করোনায় ‘লকডাউন‘ নিউইয়র্ক; সাহায্যের হাত বাড়ালেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার ও স্টেট গভর্নর

এসএমজে ডেস্ক:

সারাবিশ্বে এখন বিরাজ করছে করোনাভাইরাসের ভয়াবহ প্রকোপ। এবার করোনার এই ভয়াবহ প্রকোপে ‘লকডাউন’হলো যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক। ওষুধের দোকান, মুদির দোকানের মতো জরুরি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া সব বন্ধ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কর্মচারীদের প্রয়োজনে ঘরে থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

করোনার এই প্রকোপে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া সকল সেক্টরকে দেওয়ার জন্য ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের [১ ট্রিলিয়ন = ১০০০ বিলিয়ন যা বাংলাদেশী টাকা প্রায় ৮৪ লাখ কোটি টাকা] `বেল আউট‘ ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার।  উন্নত রাষ্ট্রগুলোতে যখন কোন মহামারি আসে যার ফলে মানুষ নিজ ঘরেই থাকতে হয় তখন বেল আউটের ঘোষণা আসে। এর আগে যুক্তরাজ্যও এই বেল আউটের ঘোষণা দিয়েছে।

এদিকে, আগামী তিন মাসে মর্টগেজ দিতে হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট গভর্নর। তবে তাদের এই মর্টগেজ না দেওয়াতে তাদের ক্রেডিট রেটিংয়ে কোনো প্রভাব পড়বে না। তাছাড়া, করোনার কারণে বন্ধ হওয়া সকল সেক্টরের কর্মজীবীদের আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে পে-চেক দিবে বলে ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার।

শুক্রবার সকালে নিউইয়র্কের স্টেট গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো লকডাউনের নির্দেশ ঘোষণা দেন। এ নির্দেশনা স্থানীয় সময় রোববার রাত ৮টা থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

স্টেট গভর্নর তাঁর ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘সাধ্যের সবকিছু আমরা করেছি। একটা জীবনও যদি বাঁচাতে পারি, তাহলে খুশি হব। স্টেটজুড়ে গ্রোসারি স্টোর, ফার্মেসি ছাড়া একান্ত জরুরি ব্যবসা-বাণিজ্য খোলা থাকবে। সব ধরনের আউটডোর কার্যক্রম, স্পোর্টস বন্ধ থাকবে। সরকারি, বেসরকারি কর্মচারীদের মধ্যে যারা জরুরি কাজে নিয়োজিত নয়, তাদের ঘর থেকে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। লন্ড্রেমেট, রেস্টুরেন্টে শুধু ডেলিভারি, পেট্রল পাম্প এবং সীমিত গণপরিবহন চালু থকবে।’

গভর্নর কুমো আশপাশের রাজ্যেও এমন ঘোষণা প্রত্যাশা করছেন। বলেন, ‘আমি সব দায়িত্ব নিজে গ্রহণ করছি। কেউ আমাকে দোষারোপ করলে করুক।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নাজুক পরিস্থিতির আশঙ্কা করছি, তবে প্রত্যাশা করছি ভালো কিছুর।’ এসব উদ্যোগ কেবলই জীবন রক্ষার জন্য বলে উল্লেখ করেন উদ্বিগ্ন স্টেট গভর্নর।

উল্লেখ্য, করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৭৬ হাজার ছাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ১১ হাজার ৪১৭ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন মোট ৯১ হাজার ৯৫৪ জন। আর সর্বশেষ আপডেট অনুসারে নিউইয়র্কে করোনায় আক্রান্ত ৮৫১৫ জন, মারা গেছেন ৫৬ জন তবে এখন পর্যন্ত কেউ সুস্থ হয়নি।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের অনেক এলাকা লকডাউনের আশঙ্কায় রয়েছে, ইতোমধ্যে, বন্ধ হয়েছে অনেক অফিস। অনেক এলাকায় দোকান-পাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন অনেক অসহায় মানুষ। ক্ষতিগ্রস্থ এই মানুষগুলো বর্তমানে আহাজাড়ী এইটাই যে, বাংলাদেশ সরকার যেন এই অসহায় মানুষগুলোর বাড়িভাড়া, অফিস ভাড়াও অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতির দিকে একটু নজর দেয়।

এসএমজে/২৪/বা

Tagged