বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণায় বিধিনিষেধ: বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ দেখা হোক

পুঁজিবাজারে এখন তিনটি বিশেষ কারণ ছাড়া কোনো কোম্পানি বোনাস বা স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে না। তালিকাভুক্তির তিন বছরের মধ্যে কোনো কোম্পানি নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন ছাড়া কোনো বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে না। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সম্প্রতি এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। বিএসইসি বলছে, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো মূলত তিনটি ক্ষেত্রে […]

বিস্তারিত

পুঁজিবাজার নিয়ে ভিন্ন উপায় খুঁজতে হবে নীতির্নিধারকদের

দীর্ঘ পতন চলছে দেশের পুঁজিবাজারে। অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর ফ্লোরে অবস্থান করলেও, বাকি যে কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর ফ্লোর প্রাইসের উপরে আছে সেগুলোও ক্রমাগত ফ্লোর প্রাইসে নামছে। এতে প্রতিদিন বাড়ছে ফ্লোর প্রাইসে অবস্থান করা কোম্পানির সংখ্যা। আর যে হারে ফ্লোর প্রাইসে অবস্থান করা শেয়ারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এতে মনে হচ্ছে কয়েকদিন পরে সব কোম্পানির শেয়ারই ফ্লোর প্রাইসে নেমে […]

বিস্তারিত

পুঁজিবাজারে সংকটকালীন বিনিয়োগকারীদের ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হবে

দুর্যোগ, মন্দা, সংকট চিরকালীন বিষয় নয়। এটি কেবল দেশের পুঁজিবাজার নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও একই রকম। তবে পুঁজিবাজার যেহেতু স্পর্শকাতর একটি ক্ষেত্র, এখানে এটি একটু বেশি সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই এই সময়ে বিনিয়োগকারীদের অন্যান্য বিষয়গুলোর পাশাপাশি ধৈর্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। হুটহাট করে সিদ্ধান্ত নিতে গেলে ক্ষতির আশঙ্কা বেশি। আর প্রতিনিয়ত ক্ষতি হতে থাকলে পুঁজি […]

বিস্তারিত

বৈশ্বিক মন্দার চেয়ে বড় সংকট কারসাজি

করোনা মাহামারির পর রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মন্দা সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি গতিশীল রকতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেও হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন বৈশ্বিক বা দেশের অর্থনীতির মন্দার প্রভাব দেশের পুঁজিবাজারও এড়াতে পারবে না। তাই স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে পুঁজিবাজার নিয়ে। বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ কারসাজি পুঁজিবাজারের সর্বনাশ করছে। […]

বিস্তারিত

সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারলে ব্যাংকের চেয়ে পুঁজিবাজারে মুনাফা বেশি

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার আগে বিনিয়োগকারীকে লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। সঞ্চয় করা অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করলে ব্যাংকের চেয়ে বেশি মুনাফা পাওয়া যায়। তবে সব জায়গায় বিনিয়োগ করা যাবে না। বুঝতে কখন কোথায় বিনিয়োগ করতে হবে। বিনিয়োগের জন্য কিভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, সেটা না জানলে সমস্যা হয়। অধিকাংশ মানুষের আয় সীমিত। তাই সঞ্চয়ের টাকা থাকলে স্বপ্ন পূরণ […]

বিস্তারিত

আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে বিনিয়োগকারীদের বুঝেশুনে বিনিয়োগ করা উচিত

দেশের পুঁজিবাজারে গত তিন কার্যদিবস ধরে  নিম্নমুখি প্রবণতা দেখ যাচ্ছে। প্রতিদিনই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। গত বুধবার প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স দশমিক ৫৩ শতাংশ পয়েন্ট হারিয়েছে। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া ও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে নিম্নমুখিতার কারণে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা করছেন বিনিয়োগকারীরা। কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি ও ডলার সংকটের কারণে ব্যবসা পরিচালনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং এতে অধিকাংশ তালিকাভুক্ত কোম্পানির মুনাফায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ কারণে বাজার পরিস্থিতি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশার ক্রমেই কমছে। ফলে গতকাল পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে দ্বিধাগ্রস্ততা দেখা গেছে এবং শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রির পরিমাণ ছিল বেশি। সব মিলিয়ে এসব কারণে পুঁজিবাজারে টানা দরপতন হচ্ছে। গত বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় লেনদেন শুরুর পর ২ মিনিট পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী ছিল সূচক। এর পর থেকে শেয়ার বিক্রির চাপে পয়েন্ট হারাতে শুরু করে ডিএসইএক্স। মাঝে বেশ কয়েকবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে সূচকটি। এই অবস্থায় আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে বিনিয়োগকারীদের বুঝেশুনে বিনিয়োগ করা উচিত। তা হলে লোকসান কমানো সম্ভব।

বিস্তারিত

বানকোর এমডি পুঁজিবাজারে নিষিদ্ধ : বিএসইসির কঠোর সিদ্ধান্তই কাম্য

বানকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. হামদুল ইসলামকে পুঁজিবাজারে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একইসঙ্গে তাকে ১০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার কারসাজি ও গ্রাহকদের টাকা অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মের দায়ে তাকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সব ধরনের কার্যক্রম থেকে […]

বিস্তারিত

পুঁজিবাজারে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এখন সময়ের দাবি

দেশের পুঁজিবাজারের সর্বস্তরে অটোমেশনের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। গত সোমবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)সঙ্গে এক বৈঠকে এ তাগিদ দেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। আইএমএফের এশিয়া-প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে সংস্থাটির ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বিএসইসির শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় সংস্থাটির সিনিয়র অর্থনীতিবিদ এস্তেল শোয়ে লি ও অর্থনীতিবিদ রিচার্ড ভারগিস উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বে কমিশনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের একটি দল বৈঠকে অংশগ্রহণ করে। বৈঠক শেষে বিএসইসি  গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ব্রিফিং করে। সংস্থাটি জানায়, এটি একটি রুটিন সভা। এখানে পুঁজিবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে কমিশন কী উদ্যোগ নিয়েছে সে বিষয়ে আইএমএফ জানতে চেয়েছে। বিশেষ করে পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলের (সিএমএসএফ) বিষয়ে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্ট, ডেরিভেটিভসের মতো নতুন নতুন পণ্য কীভাবে প্রচলন করা যায় সে বিষয়ে তারা সহযোগিতা করবে বলেও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। কমোডিটি এক্সচেঞ্জ, শরিয়াহ বন্ড বা সুকুক, পরিবেশবান্ধব গ্রিন ও ব্লু বন্ড আনতে সংস্থাটি সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। অটোমেশন ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার মতো বিষয়গুলোয়ও গুরুত্বারোপ করে আইএমএফের প্রতিনিধি দল পুঁজিবাজারের অবকাঠামোগত উন্নয়নে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দেন। সক্ষমতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনার বিষয়েও সহযোগিতা করার কথা জানান তারা। আমরা বলতে চাই, বর্তমান সময় প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ছাড়া পুঁজিবাজার অগ্রসর হতে পারে না। এ কারণে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এটি এখন সময়ের দাবি।

বিস্তারিত