহাকে চাকুরী হইতে বরখান্ত, ডিসচার্জ অথবা অপসারণ করা যাইবে না বা উহা করার ভয় প্রদর্শন করা যাইবে না, অথবা তাহার চাকুরীর কোন প্রকার ক্ষতি করার হুমকি দেওয়া যাইবে না;

(ঙ) কোন শ্রমিককে বা অন্য কোন ব্যক্তিকে কোন সুযোগ দিয়া বা সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করিয়া অথবা তাহার জন্য সুযোগ সংগ্রহ করিয়া অথবা সংগ্রহ করার প্রস্তাব দিয়া তাহাকে কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য বা কর্মকর্তা হইতে বিরত রাখার জন্য অথবা উক্ত পদ ছাড়িয়া দেওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করিবেন না;

(চ) ভীতি প্রদর্শন, বল প্রয়োগ, চাপ প্রয়োগ, হুমকি প্রদর্শন, কোন স্থানে আটক, শারীরিক আঘাত, পানি, শক্তি এবং টেলিফোন সুবিধা বিচ্ছিন্ন করিয়া অথবা অন্য কোন পন্থা অবলম্বন করিয়া কোন যৌথ দর কষাকষি প্রতিনিধি কর্মকর্তাকে কোন চুক্তিতে উপনীত হওয়ার অথবা নিষ্পত্তিনামায় দস্তখত করার জন্য বাধ্য করিবেন না বা বাধ্য করার চেষ্টা করিবেন না;

(ছ) ধারা ২০২ এর অধীন কোন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করিবেন না অথবা কোনভাবে ইহা প্রভাবিত করিবেন না;

(জ) ধারা ২১১ এর অধীন কোন ধর্মঘট চলাকালে অথবা অবৈধ নহে এরূপ কোন ধর্মঘট চলাকালে, কোন নূতন শ্রমিক নিয়োগ করিবেন না, তবে সালিস যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, কোন প্রতিষ্ঠানে সম্পূর্র্র্ণ কর্ম বিরতির কারণে উহার যন্ত্রপাতি অথবা অন্য কোন স্থাপনার ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা আছে তাহা হইলে তিনি, প্রতিষ্ঠানের যে বিভাগে বা শাখায় অনুরূপ ক্ষতি হইবার সম্ভাবনা আছে সেখানে সীমিত সংখ্যক অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ করিতে অনুমতি দিতে পারিবেন;

(ঝ) অংশগ্রহণকারী কমিটির কোন সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যর্থ হইবেন না;

(ঞ) কোন শিল্প বিরোধ সম্পর্কে যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি কর্তৃক প্রদত্ত কোন পত্রের উত্তর দিতে ব্যর্থ হইবেন না;

(ট) ধারা ১৮৭ এর বিধান ভংগ করিয়া কোন ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক অথবা কোষাধ্যক্ষকে বদলী করিবেন না; অথবা

(ঠ) কোন বে-আইনী লক-আউট শুরু করিবেন না বা চালু রাখিবেন না অথবা উহাতে অংশ গ্রহণের জন্য অন্য কোন ব্যক্তিকে প্ররোচিত করিবেন না৷

148[ (২) অসৎ শ্রম আচরণ বিষয়ক তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সরকার এই ধারার বিধানাবলির সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া মানসম্পন্ন পরিচালনা পদ্ধতি (Standard Operating Procedure) প্রণয়ন করিবে।]

শ্রমিকের পক্ষে অসৎ শ্রম আচরণ

১৯৬৷ (১) মালিকের বিনা অনুমতিতে কোন শ্রমিক তাহার কর্মসময়ে কোন ট্রেড ইউনিয়নের কর্মকান্ডে নিয়োজিত থাকিবেন নাঃ

তবে শর্ত থাকে যে, কোন প্রতিষ্ঠানের যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধির সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক এর ট্রেড ইউনিয়নের কাজ কর্মে নিয়োজিত থাকার ব্যাপারে এই উপ-ধারার কোন কিছুই প্রযোজ্য হইবে না, যদি উক্তরূপ কর্মকান্ড এই আইনের অধীন কোন কমিটি, আলাপ-আলোচনা, সালিস, মধ্যস্থতা অথবা অন্য কোন কর্মধারা সম্পর্কে হয় এবং মালিককে তত্সম্পর্ক যথাসময়ে অবহিত করা হয়৷

(২) কোন শ্রমিক বা শ্রমিকগণের ট্রেড ইউনিয়ন অথবা ইউনিয়নের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি-

(ক) কোন শ্রমিককে কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য বা কর্মকর্তা হওয়ার জন্য অথবা না হওয়ার জন্য অথবা উক্ত পদে বহাল থাকার জন্য অথবা উহা হইতে বিরত থাকার জন্য ভীতি প্রদর্শন করিবেন না;

(খ) কোন শ্রমিককে বা অন্য কোন ব্যক্তিকে কোন সুযোগ দিয়া বা সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করিয়া অথবা তাহার জন্য সুযোগ সংগ্রহ করিয়া অথবা সংগ্রহ করার প্রস্তাব দিয়া তাহাকে কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য বা কর্মকর্তা হইতে বিরত রাখার জন্য অথবা উক্ত পদ ছাড়িয়া দেওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করিবেন না;

(গ) ভীতি প্রদর্শন, বল প্রয়োগ, চাপ প্রয়োগ, হুমকি প্রদর্শন, কোন স্থানে আটক, শারীরিক আঘাত, পানি, শক্তি বা টেলিফোন সুবিধা বিচ্ছিন্ন করিয়া অথবা অন্য কোন পন্থা অবলম্বন করিয়া কোন শ্রমিককে কোন ট্রেড ইউনিয়নের তহবিলে চাঁদা প্রদান করার জন্য বা না করার জন্য বাধ্য করিবেন না বা বাধ্য করার চেষ্টা করিবেন না;

(ঘ) ভীতি প্রদর্শন, বল প্রয়োগ, চাপ প্রয়োগ, হুমকি প্রদর্শন, কোন স্থানে আটক বা উহা হইতে উচ্ছেদ, বেদখল, হামলা, শারীরিক আঘাত, পানি, 149[ বিদ্যুৎ, গ্যাস] বা টেলিফোন সুবিধা বিচ্ছিন্ন করিয়া অথবা অন্য কোন পন্থা অবলম্বন করিয়া মালিককে কোন নিষ্পত্তি নামায় দস্তখত করিতে অথবা কোন দাবী গ্রহণ করিতে বা মানিয়া লইতে বাধ্য করিবেন না বা বাধ্য করার চেষ্টা করিবেন না;

(ঙ) কোন বেআইনী 150[ ধর্মঘটে অংশগ্রহণ]অথবা ঢিমে তালে কাজ শুরু করিবেন না বা চালু রাখিবেন না; অথবা উহাতে অংশ গ্রহণের জন্য অন্য কোন ব্যক্তিকে প্ররোচিত করিবেন না; অথবা

(চ) কোন ট্রেড ইউনিয়নের কোন দাবী অথবা উহার কোন লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে কোন ঘেরাও, পরিবহন অথবা যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি অথবা কোন সম্পত্তির ধ্বংস সাধন করিবেন না৷

(৩) কোন ট্রেড ইউনিয়ন উহার কর্মকর্তা বা উহার পক্ষে নিযুক্ত অন্য কোন ব্যক্তির মাধ্যমে অবৈধ প্রভাব, ভীতি প্রদর্শন, মিথ্যা পরিচয় অথবা ঘুষ দ্বারা ধারা ২০২ এর অধীন অনুষ্ঠিত কোন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করিলে, ইহা উক্ত ট্রেড ইউনিয়নের পক্ষে অসত্ শ্রম আচরণ হইবে৷

151[ (৪) অসৎ শ্রম আচরণ বিষয়ক তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সরকার এই ধারার বিধানাবলির সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া মানসম্পন্ন পরিচালনা পদ্ধতি (Standard Operating Procedure) প্রণয়ন করিবে।]

এন্টি-ট্রেড ইউনিয়ন ডিসক্রিমিনেশন

152[ ১৯৬ক। (১) শ্রমিক কর্তৃক ট্রেড ইউনিয়ন প্রক্রিয়া চলাকালে অথবা রেজিস্ট্রেশন দরখাস্ত অনিষ্পন্ন থাকাকালে অথবা রেজিস্ট্রেশনের পরে মালিক কর্তৃক শ্রমিকের চাকুরির শর্তাবলি লঙ্ঘন এবং কর্মস্থলে প্রতিশোধমূলক (retaliation) কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করিলে ইহা উক্ত মালিকের পক্ষে এন্টি-ট্রেড ইউনিয়ন ডিসক্রিমিনেশন হইবে।

(২) এন্টি-ট্রেড ইউনিয়ন ডিসক্রিমিনেশন বিষয়ক তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সরকার এই ধারার বিধানাবলির সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া মানসম্পন্ন পরিচালনা পদ্ধতি (Standard Operating Procedure) প্রণয়ন করিবে।]

ষড়যন্ত্রের আইনের সীমিত প্রয়োগ

১৯৭৷ কোন ট্রেড ইউনিয়ন ধারা ১৭৯ এ উল্লিখিত উহার গঠনতন্ত্রের কোন লক্ষ্য হাছিলের উদ্দেশ্যে সম্পাদিত উহার সদস্যগণের মধ্যে কোন চুক্তির জন্য উহার বা কোন যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধির কোন সদস্য বা কর্মকর্তা দণ্ডবিধি আইন, ১৮৬০ (১৮৬০ সনের ৪৫ নং আইন) এর ধারা ১২০-খ (২) এর অধীন শাস্তিযোগ্য হইবেন না, যদি না চুক্তিটি কোন অপরাধ করিবার জন্য হয় অথবা অন্য কোনভাবে ইহা, এই অধ্যায়ের বিধান ব্যতীত, অন্য কোন আইন বা বিধান ভঙ্গ করে৷

কতিপয় ক্ষেত্রে দেওয়ানী মোকদ্দমা হইতে অব্যাহতি

১৯৮৷ (১) কোন ট্রেড ইউনিয়ন বা যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি অথবা উহার কোন কর্মকর্তা বা সদস্যের বিরুদ্ধে, ট্রেড ইউনিয়নটি জড়িত আছে-এরূপ কোন শিল্প বিরোধের পরিকল্পনা বা লক্ষ্য হাছিলের উদ্দেশ্যে গৃহীত কোন কাজ বা ব্যবস্থার জন্য কেবলমাত্র নিম্নলিখিত কোন কারণে কোন দেওয়ানী আদালতে কোন মোকদ্দমা অথবা অন্য আইনগত কার্যধারা চলিবে না, যথাঃ-

(ক) উক্তরূপ কাজ বা ব্যবস্থা কোন চাকুরী চুক্তি ভঙ্গ করিবার জন্য কোন ব্যক্তিকে উত্সাহিত করে;

(খ) উক্ত গৃহীত কর্ম বা ব্যবস্থা অন্য কোন ব্যক্তির ব্যবসা, বাণিজ্য বা চাকুরীতে হস্তক্ষেপ করে; অথবা

(গ) উক্তরূপ কোন কাজ বা ব্যবস্থা কোন ব্যক্তির পূঁজি বা শ্রম তাহার ইচ্ছানুযায়ী প্রয়োগ এর অধিকার খর্ব করে৷

(২) কোন ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধি কর্তৃক কোন শিল্প বিরোধের উদ্দেশ্য বা পরিকল্পনা হাছিলের লক্ষ্যে কোন দেওয়ানী ক্ষতিমূলক কাজের জন্য উক্ত ট্রেড ইউনিয়ন কোন দেওয়ানী আদালতের কোন মামলায় বা অন্যান্য আইনগত কার্যধারায় দায়ী হইবে না, যদি ইহা প্রমাণ করা যায় যে, উক্ত প্রতিনিধি ট্রেড ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী কমিটির অগোচরে অথবা উহার স্পষ্ট নির্দেশের বিপরীতে উক্তরূপ কাজ করিয়াছেন৷

চুক্তির কার্যকরীকরণ যোগ্যতা

১৯৯। অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুন না কেন, কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্যগণের মধ্যে সম্পাদিত কোন চুক্তি কেবলমাত্র এই কারণে বাতিল বা বাতিলযোগ্য হইবে না যে, ইহার কোন লৰ্য কোন ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বাধাঃ

তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার কিছুই কোন দেওয়ানী আদালতকে এরূপ কোন আইনগত কার্যধারা গ্রহণের জন্য সমর্থ করিবে না যাহা কোন ট্রেড ইউনিয়নের কোন সদস্য তাহাদের কোন দ্রব্যসামগ্রী বিক্রি করিবেন কি করিবেন না, ব্যবসা চালাইবেন কি চালাইবেন না, অথবা কোন কাজ করিবেন কি করিবেন না, অথবা কোন চাকুরী করিবেন কি করিবেন না-এই সম্পর্কে সম্পাদিত কোন চুক্তি বাসত্দবায়নের জন্য অথবা উহা ভঙ্গের কারণে ৰতিপূরণের জন্য দায়ের করা হয়।

ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের রেজিস্ট্রিকরণ

২০০৷ (১) একই ধরণের বা একই প্রকারের শিল্পে নিয়োজিত বা শিল্প পরিচালনারত প্রতিষ্ঠানগুলিতে গঠিত 153[পাঁচ বা ততোধিক ট্রেড ইউনিয়ন এবং একাধিক প্রশাসনিক বিভাগে ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন]. যদি তাহাদের সাধারণ সভায় এরূপ প্রস্তাব গৃহীত হয়, ফেডারেশনের দলিল সম্পাদন করিয়া কোন ফেডারেশন গঠন করিতে এবং উহা রেজিস্ট্রিকরণের জন্য দরখাস্ত করিতে পারিবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, শ্রমিকগণের কোন ট্রেড ইউনিয়ন মালিকগণের কোন ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনে এবং মালিকগণের কোন ট্রেড ইউনিয়ন শ্রমিকগণের কোন ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনে যোগদান করিবে না৷

(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ফেডারেশনের দলিলে, অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, ফেডারেশনভূক্ত ট্রেড ইউনিয়নগুলি কর্তৃক অনুসরণীয় কার্যক্রম এবং ফেডারেশন ও ফেডারেশনভুক্ত ট্রেড ইউনিয়নগুলির অধিকার ও দায়িত্ব সম্বন্ধে বিধান থাকিবে৷

(৩) কোন ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের রেজিিষ্ট্রকরণের জন্য পেশকৃত দরখাস্তে ফেডারেশনভুক্ত সকল ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ দস্তখত করিবেন, এবং ইহার সহিত উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ফেডারেশনের দলিলের তিনটি কপি সংযুক্ত থাকিবে৷

(৪) এই ধারার বিধান সাপেক্ষে, এই অধ্যায়ের বিধানগুলি ট্রেড ইউনিয়নের ক্ষেত্রে যেরূপ প্রযোজ্য হয় কোন ফেডারেশনের ক্ষেত্রেও সেরূপ প্রযোজ্য হইবে৷

(৫) এই ধারার উপরোক্ত উপ-ধারাসমূহে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, একাধিক শিল্পের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রিকৃত অন্যুন বিশটি ট্রেড ইউনিয়ন 154[এবং একাধিক প্রশাসনিক বিভাগের ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন] সম্মিলিতভাবে অথবা সম্মিলিত হইয়া একটি জাতীয়ভিত্তিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন গঠন করিতে পারিবে৷

155[(৬) উপ-ধারা (৫) এর বিধানবলে গঠিত সর্বনিম্ন দশটি জাতীয় ভিত্তিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন সন্মিলিত হইয়া একটি জাতীয় ভিত্তিক কনফেডারেশন গঠন করিতে পারিবে।]

বিবরণী

২০১। (১) কোন ইংরেজী পঞ্জিকা বৎসর শেষ হওয়ার পর পরবতর্ী বৎসর ৩০শে এপ্রিল এর মধ্যে উক্ত বৎসর সংক্রানত্দ কোন ট্রেড ইউনিয়নের আয় ও ব্যয়ের, এবং সম্পদ ও দায়ের হিসাবসম্বলিত একটি সাধারণ বিবরণী বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রস্তুত ও নিরীৰণ করাইয়া শ্রম পরিচালকের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।

(২) উক্তরূপ সাধারণ বিবরণী যে বৎসরের জন্য প্রেরণ করা হইবে সেই বৎসরের ট্রেড ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের সকল পরিবর্তন প্রদর্শন করিয়া একটি বিবরণ এবং সর্বশেষ সংশোধনীসম্বলিত উহার গঠনতন্ত্রের একটি কপি উক্ত সাধারণ বিবরণীর সংগে শ্রম পরিচালকের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।

(৩) যদি কোন রেজিষ্ট্রিকৃত ট্রেড ইউনিয়ন উপ-ধারা (১) এ উলিস্নখিত সময়সীমার মধ্যে উক্তরূপ সাধারণ বিবরণী প্রেরণে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে শ্রম পরিচালক একটি নোটিশ দ্বারা তৎসম্পর্কে উহাকে অবহিত করিবেন, এবং উক্তরূপ নোটিশ প্রাপ্তির ত্রিশ দিনের মধ্যে যদি ট্রেড ইউনিয়নটি উহার সাধারণ বিবরণী প্রেরণ করিতে পুনরায় ব্যর্থ হয় তাহা হইলে উহার রেজিষ্ট্রি বাতিলযোগ্য হইবে।

(৪) যদি কোন ট্রেড ইউনিয়ন কোন ফেডারেশনের সদস্য হয়, তাহা হইলে উক্ত সাধারণ বিবরণীতে উক্ত ফেডারেশনটির নাম লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি

২০২। (১) যে ৰেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানে একটিমাত্র ট্রেড ইউনিয়ন থাকে সে ৰেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য উহা যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি বলিয়া গণ্য হইবে।

(২) যে ক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানে একাধিক ট্রেড ইউনিয়ন থাকে সে ক্ষেত্রে 156[ ইউনিয়ন সমূহ নিজেদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার মনোনয়নপূর্বক যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি (CBA) নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে অথবা] কোন ট্রেড ইউনিয়ন অথবা মালিক এতদ্উদ্দেশ্যে দরখাস্ত করিলে শ্রম পরিচালক দরখাস্ত প্রাপ্তির একশত বিশ দিনের মধ্যে প্রতিষ্ঠানে কোন্ ট্রেড ইউনিয়ন যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি হইবে, ইহা নির্ধারণের জন্য গোপন ভোটের ব্যবস্থা করিবেন।

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন কোন দরখাসত্দ প্রাপ্তির পর শ্রম পরিচালক লিখিত নোটিশ দ্বারা সংশিস্নষ্ট প্রতিষ্ঠানের সকল ট্রেড ইউনিয়নকে নোটিশে উলিস্নখিত সময়ের মধ্যে, যাহা পনের দিনের অধিক হইবে না, গোপন ব্যালটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিবে কি না ইহা জানাইবার জন্য নির্দেশ দিবেন।

(৪) যদি কোন ট্রেড ইউনিয়ন উপ-ধারা (৩) এর অধীন প্রদত্ত নোটিশের উলিস্নখিত সময় সীমার মধ্যে গোপন ব্যালটে উহার প্রতিদ্বন্দ্বিতা সম্পর্কে শ্রম পরিচালককে কিছু জানাইতে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে উহা, উক্ত ব্যালটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিবে না বলিয়া বুঝিতে হইবে।

(৫) যদি নোটিশে উলিস্নখিত সময়-সীমার মধ্যে কোন ট্রেড ইউনিয়নই গোপন ব্যালটে উহার প্রতিদ্বন্দ্বিতা সম্পর্কে শ্রম পরিচালককে কিছুই না জানায় তাহা হইলে যে ট্রেড ইউনিয়ন উপ-ধারা (২) এর অধীন দরখাসত্দ করিয়াছে উহাকে উক্ত প্রতিষ্ঠানে যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি হিসাবে ঘোষণা করা হইবে, যদি প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত শ্রমিকগণের মোট সংখ্যার অনূ্যন এক-তৃতীয়াংশ শ্রমিক উহার সদস্য থাকে।

(৬) শ্রম পরিচালক কর্তৃক অনুরোদ্ধ হইলে প্রত্যেক মালিক তাহার প্রতিষ্ঠানে, বদলী ও সাময়িক শ্রমিক ব্যতীত, অনূ্যন তিন মাস যাবত নিযুক্ত আছেন এমন সকল শ্রমিকের একটি তালিকা তাহার নিকট প্রেরণ করিবেন, এবং উক্ত তালিকায় নিম্নলিখিত তথ্য সনি্নবেশিত থাকিবে, যথাঃ-

(১) প্রত্যেক শ্রমিকের নাম,

(২) তাহার পিতা ও মাতার নাম ও বয়স,

(প্রযোজ্য ৰেত্রে স্বামী/স্ত্রীর নামও দিতে হইবে)

(৩) তাহার শাখা বা বিভাগের নাম,

(৪) তাহার কর্মস্থলের নাম,

(৫) তাহার টিকেট নম্বর এবং নিয়োগের তারিখ।

(৭) শ্রম পরিচালক কর্তৃক অনুরোদ্ধ হইলে, প্রত্যেক মালিক উপ-ধারা (৬) এ উলিস্নখিত তালিকার প্রয়োজনীয় সংখ্যক অতিরিক্ত কপি সরবরাহ করিবেন এবং উক্তরূপ সরবরাহকৃত তালিকার সত্যতা যাচাই করিবার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করিবেন।

(৮) মালিকের নিকট হইতে শ্রমিকগণের তালিকা প্রাপ্তির পর শ্রম পরিচালক উহার একটি করিয়া কপি প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রত্যেক ট্রেড ইউনিয়নের নিকট প্রেরণ করিবেন এবং একটি কপি তাহার অফিসের কোন প্রকাশ্য স্থানে লটকাইয়া দিবেন এবং আরেকটি কপি সংশিস্নষ্ট প্রতিষ্ঠানের কোন প্রকাশ্য স্থানে লটকাইয়া দিবেন, এবং উহার সহিত একটি নোটিশ দ্বারা উহাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উক্ত তালিকা সম্পর্কে কাহারও কোন আপত্তি থাকিলে তাহা তাহার নিকট পেশ করিবার জন্য আহবান করিবেন।

(৯) শ্রম পরিচালক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোন আপত্তি পাইলে তিনি তাহা প্রয়োজনীয় তদনত্দানত্দে নিষ্পন্ন করিবেন।

(১০) শ্রম পরিচালক উপ-ধারা (৯) এর অধীন তাহার প্রদত্ত সিদ্ধানত্দ মোতাবেক মালিক কতর্ৃক সরবরাহকৃত শ্রমিকগণের তালিকার প্রয়োজনীয় সংশোধন বা পরিবর্তন করিবেন।

(১১) উপ-ধারা (১০) এর অধীন কোন সংশোধন অথবা পরিবর্তনের পর, অথবা যে ৰেত্রে শ্রম পরিচালক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোন আপত্তি পান নাই সে ৰেত্রে, উক্ত সময় অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি সংশিস্নষ্ট প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত শ্রমিকগণের একটি চূড়ানত্দ তালিকা প্রস্তুত করিবেন এবং উহা যথাযথভাবে প্রত্যয়ন করিয়া উহার কপি সংশিস্নষ্ট মালিক এবং প্রত্যেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ট্রেড ইউনিয়নের নিকট ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত তারিখের অনত্দতঃ সাত দিন পূর্বে প্রেরণ করিবেন।

(১২) উপ-ধারা (১১) এর অধীন প্রস্তুতকৃত এবং প্রত্যয়িত শ্রমিকগণের তালিকা ভোটার তালিকা বলিয়া গণ্য হইবে, এবং উক্ত তালিকায় যে শ্রমিকের নাম থাকিবে, তিনি যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি নির্ধারণী নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকারী হইবেন।

(১৩) প্রত্যেক মালিক শ্রম পরিচালক কতর্ৃক অনুরোদ্ধ হইলে, নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করিবেন, কিন্তু তিনি নির্বাচনের ব্যাপারে কোনরূপ হসত্দৰেপ করিবেন না বা কোনভাবে তাহার প্রভাব খাটাইবেন না।

(১৪) ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের পঁয়তালিস্নশ মিটারের মধ্যে কোন ব্যক্তি ভোট প্রার্থনা করিতে পারিবেন না।

(১৫) যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি নির্ধারণের জন্য গোপন ভোট গ্রহণের উদ্দেশ্যে শ্রম পরিচালক-

