মানহীন কোম্পানির আইপিও অনুমোদনে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক

অনেক কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে সিকিউরিটিজ আইনের বিভিন্ন বিধিবিধান পরিপালন করছে না। কোনো কোনোটি লভ্যাংশ ঘোষণার পরও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিতরণ করছে না। আবার কোনো কোনো কোম্পানির উৎপাদন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। অনেক কোম্পানি নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম করছে না। ফলে এসব শেয়ারে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা লাভবান হচ্ছেন না। কোম্পানিগুলো সময়মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলোও বিনিয়োগকারীদের জানাচ্ছে না। এতে বিনিয়োগকারীদের বড় ধরনের ক্ষতির মধ্যে পড়তে হচ্ছে।

সম্প্রতি ডিএসই যে ১৪টি কোম্পানির সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করছে, তার একটি বড় অংশই ২০১০ সালের শেয়ারবাজার ধসের পর তালিকাভুক্ত হয়। এক যুগ ঘুরতে না ঘুরতেই এসব কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে। অথচ এসব কোম্পানির বেশির ভাগেরই প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও অনুমোদনের আগে বিভিন্ন পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা হয়েছিল। মানহীন কোনো কোম্পানিকে যাতে বাজারে আনা না হয়, সে জন্য ডিএসইর পক্ষ থেকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপত্তিও জানানো হয়েছিল। তা সত্ত্বেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা তাদের ক্ষমতাবলে আইপিও অনুমোদন দেয়। আইপিওর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে বিপুল অর্থ তুলে নেন কোম্পানির মালিকেরা।

তাই আমরা বলবো, কারা এসব কোম্পানি অনুমোদনের সুপারিশ বা জড়িত ছিলো, তাদেরকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনা দরকার। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক। না হলে এ ধরনের ঘটনা আবারও ঘটতে পারে।

Tagged