সংবিধানে বর্নিত বাংলাদেশ শ্রম আইন (৫ম ধাপ)

পঞ্চদশ অধ্যায়

কোম্পানীর মুনাফায় শ্রমিকের অংশগ্রহণ

অধ্যায়ের প্রয়োগ

175[২৩২। (১) এই অধ্যায় নিম্নলিখিত যে কোন একটি শর্ত পূরণ করে এমন কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে, যথা:-

(ক) কোন হিসাব বৎসরের শেষ দিনে উহার পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ অন্যূন এক কোটি টাকা ;

(খ) কোন হিসাব বৎসরের শেষ দিনে উহার স্থায়ী সম্পদের মূল্য অন্যূন দুই কোটি টাকা ;

(২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উহাতে উল্লিখিত, অন্য কোন কোম্পানী ও প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও এই অধ্যায় প্রয়োগ করিতে পারিবে।

(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এ যাহা কিছুই বিধান থাকুক না কেন, শতভাগ রপ্তানীমুখী শিল্প সেক্টর অথবা বৈদেশিক মুদ্রা বিনোয়গকারী শিল্প সেক্টরের ক্ষেত্রে সরকার, বিধি দ্বারা, উক্ত সংশ্লিষ্ট সেক্টরে কর্মরত সুবিধাভোগীদের জন্য ক্রেতা ও মালিকের সমন্বয়ে সেক্টর ভিত্তিক কেন্দ্রীয়ভাবে একটি করিয়া তহবিল গঠন, তহবিল পরিচালনা বোর্ড গঠন, অনুদানের পরিমাণ নির্ধারণ ও আদায়ের পদ্ধতি এবং তহবিলের অথের্ ব্যবহারের বিধানসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে প্রয়োজনীয় বিধান প্রণয়ন করিবে:

তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, উক্ত বোর্ড, সরকারের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে, প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।]বিশেষ সংজ্ঞা

২৩৩৷ (১) বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই অধ্যায়ে-

(ক) “অংশগ্রহণ তহবিল” অর্থ এই অধ্যায়ের অধীন স্থাপিত শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল;

(খ) “কল্যাণ তহবিল” অর্থ এই অধ্যায়ের অধীন স্থাপিত শ্রমিক কল্যাণ তহবিল;

(গ) “কোম্পানী” অর্থ কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ এর অর্থে কোন কোম্পানী, এবং নিম্নলিখিত প্রতিষ্ঠানগুলিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথাঃ-

(১) আপাততঃ বলবত্ কোন আইনের দ্বারা বা অধীন স্থাপিত কোন সংবিধিবদ্ধ সংস্থা;

(২) সরকার কর্তৃক, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই অধ্যায়ের উদ্দেশ্যে কোম্পানী বলিয়া ঘোষিত কোন প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা সমিতি, সংবিধিবদ্ধ হউক বা না হউক;

(ঘ) “তহবিল” অর্থ অংশগ্রহণ তহবিল এবং কল্যাণ তহবিল;

(ঙ) অংশগ্রহণ তহবিল এবং কল্যাণ তহবিল সম্পর্কে, “বোর্ড” অর্থ এই অধ্যায়ের অধীন গঠিত ট্রাষ্টি বোর্ড;

176[(ঙঙ) ‘‘মালিক’’ অর্থ কোন কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের মালিক অথবা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ অথবা প্রধান নির্বাহী কিংবা তাহাদের স্থলাভিষিক্ত কোন ব্যক্তি;]

(চ) কোন কোম্পানী সম্পর্কে “মুনাফা” অর্থ কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ এর ধারা 177[১১৯] এ সংজ্ঞায়িত এমন নীট মুনাফা যাহা কোম্পানীর বাংলাদেশে পরিচালিত কোন ব্যবসা, বাণিজ্য, সংস্থা অথবা অন্য কোন কাজের উপর আরোপনীয়;

178[(ছ) মুনাফার উদ্দেশে পরিচালিত যে কোন প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্প, কারখানা, ব্যাংক, অর্থ লগ্নীকারী প্রতিষ্ঠান বা বীমা কোম্পানীর কাজ-কর্ম ‘‘শিল্প সম্পর্কিত কাজ-কর্ম’’ বলিয়া বিবেচিত হইবে, যদি উহা নিম্নলিখিত এক বা একাধিক কাজ-কর্মের সহিত সংশ্লিষ্ট থাকে, যথা:-

(অ) কোন দ্রব্য, সামগ্রী বা বস্ত্তকে প্রস্তুত, সংযোজন, নিখুত অথবা অন্য কোন স্বাভাবিক অথবা কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় আনিয়া উহার আদি অবস্থার পরিবর্তন সাধন অথবা উহার মূল্য বৃদ্ধি করণ;

(আ) জাহাজ নির্মাণ ও পুন: প্রক্রিয়াজাতকরণ (রিসাইক্লিং);

(ই) পানি-শক্তিসহ বৈদ্যুতিক শক্তির পরিবর্তন, উৎপাদন, রূপান্তর, সঞ্চালন অথবা বিতরণ;

(ঈ) তেল এবং গ্যাসের মিশ্রণ, পরিশোধন বা শোধনসহ খনি, তেল কুপ অথবা খনিজ মওজুদের অন্যান্য উৎসে কাজ;

(উ) তেল অথবা গ্যাস বিতরণ ও বিপনণ;

(ঊ) আকাশ বা সমুদ্র পথে মানুষ অথবা মালামাল পরিবহন;

(ঋ) সেবা প্রতিষ্ঠান যথা মেবাইল অপারেটর কোম্পানী, নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ;এবং

(এ) সরকার কর্তৃক, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই অধ্যায়ের উদ্দেশ্যে শিল্প সম্পর্কিত কাজ-কর্ম বলিয়া ঘোষিত অন্য কোন কাজ কর্মও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;

(জ) ‘‘শিল্প প্রতিষ্ঠান’’ বলিতে ধারা ২ এর দফা (৬১) তে উল্লিখিত এইরূপ কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানকে বুঝাইবে যাহা মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়;

(ঝ) কোন কোম্পানীর ‘‘সুবিধাভোগী (beneficiary)’’ বলিতে শিক্ষানবিশসহ যে কোন ব্যক্তিকে বুঝাইবে যিনি মালিক কিংবা অংশীদার কিংবা পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ব্যতীত পদ-মর্যাদা নির্বিশেষে উক্ত কোম্পানীতে অন্যূন নয় মাস যাবত চাকুরীতে নিযুক্ত রহিয়াছেন।]

(২) এই অধ্যায়ে কোন কোম্পানীর “পরিশোধিত মূলধন” এবং “স্থায়ী সম্পদের মূল্য” বলিতে বিদেশে সংবিধিবদ্ধ কোন কোম্পানীর ক্ষেত্রে বাংলাদেশে অবস্থিত কোন শাখায় নিয়োজিত উহার মূলধন ও স্থায়ী সম্পদের মূল্যকে বুঝাইবে৷

অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল স্থাপন

২৩৪৷ (১) এই অধ্যায় প্রযোজ্য হয় এরূপ প্রত্যেক কোম্পানী-

(ক) এই অধ্যায় প্রযোজ্য হইবার তারিখ হইতে এক মাসের মধ্যে এই অধ্যায়ের বিধান মোতাবেক একটি শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও একটি শ্রমিক কল্যাণ তহবিল স্থাপন করিবে; এবং

179[(খ) এর মালিক প্রত্যেক বৎসর শেষ হইবার অন্যূন নয় মাসের মধ্যে, পূর্ববর্তী বৎসরের নীট মুনাফার পাঁচ শতাংশ (৫%) অর্থ ৮০ঃ ১০ঃ ১০ অনুপাতে যথাক্রমে অংশগ্রহণ তহবিল, কল্যাণ তহবিল এবং বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন, ২০০৬ এর ধারা ১৪ এর অধীন স্থাপিত শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে প্রদান করিবে:

তবে শর্ত থাকে যে, কোন মালিক, এই বিধান কার্যকর হইবার অব্যবহিত পূর্বে, কোম্পানীর নীট মুনাফার এক শতাংশ (১%) অর্থ কল্যাণ তহবিলে জমা প্রদান করিয়া থাকিলে, ট্রাষ্টি বোর্ড কল্যাণ তহবিলে জমাকৃত উক্ত অর্থের পঞ্চাশ শতাংশ (৫০%) অর্থ উপরোল্লিখিত শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে জমা প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবে।]

(২) উপ-ধারা (১) (খ) এর অধীন উক্ত 180[তহবিলসমূহে] প্রদত্ত অর্থ যে বত্সরের জন্য প্রদান করা হইবে সে বত্সর শেষ হইবার অব্যবহিত পরের বত্সরের পহেলা তারিখে উহা 181[তহবিলসমূহে] বরাদ্দ হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷

তহবিলদ্বয়ের ব্যবস্থাপনা

২৩৫৷ (১) অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল স্থাপিত হইবার পর যথাশীঘ্র সম্ভব নিম্নরূপ সদস্য সমন্বয়ে একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠিত হইবে, যথাঃ-

(ক) কোম্পানীর যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি কর্তৃক মনোনীত দুইজন সদস্য এবং এইরূপ কোন প্রতিনিধি না থাকিলে, কোম্পানীর শ্রমিকগণ কর্তৃক তাহাদের নিজেদের মধ্য হইতে নির্বাচিত দুইজন সদস্য; এবং

(খ) কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মনোনীত দুইজন সদস্য, যাহাদের মধ্যে অন্ততঃ একজন হইবেন কোম্পানীর হিসাব শাখা হইতে মনোনীত ব্যক্তি৷

(২) ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যগণ পালাক্রমে উপ-ধারা (১) (ক) ও (১) (খ) এর অধীন সদস্যগণের মধ্য হইতে প্রত্যেক বত্সরের জন্য উহার একজন চেয়ারম্যান নির্বাচিত করিবেন, তবে প্রথম চেয়ারম্যান উপ-ধারা (১)(খ) এর অধীন সদস্যগণের মধ্য হইতে হইবে৷

(৩) এই অধ্যায় এবং এতদ্‌উদ্দেশ্যে প্রণীত বিধির বিধান অনুযায়ী ট্রাস্টি বোর্ড তহবিলদ্বয়ের ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা করিবে৷

(৪) ট্রাস্টি বোর্ড উহার ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে সরকার কর্তৃক সময় সময় প্রদত্ত নির্দেশের অধীন থাকিবে৷

(৫) সরকার যদি এই মত পোষণ করে যে, ট্রাস্টি বোর্ড বা উহার কোন সদস্য দায়িত্ব পালনে পুনঃ পুনঃ ব্যর্থ হইতেছে অথবা সাধারণতঃ তহবিলদ্বয়ের লক্ষ্য ও স্বার্থের সহিত অসংগতিপূর্ণভাবে কাজ-কর্ম করিতেছে তাহা হইলে সরকার, বোর্ড বা সদস্যটিকে কারণ দর্শাইবার সুযোগ দান করিয়া, আদেশ দ্বারা-

(ক) উহাতে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য বোর্ড বাতিল করিতে পারিবে, অথবা সদস্যটিকে তাহার পদ হইতে অপসারণ করিতে পারিবে; এবং

(খ) ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠিত না হওয়া পর্যন্ত বা উক্ত সদস্যের পদে নূতন সদস্য মনোনীত বা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত বোর্ডের বা উক্ত সদস্যের ক্ষমতা ও দায়িত্ব, আদেশে উল্লিখিত ব্যক্তি কর্তৃক প্রয়োগ ও পালনের জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে৷

(৬) উপ-ধারা (৫) এর অধীন ট্রাস্টি বোর্ড বাতিল হইবার পর, উহার সদস্যগণ তাহাদের পদে আর বহাল থাকিবেন না এবং এই অধ্যায়ে বা কোন বিধিতে ট্রাস্টি বোর্ডের উল্লেখ থাকিলে উহা উক্ত উপ-ধারার অধীন প্রদত্ত আদেশে উল্লিখিত ব্যক্তিকে বুঝাইবে৷

(৭) বাতিলের মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বেই এই অধ্যায়ের বিধান অনুযায়ী ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠিত হইবে যাহাতে ইহা উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পর উহার কার্যভার গ্রহণ করিতে পারে৷

182[(৮) উপ-ধারা ৫ এর দফা (ক) এ অধীন সরকার কর্তৃক কোন ট্রাস্টি বোর্ড বাতিল করা হইলে অথবা উহার চেয়ারম্যান বা কোন সদস্যকে অপসারণ করা হইলে উক্ত বোর্ডের সদস্যবৃন্দ অথবা উহার চেয়ারম্যান বা সংশ্লিষ্ট সদস্য ট্রাস্টি বোর্ডে পূনঃনির্বাচিত বা মনোনীত হইতে পারিবেন না।]

জরিমানা, অর্থ আদায়, ইত্যাদি

183[২৩৬৷ (১) যে ক্ষেত্রে কোন কোম্পানী বা ট্রাস্টি বোর্ড ধারা ২৩৪ এর বিধানসমূহ প্রতিপালন করিতে ব্যর্থ হয়, সেইক্ষেত্রে সরকার, আদেশ দ্বারা উক্ত আদেশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, সংশ্লিষ্ট বিধান অনুযায়ী কার্য সম্পাদনের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।

(২) যদি কোন কোম্পানী বা ট্রাস্টি বোর্ড উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোন কার্য সম্পাদনে ব্যর্থ হয় তাহা হইলে সরকার, আদেশ দ্বারা, উক্ত কোম্পানীর প্রত্যেক পরিচালক, ব্যবস্থাপক অথবা উহার ব্যবস্থাপনা কাজের সহিত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে অথবা, ক্ষেত্রমত, সংশ্লিষ্ট ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, সদস্য বা উহার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে অনধিক ০১ (এক) লক্ষ টাকা এবং অব্যহত ব্যর্থতার ক্ষেত্রে, ব্যর্থতার প্রথম তারিখের পর হইতে প্রত্যেক দিনের জন্য আরও ০৫ (পাঁচ) হাজার টাকা করিয়া জরিমানা আরোপ করিয়া পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে জরিমানার মোট অর্থ পরিশোধের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে:

