ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ: ইচ্ছা করে গর্তে পা দিলে কেউ বাঁচাতে পারবে না

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের সচেতন, সতর্ক থাকার বিষয়টি কখনও ভুলে যাওয়া ঠিক নয়। এখানে শুধুই মুনাফা নয়, লোকসানও থাকে। তাই জেনেবুঝে বিনিয়োগ করতে না পারলে কিংবা ইচ্ছা করে বিনিয়োগঝুঁকি বাড়ালে মুনাফা তো দূরের কথা, পুঁজি নিয়ে বাড়ি যাওয়ারও উপায় থাকবে না। বাজারে সূচক যতই বাড়ুক, বিনিয়োগকারীর নিজস্ব চিন্তাটা খাটিয়ে যেতে হবে সব সময়ই।

বর্তমান বাজারের চিত্র যদি দেখি, তাহলে দেখবো- চার বছর ধরে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয় না মিথুন নিটিং। সবশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটি রয়েছে বড় ধরনের লোকসানে। অথচ এ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম গত চার মাসে বেড়েছে ২০০ শতাংশের বেশি।

দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদনে না থাকা এবং বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়া আরেক প্রতিষ্ঠান সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইল। চার বছর ধরে কোম্পানি কোনো আর্থিক প্রতিবেদনও প্রকাশ করে না। অথচ এ প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দাম গত চার মাসে বেড়েছে প্রায় ৩০০ শতাংশ।

শুধু মিথুন নিটিং বা সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইল নয়, সম্প্রতি অনেক দুর্বল কোম্পানির শেয়ার দাম এমন অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। এসব দুর্বল কোম্পানির শেয়ার দাম অস্বাভাবিক বাড়লেও, ভালো লভ্যাংশ দেওয়ার পরও অনেক প্রতিষ্ঠানের দাম তলানিতে। এমনকি ১২ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানের দাম পড়ে রয়েছে ১০ টাকার নিচে।

এখন বাজারে কারসাজি থাকতে পারে। এটি হয়তো বিনিয়োগকারীদের প্রভাবিত করতে পারে। তবুও ‘পুঁজি যার, ব্যথা তার।’ এভাবে চিন্তা করতে হবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। না হলে কেউ ইচ্ছা করে গর্তে পা দিলে তাকে বাঁচানো যাবে না।

Tagged