ডিএসইর ঘনঘন এমডি বদল: পুঁজিবাজারের লাভ-ক্ষতি বিবেচনায় নেওয়া হয় কি?

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) পদটি পুরোপুরি পরিবর্তনের খেলায় পরিণত হয়েছে। এই খেলার মূল নায়ক কারা সেই প্রশ্নওঠাও এখন জরুরি মনে হচ্ছে।

এ পদে থেকে ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করে মেয়াদ শেষ করতে পারা এমডির সংখ্যা খুবই কম। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন ডিএসইর এমডি তারিক আমিন ভূঁইয়া। ৩ বছরের জন্য নিয়োগ পাওয়া এ এমডিকে পদ ছাড়তে হলো ১৩ মাসের মাথায়। আমরা তার কাজের মূল্যায়নের বিষয়টিতে এ্ মুহূর্তে না গিয়ে একটি বিষয়ের ওপর জোর দিতে চাই। সেটি হচ্ছে এই ক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব, যোগ্যতা, সততা কতটা আমলে নেওয়া হচ্ছে। আর কেউ যদি অযোগ্য হন, তা হলে যে প্রক্রিয়ায়ি এমডি নিয়োগ হয়, সে প্রক্রিয়াটি কতটা স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূল সেই প্রশ্নও এড়িয়ে যাওয়া যায় না। যারা নিয়োগের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখেন, তারা এ বিষয়ে কী জবাব দেবেন। কোনে মাপকাঠিতে পুঁজিবাজারে এমডি নিয়োগ হয়, সেটিও পরিস্কার হওয়া দরকার। না হলে স্বচ্ছতার নাগাল পাওয়া যাবে না পুঁজিবাজারে।

আমরা মনে করে দেশে অনেক যোগ্য ও সৎ মানুষ আছে। নীতিনির্ধারকদের উচিত তাদের খুঁজে বের করা। পাশাপাশি স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করা। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের সিন্ডিকেট থাকলে ভালো ফল পাওয়া যাবে না। পুঁজিবাজারের মতো একটি স্পর্শকাতর জায়গায় গোষ্ঠীস্বার্থ নয়, দেশের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে নেতৃত্ব নির্বাচন করতে হবে। তা হলেই কেবল এ বিষয়ে একটি সমাধান পাওয়া যাবে। বাববার এমডি বদল করে সংকট উত্তরণ সম্ভব নয়।

Tagged