তবে শর্ত থাকে যে, কোন ব্যক্তি উল্লিখিত বিধান পুণরায় লংঘন করিলে বা প্রতিপালনে ব্যর্থ হইলে তাহার বিরুদ্ধে দ্বিগুণ জরিমানা আরোপিত হইবে।

(৩) ধারা ২৩৪ এর অধীন প্রদেয় কোন অর্থ অপরিশোধিত থাকিলে এবং এই ধারার অধীন আরোপিত জরিমানা, সংশ্লিষ্ট আদেশে উলেস্নখিত তারিখের মধ্যে পরিশোধ করা না হইলে, উক্ত অপরিশেধিত অর্থ ও জরিমানা সরকারী দাবী হিসাবে গণ্য হইবে এবং উহা Public Demands Recovery Act, 1913 (Act No. IX of 1913) এর বিধান অনুযায়ী আদায়যোগ্য হইবে।

(৪) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন কোন আদেশের দ্বারা সংক্ষুব্ধ কোন ব্যক্তি উহা পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের নিকট, উক্ত আদেশের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে, দরখাস্ত পেশ করিতে পারিবেন এবং উক্তরূপ দরখাস্ত প্রাপ্তির পর সরকার অনধিক ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিনের মধ্যে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতঃ যথাযথ আদেশ প্রদান করিবে এবং বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, কোম্পানী বা ট্রাস্টি বোর্ডকে অবহিত করিবে।

(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন সরকার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।]

তথ্য তলবের ক্ষমতা

২৩৭৷ এই অধ্যায় অথবা সংশ্লিষ্ট কোন বিধির যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং ইহার প্রয়োজনে সরকার যে কোন সময়ে কোন কোম্পানী বা ট্রাস্টি বোর্ডের নিকট হইতে তথ্য, দলিল-দস্তাবেজ অথবা কার্যধারার নথি-পত্র তলব করিতে পারিবে৷

বিরোধ নিষ্পত্তি, ইত্যাদি

২৩৮৷ (১) তহবিলদ্বয়ের প্রশাসন সংক্রান্ত কোন বিষয়ে ট্রাস্টি বোর্ড এবং কোম্পানীর মধ্যে কোন মতবিরোধ দেখা দিলে বিষয়টি সরকারের নিকট পেশ করিতে হইবে এবং ইহার উহার সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে৷

(২) তহবিলদ্বয় হইতে প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে ট্রাস্টি বোর্ড অথবা কোম্পানীর বিরুদ্ধে কোন শ্রমিকের কোন অভিযোগ থাকিলে উহা দশম অধ্যায়ে বর্ণিত মজুরী হইতে কর্তন সম্পর্কে বিরোধ নিষ্পত্তির পন্থা অনুযায়ী নিষ্পত্তি করিতে হইবে৷

ক্ষমতা অর্পণ

২৩৯৷ সরকার এই অধ্যায়ের অধীন ইহার সকল অথবা যে কোন ক্ষমতা বা দায়িত্ব, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উহাতে উল্লিখিত শর্ত সাপেক্ষে, ইহার কোন কর্মকর্তা অথবা অন্য কোন কর্তৃপক্ষকে অর্পণ করিতে পারিবে৷

অংশগ্রহণ তহবিলের বিনিয়োগ

২৪০৷ (১) অংশগ্রহণ তহবিলে বরাদ্দকৃত অথবা জমাকৃত সকল অর্থ কোম্পানীর ব্যবসা পরিচালনার কাজে লাগাইতে পারা যাইবে৷

(২) কোম্পানী ট্রাস্টি বোর্ডকে অংশগ্রহণ তহবিলের অর্থ উপ-ধারা (১১) এর অধীন বিনিয়োগের কাজে ব্যবহার করিবার জন্য অনুরোধ করিতে পারিবে, এবং বোর্ড উক্তরূপ বিনিয়োগ করিবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবে৷

(৩) কোম্পানীর ব্যবসা পরিচালনার কাজে নিয়োজিত অংশগ্রহণ তহবিলের কোন অর্থের উপর, কোম্পানী ব্যাংক হারের আড়াই শতাংশ অধিক হারে অথবা উহার সাধারণ শেয়ারের জন্য ঘোষিত মুনাফার হারের পঁচাত্তর শতাংশ হারে, যাহা অধিক হইবে, সুদ প্রদান করিবে৷

(৪) যদি কোন কোম্পানীর একাধিক শ্রেণীর সাধারণ শেয়ার থাকে, এবং উহার জন্য বিভিন্ন হারে মুনাফা ঘোষিত হয় তাহা হইলে, উপ-ধারা (৩) এর অধীন প্রদেয় সুদের হার নির্ধারণের উদ্দেশ্যে উক্ত ঘোষিত বিভিন্ন মুনাফার হারের গুরুত্বানুযায়ী হিসাবকৃত গড়কে গ্রহণ করিতে হইবে৷

(৫) অংশগ্রহণ তহবিলে প্রদেয় উক্তরূপ সুদ, তহবিলের অর্থ কোম্পানী যে বত্সরে ব্যবহার করিয়াছে, সেই বত্সরের অব্যবহিত পরবর্তী বত্সরের প্রথম তারিখ হইতে তহবিলে জমা হইবে৷

(৬) যে ক্ষেত্রে কোন কোম্পানী উপ-ধারা (১) এর অধীন অংশগ্রহণ তহবিলের কোন অর্থ নিজের ব্যবসার কাজে লাগাইতে ইচ্ছুক না হয় সে ক্ষেত্রেও, উক্ত তহবিলে টাকা বরাদ্দ হওয়ার তারিখ হইতে উহা উপ-ধারা (১১) অনুযায়ী বিনিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সময়ের জন্য তহবিলের উক্ত টাকার উপর উল্লিখিত হারে কোম্পানী কর্তৃক সুদ প্রদেয় হইবে৷

(৭) যদি অংশগ্রহণ তহবিল স্থাপিত হওয়ার পর কোন সময় কোম্পানী, বোনাস অথবা বোনাস শেয়ারের মাধ্যম ব্যতীত, অন্য কোনভাবে অতিরিক্ত মূলধন সংগ্রহ করে, তাহা হইলে উপ-ধারা (১) এর অধীন কোম্পানীর ব্যবহার যোগ্য কোন অর্থ অথবা অংশগ্রহণ তহবিলের কোন সম্পদ সাধারণ সম-মূলধনে পরিবর্তন করার প্রথম পছন্দ উক্ত তহবিলের থাকিবে; তবে ইহা, উক্তরূপ পরিবর্তনের পূর্বে, কোম্পানীর পরিশোধিত মূলধনের পঁচিশ শতাংশ অথবা অতিরিক্ত মূলধনের পঞ্চাশ শতাংশ, যাহা কম হইবে, এর অধিক হইবে না৷

ব্যাখ্যাঃ এই উপ-ধারায় “অতিরিক্ত মূলধন” বলিতে কোম্পানীর কোন বিদেশী অংশীদারকে দেওয়ার প্রস্তাবকৃত বা প্রদত্ত কোন মূলধনকে বুঝাইবে না৷

(৮) উপ-ধারা (৭) এর অধীন পরিবর্তনের অধিকার প্রয়োগের প্রয়োজনে, কোম্পানীর অতিরিক্ত মূলধনে অংশগ্রহণ করিবার জন্য অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্যে অংশগ্রহণ তহবিলের সম্পদ বিক্রি করিবার জন্য ট্রাস্টি বোর্ডকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হইবে৷

(৯) উপ-ধারা (৭) এ বর্ণিত পন্থায় সংগৃহীত শেয়ার অন্যান্য শেয়ারের মত একই পন্থায় ভবিষ্যত বোনাস এবং অধিকার-ইস্যুতে অংশগ্রহণ করিবে৷

(১০) উপ-ধারা (৭) এ বর্ণিত পন্থায় সংগৃহীত শেয়ারের, অন্যান্য শেয়ারের মত একই পন্থায়, ভোটের অধিকার থাকিবে এবং উক্তরূপ ভোটের অধিকার অংশগ্রহণ তহবিলের পক্ষে ট্রাস্টি বোর্ড প্রয়োগ করিবে৷

184[(১১) অংশগ্রহণ তহবিলের অর্থ সরকারী মালিকানাধীন বিনিয়োগযোগ্য কোন খাতে বিনিয়োগ করা যাইবে।]

সুবিধা প্রাপ্তির যোগ্যতা

২৪১৷ (১) সকল 185[সুবিধাভোগী] এই অধ্যায়ের অধীন সকল সুবিধা 186[সমান অনুপাতে] পাইবার এবং তহবিলদ্বয়ে অংশগ্রহণের যোগ্য হইবেন৷

(২) কোন হিসাব বত্সরে কোন 187[সুবিধাভোগী] কোন কোম্পানীতে অন্যুন ছয় মাস চাকুরী পূর্ণ না করিলে তিনি উক্ত বত্সরের জন্য তহবিলদ্বয়ে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না৷

অংশগ্রহণ তহবিলের ব্যবহার

২৪২৷ (১) প্রত্যেক বত্সর অংশগ্রহণ তহবিলে জমাকৃত মোট অর্থের দুই-তৃতীয়াংশ সমান অনুপাতে সকল 188[সুবিধাভোগীগণের] মধ্যে নগদে বন্টন করা হইবে, এবং অবশিষ্ট এক-তৃতীয়াংশ ধারা ২৪০ (১১) এর বিধান মোতাবেক বিনিয়োগ করা হইবে, যাহার মুনাফাও সকল 189[সুবিধাভোগীগণের] মধ্যে সমান অনুপাতে বন্টন করা হইবে৷

(২) যদি কোন 190[সুবিধাভোগী] স্বেচ্ছায় কোম্পানীর চাকুরী ত্যাগ করিয়া চলিয়া যান, তাহা হইলে এই অধ্যায়ের অধীন তহবিলদ্বয় হইতে তাহাকে কোন সুবিধা প্রদেয় হইলে তাহা তিনি পাইবেন৷

(৩) কোন 191[সুবিধাভোগীর] চাকুরী, বরখাস্ত ব্যতীত, অন্য কোনভাবে অবসান করা হইলে, তিনি কোম্পানীর চাকুরী হইতে অবসরপ্রাপ্ত কোন 192[সুবিধাভোগীর] সমতুল্য হইবেন৷

(৪) কোন 193[সুবিধাভোগী] চাকুরী হইতে বরখাস্ত হইলে, তহবিলদ্বয়ে তাহার অংশ বাজেয়াপ্ত হইবে৷

(৫) যে ক্ষেত্রে কোন 194[সুবিধাভোগী] কোন কোম্পানীর কোন অফিস বা ইউনিট হইতে উহার অন্য কোন অফিস বা ইউনিটে বদলী হন, সে ক্ষেত্রে তাহার নামে জমাকৃত তহবিলদ্বয়ের সুবিধা উক্ত বদলীকৃত অফিসে বা ইউনিটের তহবিলদ্বয়ে স্থানান্তরিত হইবে, এবং তাহার পূর্বের অফিস বা ইউনিটের চাকুরী তাহার বদলীকৃত অফিস বা ইউনিটের তহবিল হইতে প্রদেয় সুযোগের ক্ষেত্রে গণনায় আনা হইবে৷

(৬) কোন 195[সুবিধাভোগীর] অবসর গ্রহণের পর তিনি, অথবা কোম্পানীতে চাকুরীরত থাকাকালে তাহার মৃত্যু ঘটিলে তাহার মনোনীত স্বত্ত্বভোগী, এই অধ্যায়ের অধীন পূর্ণ সুবিধা ভোগ করিবেন৷

কল্যাণ তহবিলের ব্যবহার

196[২৪৩। কল্যাণ তহবিলে জমাকৃত অর্থ, এই অধ্যায়ের বিধানাবলী প্রতিপালন সাপেক্ষে, ট্রাস্টি বোর্ড যেভাবে স্থির করিবে সেইভাবে এবং সেই উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাইবে, এবং বোর্ড তৎসম্পর্কে সরকারকে অবহিত করিবে।]

কোম্পানীকে প্রদত্ত আর্থিক রেয়াত

২৪৪৷ এই অধ্যায় প্রযোজ্য হয় এরূপ সকল কোম্পানীর ক্ষেত্রে তাহাদের কর প্রদানযোগ্য আয় হিসাবের বেলায় তত্কর্তৃক তহবিলদ্বয়ে বরাদ্দকৃত কোন অর্থ হিসাবে ধরা হইবে না৷

তহবিলদ্বয়ের আয় আয়কর হইতে রেহাই

২৪৫৷ তহবিলদ্বয়ের আয়, উহার মূলধনী মুনাফাসহ, আয়কর হইতে রেহাই পাইবে৷

শ্রমিকগণের আয় আয়কর হইতে রেহাই

২৪৬৷ তহবিলদ্বয় হইতে যে অর্থ শ্রমিককে দেওয়া হয়, ইহার জন্য তাহাকে কোন আয়কর দিতে হইবে না৷

ট্রাস্টি বোর্ডের অবস্হান ও কাজ

২৪৭৷ (১) ট্রাস্টি বোর্ডের অফিস কোম্পানীর আংগিনায় স্থাপিত হইবে, এবং যে ক্ষেত্রে কোন কোম্পানীর একাধিক অফিস অথবা ইউনিট থাকে, সেক্ষেত্রে উহার রেজিস্ট্রিকৃত প্রধান কার্যালয়ে ইহা স্থাপিত হইবে৷

(২) ট্রাস্টি বোর্ডের হিসাব রক্ষণসহ সকল খরচ কোম্পানী বহন করিবে৷

তহবিলদ্বয়ের হিসাব নিরীক্ষা

২৪৮৷ কোম্পানীর আয়-ব্যয়ের হিসাব যে ভাবে নিরীক্ষিত হয়, তহবিলদ্বয়ের প্রতি বত্সরের আয়-ব্যয়ের হিসাবও অনুরূপভাবে কোম্পানীর খরচে নিরীক্ষিত হইবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, সরকার নিজ খরচে তহবিলদ্বয়ের আয়-ব্যয়ের কোন বিশেষ নিরীক্ষার জন্য স্বতন্ত্র নিরীক্ষক নিয়োগ করিতে পারিবে৷

