বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ মাথায় রেখে ফ্লোর প্রাইস বিষয়ে ভাবা উচিত

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর ইতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন হচ্ছে দেশের পুঁজিবাজারে। অংশীজনদের একটি বড় অংশের চাওয়া—নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির বেঁধে দেওয়া শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার।

তবে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার নিয়ে এখনো সংশ্লিষ্টদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত পুঁজিবাজার স্বাভাবিক গতিতে ফিরবে না বলে মনে করে একটি পক্ষ।

তবে আরেকটি পক্ষের মত, আরও কয়েক শ পয়েন্ট সূচক বৃদ্ধির পর ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করলে ভালো হয়। অন্যথায় স্বার্থান্বেষী মহল ফ্লোর প্রত্যাহারের সুযোগ নেবে।

ফ্লোর প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গে অবস্থান নিয়ে থাকা বড় বিনিয়োগকারীরা যাতে অতিরিক্ত বিক্রির চাপ দিয়ে বাজারে নেতিবাচক প্রবণতা তৈরি না করতে পারে, সে জন্য আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসতে হবে।

সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে, চলতি মাসেই তিন ধাপে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের বিষয়ে ভাবছে বিএসইসি। বর্তমানে যেসব কোম্পানির শেয়ারের দাম ফ্লোর প্রাইসের ওপরে রয়েছে এবং মার্জিন ঋণসুবিধা পায় না, প্রথম ধাপে ওই কোম্পানির সীমা তুলে দেওয়া হবে।

বিভক্তি এড়াতে আলোচনার মাধ্যমে বৃহৎ স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার হলেই ক্রেতা আসবে বা পতন হবে—এই দুই ধারণা সঠিক না হতে পারে। বাজারে যাতে আস্থাহীনতা তৈরি না করা হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে আলোচনার মাধ্যমে।

Tagged