বন্ধ কোম্পনিগুলোর শেয়ার নিয়ে কী করবেন বিনিয়োগকারীরা?

গত এক সপ্তাহে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচটি কোম্পানির কারখানা বন্ধ হওয়ার তথ্য বিনিয়োগকারীদের জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সম্প্রতি সংস্থাটির একটি দল সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে এসব কোম্পানির কারখানা বন্ধের তথ্য পেয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো ফ্যামিলিটেক্স, উসমানিয়া গ্লাসশিট, রিজেন্ট টেক্সটাইল, দুলামিয়া কটন ও নর্দার্ন জুট ম্যানুফ্যাকচারিং। এখন কথা হচ্ছে বন্ধ এসব কোম্পানির শেয়ার নিয়ে করবেন বিনিয়োগকারীরা? এই দায় কে নেবে?

পাঁচ কোম্পানির মধ্যে নর্দার্ন জুটের প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানাই খুঁজে পায়নি ডিএসইর পরিদর্শক দল। এমনকি কোম্পানিটির ওয়েবসাইটেরও কোনো অস্তিত্ব নেই এখন। বহুল আলোচিত পি কে হালদারের মালিকানাধীন এই কোম্পানি ব্যাংক ও আর্থিক খাতে বড় ধরনের ঋণ কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত।

এসব কোম্পানির ভবিষ্যৎ কী? তাদের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদেরই বা কী হবে? এসব প্রশ্নের কোনো সদুত্তর মিলছে না।

গত জুলাই মাসে ডিএসই সরেজমিনে তালিকাভুক্ত ৪২ কোম্পানির কার্যক্রম ও কারখানা পরিদর্শনের অনুমোদন চায়। তখন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ১৪টির কার্যক্রম ও কারখানা পরিদর্শনের অনুমতি দেয়। এরপর পরিদর্শন শুরু করে ডিএসই।

কোম্পানিগুলো বন্ধ থাকলেও বিনিয়োগকারীদের এ–সংক্রান্ত কোনো তথ্যই জানানো হয়নি। এসব বন্ধ কোম্পানির বিষয়ে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে ব্যাপারে আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থার দ্রুত পদক্ষেপ আশা করবো।

নানা কারণে কোম্পানি বন্ধ হতে পারে; কিন্তু সে তথ্য বিনিয়োগকারীদের জানাতে হয়। ভবিষ্যতে কোনো কোম্পানি বন্ধ হলে বিনিয়োগকারীরা যাতে তাৎক্ষণিকভাবে সে তথ্য জানাতে পারেন, তা নিশ্চিত করাটা খুবই জরুরি বিষয়। না হলে পুঁজিবাজারারের ভাবমূর্তির আরও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।

Tagged