তহবিলদ্বয়ের প্রদত্ত সুবিধা অন্যান্য সুবিধার অতিরিক্ত হইবে

২৪৯৷ এই অধ্যায়ের অধীন শ্রমিককে প্রদেয় কোন সুবিধা, কোন আইন, চুক্তি, চাকুরীর শর্তাবলী অথবা অন্যভাবে তাহাকে প্রদেয় অন্য কোন সুবিধার অতিরিক্ত হিসাবে প্রদেয় হইবে এবং ইহা উক্তরূপ সুবিধার পরিবর্তে বা উহার হানি করিয়া হইবে না৷

মৌসুমী কাজে নিযুক্ত শিল্পের ক্ষেত্রে বিশেষ বিধান

২৫০৷ এই অধ্যায়ে যাহা কিছু থাকুক না কেন যে সকল কোম্পানী সমস্ত বত্সরের পরিবর্তে উহার কোন অংশে উহাদের কাজ চালায় সে সকল কোম্পানীর মুনাফায় শ্রমিকগণের অংশগ্রহণের জন্য সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধান করিতে পারিবে৷

একাধিক শিল্পসম্পর্কিত কাজ-কর্মে নিয়োজিত কোম্পানীসমূহ

২৫১৷ এই অধ্যায়ে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, দেশের একাধিক স্থানে একাধিক শিল্পসম্পর্কিত কাজ-কর্মে নিয়োজিত কোন কোম্পানীর অনুরোধক্রমে সরকার উহার তহবিলদ্বয়কে উহার শিল্পসম্পর্কিত কাজ-কর্মে রত বিভিন্ন অফিস বা ইউনিটের মধ্যে বিভক্ত করিবার জন্য এবং উহার প্রত্যেক অফিস বা ইউনিটের ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের জন্য অনুমতি দিতে পারিবে; এবং সে ক্ষেত্রে এই অধ্যায়ের বিধানাবলী এমন ভাবে প্রযোজ্য হইবে যেন উহার উক্তরূপ প্রত্যেক অফিস বা ইউনিট একটি কোম্পানী৷

বাংলাদেশ বিনিয়োগ কর্পোরেশন, ইত্যাদির উপর অংশগ্রহণ তহবিলের ব্যবস্থাপনা অর্পণ

২৫২৷ ট্রাস্টি বোর্ড, সরকারের পূর্ব অনুমতিক্রমে বাংলাদেশ বিনিয়োগ কর্পোরেশন অথবা সোনালী ব্যাংকে উহার অংশগ্রহণ তহবিলের ব্যবস্থাপনা অর্পণ করিবার জন্য উহার সহিত চুক্তি করিতে পারিবে; এবং এক্ষেত্রে চুক্তির শর্তানুযায়ী প্রদেয় কোন ফিস কোম্পানী কর্তৃক পরিশোধযোগ্য হইবে৷

197[ ষোড়শ-ক অধ্যায়

বিলুপ্ত ডকশ্রমিক ব্যবস্থাপনা বোর্ড সংক্রান্ত বিধান

ডক-শ্রমিক ব্যবস্থাপনা বোর্ডের বিলুপ্তি, ইত্যাদি সম্পর্কে বিশেষ বিধান

২৬৩ক। (১) ষোড়শ অধ্যায়ের বিলুপ্ত ধারা ২৫৪ এর অধীন চট্রগ্রাম বন্দর কতৃর্পক্ষ ও মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষে গঠিত ডক-শ্রমিক ব্যবস্থাপনা বোর্ড, অতঃপর উক্ত বোর্ডদ্বয় বলিয়া উল্লিখিত, বিলুপ্ত হইবে এবং উক্ত বোর্ডদ্বয়ের রেজিস্ট্রিকৃত ডক-শ্রমিকগণের রেজিস্ট্রেশন বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।

(২) উক্ত বোর্ডদ্বয়ের বিলুপ্তি সত্ত্বেও, –

(ক) উহাদের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী, যথাক্রমে, চট্রগ্রাম বন্দর কতৃর্পক্ষ ও মংলা বন্দর কতৃর্পক্ষে আত্নীকৃত হইবেন এবং তাহারা উহাদের কর্মকর্তা ও কর্মচারী হইবেন, এবং উক্ত আত্নীকরণের পূর্বে তাহারা যে শর্ত বিলুপ্ত উক্ত বোর্ডদ্বয়ের চাকুরীতে নিয়োজিত ছিলেন, চট্রগ্রাম বন্দর কতৃর্পক্ষ বা ক্ষেত্রমত, মংলা বন্দর কতৃর্পক্ষ কর্তৃক পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সে একই শর্তে তাহারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চাকুরীতে নিয়োজিত থাকিবেন;

(খ) দফা (ক) এর অধীন উহাদের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর আত্নীকরণের ক্ষেত্রে, Surplus Public Servants Absorption Ordinance, 1985 (Ord. No. XXIV of 1985) এর বিধান অনুসরণ করিতে হইবে;

(গ) উহাদের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুয়িটি, কল্যাণ তহবিল, লিকুইড ফান্ড দায়মুক্তভাবে, যথাক্রমে, চট্রগ্রাম বন্দর কতৃর্পক্ষ ও মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষে হস্তান্তরিত হইবে এবং সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষ উহাদের রক্ষণ ও পরিচালনা করিবে;

(ঘ) উহাদের সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা ও সুবিধাদি এবং স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গচ্ছিত অর্থ, বিনিয়োগ, সকল হিসাবের বই, রেজিস্টার, নথি ও অন্যান্য দলিল-পত্র, যথাক্রমে, চট্রগ্রাম বন্দর কতৃর্পক্ষ ও মংলা বন্দর কতৃর্পক্ষে হস্তান্তরিত ও ন্যস্ত হইবে এবং সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষ উহাদের অধিকারী হইবে;

(ঙ) বিলুপ্তির অব্যবহিত পূর্বে উহাদের সকল ঋণ বা দায় ও দায়িত্ব এবং উহাদের দ্বারা বা উহাদের সহিত যে সকল চুক্তি সম্পাদিত হইয়াছে উহা, যথাক্রমে, চট্রগ্রাম বন্দর কতৃর্পক্ষ ও মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহাদের দ্বারা বা উহাদের সহিত সম্পাদিত চুক্তি বলিয়া গণ্য হইবে;

(চ) বিলুপ্তির অব্যবহিত পুর্বে উহাদের দ্বারা বা উহাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা বা আইনগত কার্যধারা, যথাক্রমে, চট্রগ্রাম বন্দর কতৃর্পক্ষ ও মংলা বন্দর কতৃর্পক্ষ কর্তৃক বা তাহাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা বা কার্যধারা বলিয়া গণ্য হইবে এবং তদনুযায়ী উহাদের শুনানী ও নিষ্পত্তি হইবে।

(৩) উপ-ধারা (২) এর বিধান প্রয়োগে অস্পষ্টতার কারণে উহা কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা দেখা দিলে, সরকার, উক্ত অসুবিধা দূরীকরণার্থ, আদেশ দ্বারা, উক্ত বিধানের স্পষ্টীকরণ বা ব্যাখ্যা প্রদান করতঃ প্রয়োজনীয় যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।]

সপ্তদশ অধ্যায়

ভবিষ্য তহবিল

বেসরকারী খাতে প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকগণের জন্য ভবিষ্য তহবিল

২৬৪৷ (১) বেসরকারী খাতের কোন প্রতিষ্ঠান উহার শ্রমিকগণের সুবিধার জন্য ভবিষ্য তহবিল গঠন করিতে পারিবে৷

(২) উপরিউক্ত ভবিষ্য তহবিল ধারা ৩ এর অধীন কোন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এতদ্‌উদ্দেশ্যে প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিত পন্থায় গঠিত হইবে৷

(৩) উপ-ধারা (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বেসরকারী খাতের কোন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকগণের জন্য ভবিষ্য তহবিল গঠনের উদ্দেশ্যে সরকার বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে, এবং যদি উক্তরূপ বিধি প্রণীত হয় তাহা হইলে যে প্রতিষ্ঠানে উহা প্রযোজ্য হইবে সে প্রতিষ্ঠান উহার বিধানাবলী মানিয়া চলিতে বাধ্য থাকিবে৷

(৪) উক্তরূপ ভবিষ্য তহবিল একটি ট্রাস্টি বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হইবে৷

(৫) উক্তরূপ ট্রাস্টি বোর্ড সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং উহাতে নিযুক্ত শ্রমিকগণের সমান সংখ্যক প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত হইবে; এবং সরকার কর্তৃক মনোনীত কোন ব্যক্তি ইহার চেয়ারম্যান হইবেন৷

(৬) মালিকের প্রতিনিধি মালিক কর্তৃক মনোনীত হইবেন এবং শ্রমিকগণের প্রতিনিধি যৌথ দর কষাকষি প্রতিনিধি কর্তৃক মনোনীত হইবেন 198[ :

তবে শর্ত থাকে যে, যে ক্ষেত্রে কোনো প্রতিষ্ঠানে কোনো যৌথ দর কষাকষি প্রতিনিধি থাকিবে না সেই ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারী কমিটি কর্তৃক শ্রমিক প্রতিনিধি মনোনীত হইবেন।]

(৭) যে ক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানে কোন যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি 199[ বা অংশগ্রহণকারী কমিটি নাই, সে ক্ষেত্রে শ্রমিকগণের প্রতিনিধি মহাপরিচালকের] তত্ত্বাবধানে, উক্ত প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের দ্বারা নির্বাচিত হইবেন৷

(৮) ট্রাস্টি বোর্ডের সকল সদস্য দুই বত্সরের মেয়াদে তাহাদের পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও তাহাদের উত্তরাধিকারীগণ কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তাহারা স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন৷

(৯) যে প্রতিষ্ঠানে ভবিষ্য তহবিল গঠন করা হইয়াছে সে প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক স্থায়ী শ্রমিক উহাতে তাহার চাকুরী এক বত্সর পূর্ণ করিবার পর প্রত্যেক মাসে উহার ভবিষ্য তহবিলে, ভিন্নরূপ কোন চুক্তি না থাকিলে, তাহার মাসিক মূল মজুরীর অন্যুন সাত শতাংশ এবং অনধিক আট শতাংশ হারে চাঁদা প্রদান করিবেন; এবং মালিকও ইহাতে উক্ত হারে চাঁদা প্রদান করিবেন৷

(১০) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বেসরকারী খাতের কোন প্রতিষ্ঠান উহার শ্রমিকগণের সুবিধার জন্য ভবিষ্য তহবিল গঠন করিতে বাধ্য থাকিবে যদি উক্ত প্রতিষ্ঠানের অন্যুন তিন-চতুর্থাংশ শ্রমিক মালিকের নিকট লিখিত দরখাস্ত পেশ করিয়া উক্তরূপ ভবিষ্য তহবিল গঠনের দাবী করেন৷

(১১) যেক্ষেত্রে উপ-ধারা (১০) এর অধীন ভবিষ্য তহবিল গঠনের দাবী করা হয়, সে ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের মালিক দরখাস্ত প্রাপ্তির ছয় মাসের মধ্যে উহা গঠনের জন্য ধারা ৩ এর অধীন প্রয়োজনীয় বিধি প্রণয়ন করিবেন এবং ভবিষ্য তহবিল উক্ত সময় অতিক্রান্ত হইবার পূর্বেই চালু করিবেন৷

(১২) উক্ত ভবিষ্য তহবিলে জমাকৃত মোট অর্থের অন্যুন অর্ধেক অর্থ নিম্নরূপ উদ্দেশ্যে বিনিয়োগ করিতে হইবে, যথাঃ-

(ক) আই, সি, বি, মিউচ্যুয়াল ফান্ড সার্টিফিকেট;

(খ) আই, সি, বি, ইউনিট সার্টিফিকেট; এবং

(গ) প্রতিরক্ষা ও ডাক সঞ্চয় পত্রসহ অন্য কোন সরকারী ঋণপত্র৷

(১৩) উক্ত ভবিষ্য তহবিলের পরিচালনা ব্যয় মালিক বহন করিবেন৷

(১৪) প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের হিসাব যেভাবে নিরীক্ষিত হয়, ভবিষ্য তহবিলের প্রতি বত্সরের আয়-ব্যয়ের হিসাবও সেভাবে প্রতিষ্ঠানের খরচে নিরীক্ষিত হইবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, সরকার নিজ খরচে উক্ত তহবিলের আয়-ব্যয়ের কোন বিশেষ নিরীক্ষার জন্য স্বতন্ত্র নিরীক্ষক নিয়োগ করিতে পারিবে৷

(১৫) ভবিষ্য তহবিলের আয়-ব্যয়ের হিসাব তত্সম্পর্কে নিরীক্ষা রিপোর্টসহ, নিরীক্ষা রিপোর্ট পেশ করার এক মাসের মধ্যে শ্রম পরিচালকের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে৷

(১৬) যে ক্ষেত্রে সরকার এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, বেসরকারী খাতের কোন প্রতিষ্ঠানে গঠিত ভবিষ্য তহবিল সন্তোষজনকভাবে কাজ করিতেছে এবং ইহার বিরুদ্ধে শ্রমিকগণের কোন অভিযোগ নাই, সেক্ষেত্রে সরকার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মালিকের নিকট হইতে প্রাপ্ত দরখাস্তের ভিত্তিতে লিখিত আদেশ দ্বারা উক্ত প্রতিষ্ঠানকে এই ধারার প্রয়োগ হইতে রেহাই দিতে পারিবে৷

(১৭) এই ধারার বিধান অনুযায়ী ভবিষ্য তহবিল গঠনকারী কোন প্রতিষ্ঠান ভবিষ্য তহবিল আইন, ১৯২৫ (১৯২৫ সনের ১৯নং আইন) এর উদ্দেশ্যে সরকারী প্রতিষ্ঠান বলিয়া গণ্য হইবে৷

