শ্রমিকরা সুরক্ষিত না হলে সমাজের অন্য অংশও নিরাপদ নয়

একদিকে ভাইরাসের আক্রমণে জীবন হারানোর আশঙ্কা, অন্যদিকে উপার্জনহীন অবস্থায় অনাহার-অর্ধাহারে দিনযাপনের দুঃখ–কষ্ট। উভয় দিক মিলিয়ে বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষ আজ এক গুরুতর সংকটের মুখোমুখি।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে যখন সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সংক্রমণ কমার লক্ষণ স্পষ্ট হওয়ার আগেই উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পোশাক কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু অনির্দিষ্টকাল ধরে উৎপাদন বন্ধ রেখে লকডাউন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, সেহেতু এখনকার প্রধান অগ্রাধিকার হওয়া উচিত কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা। কর্মক্ষেত্রে মানসম্মত মাস্ক ব্যবহারসহ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করার ব্যবস্থা নিতে হবে। অর্থনীতিকে বাঁচানো জরুরি বটে, কিন্তু জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই তা করতে হবে। এছাড়া শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত না হলে সমাজের অন্য অংশও নিরাপদ নয়।
আনুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের তুলনায় অনানুষ্ঠানিক খাতের বিপুলসংখ্যক শ্রমজীবী মানুষের কর্মহীন-আয়হীন অবস্থার দুঃখ–কষ্ট অপেক্ষাকৃত বেশি। তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও নাজুক। ফলে মানুষের কর্মস্থলে ফেরা যেমন জরুরি, তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিয়টিও গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। সমাজের স্বার্থেই এটি করা প্রয়োজন।

Tagged