(ক) ভোট গ্রহণের তারিখ ঠিক করিবেন, এবং ইহা প্রত্যেক প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রেড ইউনিয়নকে এবং প্রত্যেক মালিককে অবহিত করিবেন;

(খ) ভোট গ্রহণের জন্য নির্দিষ্ট তারিখে প্রত্যেক ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে ভোট প্রদানের জন্য ব্যালট বাঙ্ স্থাপন করিবেন, এবং উহা প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধিগণের উপস্থিতিতে, যদি থাকেন, সীল করিয়া দিবেন;

(গ) ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ পরিচালনা করিবেন, এবং উক্ত কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধিগণকে উপস্থিত থাকিবার সুযোগ দিবেন;

(ঘ) ভোট গ্রহণ সমাপ্তির পর, উক্ত প্রতিনিধিগণ যদি উপস্থিত থাকেন, তাহা হইলে তাহাদের উপস্থিতিতে ব্যালট বাঙ্ খুলিবেন এবং উহাতে প্রাপ্ত ভোট গণনা করিবেন; এবং

(ঙ) ভোট গণনা শেষে, যে ট্রেড ইউনিয়ন সর্্বোচ্চ সংখ্যক ভোট প্রাপ্ত হইবে, উহাকে যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি বলিয়া ঘোষণা করিবেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, কোন ট্রেড ইউনিয়নকে উক্তরূপ যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি ঘোষণা করা যাইবে না, যদি না উহার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা সংশিস্নষ্ট প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত সকল শ্রমিকের মোট সংখ্যার অনূ্যন এক-তৃতীয়াংশ হয়।

(১৬) যে ৰেত্রে উপ-ধারা (১৫) (ঙ) এর অধীন কোন ট্রেড ইউনিয়নকে কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি বলিয়া ঘোষণা করা হয়, সে ৰেত্রে উহা উক্ত ঘোষণার তারিখ হইতে দুই বৎসরের জন্য উক্ত প্রতিষ্ঠানে যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি থাকিবে, এবং উক্ত সময়ের মধ্যে উক্ত প্রতিষ্ঠানে কোন নূতন যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি নির্ধারণের জন্য কোন দরখাসত্দ গ্রহণ করা হইবে নাঃ

তবে শর্ত থাকে যে, প্রতিষ্ঠানপুঞ্জের ৰেত্রে কোন যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধির মেয়াদ হইবে তিন বৎসর।

(১৭) উপ-ধারা (১৬) তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যে ৰেত্রে কোন ট্রেড ইউনিয়ন কোন প্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধির মেয়াদ শেষ হইবার পর উহার পরবতর্ী যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি হইতে আগ্রহী, অথবা যে ৰেত্রে বিদ্যমান কোন যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি পরবতর্ী মেয়াদের জন্য ও যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি হিসাবে থাকিতে আগ্রহী সে ৰেত্রে উহা বিদ্যমান যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধির মেয়াদ শেষ হইবার তারিখের পূর্বে একশত বিশ দিন হইতে একশত পঞ্চাশ দিনের মধ্যে শ্রম পরিচালকের নিকট পরবতর্ী যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি নির্ধারণের লৰ্যে গোপন ব্যালটে ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানাইয়া দরখাসত্দ পেশ করিতে পারিবে।

(১৮) যে ৰেত্রে উপ-ধারা (১৭) এর অধীন কোন দরখাসত্দ পেশ করা হয়, সে ৰেত্রে দরখাসত্দ প্রাপ্তির একশত বিশ দিনের মধ্যে উক্ত প্রতিষ্ঠানে পরবতর্ী যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি নির্ধারণের জন্য গোপন ভোট গ্রহণ করিতে হইবে, তবে উক্ত নির্বাচনের ফলে ঘোষিত পরবতর্ী যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি বিদ্যমান যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধির মেয়াদ শেষ হইবার তারিখ হইতে সংশিস্নষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরবতর্ী যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি হইবে।

(১৯) যে ৰেত্রে উপ-ধারা (১৭) এর অধীন কোন দরখাসত্দ প্রাপ্তির পর, শ্রম পরিচালকের নিয়ন্ত্রণবহিভর্ূত কোন কারণে বিদ্যমান যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধির মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য পরবতর্ী যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি নির্ধারণ করা সম্ভব না হয়, সে ৰেত্রে বিদ্যমান যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি নূতন যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি নির্ধারিত না হওয়া পর্যনত্দ উক্ত প্রতিষ্ঠানে যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি হিসাবে কাজ চালাইয়া যাইবে।

(২০) যে ৰেত্রে উপ-ধারা (১৭) এর অধীন কোন দরখাসত্দ পাওয়া না যায় সেৰেত্রে শ্রম পরিচালক বিদ্যমান যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধির মেয়াদ শেষ হইবার পর একশত বিশ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করিবেন, এবং বিদ্যমান যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি অনত্দবর্তীকালীন সময়ে সংশিস্নষ্ট প্রতিষ্ঠানে যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি হিসাবে কাজ চালাইয়া যাইবেন।

(২১) যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি নির্ধারণী নির্বাচনে কোন বিষয় সম্বন্ধে কোন বিরোধ দেখা দিলে উহা শ্রম আদালতে পেশ করিতে হইবে, এবং ঐ বিষয়ে উক্ত আদালতের সিদ্ধানত্দ চূড়ানত্দ হইবে।

157[ ***]

(২৩) কোন যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি, উহার অবস্থানের হানি না করিয়া এই অধ্যায়ের অধীন কোন কার্যধারায়, যাহাতে উহা নিজেই একটি পৰ, উহা সদস্য আছে এমন কোন ফেডারেশনকে পৰভুক্ত করিতে পারিবে।

(২৪) কোন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উহার যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি-

(ক) শ্রমিকদের চাকুরী না থাকা (Jobless) (কর্মহীনতা), চাকুরীর শর্তাবলী অথবা কাজের পরিবেশ সম্বন্ধে মালিকের সংগে যৌথ দরকষাকষি করার;

(খ) যে কোন কার্যধারায় সকল বা যে কোন শ্রমিকের প্রতিনিধিত্ব করার;

(গ) এই অধ্যায়ের বিধান অনুযায়ী ধর্মঘটের নোটিশ দেওয়ার, এবং উহা ঘোষণা করার;

(ঘ) কোন কল্যাণ প্রতিষ্ঠানে অথবা ভবিষ্য তহবিলে এবং পঞ্চদশ অধ্যায়ের অধীন প্রতিষ্ঠিত শ্রমিকগণের অংশগ্রহণ তহবিলের ট্রাস্টি বোর্ডে শ্রমিকগণের প্রতিনিধি মনোনয়ন করার; এবং

(ঙ) এই আইনের আওতায় কোন একক ও দলবদ্ধ শ্রমিকের পক্ষে 158[ তাহাদের অনুমতি সাপেক্ষে] মামলা পরিচালনা করার;

অধিকারী হইবে।

(২৫) এই আইনের আওতায় ঘোষিত কোন প্রতিষ্ঠানপুঞ্জে যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি নির্ধারণ অথবা নির্বাচনের ৰেত্রেও এই ধারার বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে।

159[ (২৬) প্রত্যেক মালিক তাহার প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি (CBA) এর জন্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে অফিস কক্ষ বরাদ্দ করিবে ।]

বিশেষজ্ঞ নিয়োগ

160[২০২ক। (১) এই অধ্যায়ে যে বিধানই থাকুক না কেন যৌথ দরকষাকষি কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে মালিক অথবা যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি (CBA) প্রয়োজন মনে করিলে বিশেষজ্ঞের সহায়তা গ্রহণ করিতে পারিবে।

(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত বিশেষজ্ঞ সম্পর্কে কোন আপত্তি উত্থাপিত হইলে তাহা নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে যে কোন পক্ষ শ্রম পরিচালককে সালিশের জন্য অনুরোধ করিতে পারিবে।]

কতিপয় ক্ষেত্রে ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করিবে

২০৩৷ (১) এই অধ্যায়ে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন কোন প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানপুঞ্জের যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি বলিয়া গণ্য হইবে, যদি উক্ত প্রতিষ্ঠানে উহার কোন সদস্য ট্রেড ইউনিয়ন উহার নির্বাহী কমিটির সভায় গৃহীত কোন প্রস্তাব দ্বারা ফেডারেশনকে উক্ত প্রতিষ্ঠানে উহার পক্ষে যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করিবার জন্য ক্ষমতা প্রদান করে:

তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ কোন ক্ষমতা প্রদান অনুমোদনযোগ্য হইবে না, যদি না ফেডারেশনের এবং সদস্য ট্রেড ইউনিয়নের গঠনতন্ত্রে উক্তরূপ ক্ষমতা প্রদানের বিধান থাকে৷

(২) কোন ফেডারেশন কেবলমাত্র সেই প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানপুঞ্জে যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করিবে, যে প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানপুঞ্জে উহার কোন সদস্য ট্রেড ইউনিয়ন যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি হিসাবে আছে৷

(৩) এই ধারার কোন কিছুই ধারা ২০০ (৫) এর অধীনে গঠিত এবং রেজিস্ট্রিকৃত কোন জাতীয় ভিত্তিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না৷

চেক অফ

২০৪৷ (১) যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি অনুরোধ করিলে যে কোন মালিক তার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকগণের, যাহারা ঐ সিবিএ ইউনিয়নের সদস্য, মজুরী হইতে সিবিএ ইউনিয়নের তহবিলে দেয় তাহাদের নির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা, ঐ সিবিএ ইউনিয়ন কর্তৃক পেশকৃত ডিমান্ড স্টেটমেন্ট এর অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি শ্রমিকের অনুমোদন সাপেক্ষে, কাটিয়া আলাদা করিয়া রাখিবেন 161[ :

তবে শর্ত থাকে যে, সিবিএ বহির্ভূত ইউনিয়নের সদস্যরা রসিদের মাধ্যমে চাঁদা প্রদান করিতে পারিবেন।]

(২) কোন মালিক উপ-ধারা (১) অনুসারে শ্রমিকগণের মজুরী হইতে টাকা কাটিয়া থাকিলে কর্তিত সম্পূর্র্র্ণ টাকা পরবর্তী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সিবিএ ইউনিয়নের হিসাবে জমা দিবেন৷

(৩) উপ-ধারা (১) মোতাবেক উহার সদস্যদের মজুরী হইতে টাকা কাটা হইতেছে কি না সংশ্লিষ্ট সিবিএ তাহা যাচাই করিতে চাহিলে মালিক উহার পূর্ণ সুযোগ প্রদান করিবেন৷

অংশগ্রহণকারী কমিটি

২০৫৷ (১) অন্যুন পঞ্চাশ জন শ্রমিক সাধারণতঃ কর্মরত আছেন এরূপ প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের মালিক 162[ উক্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদেরকে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত করিয়া] বিধি দ্বারা নির্ধারিত পন্থায় তাহার প্রতিষ্ঠানে একটি অংশগ্রহণকারী কমিটি গঠন করিবেন৷

(২) উক্ত কমিটি মালিক ও শ্রমিকগণের প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত হইবে৷

(৩) উক্ত কমিটিতে শ্রমিকগণের প্রতিনিধির সংখ্যা মালিকের প্রতিনিধির সংখ্যার কম হইবে না৷

163[ ***]

164[ (৬)যে প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী কমিটি গঠিত হইবে উক্ত প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক প্রতিনিধিগণ উহাতে কর্মরত শ্রমিকগণের মধ্য হইতে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নির্বাচিত হইবেন।]

165[ (৬ক) যে প্রতিষ্ঠানে টেড্র ইউনিয়ন নাই সেই প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন গঠিত না হওয়া পর্যন্ত অংশগ্রহণকারীকমিটির শ্রমিক প্রতিনিধিগণ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনা করিতে পারিবে।]

(৭) যে ক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানের অন্যুন পঞ্চাশ জন শ্রমিক নিযুক্ত আছেন এমন কোন ইউনিট থাকে, সে ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারী কমিটির সুপারিশে, উহার জন্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত পন্থায় একটি ইউনিট অংশগ্রহণকারী কমিটি গঠন করা যাইবে৷

(৮) উক্ত ইউনিট অংশগ্রহণকারী কমিটি মালিক এবং উক্ত ইউনিট ও উহার অধীনে কর্মরত শ্রমিকগণের প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত হইবে৷