(১৮) এই ধারায় বেসরকারী খাতের প্রতিষ্ঠান বলিতে এমন কোন প্রতিষ্ঠানকে বুঝাইবে যাহা সরকার বা কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সরাসরি মালিকানায় বা ব্যবস্থাপনায় নাই অথবা যাহার ক্ষেত্রে সরকার বা কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রণীত কোন ভবিষ্য তহবিল বিধি প্রযোজ্য হয় না৷

চা-বাগান শ্রমিক ভবিষ্য তহবিল

২৬৫৷ (১) চা-বাগান শ্রমিক ভবিষ্য তহবিল নামে একটি ভবিষ্য তহবিল স্থাপিত হইবে৷

(২) চা-বাগান শ্রমিক ভবিষ্য তহবিল, অতঃপর এই অধ্যায়ে ভবিষ্য তহবিল বলিয়া উল্লিখিত, ধারা ২৬৬ এর অধীন গঠিত একটি ট্রাস্টি বোর্ড এর উপর ন্যস্ত হইবে এবং উহার দ্বারা পরিচালিত হইবে৷

চা-বাগান শ্রমিক ভবিষ্য তহবিল ট্রাস্টি বোর্ড

২৬৬৷ (১) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, চা-বাগান শ্রমিক ভবিষ্য তহবিল ট্রাস্টি বোর্ড নামে একটি বোর্ড গঠন করিবে৷

-(২) নিম্নরূপ সদস্য সমন্বয়ে ট্রাস্টি বোর্ড গঠিত হইবে, যথা

(ক) চেয়ারম্যান;

(খ) মালিকগণের প্রতিনিধিত্বকারী তিনজন সদস্য;

(গ) চা-শ্রমিকগণের প্রতিনিধিত্বকারী তিনজন সদস্য;

(ঘ) চা-শিল্পের সহিত সংশ্লিষ্ট নহেন এরূপ দুইজন সদস্য৷

(৩) চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সদস্যগণ সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, উপ-ধারা (২) (খ) ও (গ) এর অধীন সদস্যগণ সরকার কর্তৃক এতদউদ্দেশ্যে স্বীকৃত মালিকগণ ও ক্ষেত্রমত, শ্রমিকগণের সংগঠনের সহিত আলোচনাক্রমে নিযুক্ত হইবেন৷

(৪) চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সদস্যগণ তাহাদের নিযুক্তির তারিখ হইতে তিন বত্সর মেয়াদে তাহাদের পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও, তাহাদের উত্তরাধিকারীগণ কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তাহারা স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন৷

(৫) চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সদস্যগণ এই অধ্যায় অথবা বিধি দ্বারা অর্পিত দায়িত্ব পালন করিবেন৷

(৬) ট্রাস্টি বোর্ড একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে, এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতাও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে, এবং ইহার নামে ইহা মামলা দায়ের করিতে পারিবে বা ইহার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাইবে৷

200[(৭) কোন ব্যক্তি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হইতে পারিবেন না, যদি তিনি –

(ক) নৈতিক স্খলনজনিত কোন ফৌজদারী মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন;

(খ) উপযুক্ত আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হইবার পর পাঁচ বৎসর অতিবাহিত না হয়;

(গ) উপযুক্ত আদালত কর্তৃক মানসিক ভারসাম্যহীন বা বুদ্ধিভ্রষ্ট বলিয়া ষোষিত হন।

(৮) ট্রাস্টি বোর্ড উহার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে, এতদুদ্দেশ্যে সরকারের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে, প্রবিধানমালা প্রণয়নপূর্বক প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল নিয়োগ করিতে পারিবে।]

প্রশাসন ব্যয়

২৬৭৷ (১) ট্রাস্টি বোর্ড চাঁদার ভিত্তিতে একটি প্রশাসনিক খরচ আরোপ করিতে পারিবে৷

(২) সরকার, বোর্ডের সহিত পরামর্শক্রমে, মালিক এবং শ্রমিকগণের মোট চাঁদার কত শতাংশ প্রশাসনিক খরচ হইবে ইহা নির্ধারণ করিবে৷

(৩) প্রত্যেক মাস শেষ হইবার পনর দিনের মধ্যে মালিক স্বতন্ত্র ব্যাংক ড্রাফট বা চেকের মাধ্যমে ভবিষ্য তহবিলে প্রশাসনিক খরচ প্রদান করিবেন৷

(৪) প্রশাসনিক খরচ চেকের মাধ্যমে প্রদান করা হইলে উক্ত চেকের অর্থ সংগ্রহের জন্যও কোন খরচ প্রদেয় হইলে তাহা চেকের অর্থের সহিত অন্তর্ভুক্ত করিয়া দিতে হইবে৷

চাঁদা

২৬৮৷ (১) তিন বত্সরের অধিককাল যাবত্ চালু আছে এরূপ প্রত্যেক চা-বাগানের মালিক তাহার চা-বাগানের কোন শিক্ষাধীন শ্রমিক ব্যতীত, এক বত্সরের অধিককাল যাবত্ কর্মরত আছেন এরূপ প্রত্যেক শ্রমিক সম্পর্কে তাহার মূল মজুরীর সাড়ে সাত শতাংশ হারে ভবিষ্য তহবিলে চাঁদা প্রদান করিবেন৷

(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত প্রত্যেক শ্রমিক তাহার সম্পর্কে মালিক কর্তৃক প্রদেয় চাঁদার হারে ভবিষ্য তহবিলে চাঁদা প্রদান করিবেন৷

(৩) কোন ক্ষেত্রে এই ধারার অধীন প্রদেয় কোন চাঁদায় টাকার ভগ্নাংশ জড়িত থাকিলে উক্ত ভগ্নাংশ নিকটস্থ পূর্ণ টাকায় লইয়া আসিতে হইবে৷

(৪) যদি কোন ক্ষেত্রে এই আইন বলবত্ হইবার সময়ে কোন প্রচলিত ভবিষ্য তহবিলে প্রদত্ত চাঁদার হার এই ধারায় নির্ধারিত চাঁদার হার হইতে উচ্চতর হয় তাহা হইলে উক্ত উচ্চতর হারে উক্ত তহবিলে চাঁদা প্রদান করিয়া যাইতে হইবে, যেন এই আইন বলবত্ হয় নাই৷

(৫) বিধি দ্বারা নির্ধারিতভাবে ভবিষ্য তহবিলে মোট অর্থ জমা রাখিতে হইবে এবং বিনিয়োগ করিতে হইবে৷

ক্ষতি আদায়

২৬৯৷ যে ক্ষেত্রে কোন মালিক ভবিষ্য তহবিলে চাঁদা প্রদানে অথবা এই অধ্যায় বা কোন বিধির অধীন প্রদেয় কোন খরচ প্রদানে খেলাপ করেন সে ক্ষেত্রে ট্রাস্টি বোর্ড মালিকের নিকট হইতে উক্তরূপ বকেয়া অর্থের সহিত উহার অতিরিক্ত হিসাবে অনধিক পঁচিশ শতাংশ হারে ক্ষতিপূরণ আদায় করিতে পারিবে৷

ভবিষ্য তহবিল অক্রোকযোগ্য

২৭০৷ (১) কোন শ্রমিকের ভবিষ্য তহবিলের হিসাবে যে অর্থ জমা থাকে সে অর্থ কোন ভাবেই হস্তান্তরযোগ্য বা দায়বদ্ধ যোগ্য হইবে না এবং উক্ত শ্রমিকের কোন কর্জ বা দায় সম্পর্কে কোন আদালত কর্তৃক প্রদত্ত ডিক্রী বা রায়ের অধীন উহা ক্রোকযোগ্য হইবে না অথবা দেউলিয়া আইন, ১৯২০ (১৯২০ সনের ৫ নং আইন) এর অধীন নিযুক্ত কোন রিসিভার উক্তরূপ কোন অর্থ দাবী করিতে অধিকারী হইবেন না৷

(২) কোন শ্রমিকের মৃত্যুর সময় তাহার ভবিষ্য তহবিলের হিসাবে যে অর্থ জমা থাকে সে অর্থ, অন্য কোন আইনের অধীন অনুমোদিত কর্তন সাপেক্ষে, তাহার মনোনীত ব্যক্তির উপর ন্যস্ত হইবে, এবং তাহার মৃত্যুর পূর্বে তাহার বা তাহার মনোনীত ব্যক্তির কোন কর্জ বা দায় হইতে ইহা মুক্ত থাকিবে৷

অন্য কোন কর্জের উপর চাঁদা প্রদান অগ্রাধিকার পাইবে

২৭১৷ এই অধ্যায়ের অধীন কোন চাঁদা অনাদায়ী থাকিলে উহা যদি মালিকের দেউলিয়া সাব্যস্ত হইবার পূর্বে প্রদেয় হয় অথবা গুটাইয়া ফেলার আদেশাধীন কোন কোম্পানীর ক্ষেত্রে উহা যদি উক্ত আদেশের পূর্বে প্রদেয় হয় তাহা হইলে অনাদায়ী চাঁদাসংক্রান্ত দায় দেউলিয়া আইন, ১৯২০ (১৯২০ সনের ৫নং আইন) এর ধারা ৬১ অথবা কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ এর ধারা ২৩০ এর অধীন এরূপ কর্জের অন্তর্ভুক্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে যাহা উক্ত দেউলিয়া বা কোম্পানীর সম্পত্তি বন্টনের সময় অন্য সকল কর্জের উপর অগ্রাধিকার পাইবে৷

মজুরী বা অন্য কোন সুযোগ-সুবিধা মালিক কমাইতে পারিবেন না

২৭২৷ এই আইন বা কোন বিধির অধীন কোন চাঁদা বা খরচ প্রদানে বাধ্য কেবলমাত্র এই কারণে মালিক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোন শ্রমিকের প্রাপ্য মজুরী বা অন্য কোন সুযোগ-সুবিধা কমাইতে পারিবেন না৷

সংবাদপত্র শ্রমিকগণের জন্য ভবিষ্য তহবিল

২৭৩৷ (১) প্রত্যেক সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠান উহার সংবাদপত্র শ্রমিকগণের সুবিধার জন্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত পন্থায় একটি ভবিষ্য তহবিল গঠন করিবে৷

(২) উক্ত ভবিষ্য তহবিল একটি ট্রাস্টি বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হইবে৷

(৩) উক্ত ট্রাস্টি বোর্ড সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং উহাতে নিযুক্ত সংবাদপত্র শ্রমিকগণের সমান সংখ্যক প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত হইবে এবং তাহারা বিধি দ্বারা নির্ধারিত পন্থায় মনোনীত এবং নিযুক্ত হইবেন৷

(৪) প্রত্যেক সংবাদপত্র শ্রমিক কোন সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানে তাহার চাকুরীর প্রথম দুই বত্সর পূর্ণ করিবার পর প্রত্যেক মাসে উহার ভবিষ্য তহবিলে তাহার মাসিক মজুরীর অন্যুন সাত শতাংশ এবং অনধিক আট শতাংশ হারে চাঁদা প্রদান করিবেন, এবং মালিকও উহাতে উক্ত হারে চাঁদা প্রদান করিবেন৷

(৫) কোন সংবাদপত্র শ্রমিক তাহার চাকুরীর প্রথম দুই বত্সরের মধ্যেও তাহার নিজ ইচ্ছায় উক্ত ভবিষ্য তহবিলে চাঁদা প্রদান করিতে পারিবেন, কিন্তু সে ক্ষেত্রে সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানের মালিক তাহার নিজ ইচ্ছায় উক্ত তহবিলে চাঁদা প্রদান করিতে বা না করিতে পারিবেন৷

(৬) ভবিষ্য তহবিল আইন, ১৯২৫ (১৯২৫ সনের ১৯ নং আইন) এর উদ্দেশ্যে কোন সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠান একটি সরকারী প্রতিষ্ঠান বলিয়া গণ্য হইবে৷

অষ্টাদশ অধ্যায়

শিক্ষাধীনতা

অধ্যায়ের প্রয়োগ

২৭৪৷ এই অধ্যায় এমন কোন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে যাহা দুই বত্সরের অধিককাল যাবত্ চালু আছে, যাহাতে সাধারণতঃ অন্যুন পঞ্চাশ জন শ্রমিক নিযুক্ত আছেন 201[***]৷

বিশেষ সংজ্ঞা

২৭৫৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কিছু না থাকিলে, এই অধ্যায়ে-

202[(ক) ‘‘যোগ্য কর্তৃপক্ষ’’ অর্থ প্রধান পরিদর্শক অথবা তদ্‌কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা;]

(খ) “শিক্ষাধীন” অর্থ শিক্ষাধীনতা পদ্ধতির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী কোন ব্যক্তি;

(গ) “শিক্ষাধীনতা” অর্থ এমন কোন প্রশিক্ষণ পদ্ধতি যাহাতে কোন মালিক কোন ব্যক্তিকে নিয়োগ করিয়া তাহাকে কোন শিক্ষাধীনতাযোগ্য পেশায় বা বৃত্তিতে প্রণালীবদ্ধভাবে পূর্বনির্ধারিত কোন মেয়াদের জন্য প্রশিক্ষণ দিতে বা দেওয়ার ব্যবস্থা করিতে রাজি হন এবং উক্ত মেয়াদকালে উক্ত শিক্ষাধীন ব্যক্তি মালিকের অধীনে চাকুরী করিতে বাধ্য থাকেন; এবং

(ঘ) “শিক্ষাধীনতাযোগ্য পেশা” অর্থ কোন প্রতিষ্ঠানের এমন কোন পেশা বা বৃত্তি যাহা যোগ্য কর্তৃপক্ষ, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই অধ্যায়ের উদ্দেশ্যে শিক্ষাধীনতাযোগ্য পেশা বলিয়া ঘোষণা করে৷

ত্রিপক্ষীয় উপদেষ্টা কমিটি

২৭৬৷ সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পন্থায়, শিক্ষাধীনতা সংক্রান্ত বিষয়ে সরকার এবং যোগ্য কর্তৃপক্ষকে উপদেশ প্রদানের উদ্দেশ্যে ত্রিপক্ষীয় উপদেষ্টা কমিটি গঠন করিতে পারিবে৷

