পুঁজিবাজারের অভিভাবকরা কি দূরদর্শী না?

আমাদের দেশে প্রায় সবক্ষেত্রেই দেখা যায়, ঘটনা ঘটে গেলে হুঁশ আসে। আগে কিছু করা হয় না। কোথাও বহুতল ভবনে আগুন লেগেছে। মানুষ পুড়ে মরেছে। পরে জানা যায়, সেখানে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা ছিল না। সম্প্রতি দেশে ক্যাসিনোকাণ্ড নিয়ে অনেক হৈচৈ হচ্ছে। আটক-গ্রেফতার চলছে। কিন্তু কথা হচ্ছে, আগে কী করা হয়েছিল? অবাধে দেশে ক্যাসিনোর যন্ত্রপাতি ঢুকেছে, এর সঙ্গে জড়িতরা দাপিয়ে বেড়িয়েছে। এ সময় কেনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি? এমন অসংখ্য বিষয়ে এভাবে প্রশ্ন করা যাবে। কিন্তু এর উত্তর কোথায় মিলবে? বাংলাদেশের পুঁজিবাজারেও একই ধরনের চিত্র দেখা যায়। পুঁজিবাজার প্রায় নয় বছর ধরে লক্কড়ঝক্কড়। সম্প্রতি তলানিতে এসে ঠেকেছে। শেয়ারের দরপতনে নিঃস্ব হয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নামার ঘোষণা দেয়ার পর কেনো সংশ্লিষ্টরা নড়াচড়া দিচ্ছেন? এটি কি আগে করা যেতো না?

এখন রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। ২০০ কোটি টাকা সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ১৪ অক্টোবর আইসিবি ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) মধ্যে আলোচনা সভায় এ কথা জানান প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তারা। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অন্য ব্যংকগুলোকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য গত সোমবার থেকে অর্থছাড় শুরু করেছে। এ সবই যদি পুঁজিবাজারের স্বার্থে করা হয়, তাহলে সেটি বাজার বিপর্যস্ত হওয়ার পর কেনো? তাহলে কি বলা যায়, পুঁজিবাজারের অভিভাবকরা দূরদর্শী না! এছাড়া এতে বিনিয়োগকারীদের এতো বড় ক্ষতি হলো, সেটির দায় কেনো সংশ্লিষ্টরা নেবেন না? এই প্রশ্নওতো অমূলক নয়।

Tagged