166[ (৯) অংশগ্রহণকারী কমিটিতে শ্রমিক পক্ষের নির্বাচিত বা মনোনীত কর্মকর্তা ও সদস্যদের কমিটির মেয়াদকালে তাহাদের সম্মতি ব্যতিরেকে মালিক বদলী করিবেন না।

(১০) অংশগ্রহণকারী কমিটির শ্রমিক প্রতিনিধিদেরকে কমিটির দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনাকালে সরল বিশ্বাসে সম্পাদিত কাজের জন্য মালিক তাহাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ উত্থাপন বা প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন না।

(১১) অংশগ্রহণকারী কমিটির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এই ধারার বিধানাবলী, ইউনিট অংশগ্রহণকারী কমিটির ক্ষেত্রেও, যতদূর সম্ভব, প্রযোজ্য হইবে।]

167[ (১২) কোনো প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন থাকিলে সেই প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী কমিটি গঠনের প্রয়োজন হইবে না।

(১৩) সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে অংশগ্রহণকারী কমিটির প্রত্যয়নপত্র এবং অন্যান্য দলিল-দস্তাবেজের অবিকল নকল সংগ্রহ করা যাইবে।]

অংশগ্রহণকারী কমিটির কাজ

২০৬৷ (১) অংশগ্রহণকারী কমিটির কাজ হইবে প্রধানতঃ প্রতিষ্ঠানের প্রতি শ্রমিক এবং মালিক সকলেরই অংগীভূত হওয়ার ভাব প্রোথিত ও প্রসার করা এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি শ্রমিকগণের অঙ্গীকার ও দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা, এবং বিশেষ করিয়া-

(ক) শ্রমিক ও মালিকের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস, সমঝোতা এবং সহযোগীতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালানো;

(খ) শ্রম আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা;

(গ) শৃঙ্খলাবোধে উত্সাহিত করা, নিরাপত্তা, পেশাগত স্বাস্থ্য রক্ষা এবং কাজের অবস্থার উন্নতি বিধান ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা;

(ঘ) বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, শ্রমিক শিক্ষা এবং পরিবার কল্যাণ প্রশিক্ষণে উত্সাহিত করা;

(ঙ) শ্রমিক এবং তাহাদের পরিবারবর্গের প্রয়োজনীয় কল্যাণমূলক ব্যবস্থাসমূহের উন্নয়নের লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা; এবং

(চ) উত্পাদন লক্ষ্য মাত্রা অর্জন, উত্পাদনশীলতা বৃদ্ধি, উত্পাদন খরচ হ্রাস এবং অপচয় রোধ করা এবং উত্পাদিত দ্রব্যের মান উন্নত করা৷

(২) কোন ইউনিট অংশগ্রহণকারী কমিটি মূল অংশগ্রহণকারী কমিটির তত্ত্বাবধানে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কার্যাবলী, যতদূর সম্ভব, সম্পাদন করিবে৷

অংশগ্রহণকারী কমিটির সভা

২০৭৷ (১) ধারা ২০৬ এর অধীন কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার সুপারিশ করা ও তত্সম্পর্কে আলোচনা ও মত বিনিময়ের জন্য অংশগ্রহণকারী কমিটি প্রতি দুই মাসে অন্ততঃ একবার সভায় মিলিত হইবে৷

(২) অংশগ্রহণকারী কমিটির প্রত্যেক সভার কার্যবিবরণী, সভা অনুষ্ঠানের সাত দিনের মধ্যে, শ্রম পরিচালক ও সালিসের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে৷

অংশগ্রহণকারী কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন

২০৮৷ (১) অংশগ্রহণকারী কমিটির সুনির্দিষ্ট সুপারিশমালা, তত্কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, বাস্তবায়নের জন্য প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ট্রেড ইউনিয়ন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন৷

(২) যদি কোন কারণে মালিক অথবা ট্রেড ইউনিয়ন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অংশগ্রহণকারী কমিটির সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করিতে কোন কারণে অসুবিধা বোধ করেন, তাহা হইলে তত্সম্পর্কে কমিটিকে অবহিত করিতে হইবে, এবং উহা যথাশীঘ্র সম্ভব বাস্তবায়নের জন্য সম্ভাব্য সকল প্রচেষ্টা গ্রহণ করিতে হইবে৷

চর্তুদশ অধ্যায়

বিরোধ নিষ্পত্তি, শ্রম আদালত, শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনাল, আইনগত কার্যধারা, ইত্যাদি

শিল্প বিরোধ উত্থাপন

২০৯৷ কোন শিল্প বিরোধ বিদ্যমান আছে বলিয়া গণ্য হইবে না যদি না ইহা এই অধ্যায়ের বিধান মোতাবেক কোন মালিক অথবা যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি কর্তৃক উত্থাপিত হয়৷

শিল্প বিরোধ নিষ্পত্তি

২১০৷ (১) যদি কোন সময়ে কোন মালিক বা যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি দেখিতে পায় যে, মালিক এবং শ্রমিকগণের মধ্যে কোন বিরোধ উত্থিত হইবার সম্ভাবনা আছে, তাহা হইলে উক্ত মালিক অথবা যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি তাহার বা উহার অভিমত ব্যক্ত করিয়া অন্য পক্ষকে লিখিতভাবে জানাইবেন৷

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন পত্র প্রাপ্তির পনের দিনের মধ্যে পত্র প্রাপক, অন্যপক্ষের সহিত আলোচনাক্রমে, পত্রে উত্থাপিত বিষয়ে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে একটি চুক্তিতে উপনীত হওয়ার লক্ষ্যে যৌথ দরকষাকষি শুরু করিবার জন্য তাহার সহিত একটি সভার ব্যবস্থা করিবেন, এবং এইরূপ সভা এতদউদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত উভয় পক্ষের প্রতিনিধির মধ্যেও অনুষ্ঠিত হইতে পারিবে৷

(৩) যদি পক্ষগণ উক্তরূপ আলোচনার পর আলোচিত বিষয়ের উপর কোন নিষ্পত্তিতে উপনীত হন, তাহা হইলে একটি নিষ্পত্তিনামা লিখিত হইবে এবং উহাতে পক্ষদ্বয় দস্তখত করিবেন, এবং উহার একটি কপি মালিক কর্তৃক সরকার, শ্রম পরিচালক এবং সালিসের নিকট প্রেরিত হইবে৷

(৪) যদি-

(ক) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রেরিত কোন পত্রের প্রাপক অন্য পক্ষের সহিত উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত সময়ের মধ্যে সভার ব্যবস্থা করিতে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে উক্ত অন্য পক্ষ, অথবা

(খ) উভয় পক্ষের পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য অনুষ্ঠিত প্রথম সভার তারিখ হইতে এক মাসের মধ্যে অথবা উভয় পক্ষের লিখিত সম্মতি অনুযায়ী বর্ধিত সময়ের মধ্যে কোন নিষ্পত্তিতে উপনীত হওয়া না যায়, তাহা হইলে যে কোন পক্ষ, উপ-ধারা (২) অথবা, ক্ষেত্রমত, এই উপ-ধারার দফা (খ) এ উল্লিখিত সময়সীমা শেষ হইবার পর পনর দিনের মধ্যে তত্সম্পর্কে উপ-ধারা (৫) এ উল্লিখিত উপযুক্ত সালিসকে (Conciliator) অবহিত করিতে পারিবেন এবং বিরোধটি সালিসীর (Conciliation) মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার জন্য তাহাকে লিখিতভাবে অনুরোধ করিতে পারিবেন৷

(৫) এই অধ্যায়ের উদ্দেশ্যে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপণ দ্বারা, উহাতে উল্লিখিত কোন নির্দিষ্ট এলাকা অথবা কোন নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক সালিস (Conciliator) নিযুক্ত করিবে, এবং উপ-ধারা (৪) এর অধীন সালিসীর (Conciliation) জন্য কোন অনুরোধ এই উপ-ধারার অধীন সংশ্লিষ্ট এলাকা বা প্রতিষ্ঠান বা শিল্পের জন্য নিযুক্ত সালিস (Conciliator) গ্রহণ করিবেন৷

(৬) উক্তরূপ অনুরোধ প্রাপ্ত হইবার দশ দিনের মধ্যে সালিস (Conciliator) তাহার সালিসী কার্যক্রম (Conciliation) শুরু করিবেন, এবং বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য উভয় পক্ষের সভা আহ্বান করিবেন৷

(৭) বিরোধের পক্ষগণ স্বয়ং অথবা তাহাদের মনোনীত এবং উভয় পক্ষের মধ্যে অবশ্য পালনীয় চুক্তি সম্পাদন করিতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে সালিস (Conciliator) এর নিকট তত্কর্তৃক নির্ধারিত তারিখে ও সময়ে হাজির হইবেন৷

(৮) যদি সালিসীর (Conciliation) ফলে বিরোধ নিষ্পত্তি হয় তাহা হইলে, সালিস (Conciliator) তত্সম্পর্কে সরকারের নিকট একটি রিপোর্ট পেশ করিবেন, এবং ইহার সহিত উভয়পক্ষ কর্তৃক স্বাক্ষরিত নিষ্পত্তিনামার একটি কপিও প্রেরিত হইবে৷

(৯) যদি সালিস (Conciliator) কর্তৃক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য অনুরোধ প্রাপ্তির ত্রিশ দিনের মধ্যে বিরোধটি নিষ্পত্তি না হয়, তাহা হইলে সালিসী কার্যক্রম (Conciliation) ব্যর্থ হইবে, অথবা উভয় পক্ষের লিখিত সম্মতিক্রমে আরো অধিক সময় চালানো যাইবে৷

(১০) যদি সালিসী কার্যক্রম (Conciliation) ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে সালিস (Conciliator) উভয় পক্ষকে বিরোধটি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে উহা কোন মধ্যস্থতাকারী (Arbitrator) এর নিকট প্রেরণ করিবার জন্য রাজী করাইতে চেষ্টা করিবেন৷

(১১) যদি পক্ষগণ বিরোধটি নিষ্পত্তির জন্য কোন মধ্যস্থতাকারীর (Arbitrator) নিকট প্রেরণে রাজী না হন, তাহা হইলে সালিস (Conciliator), সালিসী কার্যক্রম (Conciliation) ব্যর্থ হওয়ার তিন দিনের মধ্যে, উহা ব্যর্থ হইয়াছে এই মর্মে একটি প্রত্যয়নপত্র পক্ষগণকে প্রদান করিবেন৷

(১২) যদি পক্ষগণ বিরোধটি নিষ্পত্তির জন্য কোন মধ্যস্থতাকারীর (Arbitrator) নিকট প্রেরণ করিতে রাজী হন, তাহা হইলে তাহাদের সকলের স্বীকৃত কোন মধ্যস্থতাকারীর (Arbitrator) নিকট বিরোধটি নিষ্পত্তির জন্য যৌথ অনুরোধপত্র প্রেরণ করিবেন৷

(১৩) উপ-ধারা (১২) তে উল্লিখিত মধ্যস্থতাকারী (Arbitrator) সরকার কর্তৃক এতদ্‌উদ্দেশ্যে প্রস্তুতকৃত মধ্যস্থতাকারীর তালিকা হইতে কোন ব্যক্তি হইতে পারিবেন, অথবা পক্ষগণ কর্তৃক স্বীকৃত অন্য যে কোন ব্যক্তি হইতে পারিবেন৷

(১৪) মধ্যস্থতাকারী (Arbitrator) মধ্যস্থতার অনুরোধ প্রাপ্তির ত্রিশ দিনের মধ্যে, অথবা পক্ষগণ কর্তৃক লিখিতভাবে স্বীকৃত কোন বর্ধিত সময়ের মধ্যে তাহার রোয়েদাদ প্রদান করিবেন৷

(১৫) মধ্যস্থতাকারী (Arbitrator) তাহার রোয়েদাদ প্রদানের পর উহার একটি কপি পক্ষগণকে এবং আরেকটি কপি সরকারের নিকট প্রেরণ করিবেন৷

(১৬) মধ্যস্থতাকারী (Arbitrator) কর্তৃক প্রদত্ত রোয়েদাদ চূড়ান্ত হইবে এবং ইহার বিরুদ্ধে কোন আপীল চলিবে না৷

(১৭) মধ্যস্থতাকারী (Arbitrator) কর্তৃক নির্ধারিত অনধিক দুই বত্সর পর্যন্ত কোন রোয়েদাদ বৈধ থাকিবে৷