মালিকের বাধ্যবাধকতা

২৭৭৷ এই অধ্যায় এবং বিধির বিধান সাপেক্ষে, কোন মালিক-

(ক) তাহার প্রতিষ্ঠানে এই অধ্যায় এবং বিধির বিধানগুলি যথাযথভাবে মানিয়া চলা নিশ্চিত করিবেন;

(খ) বিধি অনুযায়ী তাহার প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাধীনতা কর্মসূচী চালু করিবেন; এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উহা যোগ্য কর্তৃপক্ষের সহিত রেজিস্ট্রি করিবেন;

(গ) তাহার প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাধীনতাযোগ্য পেশা বা বৃত্তিতে নিযুক্ত ব্যক্তিগণের মধ্য হইতে গড়ে অন্যুন এক-চতুর্থাংশ ব্যক্তিকে, অথবা যোগ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক লিখিতভাবে অন্য কোন অনুপাত নির্ধারণ করিলে সেই অনুপাতে, শিক্ষাধীন হিসাবে প্রশিক্ষণ প্রদান করিবেন 203[এবং শিক্ষাধীন হিসাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী মনোনয়নের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী শ্রমিকদের অগ্রাধিকার প্রদান করিবেন];

(ঘ) তাহার প্রতিষ্ঠানে যদি এই আইন বলবত্ হইবার পূর্ব হইতে শিক্ষাধীনতা কর্মসূচী চালু হইয়া থাকে তাহা হইলে উহাকে এই অধ্যায় এবং বিধির বিধানের সহিত সুসামঞ্জস্য করিয়া সংশোধন করিবেন, এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উক্তরূপ সংশোধিত কর্মসূচী যোগ্য কর্তৃপক্ষের সহিত রেজিস্ট্রি করিবেন;

(ঙ) মোট স্বাভাবিক কর্ম সময়ের অন্তত বিশ শতাংশ সময় শিক্ষাধীন শ্রমিক যাহাতে প্রয়োজনীয় তাত্ত্বিক শিক্ষা পান ইহা নিশ্চিত করিবেন;

(চ) সম্পূর্র্র্ণ নিজ খরচে শিক্ষাধীনতা কর্মসূচী প্রণয়ন ও চালু করিবেন; এবং

(ছ) যোগ্য কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি ব্যতিরেকে এমন কোন ব্যক্তিকে শিক্ষাধীন হিসাবে নিযুক্ত করিবেন না যিনি অন্য কোন মালিকের অধীন শিক্ষাধীন ছিলেন এবং তিনি তাহা পরিত্যাগ করিয়া আসিয়াছেন অথবা শৃঙ্খলা ভংগের কারণে মালিক কর্তৃক কর্মচ্যুত হইয়াছেন৷

আয়কর, ইত্যাদি হইতে মুক্তি

২৭৮৷ (১) আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪, (১৯৮৪ সনের ৩৬ নং অধ্যাদেশ) এ ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই অধ্যায় এবং বিধির বিধান মোতাবেক পরিচালিত কোন শিক্ষাধীনতা কর্মসূচীর জন্য মালিক কর্তৃক ব্যয়িত কোন অর্থের জন্য তাহাকে আয়-কর প্রদান করিতে হইবে না৷

(২) আমদানী ও রপ্তানী (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ১৯৫০ (১৯৫০ সনের ৩৯ নং আইন) অথবা কোন বিধি বা আদেশে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই অধ্যায়ের অধীন শিক্ষাধীনতা কর্মসূচী পরিচালনার উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় কোন জিনিসপত্র আমদানীর জন্য সরকার আদেশ দ্বারা মালিককে লাইসেন্স প্রদানের বিধান করিতে পারিবে৷

মালিককে উপদেশ ও নির্দেশনা প্রদান

২৭৯৷ যোগ্য কর্তৃপক্ষ, এই অধ্যায় এবং বিধির বিধান মোতাবেক কোন প্রতিষ্ঠানে পরিচালিত কোন শিক্ষাধীনতা কর্মসূচী সম্পর্কে, মালিককে সম্ভব সর্বপ্রকার কারিগরী উপদেশ ও নির্দেশনা দিবে৷

শিক্ষাধীন শ্রমিকের বাধ্যবাধকতা

২৮০৷ (১) এই অধ্যায় এবং বিধির বিধান সাপেক্ষে কোন শিক্ষাধীন শ্রমিক-

(ক) তাহার পেশা বা বৃত্তি বিবেক-বুদ্ধিসহকারে ও অধ্যবসায়ের সহিত শিখিবেন এবং শিক্ষাধীনতার মেয়াদ শেষ হইবার পর নিজেকে একজন দক্ষ শ্রমিক হিসাবে যোগ্য করিবার চেষ্টা করিবেন;

(খ) মালিক কর্তৃক প্রণীত কর্মসূচী অনুযায়ী ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ ও তাত্ত্বিক শিক্ষা প্রদানকালে হাজির থাকিবেন;

(গ) শিক্ষাধীনতা সম্পর্কে মালিক অথবা তাহার প্রতিনিধি কর্তৃক প্রদত্ত সকল আইনানুগ আদেশ মানিয়া চলিবেন এবং শিক্ষাধীনতা চুক্তির অধীন তাহার সকল দায়-দায়িত্ব পালন করিবেন;

(ঘ) তাহার প্রশিক্ষণের উন্নতি যাচাই করিবার জন্য সময় সময় গৃহীত কোন পরীক্ষা দিতে তিনি বাধ্য থাকিবেন;

(ঙ) তাহার সমশ্রেণীর শ্রমিকগণের ট্রেড ইউনিয়ন ব্যতীত অন্য কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য হইবেন না;

(চ) তাহার শিক্ষাধীনতা সম্পর্কে মালিকের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকিলে এবং মালিকের নিকট হইতে ইহার কোন প্রতিকার না পাইলে, তিনি প্রতিকারের জন্য যোগ্য কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন এবং এই সম্বন্ধে যোগ্য কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মানিয়া চলিবেন; এবং

(ছ) যোগ্য কর্তৃপক্ষের লিখিত পূর্ব অনুমোদন ব্যতিরেকে, তাহার শিক্ষাধীনতাকাল সমাপ্ত হওয়ার পর তিনি শিক্ষাধীনতা ছাড়িয়া যাইবেন না৷

(২) যদি কোন শিক্ষাধীন শ্রমিক তাহার শিক্ষাধীনতা চুক্তির শর্ত পালনে ব্যর্থ হন অথবা যদি শিক্ষাধীনতাকালের কোন সময়ে স্বেচ্ছায় শিক্ষাধীনতা ছাড়িয়া যান অথবা তাহার প্রশিক্ষণের উন্নতি সম্পর্কে অব্যাহত বিরূপ রিপোর্ট পাওয়া যায় অথবা অবাধ্যতা, বিধি লঙ্ঘন, কাজে অনুপস্থিতি, কর্তব্যে অবহেলা করেন, তাহা হইলে তিনি বা, ক্ষেত্রমত, তাহার পিতা বা অভিভাবক বা জামিনদার এককভাবে অথবা যৌথভাবে বিধি দ্বারা নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং শিক্ষাধীনতা কাজে তাহার জন্য ব্যয়িত অর্থ মালিককে ফেরত দিতে বাধ্য থাকিবেন৷

প্রবেশ, পরিদর্শন, ইত্যাদির ক্ষমতা

২৮১৷ যোগ্য কর্তৃপক্ষ-

(ক) প্রয়োজনীয় সহকারীসহ, কোন প্রতিষ্ঠানে বা উহার অংশ বিশেষে যে কোন যুক্তি সংগত সময়ে প্রবেশ করিতে, পরিদর্শন করিতে ও পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবে;

(খ) উক্ত প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কোন শিক্ষাধীন শ্রমিককে পরীক্ষা করিতে, অথবা এই অধ্যায় মোতাবেক রক্ষিত কোন রেজিস্টার, নথি বা দলিল-দস্তাবেজ পেশ করার নির্দেশ দিতে, এবং এই অধ্যায়ের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় বিবেচিত হইলে, কোন ব্যক্তির নিকট হইতে বক্তব্য বা বিবৃতি গ্রহণ করিতে পারিবে;

(গ) উক্ত প্রতিষ্ঠানে এই অধ্যায় এবং বিধির বিধান যথাযথভাবে পালিত হইতেছে কি না-ইহা দেখিবার জন্য প্রয়োজনীয় তদন্ত বা পরীক্ষা পরিচালনা করিতে পারিবে; এবং

(ঘ) বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্য কোন ক্ষমতাও প্রয়োগ করিতে পারিবে৷

ক্ষমতা অর্পণ

২৮২৷ এতদ্‌উদ্দেশ্যে প্রণীত বিধি সাপেক্ষে, যোগ্য কর্তৃপক্ষ লিখিত আদেশ দ্বারা ইহার সকল অথবা যে কোন ক্ষমতা তাহার অধঃস্তন যে কোন ব্যক্তি বা কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবে৷

ঊনবিংশ অধ্যায়

অপরাধ, দন্ড এবং পদ্ধতি

ধারা ৩৩-এর অধীন শ্রম আদালতের আদেশ অমান্য করার দণ্ড

২৮৩৷ কোন ব্যক্তি ধারা ৩৩-এর অধীন প্রদত্ত শ্রম আদালতের কোন আদেশ পালন করিতে অস্বীকার করিলে অথবা ব্যর্থ হইলে, তিনি তিন মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ডে, অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থ দণ্ডে, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

শিশু এবং কিশোর নিয়োগের জন্য দণ্ড

২৮৪৷ কোন ব্যক্তি কোন শিশু বা কিশোরকে চাকুরীতে নিযুক্ত করিলে, অথবা এই আইনের কোন বিধান লঙ্ঘন করিয়া কোন শিশু বা কিশোরকে চাকুরী করিবার অনুমতি দিলে, তিনি পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

ধারা ৩৫ লঙ্ঘন করিয়া শিশু সম্পর্ক কোন চুক্তি করার দন্ড

২৮৫৷ কোন শিশুর পিতা-মাতা বা অভিভাবক ধারা ৩৫-এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া কোন শিশু সম্পর্কে চুক্তি সম্পাদন করিলে, তিনি এক হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

মালিক কর্তৃক চতুর্থ অধ্যায়ের বিধান লংঘনের দন্ড

২৮৬৷ (১) কোন মালিক চতুর্থ অধ্যায়ের 204[ বিধান অনুযায়ী কোনো মহিলা শ্রমিককে প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা হইতে বঞ্চিত করিলে ], তিনি 205[ পঁচিশ হাজার] টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

(২) যে ক্ষেত্রে আদালত উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন অর্থদণ্ড আরোপ করে সে ক্ষেত্রে, আদালত উহার রায় প্রদানকালে আদায়কৃত দণ্ডের অর্থ সম্পূর্র্র্ণ বা উহার কোন অংশ সংশ্লিষ্ট মহিলাকে, যে কারণে উক্ত অর্থদণ্ড আরোপ করা হইয়াছে সে কারণ হইতে উদ্ভুত ক্ষতির জন্য, ক্ষতিপূরণ হিসাবে প্রদানের আদেশ দিতে পারিবে৷

206[ (৩) আদালত, উপ-ধারা (২) এর অতিরিক্ত হিসাবে, চতুর্থ অধ্যায়ের যে সুবিধা হইতে শ্রমিককে বঞ্চিত করা হইয়াছে, সেই সুবিধা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট মালিককে আদেশ প্রদান করিবে।]

অনুমোদিত অনুপস্থিতির সময়ে মঞ্জুরীরর বিনিময়ে কাজ করার দন্ড

২৮৭৷ কোন মহিলা, চতুর্থ অধ্যায়ের বিধি মোতাবেক তাহার মালিক কর্তৃক অনুমোদিত অনুপস্থিতিকালে, নগদ অর্থ অথবা জিনিসের বিনিময়ে কোন কাজ করিলে, তিনি এক হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

ধারা ৬৭ লঙ্ঘন করার দণ্ড

২৮৮৷ কোন ব্যক্তি ধারা ৬৭ এর বিধান মানা হয় নাই এরূপ শক্তি চালিত কোন যন্ত্রপাতি কোন প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য বিক্রি করিলে অথবা ভাড়া দিলে, অথবা কোন বিক্রেতা বা ভাড়াটিয়ার প্রতিনিধি হিসাবে উহা বিক্রি করিবার জন্য অথবা ভাড়া দেওয়ার জন্য সংগ্রহ করিলে, তিনি তিন মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে, অথবা এক হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

নিম্নতম মজুরী হারের কম হারে মজুরী প্রদানের দণ্ড

২৮৯৷ (১) কোন মালিক একাদশ অধ্যায়ের অধীন ঘোষিত নিম্নতম মজুরী হারের কম হারে কোন শ্রমিককে মজুরী প্রদান করিলে, তিনি এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডে, অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

(২) যে ক্ষেত্রে আদালত উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন দণ্ড আরোপ করে, সেক্ষেত্রে, আদালত উহার রায় প্রদানকালে, উক্তরূপ কোন লঙ্ঘন না হইলে সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে যে মজুরী প্রদেয় হইত এবং উক্তরূপ লঙ্ঘন করিয়া মজুরী হিসাবে যে অর্থ প্রদান করা হইয়াছে উহার পার্থক্যের পরিমাণ অর্থ তাহাকে প্রদান করিবার আদেশ দিতে পারিবে৷

দুর্ঘটনার নোটিশ প্রদানে ব্যর্থতার দন্ড

২৯০৷ কোন ব্যক্তি এই আইনের বিধান লঙ্ঘন করিয়া কোন দুর্ঘটনা সম্পর্কে নোটিশ দিতে ব্যর্থ হইলে তিনি, যদি দুর্ঘটনার কারণে সাংঘাতিক শারীরিক জখম হয়, তাহা হইলে এক হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন, অথবা যদি দুর্ঘটনার কারণে জীবন হানি ঘটে, তাহা হইলে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে, অথবা তিন হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

অসৎ শ্রম আচরণ বা এন্টি-ট্রেড ইউনিয়ন ডিসক্রিমিনেশনের দণ্ড

২৯১৷ 207[ (১) কোনো ব্যক্তি ধারা ১৯৫ বা ১৯৬ক এর কোনো বিধান লঙ্ঘন করিলে তিনি এক বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে, অথবা দশ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।]

