কারসাজি খতিয়ে দেখতে ডিএসইর তদন্ত: লোকদেখানো কিছু না হওয়াই কাম্য

স্বল্প-মূলধনী, লোকসানি, উৎপাদন বন্ধ থাকা এবং নামমাত্র আয়ের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যা পুঁজিবাজারে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে। এসব কোম্পানির মধ্যে যেগুলোর শেয়ারের মূল্য-আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ৪০-এর বেশি, সেগুলোতে কারসাজি হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। গণমাধ্যমের বরাতে এমন খবর জানা যায়।

তদন্ত করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি)  প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডিএসই সেই নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্তে নেমেছে। অতিমূল্যায়িত কোম্পানিগুলোর অর্থাৎ ৪০ পিইর বেশি শেয়ারগুলো কেনার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের মার্জিন ঋণসুবিধা দেওয়া হচ্ছে কি না তা ক্ষতিয়ে দেখছে ডিএসই।

বছরের পর বছর আর্থিক হিসাব দেয় না বা লোকসানি কোম্পানির কোনো পিই রেশিও হিসাব হয় না, এমন অর্ধশতাধিক কোম্পানির শেয়ারের দর বহুগুণ বেড়েছে। এর পেছনে নিশ্চয়ই কেউ রয়েছে। কারা রয়েছে সেটি বের করতে পারলেই তদন্ত স্বার্থক হবে। তাই লোকদেখানো কিছু না হয়ে, কার্যকর কিছু হওয়াই আমাদের কাম্য।

Tagged