(১৮) শ্রম পরিচালক, কোন বিরোধ নিষ্পত্তির স্বার্থে উপযুক্ত মনে করিলে যে কোন সময় কোন সালিস (Conciliator) এর নিকট হইতে কোন সালিসী কার্যক্রম (Conciliation) উঠাইয়া আনিয়া নিজেই উহা চালাইয়া যাইতে পারিবেন, অথবা অন্য কোন সালিস (Conciliator) এর নিকট উহা হস্তান্তর করিতে পারিবেন, এবং এক্ষেত্রে এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে৷

(১৯) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন প্রতিষ্ঠানপুঞ্জ সম্পর্কে কোন মালিকগণের ট্রেড ইউনিয়ন অথবা ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন রেজিস্ট্রি করা হইয়াছে, সে প্রতিষ্ঠানপুঞ্জের যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি শিল্প বিরোধ সম্পর্কে উক্ত মালিকগণের ট্রেড ইউনিয়ন অথবা ফেডারেশনের সহিত যোগাযোগ করিবে, এবং উক্তরূপ মালিকগণের ট্রেড ইউনিয়ন অথবা ফেডারেশনের সংগে সম্পাদিত শিল্প বিরোধ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত কোন চুক্তি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানপুঞ্জের সকল মালিক ও শ্রমিকগণের উপর অবশ্য পালনীয় হইবে৷

ধর্মঘট ও লক-আউট

২১১৷ (১) যে পক্ষ কোন শিল্প বিরোধ উত্থাপন করে সে পক্ষ ধারা ২১০ (১১) এর অধীন ব্যর্থতার প্রত্যয়নপত্র প্রাপ্তির তারিখ হইতে পনর দিনের মধ্যে অন্য পক্ষকে ধর্মঘট অথবা, ক্ষেত্রমত, লক আউটের নোটিশ প্রদান করিতে পারিবে, যাহাতে নোটিশ প্রদানের পর অন্যুন সাত দিন এবং অনধিক চৌদ্দ দিনের মধ্যে কোন তারিখ হইতে উহা শুরু হইবে উহার উল্লেখ থাকিবে, অথবা উক্ত বিরোধ উত্থাপনকারী পক্ষ বিরোধটি নিষ্পত্তির জন্য শ্রম আদালতে দরখাস্ত করিতে পারিবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, কোন যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি ধর্মঘটের কোন নোটিশ জারী করিতে পারিবে না, যদি না বিধি দ্বারা নির্ধারিত পন্থায় সালিসের তত্ত্বাবধানে, এতদ্‌উদ্দেশ্যে বিশেষভাবে অনুষ্ঠিত কোন গোপন ভোটের মাধ্যমে উহার মোট সদস্য সংখ্যার অন্যুন 168[ ৫১ শতাংশ] সদস্য ধর্মঘটের পক্ষে তাহাদের রায় প্রদান করেন৷

(২) যদি কোন ধর্মঘট বা লক-আউট শুরু হইয়া যায়, তাহা হইলে বিরোধটি নিষ্পত্তির জন্য বিরোধে জড়িত যে কোন পক্ষ শ্রম আদালতে দরখাস্ত পেশ করিতে পারিবে৷

(৩) যদি কোন ধর্মঘট বা লক-আউট ত্রিশ দিনের বেশী স্থায়ী হয়, তাহা হইলে সরকার, লিখিত আদেশ দ্বারা, উহা নিষিদ্ধ করিতে পারিবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, সরকার উক্ত ত্রিশ দিনের পূর্বে ও যে কোন সময়ে, লিখিত আদেশ দ্বারা কোন ধর্মঘট বা লক-আউট নিষিদ্ধ ঘোষণা করিতে পারিবে, যদি সরকার এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, উক্তরূপ অব্যাহত ধর্মঘট বা লক-আউট জনজীবনে সাংঘাতিক কষ্টের কারণ হইয়াছে অথবা ইহা জাতীয় স্বার্থের হানিকর৷

(৪) কোন জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সরকার, ইহাতে কোন ধর্মঘট বা লক-আউট শুরু হইবার পূর্বে অথবা পরে যে কোন সময়, লিখিত আদেশ দ্বারা উহা নিষিদ্ধ ঘোষণা করিতে পারিবে৷

(৫) কোন ক্ষেত্রে সরকার উপ-ধারা (৩) অথবা (৪) এর অধীন কোন ধর্মঘট বা লক-আউট নিষিদ্ধ ঘোষণা করিলে সরকার তত্ক্ষণাত্ বিরোধটি নিষ্পত্তির জন্য শ্রম আদালতে প্রেরণ করিবে৷

(৬) শ্রম আদালত বিরোধের উভয় পক্ষকে শুনানীর সুযোগ দিয়া যথাশীঘ্র সম্ভব, বিরোধটি উহার নিকট প্রেরণের তারিখ হইতে অনধিক ষাট দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করিয়া উহার রোয়েদাদ প্রদান করিেবঃ

তবে শর্ত থাকে যে, শ্রম আদালত প্রয়োজনবোধে বিরোধীয় কোন বিষয়ে অন্তর্বর্তী রোয়েদাদ প্রদান করিতে পারিবেঃ

আরোও শর্ত থাকে যে, রোয়েদাদ প্রদানে কোন বিলম্বের কারণে রোয়েদাদ অবৈধ হইবে না৷

(৭) শ্রম আদালতের কোন রোয়েদাদ তত্কর্তৃক নির্ধারিত সময়সীমা, যাহা দুই বত্সরের অধিক হইবে না, পর্যন্ত বলবত্ থাকিবে৷

(৮) যদি কোন প্রতিষ্ঠান নূতন স্থাপিত হয়, অথবা বিদেশী মালিকানাধীন হয়, অথবা বিদেশী সহযোগিতায় স্থাপিত হয়, তাহা হইলে উক্তরূপ প্রতিষ্ঠানে উত্পাদন শুরু হওয়ার পরবর্তী তিন বত্সর পর্যন্ত ধর্মঘট কিংবা লক-আউট নিষিদ্ধ থাকিবে৷ তবে, উক্তরূপ প্রতিষ্ঠানে উত্থিত কোন শিল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে এই অধ্যায়ে বর্ণিত অন্যান্য বিধান প্রযোজ্য হইবে৷

শিল্প বিরোধের ক্ষান্তি

২১২৷ (১) ধারা ২১০ এর অধীন কোন শিল্প বিরোধ উত্থাপনকারী পক্ষ যদি-

(ক) ধারা ২১০ (৪) এর অধীন উহাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিরোধটি সালিসীর মাধ্যমে নিষ্পত্তির জন্য কোন সালিসের নিকট অনুরোধ করিতে ব্যর্থ হয়, অথবা

(খ) ধারা ২১১ (১) এর অধীন জারীকৃত নোটিশে উল্লিখিত নির্দিষ্ট সময়ে ধর্মঘট বা লক-আউট শুরু করিতে ব্যর্থ হয়, অথবা

(গ) ধারা ২১১ (১) এর অধীন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিরোধটি নিষ্পত্তির জন্য শ্রম আদালতে প্রেরণ করিতে, অথবা ধর্মঘট বা লক-আউটের নোটিশ জারী করিতে ব্যর্থ হয়,

তাহা হইলে শিল্প বিরোধটি উক্তরূপ নির্ধারিত সময় বা তারিখের পর ক্ষান্ত হইয়া যাইবে৷

(২) যে ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন শিল্প বিরোধ ক্ষান্ত হইয়া যায়, সে ক্ষেত্রে উক্ত ক্ষান্তির তারিখ হইতে এক বত্সরের মধ্যে একই বিষয়ের উপর কোন নূতন বিরোধ উত্থাপন করা যাইবে না৷

শ্রম আদালতে দরখাস্ত

২১৩৷ কোন যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি অথবা কোন মালিক অথবা কোন শ্রমিক এই আইন বা কোন রোয়েদাদ বা কোন নিষ্পত্তি বা চুক্তির অধীন বা দ্বারা নিশ্চিত বা প্রদত্ত 169[বা কোন প্রচলিত প্রথা বা কোন বিজ্ঞপ্তি বা কোন আদেশ বা কোন নোটিফিকেশন বা অন্য কোন ভাবে স্বীকৃত] কোন অধিকার প্রয়োগের জন্য শ্রম আদালতে দরখাস্ত করিতে পারিবেন৷

শ্রম আদালত

২১৪৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্যে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রয়োজনীয় সংখ্যক শ্রম আদালত স্থাপন করিতে পারিবে৷

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন একাধিক শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠিত হইলে, সরকার উক্ত প্রজ্ঞাপনে উহাদের প্রত্যেককে যে এলাকায় এই আইনের অধীন এখতিয়ার প্রয়োগ করিবে উহা নির্ধারণ করিয়া দিবে৷

(৩) শ্রম আদালতের একজন চেয়ারম্যান এবং তাহাকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য, দুইজন সদস্যসমন্বয়ে গঠিত হইবে, তবে কোন অপরাধের বিচার অথবা দশম এবং দ্বাদশ অধ্যায়ের অধীন কোন বিষয় নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে উহা কেবল মাত্র চেয়ারম্যান সমন্বয়ে গঠিত হইবে৷

170[(৩ক) শ্রম আদালতের সদস্যগণ তাহাদের মতামত লিখিতভাবে শ্রম আদালতের চেয়ারম্যানকে জানাইতে পারিবেন এবং সদস্যগণ কোন মতামত জানাইলে উহা মামলার রায়ে অবশ্যই উলেস্নখ করিতে হইবে।]

(৪) শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান সরকার কর্তৃক কর্মরত জেলাজজ অথবা অতিরিক্ত জেলা জজগণের মধ্য হইতে নিযুক্ত হইবেন৷

(৫) শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান এবং সদস্যগণের নিযুক্তির শর্তাবলী সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে৷

(৬) শ্রম আদালতের দুইজন সদস্যের মধ্যে একজন মালিকগণের প্রতিনিধিত্বকারী এবং অপরজন শ্রমিকগণের প্রতিনিধিত্বকারী হইবেন, এবং তাহারা উপ-ধারা (৯) এ বর্ণিত পন্থায় নিযুক্ত হইবেন৷

(৭) সরকার বিধি দ্বারা নির্ধারিত পন্থায়, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, দুইটি সদস্য তালিকা প্রস্তুত করিবে, যাহার একটিতে ছয়জন মালিক প্রতিনিধির নাম এবং অপরটিতে ছয়জন শ্রমিক প্রতিনিধির নাম থাকিবে৷

(৮) উপ-ধারা (৭) এর অধীন প্রস্তুতকৃত সদস্য তালিকা প্রতি দুই বত্সর অন্তর পুনর্গঠিত হইবে, তবে উক্ত দুই বত্সর শেষ হওয়া সত্ত্বেও পূর্ববর্তী তালিকার অন্তর্ভুক্ত সদস্যগণ নূতন তালিকা সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপিত না হওয়া পর্যন্ত তালিকাভুক্ত থাকিবেন৷

(৯) শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান কোন নির্দিষ্ট শিল্প বিরোধের শুনানী বা নিষ্পত্তির জন্য উপ-ধারা (৭) এ উল্লিখিত উভয় তালিকা হইতে একজন করিয়া প্রতিনিধকে নির্বাচন করিবেন এবং উক্তরূপ নির্বাচিত প্রতিনিধিদ্বয় এবং চেয়ারম্যান সহকারে উক্ত শিল্প বিরোধ সম্পর্কে শ্রম আদালত গঠিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, শিল্প বিরোধ সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানীর জন্য চেয়ারম্যান উক্ত যে কোন তালিকা হইতে যে কোন একজন প্রতিনিধকে আদালতের সদস্য হিসাবে নির্বাচিত করিতে পারিবেন৷

(১০) কোন শ্রম আদালত নিম্নলিখিত বিষয়ে অনন্য এখতিয়ারের অধিকারী হইবে, যথাঃ-

(ক) এই আইনের অধীন আনীত, পেশকৃত অথবা দায়েরকৃত কোন শিল্প বিরোধ অথবা অন্য কোন বিরোধ অথবা কোন প্রশ্নের বিচারও নিষ্পত্তি;

(খ) সরকার কর্তৃক পেশকৃত কোন নিষ্পত্তি ভংগ অথবা বাস্তবায়ন সম্পর্কিত কোন বিষয়ের অনুসন্ধান, মিমাংসা ও নিষ্পত্তি;