(২) কোন শ্রমিক ধারা ১৯৬ এর কোন বিধান লঙ্ঘন করিলে, তিনি 208[ ছয় মাস] পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

(৩) কোন ট্রেড ইউনিয়ন অথবা শ্রমিক ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি, ধারা ১৯৬ এর কোন বিধান লঙ্ঘন করিলে তিনি 209[ এক বৎসর] পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা দশ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয হইবেন৷

নিষ্পত্তি, ইত্যাদি ভংগের দণ্ড

২৯২৷ কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন অবশ্য পালনীয় কোন নিষ্পত্তি, সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদ ভংগ করিলে, তিনি এক বত্সর পর্যন্ত কারাদণ্ডে, অথবা দশ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

নিষ্পত্তি, ইত্যাদি বাস্তবায়নে ব্যর্থতার দন্ড

২৯৩৷ এই আইনের অধীন কোন নিষ্পত্তি, সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদ বাস্তবায়নের জন্য দায়ী কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে উহা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হইলে, তিনি দুই বত্সর পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা দশ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

বেআইনী ধর্মঘট বা লক-আউটের দণ্ড

২৯৪৷ (১) কোন শ্রমিক কোন বেআইনী ধর্মঘট শুরু করিলে, অথবা চালাইয়া গেলে, অথবা উহাকে আগাইয়া নেওয়ার জন্য কোন কাজ করিলে, তিনি 210[ ছয় মাস] পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

(২) কোন মালিক কোন বেআইনী লক-আউট শুরু করিলে অথবা চালাইয়া গেলে, অথবা উহাকে আগাইয়া নেওয়ার জন্য কোন কাজ করিলে, তিনি 211[ ছয় মাস] পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

বেআইনী ধর্মঘট বা লক-আউটে প্ররোচিত করার দন্ড

২৯৫৷ কোন ব্যক্তি কোন বেআইনী ধর্মঘট বা লক-আউটে অংশ গ্রহণের জন্য অথবা উহার জন্য অর্থ খরচ বা সরবরাহের জন্য অথবা অন্য কোন ভাবে উহাকে আগাইয়া নেওয়ার জন্য কোন ব্যক্তিকে প্ররোচিত বা উত্সাহিত করিলে, তিনি 212[ ছয় মাস] পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

ঢিমে তালের কাজে অংশ গ্রহণ বা প্ররোচনার দন্ড

২৯৬৷ কোন ব্যক্তি কোন ঢিমে তালের কাজে অংশগ্রহণ করলে অথবা অন্য কোন ব্যক্তিকে উহাতে অংশ গ্রহণে প্ররোচিত বা উত্সাহিত করিলে অথবা অন্য কোন ভাবে উহাকে আগাইয়া নেওয়ার জন্য কোন কাজ করিলে, তিনি 213[ ছয় মাস] পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

ধারা ২২৮(২) লংঘনের দণ্ড

২৯৭৷ কোন মালিক ধারা ২২৮ (২) এর বিধান লঙ্ঘন করিলে তিনি এক বত্সর পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

ভবিষ্য তহবিল এবং ট্রেড ইউনিয়ন তহবিলের অর্থ আত্মসাৎ এর দন্ড

২৯৮৷ (১) কোন ব্যক্তি শ্রমিকগণের কোন ভবিষ্য তহবিলের অর্থ আত্মসাত্ করিলে, তছরূপ করিলে অথবা অসত্ উদ্দেশ্যে নিজের কাজে ব্যয় করিলে, তিনি তিন বত্সর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং অধিকন্তু তিনি অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷

ব্যাখ্যাঃ কোন মালিক তাহার প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকগণের কোন ভবিষ্য তহবিলের তাহার প্রদেয় চাঁদা অথবা তত্কর্তৃক শ্রমিকগণের মজুরী হইতে কর্তীত উক্ত তহবিলের চাঁদা তিন মাসের অধিক সময় পর্যন্ত, শ্রম পরিচালকের সন্তোষমত কোন যুক্তিসংগত কারণ ব্যতীত, যথা সময়ে উক্ত তহবিলে জমা করিতে ব্যর্থ হইলে, তিনি উক্ত তহবিলের টাকা আত্মসাত্ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন৷

(২) শ্রমিকগণের অথবা মালিকগণের কোন ট্রেড ইউনিয়নের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী উক্ত ট্রেড ইউনিয়নের তহবিলের অর্থ আত্মসাত্ করিলে, তছরূপ করিলে অথবা অসত্ উদ্দেশ্যে নিজের কাজে ব্যয় করিলে, তিনি এক বত্সর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং অধিকন্তু তিনি অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷

(৩) এই ধারার অধীন আরোপিত অর্থদণ্ড, যে পরিমাণ অর্থ অভিযুক্ত ব্যক্তি আত্মসাত্ বা তছরূপ বা নিজ কাজে ব্যয় করিয়াছেন বলিয়া আদালত প্রমাণ পাইবে, সে পরিমাণ হইতে পারিবে এবং অর্থ দণ্ডের টাকা আদায় হওয়ার পর আদালত উহা সংশ্লিষ্ট তহবিলে পূরণ করিয়া দিবে৷

অ-রেজিস্ট্রিকৃত ট্রেড ইউনিয়নের কর্মকান্ডের দন্ড

২৯৯৷ কোন ব্যক্তি অ-রেজিস্ট্রিকৃত অথবা রেজিস্ট্রি বাতিল হইয়াছে এমন কোন ট্রেড ইউনিয়নের, রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্তি সংক্রান্ত কোন কর্মকান্ড ব্যতীত, অন্য কোন কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করিলে অথবা অন্য কোন ব্যক্তিকে উক্তরূপ কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণের জন্য উত্সাহিত বা প্ররোচিত করিলে অথবা উক্তরূপ কোন ট্রেড ইউনিয়নের তহবিলের জন্য সদস্য চাঁদা ব্যতীত অন্য কোন চাঁদা আদায় করিলে, তিনি 214[ তিন মাস] পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা দুই হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

ট্রেড ইউনিয়নের দ্বৈত সদস্য পদের দণ্ড

৩০০৷ কোন ব্যক্তি একই সময়ে একাধিক ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য হইলে বা থাকিলে, তিনি 215[ এক মাস] পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা দুই হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

ধারা ২১০(৭) না মানার দণ্ড

৩০১৷ কোন ব্যক্তি সালিসের সন্তোষমত ব্যতীত, অন্য কোন কারণে ধারা ২১০(৭) এর বিধান মানিতে ব্যর্থ হইলে, তিনি 216[ তিন মাস] পর্যন্ত কারাদণ্ডে, অথবা দুই হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

মিথ্যা সক্ষমতা প্রত্যয়নপত্র ব্যবহারের দন্ড

৩০২৷ কোন ব্যক্তি এই আইনের কোন বিধানের অধীন অন্য কোন ব্যক্তিকে প্রদত্ত কোন সক্ষমতা পত্র নিজের বরাবরে প্রদত্ত সক্ষমতাপত্র হিসাবে সজ্ঞানে ব্যবহার করিলে বা ব্যবহারের চেষ্টা করিলে, অথবা অন্য কোন ব্যক্তিকে সজ্ঞানে উহা ব্যবহার করিতে অথবা ব্যবহারের চেষ্টা করিতে অনুমতি দিলে, তিনি তিন মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে, অথবা এক হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

মিথ্যা বিবরণ, ইত্যাদির দণ্ড

৩০৩৷ কোন ব্যক্তি-

(ক) বস্তুগত ভুল বলিয়া জানেন বা জানার কারণ আছে এরূপ কোন বর্ণনা প্রতারণার উদ্দেশ্যে এই আইন বা কোন বিধি, বিধান বা প্রবিধান বা স্কীমের অধীন রক্ষণীয় কোন রেজিস্টার, নোটিশ, নথি অথবা অন্য কোন দলিল-দস্তাবেজে লিপিবদ্ধ করিলে;

(খ) উক্তরূপ কোন রেজিস্টার, নোটিশ, নথি বা অন্য কোন দলিল-দস্তাবেজে লিপিবদ্ধ করার প্রয়োজন আছে-এরূপ কোন বিষয় উহাতে ইচ্ছাকৃতভাবে লিপিবদ্ধ করা হইতে বাদ রাখিলে অথবা বাদ রাখার অনুমতি দিলে;

(গ) উক্তরূপ কোন রেজিস্টার, নোটিশ, নথি বা অন্য কোন দলিল-দস্তাবেজের অফিস কপি ব্যতীত একাধিক কপি রক্ষণ করিলে;

(ঘ) বস্তুগত ভুল বলিয়া জানেন বা জানার কারণ আছে এরূপ কোন দরখাস্ত, নক্‌শা, নথি, বিবরণ, তথ্য, রিপোর্ট, নোটিশ অথবা অন্য কোন দলিল-দস্তাবেজ এই আইন অথবা কোন বিধি, বিধান, প্রবিধান বা কোন স্কীমের অধীন কোন কর্মকর্তা বা কর্তৃপক্ষের নিকট ইচ্ছাকৃতভাবে পাঠাইলে বা পাঠাইবার অনুমতি দিলে; অথবা

(ঙ) এই আইন অথবা কোন বিধি, বিধান, প্রবিধান বা স্কীমের অধীন রক্ষণীয় বা প্রেরিতব্য কোন নক্‌শা, তালিকা, নথি, রেজিস্টার, তথ্য, রিপোর্ট অথবা অন্য কোন দলিল-দস্তাবেজ ইচ্ছাকৃতভাবে রক্ষণ করিতে অথবা প্রেরণ করিতে ব্যর্থ হইলে অথবা গাফিলতি করিলে; তিনি ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে, অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

অন্যায়ভাবে তথ্য প্রকাশের দণ্ড

৩০৪৷ কোন ব্যক্তি এই আইনের বিধান লঙ্ঘন করিয়া তাহার সরকারী দায়িত্ব পালনকালে তাহার গোচরীভূত হইয়াছে এরূপ নির্মাণ বা ব্যবসা সংক্রান্ত কোন গোপনীয় তথ্য অথবা এই আইনের অধীন কোন পরীক্ষার ফল প্রকাশ করিয়া দিলে, তিনি ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে, অথবা দুই হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

শ্রমিকগণের সাধারণ অপরাধের দণ্ড

৩০৫৷ এই আইনের অন্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, কোন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কোন শ্রমিক তাহার উপর দায়িত্ব বা কর্তব্য আরোপকারী কোন আইন বা কোন বিধি, প্রবিধান বা স্কীম বা কোন বিধিসম্মত আদেশের কোন বিধান লঙ্ঘন করিলে, তিনি পাঁচশত টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

বাধা প্রদানের দণ্ড

৩০৬। (১) কোন ব্যক্তি এই আইন বা বিধি, প্রবিধান বা স্কীমের অধীন দায়িত্ব পালনরত কোন কর্মকর্তাকে উহার অধীন তাহার দায়িত্ব বা কর্তব্য পালনে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা প্রদান করিলে অথবা উক্তরূপ কোন ব্যক্তিকে কোন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে উহার অধীন প্রয়োজনীয় বা অনুমোদিত কোন প্রবেশ, তদন , পরীক্ষা বা পরিদর্শন করিবার জন্য যুক্তিসংগত সুযোগ দিতে ইচ্ছাকৃতভাবে অস্বীকার করিলে বা অবহেলা করিলে, তিনি 217[218[ছয় মাস] পর্যন্ত] কারাদণ্ডে, অথবা 219[220[পঁচিশ হাজার] টাকা পর্যন্ত] অর্থদণ্ডে, অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত দায়িত্ব পালনরত কোন কর্মকর্তার তলব অনুযায়ী তাহার সম্মুখে এই আইন বা কোন বিধি, প্রবিধান বা স্কীম মোতাবেক রক্ষিত কোন রেজিস্টার, নথি বা দলিল-দস্তাবেজ হাজির করিতে ইচ্ছাকৃতভাবে অস্বীকার করিলে বা ব্যর্থ হইলে অথবা উক্তরূপ দায়িত্ব পালনরত কোন কর্মকর্তার সম্মুখে কোন ব্যক্তিকে হাজির হইতে বা তাহার জবানবন্দী গ্রহণ করিতে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা দিলে বা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করিলে, তিনি তিন মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে, অথবা 221[ দশ হাজার] টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

অন্যান্য অপরাধের দণ্ড

৩০৭। কোন ব্যক্তি এই আইন বা কোন বিধি, প্রবিধান বা স্কীমের কোন বিধান লংঘন করিলে বা মানিতে ব্যর্থ হইলে, এবং ইহার জন্য উহাতে অন্য কোন দণ্ডের বিধান না থাকিলে, তিনি 222[223[পঁচিশ হাজার] টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে] দণ্ডনীয় হইবেন।

পূর্ব দণ্ডাজ্ঞার পর বর্ধিত দণ্ড

৩০৮৷ এই আইন বা কোন বিধি, প্রবিধান বা স্কীমের অধীন কোন অপরাধের জন্য দণ্ডাজ্ঞা প্রাপ্ত কোন ব্যক্তি পুনরায় উক্তরূপ কোন অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হইলে, তিনি তাহার দ্বিতীয়বার অপরাধের ক্ষেত্রে উহার জন্য নির্ধারিত দণ্ডের দ্বিগুণ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার উদ্দেশ্যে দ্বিতীয় বারের অপরাধ প্রথম দণ্ডাজ্ঞার দুই বত্সর পর সংঘটিত হইলে, প্রথম দণ্ডাজ্ঞার বিষয় বিবেচনায় আনা হইবে না৷

বিপজ্জনক পরিণতিসম্পন্ন আইন লংঘনের দন্ড

৩০৯৷ (১) এই অধ্যায়ের অন্যত্র যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যক্তি এই আইন বা কোন বিধি, প্রবিধান বা স্কীমের কোন বিধান লঙ্ঘন করিলে, তিনি-

(ক) যদি উক্ত লংঘনের কারণে প্রাণহানী হয় তাহা হইলে চার বত্সর পর্যন্ত কারাদণ্ডে, অথবা এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে;

