এই স্বস্তি কতটা স্থায়ী হবে?

টানা দরপতনের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার। গত বুধবারের (২০ মার্চ) ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারও দেশের শেয়ারবাজারে বড় উত্থান হয়েছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের গতি।

প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে সবকটি মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। ডিএসইতে দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে হাফ ডজনের বেশি প্রতিষ্ঠান।

এর আগে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা ৮ কার্যদিবস শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। অব্যাহত পতনের মধ্যে পড়ে ডিএসইর বাজার মূলধন কমে ৭০ হাজার কোটি টাকার ওপরে কমে যায়। আর প্রধান মূল্যসূচক কমে ৫০০ পয়েন্টের ওপরে।

এ পরিস্থিতি বুধবার পতন থেকে বেরিয়ে শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা মিলে। ৩০০ এর অধিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে ৫৮ পয়েন্ট। তবে, লেনদেন কমে সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার নিচে চলে যায়।

তবে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এসে মূল্যসূচকের বড় উত্থানের পাশাপাশি লেনদেনের গতিও কিছুটা ফিরে এসেছে। ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। এখন স্বস্তি কতটা স্থায়ী হবে এটি দেখার বিষয়। কারণ ইতিমধ্যে এ ধরনের ঘটনা বহবা ঘটেছে। বিশেষ করে ২০১০ সালের পর বাজারের এমন আচরণ অনেকটা নিয়মে পরিণত হয়েছে। এই অবস্থা থেকে পুঁজিবাজারকে বের করে আনতে হবে।

Tagged