(গ) এই আইনের অধীন অপরাধসমূহের বিচার; এবং

(ঘ) এই আইন অথবা অন্য কোন আইনের অধীন বা দ্বারা প্রদত্ত বা প্রদেয় অন্য কোন ক্ষমতা প্রয়োগ অথবা কার্য সম্পাদন৷

(১১) যদি শ্রম আদালতের কোন সদস্য আদালতের কোন শুনানীর তারিখে অনুপস্থিত থাকেন, অথবা কোন কারণে হাজির হইতে অপারগ হন, উক্তরূপ অনুপস্থিতি বা অপারগতা কোন মামলার শুনানীর শুরুতেই হউক অথবা উহা চলাকালেই হউক, তাহা হইলে, আদালতের কার্যধারা তাহার অনুপস্থিতিতেই শুরু করা যাইবে অথবা, ক্ষেত্রমত, চালাইয়া যাওয়া যাইবে, এবং তাহার অনুপস্থিতিতে আদালতের সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদ প্রদান করা যাইবে; এবং শ্রম আদালতের কোন কাজ, কার্যধারা সিদ্ধান্ত অথবা রোয়েদাদ কেবলমাত্র উক্তরূপ অনুপস্থিতির কারণে অথবা শ্রম আদালতের কোন শূন্যতার কারণে অথবা শ্রম আদালত গঠনে কোন ত্রুটির কারণে অবৈধ হইবে না বা উহার বিরুদ্ধে কোন আদালতে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে নাঃ

তবে শর্ত থাকে যে, যদি আদালতের কোন সদস্য কোন নির্দিষ্ট মামলায় অনুপস্থিতির কথা চেয়ারম্যানকে পূর্বেই অবহিত করেন সেই ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট পক্ষের তালিকা হইতে অন্য একজন সদস্যকে মনোনীত করিবেনঃ

আরো শর্ত থাকে যে, কোন মামলার রায়ে উভয় পক্ষের সদস্যদের মতামত অবশ্যই উল্লেখ করিতে হইবে৷

(১২) ফৌজদারী কার্যবিধি এর পঁয়ত্রিশতম অধ্যায়ের বিধানাবলী শ্রম আদালতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে, এবং উক্ত অধ্যায়ের উদ্দেশ্যে শ্রম আদালত একটি দেওয়ানী আদালত বলিয়া গণ্য হইবে৷

(১৩) সকল শ্রম আদালত ট্রাইব্যুনালের অধঃস্তন আদালত হইবে৷

অপরাধ বিচারের ক্ষেত্রে শ্রম আদালতের ক্ষমতা ও কার্যক্রম

২১৫৷ (১) এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, শ্রম আদালত অপরাধ বিচারকালে, যতদূর সম্ভব, ফৌজদারী কার্যবিধিতে বর্ণিত সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতি অনুসরণ করিবে৷

(২) এই আইনের অধীন অপরাধ বিচারের উদ্দেশ্যে ফৌজদারী কার্যবিধির অধীন 171[প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের] উপর ন্যস্ত সকল ক্ষমতা শ্রম আদালতেরও থাকিবে৷

(৩) উপ-ধারা (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, শাস্তি প্রদানের উদ্দেশ্যে উক্ত কার্যবিধির অধীন সেশন আদালতের উপর ন্যস্ত সকল ক্ষমতা শ্রম আদালতেরও থাকিবে৷

(৪) শ্রম আদালত কোন অপরাধের বিচারকালে আদালতের সদস্যগণ ছাড়া বিচারকার্য পরিচালনা করিবে৷

অপরাধ বিচার ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে শ্রম আদালতের ক্ষমতা ওকার্যক্রম

২১৬৷ (১) অপরাধ ব্যতীত এই আইনের অধীন অন্য কোন বিষয়, প্রশ্ন বা বিরোধের বিচার ও নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে, শ্রম আদালত একটি দেওয়ানী আদালত বলিয়া গণ্য হইবে এবং দেওয়ানী কার্যবিধির অধীন দেওয়ানী আদালতের উপর ন্যস্ত সকল ক্ষমতা নিম্নবর্ণিত ক্ষমতাসহ, শ্রম আদালতেরও থাকিবে, যথাঃ-

(ক) কোন ব্যক্তির উপস্থিতি এবং তাহাকে শপথাধীন জবানবন্দী এবং সাক্ষ্য প্রদানে বাধ্য করা;

(খ) কোন দলিল বা বস্তু হাজির করিতে বাধ্য করা;

(গ) সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য অথবা দলিল পরীক্ষার জন্য কমিশন প্রেরণ করা;

(ঘ) কোন পক্ষের আদালতে অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে মামলায় একতরফা সিদ্ধান্ত প্রদান করা;

(ঙ) একতরফা সিদ্ধান্ত বাতিল করা;

(চ) কোন পক্ষের অনুপস্থিতির কারণে প্রদত্ত মামলা খারিজের আদেশ বাতিল করা; এবং

(ছ) মামলার উদ্দেশ্য ব্যাহত রোধ করার লক্ষ্যে শ্রম আদালত যে কোন পক্ষের উপর অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ জারী করিতে পারিবে৷

(২) এই আইন সাপেক্ষে, কোন শ্রম আদালতে কোন দরখাস্ত বা দলিল পেশ করা, প্রদর্শন করা অথবা লিপিবদ্ধ করার জন্য অথবা উহা হইতে কোন দলিল নেওয়ার জন্য কোন কোর্ট-ফিস প্রদান করিতে হইবে না৷

(৩) শ্রম আদালত জারীকারক অথবা বিশেষ বাহক মারফত অথবা রেজিস্ট্রি ডাকযোগে অথবা উভয়বিধভাবে কোন মামলার প্রতিপক্ষকে মামলা দায়ের করার অনধিক দশ দিনের মধ্যে তাহার লিখিত জবাব বা আপত্তি পেশ করিবার জন্য নির্দেশ দিবে৷

(৪) শ্রম আদালত, যুক্তি লিপিবদ্ধ করিয়া, উক্ত সময় অনধিক সর্বমোট সাতদিন পর্যন্ত বৃদ্ধি করিতে পারিবে৷

(৫) যদি প্রতিপক্ষ নোটিশে উল্লিখিত অথবা বর্ধিত সময়ের মধ্যে কোন লিখিত জবাব বা আপত্তি পেশ করিতে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে মামলাটি একতরফা শুনানীক্রমে নিষ্পত্তি করা হইবে৷

(৬) কোন পক্ষের আবেদনক্রমে শ্রম আদালত সর্বমোট সাত দিনের অধিক সময় মামলার শুনানী স্থগিত রাখিতে পারিবে নাঃ

তবে শর্ত থাকে যে, যদি মামলার উভয় পক্ষ স্থগিতাদেশ প্রার্থনা করে, তাহা হইলে সর্বমোট অনধিক দশ দিন পর্যন্ত মামলার শুনানী স্থগিত রাখা যাইবে৷

(৭) যদি মামলার দরখাস্তকারী মামলা শুনানীর তারিখে অনুপস্থিত থাকে, তাহা হইলে মামলা খারিজ হইয়া যাইেবঃ

তবে শর্ত থাকে যে, খারিজ আদেশ প্রদানের তিন মাসের মধ্যে মামলার দরখাস্তকারীর আবেদনক্রমে খারিজ আদেশ বাতিল করার এখতিয়ার আদালতের থাকিবে৷

(৮) যদি মামলার প্রতিপক্ষ শুনানীর তারিখে অনুপস্থিত থাকে, তাহা হইলে মামলাটি একতরফা শুনানীক্রমে নিষ্পত্তি করা হইবে৷

(৯) কোন মামলা খারিজ হওয়ার কারণে, যে কারণে মামলাটি দায়ের করা হইয়াছিল উক্ত একই কারণে, নূতন মামলা দায়ের করা বারিত হইবে না যদি না ইহা অন্য কোন কারণে বারিত হয়, এবং খারিজ হওয়ার তিন মাস পর দায়ের করা হয়৷

(১০) যদি কোন মামলার সকল পক্ষ মামলাটি প্রত্যাহার করিবার জন্য শ্রম আদালতে দরখাস্ত করে, তাহা হইলে আদালত উভয় পক্ষকে শুনানী প্রদান করিয়া, মামলার যে কোন পর্যায়ে উহা প্রত্যাহার করার অনুমতি দিতে পারিবে যদি, আদালত এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, সংশ্লিষ্ট বিরোধটি আপোষে নিষ্পত্তি হইয়াছে৷

(১১) শ্রম আদালতের কোন রায়, সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদ, লিখিতভাবে প্রকাশ্য আদালতে প্রদান করিতে হইবে, এবং উহার একটি কপি সংশ্লিষ্ট প্রত্যেক পক্ষকে দেওয়া হইবে৷

172[ (১২) শ্রম আদালতের রায়, সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদ, প্রত্যেক ক্ষেত্রে মামলা দায়ের করিবার তারিখ হইতে ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে প্রদান করিতে হইবে।

(১৩) উপ-ধারা (১২) এর বিধান সত্ত্বেও, ৬০ (ষাট) দিনের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে রায়, সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদ প্রদান করা সম্ভব না হইলে, উপযুক্ত কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া আদালত উক্ত সময়সীমা আরো ৯০ (নব্বই) দিন বর্ধিত করিতে পারিবে।]

শ্রম আদালতের রায়, ইত্যাদির বিরুদ্ধে আপীল

২১৭৷ এই আইন সাপেক্ষে, শ্রম আদালত কর্তৃক প্রদত্ত কোন রায়, সিদ্ধান্ত, রোয়েদাদ বা দণ্ডের বিরুদ্ধে কোন সংক্ষুব্ধ পক্ষ, উহা প্রদানের ষাট দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে আপীল দায়ের করিতে পারিবে, এবং উক্তরূপ আপীলের ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে৷

শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনাল

২১৮৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্যে, বাংলাদেশে একটি শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনাল থাকিবে, যাহা একজন চেয়ারম্যান সমন্বয়ে গঠিত হইবে, অথবা সরকার উপযুক্ত বিবেচনা করিলে একজন চেয়ারম্যান এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সংখ্যক সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে৷

(২) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান এবং সদস্যগণ, যদি থাকেন, সরকার কর্তৃক, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নিযুক্ত হইবেন এবং তাহাদের চাকুরীর শর্তাবলী সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে৷

(৩) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান সুপ্রিমকোর্টের কর্মরত অথবা অবসরপ্রাপ্ত বিচারক অথবা অতিরিক্ত বিচারক হইবেন, এবং উহার কোন সদস্য সুপ্রিমকোর্টের কর্মরত অথবা অবসরপ্রাপ্ত বিচারক অথবা অতিরিক্ত বিচারক হইবেন; অথবা অন্যুন তিন বত্সর কর্মরত আছেন বা ছিলেন এমন কোন জেলা জজ হইবেন৷

(৪) যদি চেয়ারম্যান কোন কারণে অনুপস্থিত থাকেন বা তাহার কার্যসম্পাদনে অপারগ হন, তাহা হইলে সদস্যগণ যদি থাকেন, এর মধ্যে যিনি জ্যেষ্ঠ তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করিবেন৷

(৫) যে ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের কোন সদস্য নিযুক্ত থাকেন সে ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান, আদালতের কার্য সুচারুরূপে সম্পন্ন করিবার জন্য, প্রয়োজনীয় সংখ্যক বেঞ্চ গঠন করিতে পারিবেন, এবং উক্তরূপ বেঞ্চ এক বা একাধিক সদস্য সমন্বয়ে অথবা চেয়ারম্যান এবং এক বা একাধিক সদস্য সমন্বয়ে গঠন করা যাইবে৷

(৬) ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন বা বিবেচ্য কোন আপীল বা বিষয়ের শুনানী এবং নিষ্পত্তি পূর্ণ আদালতে হইতে পারিবে অথবা উহার কোন বেঞ্চেও হইতে পারিবে৷

(৭) এই আইন সাপেক্ষে, মূল ডিক্রীর বিরুদ্ধে আপীল শুনানীর জন্য কোন আপীল আদালত দেওয়ানী কার্যবিধিতে বর্ণিত যে কার্যক্রম অনুসরণ করে, ট্রাইব্যুনাল, যতদূর সম্ভব, উক্ত কার্যক্রম অনুসরণ করিবে৷

