বিনিয়োগকারীদের আতঙ্ক দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে

দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থায় চিড় ধরায় এখন বাছবিচার ছাড়া সব কোম্পানির শেয়ার দাম কমছে। মৌলভিত্তিসম্পন্ন অনেক শেয়ারের দাম এখনো অবমূল্যায়িত অবস্থায় আছে। তা সত্ত্বেও এসব কোম্পানিরও বড় দরপতন হচ্ছে। এটি হচ্ছে আতঙ্কের কারণে।

বিনিয়োগকারীদের এ আতঙ্ক কাটাতে হলে সমন্বিত উদ্যোগ দরকার। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিয়েই এ উদ্যোগ নিতে হবে। সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে যদি কয়েক দিন বাজারকে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় রাখা যায়, তাহলে বিনিয়োগকারীদের হারানো আস্থা আবার ফিরতে শুরু করবে। তখন বাজার তার নিজস্ব গতি ফিরে পাবে।

সামগ্রিকভাবে বর্তমান বাজার ও সূচককে কোনোভাবেই অতিমূল্যায়িত নয়। এই বাজারে কিছু কিছু শেয়ারের দাম কারসাজির মাধ্যমে অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো হয়েছে। এ কথা হয়তো সত্য। কিন্তু সব শেয়ার অতিমূল্যায়িত নয়। এখনো ভালো মৌলভিত্তির অনেক শেয়ার অবমূল্যায়িত পর্যায়ে রয়েছে। আবার আমাদের অর্থনীতি ও বাজারের যে সক্ষমতা, তাতে সূচকের ৭ হাজার পয়েন্ট খুব বেশি নয়। তাই এ পর্যায়ে পুঁজিবাজারে বড় ধরনের ধসের কোনো কারণ দেখছি না। যদি ভালো মৌলভিত্তিসহ বাজারের অধিকাংশ শেয়ার অতিমূল্যায়িত অবস্থায় চলে যেত, তাহলে হয়তো বাজার নিয়ে উদ্বেগের কারণ থাকত। এখানকার সামগ্রিক বাজার নিয়ে মোটেই উদ্বেগের কিছু নেই। তবে কিছু শেয়ারের দাম উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে গেছে। এ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।

Tagged