আন্তর্জাতিক নয় অভ্যন্তরীণ কারণে পুঁজিবাজারের বেশি ক্ষতি হচ্ছে

আন্তর্জাতিক নয়, অভ্যন্তরীণ কারণে দেশের পুঁজিবাজারের বেশি ক্ষতি হচ্ছে। বরং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে গুজবকারীরা লাভবান হচ্ছে। সম্প্রতি ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধকে কেন্দ্র করে দেশের দুই পুঁজিবাজারে টানা চার সপ্তাহ সূচকের পতন হয়েছে। এতে করে বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার সেল বাড়ানোর ফলে যখন বাজার আরও বেশি খারাপের দিকে যাচ্ছিলো, ঠিক তখনই বিএসইসির কয়েকটি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত বাজারকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে। এরমধ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর পুঁজিবাজারে সক্রিয়তা ছিল উল্লেখযোগ্য।

বেশ কয়েকটি ব্যাংক আবারও পুঁজিবাজারে সক্রিয় হতে শুরু করেছে। দুই বছর আগে গঠিত হওয়া পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকগুলোর বিশেষ তহবিলের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে। এ পর্যন্ত ব্যাংকগুলো সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করেছে। এই তহবিলের মধ্যে মাত্র তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যাংকগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণের ফলে টানা চার সপ্তাহের পতন থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। এর মধ্যে দিয়ে গত সপ্তাহের তুলনায় দেশের প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন বেড়েছে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর আগে টানা চার সপ্তাহের পতনে ৩১ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকার ওপরে বাজার মূলধন হারায় ডিএসই।

বাজার মূলধন এমন কমার পরিস্থিতি মোকাবেলায় তালিকাভুক্ত ব্যাংকের প্রধান হিসাব কর্মকর্তাদের (সিএফও) সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই বৈঠকের পরই ঘুরে দাঁড়ায় দেশের পুঁজিবাজার। বিশ্ব অর্থনীতির পরিস্থির চেয়ে আমাদের দেশের ভেতরের অবস্থাই বেশি  বিবেচনায় নিতে হবে।

Tagged