(৮) যদি কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে বেঞ্চের সদস্যগণের মধ্যে মত পার্থক্য দেখা যায়, তাহা হইলে-

(ক) বিষয়টি সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের, যদি থাকে, অভিমত অনুযায়ী নিষ্পত্তি করা হইবে, এবং

(খ) যদি বেঞ্চের সদস্যগণ সমানভাবে বিভক্ত হন, তাহা হইলে তাহারা তাহাদের অভিমত ব্যক্ত করিয়া তর্কিত বিষয়ের উপরে শুনানীর জন্য বিষয়টি চেয়ারম্যানের নিকট প্রেরণ করিবেন এবং চেয়ারম্যান, যদি তিনি উক্ত বেঞ্চের সদস্য না হন, তাহা হইলে স্বয়ং বিষয়টির উপর শুনানী গ্রহণ করিতে পারিবেন অথবা বিষয়টি শুনানীর জন্য এক বা একাধিক সদস্য সমন্বয়ে গঠিত অন্য কোন বেঞ্চের নিকট প্রেরণ করিতে পারিবেন, এবং চেয়ারম্যান অথবা উক্তরূপ নতুন গঠিত বেঞ্চের সদস্য বা সদস্যগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ মতানুযায়ী বিষয়টির নিষ্পত্তি হইবে৷

(৯) যে ক্ষেত্রে কোন বেঞ্চ চেয়ারম্যান এবং কোন সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হয় এবং উহার সদস্যগণের মধ্যে কোন বিষয়ে মত পার্থক্য দেখা দেয় এবং সদস্যগণ এই ব্যাপারে সমানভাবে বিভক্ত হন, সে ক্ষেত্রে উক্ত বিষয় সম্বন্ধে চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তই প্রাধান্য পাইবে এবং বেঞ্চের সিদ্ধান্ত চেয়ারম্যানের অভিমত মোতাবেক প্রকাশ করা হইবে৷

(১০) ট্রাইব্যুনাল আপীলে শ্রম আদালতের কোন রায়, সিদ্ধান্ত, রোয়েদাদ বা দণ্ডাদেশ বহাল রাখিতে, সংশোধন বা পরিবর্তন করিতে বা বাতিল করিতে পারিবে অথবা মামলাটি পুনরায় শুনানীর জন্য শ্রম আদালতে ফেরত পাঠাইতে পারিবে; এবং অন্যত্র ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, ট্রাইব্যুনাল এই আইনের অধীন প্রদত্ত শ্রম আদালতের সকল ক্ষমতাও প্রয়োগ করিবে৷

173[ (১১) ট্রাইব্যুনালের রায় আপিল দায়ের করিবার ৬০(ষাট) দিনের মধ্যে প্রদান করা হইবে।

(১১ক) উপ-ধারা (১১) এর বিধান সত্ত্বেও, ৬০ (ষাট) দিনের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে রায় প্রদান করা সম্ভব না হইলে, উপযুক্ত কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া ট্রাইব্যুনাল পরবর্তী ৯০ (নববই) দিনের মধ্যে রায় প্রদান করিতে পারিবে।]

(১২) ট্রাইব্যুনাল উহার অথবা কোন শ্রম আদালতের অবমাননার জন্য শাস্তি দিতে পারিবে, যেন উহা সুপ্রীমকোর্টের একটি হাইকোর্ট বিভাগ৷

(১৩) ট্রাইব্যুনাল যদি উপ-ধারা (১২) এর অধীন কোন ব্যক্তিকে জেলের আদেশ দেয়া অথবা দুইশত টাকার অধিক জরিমানা করে, তাহা হইলে উক্ত শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি হাইকোর্ট বিভাগে আপীল দায়ের করিতে পারিবেন৷

(১৪) ট্রাইব্যুনাল স্বইচ্ছায় অথবা কোন পক্ষের দরখাস্তের পরিপ্রেক্ষিতে কোন মামলা এক শ্রম আদালত হইতে অন্য শ্রম আদালতে হস্তান্তর করিতে পারিবে৷

(১৫) সকল শ্রম আদালতের উপর ট্রাইব্যুনালের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা থাকিবে৷

দরখাস্ত বা আপীলের ফরম

২১৯৷ কোন শ্রম আদালতে কোন দরখাস্ত অথবা ট্রাইব্যুনালে কোন আপীল বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে পেশ করিতে হইবে, এবং উহাতে বিধি দ্বারা নির্ধারিত বিষয় ছাড়াও নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ লিপিবদ্ধ থাকিতে হইবে, যথাঃ-

(ক) পক্ষগণের নাম ও ঠিকানা;

(খ) দরখাস্ত বা আপীলের কারণের একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এবং প্রার্থীত প্রতিকার;

(গ) যে আইনের বিধানের অধীন দরখাস্ত বা আপীল পেশ এবং প্রতিকার প্রার্থনা করা হইয়াছে উহার উল্লেখ;

(ঘ) দরখাস্ত বা আপীল বিলম্বে পেশের ক্ষেত্রে উক্ত বিলম্বের কারণ এবং যে আইনের ধারার অধীন বিলম্ব মওকুফ প্রার্থনা করা হইয়াছে উহার উল্লেখ;

(ঙ) দশম অধ্যায়ের অধীন কোন দরখাস্তের ক্ষেত্রে, দরখাস্তকারীকে প্রদেয় মাসিক মূল মজুরী, মহার্ঘভাতা, এডহক অথবা অন্তর্বর্তী মজুরী, যদি থাকে, এবং মজুরীর সংগে প্রদেয় অন্যান্য অর্থ পৃথকভাবে প্রদর্শন করিয়া একটি বিবরণ;

(চ) দ্বাদশ অধ্যায়ের অধীন কোন মালিকের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ উশুলের জন্য কোন দরখাস্তের ক্ষেত্রে, মালিকের উপর দুর্ঘটনার নোটিশ জারীর তারিখ; এবং উক্তরূপ নোটিশ যদি জারী না করা হয় অথবা সময়মত জারী করা না হয় তাহা হইলে উহার কারণ;

(ছ) দ্বাদশ অধ্যায়ের অধীন পোষ্যগণ কর্তৃক ক্ষতিপূরণ উশুলের জন্য দরখাস্ত পেশের ক্ষেত্র ব্যতীত অন্যক্ষেত্রে যে সমস্ত বিষয়ে চুক্তিতে উপনীত হইয়াছেন এবং যে সমস্ত বিষয়ে চুক্তিতে উপনীত হওয়া সম্ভব হয় নাই তাহার সংক্ষিপ্ত বিবরণ;

(জ) বিবাদের কারণ উদ্ভবের তারিখ; এবং

(ঝ) শ্রম আদালত কর্তৃক দরখাস্ত গ্রহণের এখতিয়ার সম্পর্কে একটি বিবৃতি৷

মামলায় পক্ষগণের উপস্থিতি

২২০৷ সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য উপস্থিতির ক্ষেত্র ব্যতীত অন্য কোন ক্ষেত্রে, শ্রম আদালতে অথবা ট্রাইব্যুনালে কোন ব্যক্তির দরখাস্ত পেশ, হাজিরা প্রদান অথবা অন্য কোন কাজ তিনি স্বয়ং অথবা তাহার নিকট হইতে লিখিতভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন প্রতিনিধি বা আইনজীবীর মাধ্যমে করিতে পারিবেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত প্রতিনিধি বা আইনজীবী সংশ্লিষ্ট আদালতের কোন প্রতিনিধি হইতে পারিবেন না৷

মামলার খরচ

২২১৷ শ্রম আদালত অথবা ট্রাইব্যুনালে মোকদ্দমা বা আপীল সম্পর্কে আনুষঙ্গিক সকল খরচ, এই আইন বা কোন বিধি সাপেক্ষে, উক্ত আদালতের বিবেচনা মতে প্রদেয় হইবে৷

নিষ্পত্তি ইত্যাদি কাহার উপর অবশ্য পালনীয় হইবে

২২২৷ (১) কোন সালিসী কার্য ধারায় উপনীত কোন নিষ্পত্তি, অথবা কোন মধ্যস্থতাকারীর প্রদত্ত রোয়েদাদ অথবা শ্রম আদালতের কোন রায়, সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদ অথবা ট্রাইব্যুনালের কোন রায়, সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদ নিম্নলিখিত ব্যক্তিগণের উপর অবশ্য পালনীয় হইবে, যথাঃ-

(ক) বিরোধের সকল পক্ষগণ;

(খ) যদি না আদালত ভিন্নরূপ নির্দেশ দেয়, তাহা হইলে শ্রম আদালতের নির্দেশে বিরোধের পক্ষ হিসাবে মামলায় হাজিরকৃত অন্য কোন পক্ষ;

(গ) কোন বিরোধ যে প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত সে প্রতিষ্ঠানের মালিক কোন বিরোধের পক্ষ হইলে, তাহার উত্তরাধিকারী বা স্বত্ব প্রাপক কোন ব্যক্তি; এবং

(ঘ) যে ক্ষেত্রে বিরোধের এক পক্ষ যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি সে ক্ষেত্রে বিরোধটি যে প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত সে প্রতিষ্ঠানে বিরোধটি উত্থিত হইবার তারিখে নিয়োজিত ছিলেন অথবা পরে নিয়োজিত হইয়াছেন-এরূপ সকল শ্রমিক৷

(২) সালিসী কার্যধারা ব্যতীত অন্য কোনভাবে মালিক এবং তাহার প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকগণের কোন ট্রেড ইউনিয়নের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির মাধ্যমে উপনীত কোন নিষ্পত্তি চুক্তিভুক্ত সকল পক্ষের উপর অবশ্য পালনীয় হইবে৷

নিষ্পত্তি, ইত্যাদি বলবৎ এর তারিখ

২২৩৷ (১) কোন নিষ্পত্তি-

(ক) যদি কোন বিরোধের পক্ষগণের মধ্যে কোন সম্মত দিন থাকে, উক্ত দিন হইতে, এবং

(খ) যদি উক্তরূপ কোন সম্মত দিন না থাকে তাহা হইলে পক্ষগণ কর্তৃক নিষ্পত্তিনামা স্বাক্ষরের তারিখ হইতে বলবত্ হইবে৷

(২) কোন নিষ্পত্তি পক্ষগণ কর্তৃক সম্মত মেয়াদ পর্যন্ত বলবত্ থাকিবে, এবং যদি এরূপ কোন সম্মত মেয়াদ না থাকে, তাহা হইলে উহা পক্ষগণ কর্তৃক নিষ্পত্তিনামা স্বাক্ষরের তারিখ হইতে এক বত্সর পর্যন্ত বলবত্ থাকিবে৷

(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত মেয়াদ শেষ হইবার পরও উক্ত নিষ্পত্তি পক্ষগণের উপর অবশ্য পালনীয় থাকিবে, যতক্ষণ পর্যন্ত নিষ্পত্তির দ্বারা তিনি আর বাধ্য থাকিবেন না- এই মর্মে কোন পক্ষ অন্য কোন পক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত না করেন, এবং উক্তরূপ অবহিতকরণের পর দুই মাস অতিবাহিত না হয়৷

(৪) শ্রম আদালতের কোন রোয়েদাদ, ট্রাইব্যুনালে উহার বিরুদ্ধে কোন আপীল দায়ের করা না হইলে, উক্ত আদালত কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ হইতে কার্যকর হইবে, এবং তত্কর্তৃক নির্ধারিত মেয়াদ, যাহা দুই বত্সরের অধিক হইবে না, পর্যন্ত বলবত্ থাকিবে৷

(৫) মধ্যস্থতাকারী, শ্রম আদালত অথবা, ক্ষেত্রমত, ট্রাইব্যুনাল কোন রোয়েদাদের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন দাবী কোন কোন তারিখ হইতে বলবত্ হইবে এবং কোন কোন সময়সীমার মধ্যে উহার প্রত্যেকটি কার্যকর করিতে হইবে, তাহা নির্ধারণ করিয়া দিবে৷

(৬) যদি কোন সময় উপ-ধারা (৪) অথবা (৫) এ উল্লিখিত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে রোয়েদাদ দ্বারা বাধ্য কোন পক্ষ রোয়েদাদ প্রদানকারী শ্রম আদালতের নিকট উহার মেয়াদ কমাইবার জন্য এই কারণে দরখাস্ত করেন যে, যে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে রোয়েদাদ প্রদান করা হইয়াছিল উহার বস্তুগত পরিবর্তন ঘটিয়াছে, তাহা হইলে শ্রম আদালত, প্রতিপক্ষকে শুনানীর সুযোগ প্রদান করিয়া, সমীচীন মনে করিলে, আদেশ দ্বারা উক্ত মেয়াদ, আদেশে উল্লিখিত তারিখে অবসান করিতে পারিবে৷