(খ) যদি উক্ত লংঘনের কারণে সাংঘাতিক শারীরিক জখম হয় তাহা হইলে, দুই বত্সর পর্যন্ত কারাদণ্ডে, অথবা দশ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন; অথবা

(গ) যদি উক্ত লংঘনের কারণে কোন প্রতিষ্ঠানে কোন শ্রমিক বা অন্য কোন ব্যক্তি অন্যভাবে জখমপ্রাপ্ত হন বা তাহার অন্য কোন বিপদ সৃষ্টি হয় তাহা হইলে, ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে, অথবা দুই হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

(২) কোন আদালত এই ধারার অধীন অর্থদণ্ডের আদেশ প্রদানকালে দণ্ডের আদায়কৃত অর্থের সম্পূর্র্র্ণ বা কোন অংশ ক্ষতিপূরণ হিসাবে জখম প্রাপ্ত ব্যক্তিকে অথবা, তাহার মৃত্যু হইলে, তাহার আইনগত প্রতিনিধকে প্রদানের জন্য আদেশ দিতে পারিবে৷

(৩) এই আইন বা কোন বিধি, প্রবিধান বা স্কীমের উক্তরূপ লংঘনের জন্য উচ্চতর কোন শাস্তির ব্যবস্থা থাকিলে ইহার ক্ষেত্রে এই ধারার কোন কিছুই প্রযোজ্য হইবে না৷

আদালতের কতিপয় আদেশ প্রদানের ক্ষমতা

৩১০৷ (১) এই আইন বা কোন বিধি, প্রবিধান বা স্কীমের অধীন কোন অপরাধের জন্য কোন প্রতিষ্ঠানের মালিকের দণ্ড হইলে, আদালত লিখিত আদেশ দ্বারা, দণ্ডের অতিরিক্ত হিসাবে, যে কারণে অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে সে কারণ দূরীভূত করিবার জন্য, আদেশে উল্লিখিত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে, যাহা কোন দরখাস্তের ভিত্তিতে বর্ধিত করা যাইবে, উহাতে উল্লিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার জন্য তাহাকে নির্দেশ দিতে পারিবে৷

(২) যে ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন আদেশ প্রদান করা হয় সেক্ষেত্রে, প্রতিষ্ঠানের মালিক আদেশের নির্দিষ্ট সময়ে বা বর্ধিত সময়ে উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত কোন অপরাধ, যাহার জন্য তাহার দণ্ড হইয়াছে, অব্যাহতভাবে করিয়া যাইবার জন্য দণ্ডনীয় হইবেন না৷

(৩) যদি উক্ত সময়ের মধ্যে উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ পুরাপুরিভাবে পালন করা না হয় তাহা হইলে মালিক, উক্ত সময় শেষ হইবার পর, আরও অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং ইহার জন্য তিনি ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে, অথবা দুই হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

বয়স প্রমাণের দায়িত্ব

৩১১৷ (১) কোন ব্যক্তি কোন নির্দিষ্ট বয়সের কম বা বেশী বয়সী হওয়ার কারণে তাহার কোন কাজ যদি এই আইনের অধীনে দণ্ডযোগ্য অপরাধ হয় এবং যদি আদালতের মতে উক্ত ব্যক্তি দৃশ্যতঃ উক্তরূপ বয়সের উপরে বা নীচে হন তাহা হইলে তিনি উক্তরূপ বয়সের উপরে বা নীচের বয়সী নহেন ইহা প্রমাণের ভার অভিযুক্ত ব্যক্তির উপর বর্তাইবে৷

(২) কোন রেজিষ্টার্ড চিকিত্সক যদি এই মর্মে প্রত্যয়নপত্র প্রদান করেন যে, তিনি কোন শ্রমিককে পরীক্ষা করিয়াছেন এবং তিনি বিশ্বাস করেন যে, ইহাতে উল্লিখিত বয়সই তাহার বয়স তাহা হইলে, এই আইনের উদ্দেশ্যে, উক্ত প্রত্যয়নপত্র উক্ত শ্রমিকের বয়স সম্পর্কে চূড়ান্ত প্রমাণ বলিয়া গণ্য হইবে৷

কোম্পানী, ইত্যাদির অপরাধ

৩১২৷ যে ক্ষেত্রে এই আইন বা কোন বিধি, প্রবিধান বা স্কীমের অধীন কোন অপরাধী কোন কোম্পানী বা অন্য কোন সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা কোন ফার্ম হয় সে ক্ষেত্রে, উহার কাজ কর্ম পরিচালনার ব্যাপারে সক্রিয়ভাবে জড়িত উহার প্রত্যেক পরিচালক, অংশীদার, ব্যবস্থাপক, সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তা বা প্রতিনিধি উক্ত অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, অপরাধটি তাহার জ্ঞাতসারে বা সম্মতিক্রমে হয় নাই বা ইহা রোধের জন্য তিনি সাধ্যমত চেষ্টা করিয়াছিলেন৷

অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ

৩১৩৷ (১) শ্রম আদালত ব্যতীত অন্য কোন আদালত এই আইন বা কোন বিধি, প্রবিধান বা স্কীমের অধীন কোন অপরাধের বিচার করিবে না৷

(২) নিম্নলিখিত ব্যক্তিগণের অভিযোগ ব্যতীত, কোন শ্রম আদালত এই আইন বা কোন বিধি, প্রবিধান বা স্কীমের অধীন কোন অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিবে না, যথাঃ-

(ক) সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা সংক্ষুব্ধ ট্রেড ইউনিয়ন;

(খ) ত্রয়োদশ অধ্যায় বা ধারা ২৯৮ 224[বা ৩০১] এর অধীন কোন অপরাধের ক্ষেত্রে, শ্রম পরিচালক;

(গ) সপ্তদশ অধ্যায়ের অধীন কোন অপরাধের ক্ষেত্রে, ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অথবা ভবিষ্য তহবিল নিয়ন্ত্রক;

(ঘ) অষ্টাদশ অধ্যায়ের অধীন কোন অপরাধের ক্ষেত্রে, যোগ্য কর্তৃপক্ষ;

(ঙ) অন্য কোন অপরাধের ক্ষেত্রে, প্রধান পরিদর্শক, অথবা তাহাদের অধীন এতদ্‌উদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা৷

অভিযুক্তি তামাদি

৩১৪৷ এই আইন বা কোন বিধি, প্রবিধান বা স্কীমে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, ইহাদের অধীন কোন অপরাধ কোন শ্রম আদালত বিচারার্থ গ্রহণ করিবে না যদি না তত্সম্পর্কে অভিযোগ অপরাধ সংগঠিত হইবার ছয় মাসের মধ্যে পেশ করা হয়৷

অপরাধের রিপোর্ট

৩১৫৷ কোন ব্যক্তি কর্তৃক এই আইন বা কোন বিধি, প্রবিধান বা স্কীমের লঙ্ঘন বা ইহা মানিয়া চলিতে অস্বীকৃতি সম্পর্কে শ্রম পরিচালক, প্রধান পরিদর্শক অথবা ভবিষ্য তহবিল নিয়ন্ত্রক, অথবা তাহাদের কোন অধস্তন কর্মকর্তার নিকট অবগতির জন্য বা যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণের জন্য রিপোর্ট করা যাইবে৷

মামলা প্রত্যাহার

৩১৬৷ যে ব্যক্তির অভিযোগে এই আইন বা কোন বিধি, প্রবিধান বা স্কীমের অধীন কোন মামলা শুরু হইয়াছে সে ব্যক্তির দরখাস্ত ব্যতীত উক্ত মামলা প্রত্যাহার করা যাইবে নাঃ

তবে শর্ত থাকে যে, শ্রম পরিচালক বা প্রধান পরিদর্শক বা ভবিষ্য তহবিল নিয়ন্ত্রক এর অনুমতি ব্যতিরেকে তাহাদের অধস্তন কোন কর্মকর্তা কর্তৃক দায়েরকৃত কোন মামলা প্রত্যাহার করা যাইবে না৷

বিংশ অধ্যায়

প্রশাসন, পরিদশর্ন, ইত্যাদি

শ্রম পরিচালক, ইত্যাদি

৩১৭৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্যে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, একজন শ্রম পরিচালক নিযুক্ত করিবে এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক অতিরিক্ত শ্রম পরিচালক, যুগ্ম-শ্রম পরিচালক, 225[ উপ শ্রম পরিচালক, সহকারী শ্রম পরিচালক এবং শ্রম কর্মকর্তা] নিযুক্ত করিতে পারিবে৷

(২) যে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শ্রম পরিচালক, যুগ্ম-শ্রম পরিচালক, 226[ উপ শ্রম পরিচালক, সহকারী শ্রম পরিচালক বা শ্রম কর্মকর্তা] নিযুক্ত করা হয় সে ক্ষেত্রে সরকার উক্ত প্রজ্ঞাপনে এই আইনের অধীন তাহাদের প্রত্যেকের কর্মক্ষেত্র বা এলাকা নির্ধারণ করিয়া দিবে৷

(৩) সকল অতিরিক্ত শ্রম পরিচালক, যুগ্ম-শ্রম পরিচালক, 227[ উপ শ্রম পরিচালক, সহকারী শ্রম পরিচালক এবং শ্রম কর্মকর্তার] উপর শ্রম পরিচালকের তত্ত্বাবধান এবং নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা থাকিবে৷

(৪) শ্রম পরিচালকের নিম্নরূপ ক্ষমতা ও দায়িত্ব থাকিবে, যথাঃ-

(ক) ত্রয়োদশ অধ্যায়ের অধীন ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রিকরণ এবং এতদ্‌উদ্দেশ্যে রেজিস্টার রক্ষণ;

(খ) কোন অপরাধের জন্য বা অসৎ শ্রম আচরণের জন্য 228[ বা এন্টি-ট্রেড ইউনিয়ন ডিসক্রিমিনেশনের জন্য] অথবা ত্রয়োদশ অধ্যায়ের কোন বিধান ভংগের জন্য শ্রম আদালতে অভিযোগ পেশকরণ;

(গ) কোন প্রতিষ্ঠান/প্রতিষ্ঠানপুঞ্জ সম্পর্কে কোন্‌ ট্রেড ইউনিয়ন যৌথ দর কষাকষি প্রতিনিধি হিসাবে প্রত্যায়িত হইবার অধিকারী তাহা নির্ধারণ;

(ঘ) ট্রেড ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন এবং কোন গোপন নির্বাচন তত্ত্বাবধান;

(ঙ) কোন শিল্প বিরোধে সালিস হিসাবে কর্তব্য পালন;

(চ) অংশগ্রহণকারী কমিটির কাজ কর্ম তত্ত্বাবধান; এবং

(ছ) এই আইন বা বিধি দ্বারা অর্পিত অন্য কোন দায়িত্ব পালন৷

(৫) শ্রম পরিচালক লিখিত সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, তাহার কোন ক্ষমতা বা দায়িত্ব কোন অতিরিক্ত শ্রম পরিচালক, যুগ্ম-শ্রম পরিচালক, 229[ উপ শ্রম পরিচালক, সহকারী শ্রম পরিচালক বা শ্রম কর্মকর্তার] উপর অর্পণ করিতে পারিবেন৷

প্রধান পরিদর্শক, ইত্যাদি

৩১৮৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্যে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, একজন প্রধান পরিদর্শক নিযুক্ত করিবে এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক উপ-প্রধান পরিদর্শক, 230[সহকারী প্রধান পরিদর্শক, পরিদর্শক অথবা সহকারী পরিদর্শক] নিযুক্ত করিতে পারিবে৷

(২) যেক্ষেত্রে উপ-প্রধান পরিদর্শক, 231[সহকারী প্রধান পরিদর্শক, পরিদর্শক অথবা সহকারী পরিদর্শক] নিযুক্ত করা হয় সেক্ষেত্রে, সরকার উক্ত প্রজ্ঞাপনে এই আইনের অধীন তাহাদের প্রত্যেকের কর্মক্ষেত্র বা এলাকা বা এখতিয়ারাধীন প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করিয়া দিবে৷

(৩) প্রধান পরিদর্শকের এই আইনের অধীন তাহাকে প্রদত্ত ক্ষমতা ছাড়াও সমগ্র দেশে একজন পরিদর্শকের ক্ষমতা থাকিবে৷

(৪) সকল উপ-প্রধান পরিদর্শক, 232[সহকারী প্রধান পরিদর্শক, পরিদর্শক এবং সহকারী পরিদর্শকের] উপর প্রধান পরিদর্শকের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা থাকিবে৷

(৫) প্রধান পরিদর্শক, লিখিত সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, তাহার কোন ক্ষমতা বা দায়িত্ব কোন উপ-প্রধান পরিদর্শক, 233[সহকারী প্রধান পরিদর্শক, পরিদর্শক বা সহকারী পরিদর্শকের] উপর অর্পণ করিতে পারিবেন৷

(৬) মার্কেন্টাইল মেরীন ডিপার্টমেন্টের সকল প্রিন্সিপাল অফিসার তাহাদের এখতিয়ারাধীন এলাকায় ষষ্ঠ অধ্যায়ের অধীন প্রণীত প্রবিধানের উদ্দেশ্যে পদাধিকারাধীন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শক হইবেন৷

প্রধান পরিদর্শক, ইত্যাদির ক্ষমতা ও দায়িত্ব

৩১৯৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্যে, প্রধান পরিদর্শক বা কোন উপ-প্রধান পরিদর্শক, 234[সহকারী প্রধান পরিদর্শক, পরিদর্শক বা সহকারী পরিদর্শকের], তাহাদের এখতিয়ারাধীন এলাকায়, নিম্নরূপ ক্ষমতা বা দায়িত্ব থাকিবে, যথাঃ-

(ক) প্রয়োজনীয় সহকারী সহকারে, তাহার বিবেচনায় কোন প্রতিষ্ঠান হিসাবে গণ্য বা ব্যবহৃত কোন স্থান, আংগিনা, নৌযান বা যানবাহনে যে কোন যুক্তিসংগত সময়ে প্রবেশ, পরিদর্শন এবং পরীক্ষা কার্য পরিচালনা;

