পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা কতদূর

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) একের পর এক পদক্ষেপের ফলে বাজারে কিছুটা আশার সঞ্চার হলেও, তা কতটা টেকসই সেই প্রশ্ন এখন সামনে চলে এসেছে।

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস গতককাল সোমবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কিছুটা কমলেও বেড়েছে অপর বাজার চট্টগ্রাম এক্সচেঞ্জে (সিএসই)।

এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে প্রায় ৩ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেন ও বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। এর ফলে গত সপ্তাহের শেষ তিনদিন (মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার) সূচকের উত্থানের পর চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবসে দরপতন হলো।

এদিন লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৩৩টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২০৫টির। আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৮টির দাম।

দিনশেষে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ২ দশমিক ৯০ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৯৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচক কমলেও বেড়েছে অন্য দুই সূচক। এর মধ্যে ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ৩ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৭৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার ৬২৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৫৭ কোটি ২৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকার শেয়ারের।

বেশ কিছুদিন ধরেই বাজারে এক ধরনের অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। উল্লেখিত তথ্যেও বিষয়টি ধরা পড়ে। এতে যে প্রশ্নটি এখন বিনিয়োগকরীসহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ফিরে এসেছে, সেটি হলো বাজারের স্থিতিশীলতা আসলে কতদূর? নানামুখী পদক্ষেপের পরও বাজার কি স্থিতিশীল হচ্ছে? নাকি অস্থিরতাই নানা রূপে ফিরে আসছে? বিশেষ করে লেনদেন নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেকে। তাই প্রশ্ন ওঠা খুবই স্বাভাবিক।

Tagged