(৭) কোন রোয়েদাদ সংক্রান্ত আপীলে প্রদত্ত ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত রোয়েদাদের তারিখ হইতে বলবত্ হইবে৷

(৮) উপ-ধারা (৪) অথবা (৫) এর অধীন কোন রোয়েদাদ বলবত্ থাকার মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও উহা পক্ষগণের উপর অবশ্য পালনীয় থাকিবে, যতক্ষণ পর্যন্ত রোয়েদাদ দ্বারা তিনি আর বাধ্য থাকিবেন না-এই মর্মে কোন পক্ষ অন্য পক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত না করেন, এবং উক্তরূপ অবহিতকরণের পর দুইমাস অতিবাহিত না হয়৷

(৯) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিরোধে জড়িত পক্ষগণ কর্তৃক কোন নিষ্পত্তিনামা স্বাক্ষরের তারিখ হইতে এক বত্সর অতিবাহিত হইবার পূর্বে, অথবা নিষ্পত্তি বা রোয়েদাদ এর মেয়াদ শেষ হইবার তারিখের পূর্বে, যাহা পরে হয়, কোন শিল্প বিরোধ অথবা তত্সংক্রান্ত কোন কার্যধারা পুনরায় উত্থাপন বা শুরু করা যাইবে না৷

কার্যধারার শুরু ও শেষ

২২৪৷ (১) কোন সালিসী কার্যধারা ধারা ২১০ (৪) এর অধীন সালিস কর্তৃক সালিশী করার অনুরোধ প্রাপ্তির তারিখ হইতে শুরু হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷

(২) যে ক্ষেত্রে কোন সালিসী কার্যধারায় কোন নিষ্পত্তিতে উপনীত হওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে বিরোধে জড়িত পক্ষগণ কর্তৃক নিষ্পত্তি নামায় স্বাক্ষরের তারিখে উক্ত কার্যধারা শেষ হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷

(৩) যে ক্ষেত্রে কোন সালিসী কার্যধারায় কোন নিষ্পত্তিতে উপনীত হওয়া না যায় সে ক্ষেত্রে-

(ক) যদি ধারা ২১০(১২) এর অধীন কোন বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য মধ্যস্থতাকারীর নিকট প্রেরণ করা হয়, তাহা হইলে মধ্যস্থতাকারী কর্তৃক রোয়েদাদ প্রদানের তারিখে; অথবা

(খ) যদি বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য মধ্যস্থতাকারীর নিকট প্রেরণ না করা হয়, তাহা হইলে সালিসী কার্যধারা ব্যর্থ হইয়াছে মর্মে সালিস কর্তৃক ব্যর্থতার প্রত্যয়নপত্র প্রদানের তারিখে;

উক্ত কার্যধারা শেষ হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷

(৪) কোন বিরোধ, প্রশ্ন বা বিষয় শ্রম আদালতে পেশ করার তারিখ হইতে উহাতে তত্সংক্রান্ত মামলা শুরু হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷

(৫) শ্রম আদালত কোন মামলায় যে তারিখে উহার রায়, সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদ প্রদান করে সেই তারিখ হইতে উক্ত আদালতে তত্সংক্রান্ত মামলা শেষ হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷

কার্যধারা অনিষ্পন্ন্ থাকাকালে ধর্মঘট বা লক-আউটের নোটিশ জারীর উপর বাধা-নিষেধ

২২৫৷ যে সময় শিল্প বিরোধ সংক্রান্ত কোন বিষয়ে সালিসী কার্যক্রম চলিতে থাকে, অথবা তত্সংক্রান্ত কোন মামলা শ্রম আদালতে চলিতে থাকে, অথবা ট্রাইব্যুনালে কোন আপীল চলিতে থাকে, সে সময় বিরোধে জড়িত কোন পক্ষ অন্য পক্ষের উপরে ধর্মঘট বা লক-আউটের কোন নোটিশ জারী করিতে পারিবেন না৷

শ্রম আদালত ও ট্রাইব্যুনালের ধর্মঘট বা লক-আউট নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা

২২৬৷ (১) যে ক্ষেত্রে কোন শিল্প বিরোধ অনুসারে কোন ধর্মঘট অথবা লক-আউট ইতিমধ্যে শুরু হইয়াছে, এবং শ্রম আদালতে উক্ত শিল্প বিরোধ সম্পর্কে কোন দরখাস্ত পেশ করিবার সময় অথবা আদালত কর্তৃক উহা বিবেচনাকালে উক্ত ধর্মঘট বা লক-আউট অব্যাহত থাকে, সে ক্ষেত্রে শ্রম আদালত, লিখিত আদেশ দ্বারা, উক্ত ধর্মঘট বা লক-আউট চালাইয়া যাওয়া নিষিদ্ধ করিতে পারিবে৷

(২) যে ক্ষেত্রে শিল্প বিরোধ সংক্রান্ত কোন বিষয়ে ট্রাইব্যুনালে কোন আপীল দায়ের করা হয়, সে ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল, লিখিত আদেশ দ্বারা, আপীল দায়েরের তারিখে উক্ত শিল্প বিরোধ অনুসারে অব্যাহত আছে এরূপ কোন ধর্মঘট বা লক-আউট চালাইয়া যাওয়া নিষিদ্ধ করিতে পারিবে৷

বে-আইনী ধর্মঘট ও লক-আউট

২২৭৷ (১) কোন ধর্মঘট বা লক-আউট বেআইনী হইবে, যদি-

(ক) বিরোধে জড়িত অন্য পক্ষকে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পন্থায় ধর্মঘট বা লক-আউটের নোটিশ প্রদান না করিয়া, অথবা প্রদত্ত নোটিশে উল্লিখিত তারিখের পূর্বে বা পরে অথবা ধারা ২২৫ এর বিধান খেলাপ করিয়া ইহা ঘোষণা বা শুরু করা হয় অথবা অব্যাহত রাখা হয়;

(খ) ধারা ২০৯ এ উল্লিখিত বিধান মোতাবেক ব্যতীত অন্য কোন পন্থায় উত্থাপিত কোন শিল্প বিরোধ অনুসারে ইহা ঘোষণা বা শুরু করা হয় অথবা অব্যাহত রাখা হয়;

(গ) ধারা ২১১ অথবা ২২৬ এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ লঙ্ঘন করিয়া ইহা অব্যাহত রাখা হয়; অথবা

(ঘ) কোন নিষ্পত্তি বা রোয়েদাদ বলবত্ থাকাকালে উহার অন্তর্ভুক্ত কোন বিষয়ে ইহা ঘোষণা বা শুরু করা হয়, অথবা অব্যাহত রাখা হয়৷

(২) কোন বে-আইনী ধর্মঘটের ফলে ঘোষিত কোন লক-আউট, এবং কোন বে-আইনী লক-আউটের ফলে ঘোষিত কোন ধর্মঘট বে-আইনী বলিয়া গণ্য হইবে না৷

কার্যধারা অনিষ্পন্ন থাকা কালে চাকুরীর শর্তাবলী অপরিবর্তিত থাকিবে

২২৮৷ (১) শিল্প বিরোধ সংক্রান্ত কোন বিষয়ে কোন সালিসী কার্যধারা চলাকালে, অথবা মধ্যস্থতাকারী, শ্রম আদালত অথবা ট্রাইব্যুনালের নিকট কোন কার্যধারা চলাকালে কোন মালিক বিরোধে জড়িত কোন শ্রমিকের, উক্ত কার্যধারা শুরু হইবার পূর্বে প্রযোজ্য চাকুরীর শর্তাবলী তাহার অসুবিধা হয় এমনভাবে পরিবর্তন করিতে পারিবেন না, অথবা সালিস, মধ্যস্থতাকারী, শ্রম আদালত অথবা ট্রাইব্যুনাল, যখন যেখানে বা যাহার নিকটে উক্তরূপ কার্যধারা চলিতে থাকে, এর বিনা অনুমতিতে, উক্ত বিরোধ সম্পর্কিত নহে এমন অসদাচরণের জন্য ব্যতীত, উক্তরূপে শ্রমিককে চাকুরী হইতে ডিসচার্জ, বরখাস্ত বা অন্যকোন ভাবে শাস্তি দিতে পারিবেন না অথবা তাহার চাকুরীর অবসান করিতে পারিবেন না৷

(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, শ্রম আদালতের পূর্ব অনুমোদন ব্যতিরেকে উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত কোন কার্যক্রম চলাকালে ট্রেড ইউনিয়নের কোন কর্মকর্তাকে ডিসচার্জ, বরখাস্ত অথবা অন্য কোন ভাবে অসদাচরণের জন্য শাস্তি দেওয়া যাইবে না৷

কতিপয় ব্যক্তির অধিকার, ইত্যাদি রক্ষণ

২২৯৷ (১) কোন ব্যক্তি কোন বে-আইনী ধর্মঘট বা বে-আইনী লক-আউটে অংশগ্রহণ করিতে অথবা অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখিতে অস্বীকার করিলে তিনি সে কারণে কোন ট্রেড ইউনিয়ন হইতে বহিষ্কারযোগ্য হইবেন না, অথবা কোন দণ্ড বা জরিমানাধীন হইবেন না, অথবা তিনি বা তাহার কোন আইনগত প্রতিনিধি অন্যথায় পাইতেন এই রকম কোন সুবিধা বা অধিকার হইতে বঞ্চিত হইবেন না, অথবা সংশ্লিষ্ট ট্রেড ইউনিয়নের অন্যান্য সদস্যের তুলনায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অন্য কোন অসুবিধা বা অযোগ্যতাধীন হইবেন না৷

174[***]

(৩) উক্তরূপ কোন কার্যধারায় শ্রম আদালত ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য পদ হইতে বহিস্কৃত কোন ব্যক্তিকে তাহার সদস্য পদে পুনরায় বহাল করার আদেশ দেওয়ার পরিবর্তে, উচিত মনে করিলে, সংশ্লিষ্ট ট্রেড ইউনিয়নের তহবিল হইতে তত্কর্তৃক নির্ধারিত অর্থ ক্ষতিপূরণ হিসাবে উক্ত ব্যক্তিকে প্রদানের জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে৷

পক্ষগণের প্রতিনিধিত্ব

২৩০৷ (১) কোন শিল্প বিরোধে জড়িত কোন শ্রমিক এই অধ্যায়ের অধীন কোন কার্য ধারায় তাহার প্রতিষ্ঠানের যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধির কোন কর্মকর্তার দ্বারা তাহার প্রতিনিধিত্ব করাইতে পারিবেন, এবং উপ-ধারা (২) এবং (৩) এর বিধান সাপেক্ষে, শিল্প বিরোধে জড়িত কোন মালিক তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি দ্বারা উক্ত কার্যধারায় তাহার প্রতিনিধিত্ব করাইতে পারিবেন৷

(২) এই অধ্যায়ের অধীন কোন সালিসী কার্যধারায় শিল্প বিরোধে জড়িত কোন পক্ষ কোন আইনজীবীর দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করাইতে পারিবে না৷

(৩) শিল্প বিরোধে জড়িত কোন পক্ষ মধ্যস্থতাকারীর সম্মুখে কোন কার্যধারায়, তাহার অনুমতিক্রমে, কোন আইনজীবীর দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করাইতে পারিবে৷

নিষ্পত্তি ও রোয়েদাদের ব্যাখ্যা

২৩১৷ (১) কোন নিষ্পত্তি বা রোয়েদাদের কোন ধারার ব্যাখ্যা প্রসংগে কোন অসুবিধা বা সন্দেহ দেখা দিলে ইহা ট্রাইব্যুনালে পেশ করা হইবে৷

(২) ট্রাইব্যুনাল, সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে শুনানীর সুযোগ দান করিয়া, বিষয়টির নিষ্পত্তি করিবে এবং এতদ্‌বিষয়ে উহার সিদ্ধান্তচূড়ান্ত হইবে এবং পক্ষগণের উপর অবশ্য পালনীয় হইবে৷

চলবে ৫ম ধাপ…..

তথ্যসুত্র: http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-details-952.html

Tagged