(খ) এই আইন বা কোন বিধি, প্রবিধান বা স্কীম মোতাবেক রক্ষিত কোন রেজিস্টার, রেকর্ড, নথিপত্র, নোটিশ, প্রত্যয়নপত্র বা অন্য কোন দলিল-দস্তাবেজ তলব করা, এবং ইহা আটক, পরিদর্শন বা পরীক্ষা করা বা ইহার নকল করা;

(গ) কোন প্রতিষ্ঠান বা উহাতে নিযুক্ত কোন শ্রমিক সম্পর্কে এই আইন বা কোন বিধি, প্রবিধান বা স্কীমের কোন বিধান যথাযথভাবে মানা হইতেছে কিনা ইহা নির্ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান বা পরীক্ষণ;

(ঘ) কোন প্রতিষ্ঠানে পাওয়া গিয়াছে বা কোন প্রতিষ্ঠানে অব্যবহিত পূর্ববর্তী দুই মাসের মধ্যে চাকুরীতে নিযুক্ত ছিলেন বা আছেন বলিয়া বিশ্বাস এরূপ কোন লোকের এই আইন বা কোন বিধি, প্রবিধান বা স্কীম সম্পর্কিত কোন বিষয়ে জবানবন্দী গ্রহণ;

(ঙ) জবানবন্দী বা পরীক্ষা গ্রহণ করা হইয়াছে এরূপ প্রত্যেক ব্যক্তির নিকট হইতে সত্যতা প্রতিপাদনের জন্য জবানবন্দী বা পরীক্ষা সংক্রান্ত রেকর্ড বা কাগজপত্রে স্বাক্ষর গ্রহণ;

(চ) প্রয়োজন হইলে কোন মালিক কর্তৃক রক্ষিত কোন রেজিস্টার, রেকর্ড, প্রত্যয়নপত্র, নোটিশ বা অন্য কোন দলিল-দস্তাবেজ সম্বন্ধে তাহার বা তত্কর্তৃক নিযুক্ত কোন ব্যক্তির নিকট হইতে কৈফিয়ত্ বা ব্যাখ্যা তলব করা; এবং

(ছ) এই আইন বা কোন বিধি দ্বারা আরোপিত অন্য কোন ক্ষমতা প্রয়োগ বা দায়িত্ব সম্পাদন৷

(২) এই আইন বা কোন বিধি, প্রবিধান বা স্কীমের অধীন ক্ষমতা প্রয়োগ বা দায়িত্ব পালনের জন্য প্রয়োজনীয় কোন প্রবেশ, পরিদর্শন, পরীক্ষণ, অনুসন্ধান বা অন্য কোন কাজ করার জন্য সকল পন্থা বা ব্যবস্থা পরিদর্শকের তলব অনুযায়ী কোন প্রতিষ্ঠানের মালিককে করিতে হইবে৷

(৩) প্রত্যেক মালিককে এই আইন বা কোন বিধি, প্রবিধান বা স্কীমের উদ্দেশ্যে, সকল রেকর্ড, রেজিস্টার, এবং অন্য কোন দলিল-দস্তাবেজ পরীক্ষার জন্য পরিদর্শকের নিকট তাহার তলব অনুযায়ী হাজির করিতে হইবে, এবং উক্ত পরিদর্শকের চাহিদা অনুযায়ী তত্সম্পর্কে অন্য কোন তথ্যও সরবরাহ করিতে হইবে৷

(৪) এই আইন বা কোন বিধি, প্রবিধান বা স্কীমের প্রয়োগ সংক্রান্ত কোন ব্যাপারে ইহার অধীন দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনে কোন পরিদর্শক কোন মালিকের নিকট হইতে কোন রেকর্ড, রেজিস্টার, বা অন্য কোন দলিল-দস্তাবেজ তলব করিতে এবং ইহা আটক করিতে পারিবেন৷

(৫) প্রধান পরিদর্শক, অথবা তাহার নিকট হইতে এতদ্‌উদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত তাহার অধস্তন কোন কর্মকর্তা, এই আইন বা কোন বিধি, প্রবিধান বা স্কীমের অধীন, তাহার এখতিয়ারাধীন কোন বিষয়ে, কোন অপরাধের জন্য কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে অভিযোগ পেশ করিতে পারিবেন৷

235[(৬) প্রধান পরিদর্শক বা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত তাহার অধীনস্থ কোন কর্মকর্তা, কারখানা কিংবা শিল্প প্রতিষ্ঠান এর নকশা অনুমোদন, লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন, শ্রেণী পরিবর্তন ও সম্প্রসারণের অনুমতি প্রদান ইত্যাদী সকল ক্ষেত্রে সরেজমিনে পরিদর্শনপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন ।]

চা-বাগান শ্রমিক ভবিষ্য তহবিল নিয়ন্ত্রক

৩২০৷ (১) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, চা-বাগান শ্রমিক ভবিষ্য তহবিলের জন্য একজন ভবিষ্য তহবিল নিয়ন্ত্রক নিযুক্ত করিবে৷

(২) উক্ত নিয়ন্ত্রক উক্ত তহবিলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হইবেন৷

(৩) ট্রাস্টি বোর্ডের সাধারণ তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণে উক্ত নিয়ন্ত্রক তাহার দায়িত্ব পালন করিবেন এবং তিনি উক্ত বোর্ডের সচিবের দায়িত্বও পালন করিবেন৷

(৪) উক্ত নিয়ন্ত্রক ট্রাস্টি বোর্ডের সভায় অংশ গ্রহণ করিতে পারিবেন, কিন্তু ভোট দিতে পারিবেন না৷

(৫) উক্ত নিয়ন্ত্রক ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের সহিত পরামর্শক্রমে বোর্ডের সভা আহ্বান করিবেন এবং সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ ও রক্ষণ করিবেন৷

(৬) উক্ত নিয়ন্ত্রক ট্রাস্টি বোর্ডের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন৷

(৭) উক্ত নিয়ন্ত্রক, প্রয়োজন মনে করিলে, কোন চা-বাগান মালিকের নিকট হইতে উক্ত ভবিষ্য তহবিল সম্পর্কে হিসাব তলব করিতে পারিবেন৷

(৮) উক্ত নিয়ন্ত্রক অথবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি, যে কোন যুক্তি সংগত সময়ে নোটিশ প্রদান করিয়া, কোন চা-বাগানে অথবা তত্সংক্রান্ত কোন বাড়ী-ঘরে প্রবেশ করিতে পারিবেন এবং উহার দায়িত্বে নিয়োজিত কোন ব্যক্তির নিকট হইতে চা-বাগানের শ্রমিকগণের নিয়োগ বা মজুরী পরিশোধ সম্পর্কে কোন হিসাবপত্র, রেজিস্টার, অথবা অন্য কোন দলিল-দস্তাবেজ তাহার পরীক্ষার জন্য তলব করিতে পারিবেন৷

(৯) উক্ত নিয়ন্ত্রক, বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি, কোন মালিক বা তাহার কোন কর্মকর্তা, কর্মচারী বা প্রতিনিধকে অথবা চা-বাগান বা তত্ম্পর্কিত কোন বাড়ী-ঘরের দায়িত্বে নিয়োজিত কোন ব্যক্তি অথবা উক্ত চা-বাগানে শ্রমিক বা শ্রমিক ছিল বলিয়া তাহার মনে হয় এরূপ কোন ব্যক্তিকে উপ-ধারা (৮) এ উল্লিখিত কোন বিষয়ে পরীক্ষা করিতে পারিবেন৷

(১০) উক্ত নিয়ন্ত্রক বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্য কোন ক্ষমতাও প্রয়োগ করিতে পারিবেন৷

হিসাব ও নিরীক্ষা

৩২১৷ (১) সরকার কর্তৃক নির্দেশিত পন্থায় ও ফরমে কোন বোর্ড উহার হিসাব রক্ষণ করিবে৷

(২) কোন বোর্ডের আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রত্যেক বত্সর মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা হিসাব নিরীক্ষক বলিয়া উল্লিখিত, কর্তৃক তাহার নির্ধারিত পন্থায় নিরীক্ষিত হইবে৷

(৩) নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে, মহা হিসাব নিরীক্ষক অথবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি বোর্ডের সকল রেকর্ড, বই, হিসাবপত্র, ক্যাশ, ভান্ডার, দলিল-দস্তাবেজ অথবা অন্য কোন সম্পত্তি পরিদর্শন করিতে পারিবেন এবং বোর্ডের কোন সদস্য বা কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর জবানবন্দী গ্রহণ করিতে পারিবেন৷

(৪) বোর্ড উক্তরূপ নিরীক্ষাকালে উহার সকল হিসাবের বই এবং সংশ্লিষ্ট দলিল-দস্তাবেজ মহা-হিসাব নিরীক্ষান্তে বা নিরীক্ষারত কর্মকর্তার নিকট হাজির করিবে এবং তাহার তলব অনুযায়ী তথ্য সরবরাহ বা ব্যাখ্যা প্রদান করিবে৷

(৫) মহা-হিসাব নিরীক্ষক তাহার নিরীক্ষা রিপোর্ট বোর্ডের নিকট পেশ করিবেন এবং ইহার একটি কপি সরকারের নিকট প্রেরণ করিবেন৷

(৬) নিরীক্ষা রিপোর্টে উল্লিখিত কোন ত্রুটি বা অনিয়ম অবিলম্বে সংশোধন করিবার জন্য বোর্ড ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে৷

(৭) সরকার যে কোন সময়ে বোর্ডের আর্থিক অবস্থা সম্বন্ধে ইহার নিকট রিপোর্ট প্রদানের জন্য মহা-হিসাব নিরীক্ষককে বলিতে পারিবে৷

(৮) এই ধারায়, বোর্ড বলিতে, “ডক শ্রমিক ব্যবস্থাপনা বোর্ড” বা “চা-বাগান শ্রমিক ভবিষ্য তহবিল ট্রাস্টি বোর্ড” কে বুঝাইবে৷

রিপোর্ট, ইত্যাদি

৩২২৷ (১) ধারা ৩২১ এ উল্লিখিত কোন বোর্ড, উহার প্রত্যেক অর্থ বত্সর শেষ হইবার পর যতশীঘ্র সম্ভব, মহা-হিসাব নিরীক্ষক কর্তৃক নিরীক্ষিত উহার আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং তত্সহ উক্ত বত্সরে উহার কর্মকান্ডের একটি বার্ষিক বিবরণী এবং উহার পরবর্তী বত্সরের প্রস্তাবিত কর্মসূচী সরকারের নিকট সরবরাহ করিবে৷

(২) সরকার বোর্ডের নিকট হইতে নিম্নলিখিত তথ্য বা দলিল-দস্তাবেজ তলব করিতে পারিবে এবং বোর্ড ইহা সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে, যথাঃ-

(ক) কোন রিপোর্ট, বিবরণী, আনুমানিক হিসাব, পরিসংখ্যান অথবা বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন কোন বিষয়ে অন্য কোন তথ্য;

(খ) উক্তরূপ কোন বিষয়ে কোন রিপোর্ট;

(গ) বোর্ডের হেফাজতে আছে এরূপ কোন দলিল-দস্তাবেজের কপি৷

জাতীয় শিল্প, স্বাস্থ্য ও 236[সেইফটি] কাউন্সিল

৩২৩৷ (১) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, জাতীয় শিল্প স্বাস্থ্য ও 237[সেইফটি] কাউন্সিল নামে একটি কাউন্সিল গঠন করিতে পারিবে৷

(২) নিম্নরূপ সদস্য সমন্বয়ে উক্ত কাউন্সিল গঠিত হইবে, যথাঃ-

(ক) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী, পদাধিকারবলে, যিনি উহার চেয়ারম্যান হইবেন;

(খ) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, পদাধিকারবলে;

(গ) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, পদাধিকারবলে;

238[(গ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, পদাধিকারবলে;]

(ঘ) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, পদাধিকারবলে;

(ঙ) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব, পদাধিকারবলে;

(চ) নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পদাধিকারবলে;

(ছ) যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পদাধিকারবলে;

239[(ছছ) শিল্পাঞ্চল পুলিশের মহা পরিচালক, পদাধিকারবলে;]

(জ) শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিত্বকারী সাতজন সদস্য, যাহারা সরকার কর্তৃক মালিকগণের ব্যাপক প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান-সমূহের সহিত আলোচনাক্রমে নিযুক্ত হইবেন;

(ঝ) শ্রমিকগণের প্রতিনিধিত্বকারী সাতজন সদস্য, যাহারা সরকার কর্তৃক, শ্রমিকগণের ব্যাপক প্রতিনিধিত্বকারী ট্রেড ইউনিয়ন-সমূহের সহিত আলোচনাক্রমে নিযুক্ত হইবেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, শ্রমিক ও মালিক উভয় পক্ষের প্রতিনিধদের মধ্যে অন্তত একজন করে মহিলা প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত থাকিবেন৷

240[(ঝঝ) শিল্প, স্বাস্থ্য ও সেইফটি বিষয়ে সরকার কর্তৃক নিযুক্ত পাঁচজন বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি;]

(ঞ) প্রধান পরিদর্শক, পদাধিকারবলে, যিনি উহার সচিবও হইবেন৷

(৩) মনোনীত সদস্যগণ তিন বত্সর মেয়াদে তাহাদের পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন৷

(৪) কাউন্সিল উহার নিজস্ব কার্যবিধি অনুসরণ করিবে৷

(৫) কাউন্সিল-

(ক) শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহে 241[সেইফটি] নিশ্চিত করার জন্য এবং উহাতে স্বাস্থ্য সম্মত বা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও অবস্থা বজায় রাখার জন্য জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন করিবে;

(খ) উহার নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য দিক নির্দেশনা প্রস্তুত করিবে৷

(৬) প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান কাউন্সিল কর্তৃক প্রস্তুতকৃত দিক নির্দেশনা অনুসরণে তত্কর্তৃক প্রণীত নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে৷

চলবে ৬ষ্ঠ ধাপ…..

তথ্যসুত্র: http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-details-952.html

Tagged