কবে থামবে পতনের মহামারি

পুঁজিবাজারে চলছে দরপতনের মহামারি। দিন যত যাচ্ছে পতন ভংঙ্কর রূপ ধারণ করছে। এতে প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ করা পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে বেড়েই চলেছে পুঁজি হারানো বিনিয়োগকারীদের আর্তনাদ। পতনের এই মহামারি কবে থামবে? টানা পতনে ৩০ থেকে ১৫0 শতাংশ পর্যন্ত পুঁজি হারিয়ে অনেকেই নিঃস্ব। ১৫০ বলছি এ কারণে- অনেকে মার্চেন্ট ব্যাংকের ঋণ নিয়ে পালিয়েও বেড়াচ্ছেন। এর আগে পুঁজিবাজারে সৃষ্ট বড় দুই ধসেও এমন পতন দেখা যায়নি। ১৯৯৬ ও ২০১০ সালের মহাধসকেও যেনো হার মানাচ্ছে চলমান পতন। গত কয়েক মাসের দরপতন ওই ধস থেকেও ভয়াবহ। এই আগ্রাসী পতন ঠেকাতে তেমন কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। এটি অবশ্যই অশনি সংকেত।

চলমান নীরব পতনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জর (ডিএসই) প্রধান সূচক গত ৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে।

পতনের গতি-প্রকৃতি যেনো একই ধরনের এবং পরিকল্পিত হয়। শুরুতে সূচক উর্দ্ধমুখী দেখা যায়। এরপর শেষ হয় পতন দিয়ে। গত বেশকিছু দিন ধরেই বাজারের এরকম মুখস্থ চিত্র। কেনো এমন হচ্ছে? নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো কি কিছুই জানে না? বিশ্বের সব পুঁজিবাজারেই উত্থান-পতন স্বাভাবিক ঘটনা। সেখানে ভুতুড়ে অবস্থা নেই। আমাদের দেশে অকারণে বাজার প্রভাবিত হয়। আর কখনোই খুঁজে বের করা হয় না কারা প্রভাবক, কী কারণে এমনটি ঘটে। এতে কারসাজি চক্র উৎসাহিত হয়।

কথা হচ্ছে, এসব বিষয় দেখার জন্যতো সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থা রয়েছে। সেই সংস্থাগুলোর তাহলে কাজ কী? কেনো প্রায় ৯ বছর ধরে এমন ঘটনা ঘটবে? এসব বিষয়ে সংস্থাগুলোর জবাবদিহিতা জরুরি। সেটি হচ্ছে না বলেই পুঁজিবাজারে অনাঙ্খাখিত ঘটনা ঘটছে।

Tagged