স্ট্যাবলাইজেশন ফান্ড কতটা কাজে লাগছে পুঁজিবাজার উন্নয়নে?

পুঁজিবাজারের তারল্য সংকট কাটিয়ে উঠতে বিভিন্ন কোম্পানি ও মিউচুয়্যাল ফান্ডের অবণ্টিত ডিভিডেন্ডের সমন্বয়ে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) গঠন করেছিল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসির তথ্য অনুযায়ী ফান্ডটির আকার ২০ হাজার কোটি টাকা হওয়ার কথা হলেও, এখন পযর্ন্ত তা জমা পড়েছে ১ হাজার ১৪০ কোটি টাকা। যা মোট ফান্ডের ৫.৭০ শতাংশ।

বিএসইসি বার বার সময় বেঁধে দিয়ে কঠোর হুশিয়ারি দিয়েও এখন পযন্ত এই ফান্ড আদায়ে সফল হয়েছে ছয় শতাংশেরও কম। সর্বশেষ সময় একবছর পার হলেও কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে তেমন কোনো সাড়া মিলছে না। ফলে এখন পর্যন্ত মাত্র ১ হাজার ১৪০ কোটি টাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে ফান্ডটি।

বিএসইসির নির্দশনা অনুযায়ী, গত ৩১ জুলাই কোম্পানি ও মিউচুয়্যাল ফান্ডগুলোর অবণ্টিত ডিভিডেন্ড প্রদানের সর্বশেষ সময়সীমা শেষ হয়েছে। কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও সিএমএসএফে নগদ অর্থ ও শেয়ার জমাদানে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য সাড়া পাওয়া যায়নি। এতে করে সিএমএসএফের অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস ম্যানেজমেন্ট কমিটি (এএএমসি) ও বিএসইসি কোম্পানিগুলোর প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত সিএমএসএফে ক্যাশ ডিভিডেন্ড বাবদ ফান্ডে জমা পড়েছে ৪৮০ কোটি টাকা। আর স্টক ডিভিডেন্ড হিসেবে ফান্ডে জমা পড়েছে ৬৬০ কোটি টাকা। সে হিসেবে ক্যাশ ও স্টক ডিভিডেন্ড বাবদ সর্বমোট ১ হাজার ১৪০ কোটি টাকা সিএমএসএফে জমা হয়েছে। এরমধ্যে স্টক ডিভিডেন্ড বাবদ ৪ কোটি শেয়ারের বর্তমান বাজার দর ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে পুঁজিবাজার উন্নয়নে এই ফান্ড কতটা কাজে লাগলো এই প্রশ্ন থেকেই যায়।

Tagged