লকডাউন কার্যকরে সরকারের পাশাপাশি সবার সচেতনতা প্রয়োজন

দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ঘোষিত লকডাউন বেশির ভাগ মানুষই মানছে না। প্রতিনিয়ত ঘরে থাকার সরকারি নির্দেশনা অমান্য করছে সাধারণ মানুষ। নানা নিষেধাজ্ঞার পরও ঝুঁকি নিয়েই ঈদ সামনে রেখে গ্রামের বাড়ি যেতে মানুষের মধ্যে যেন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। মরিয়া এই যাত্রীদের স্রোত সামাল দিতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ঘরমুখো মানুষের এই ঢল বন্ধ করতে না পারলে ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। করোনা জেঁকে বসায় গত ২৬ মার্চ থেকে চলছে সাধারণ ছুটি। বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। ঈদ সামনে রেখে রাজধানী ঢাকায় ঢুকতে ও বের হতে কড়াকড়ি আরোপের কথা বলেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিন্তু নানাভাবে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ গণমাধ্যমের বরাতে এ তথ্য জানা যায়।
গণপরিবহন না চললেও অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস আর প্রাইভেটকার ভাড়া করে মানুষ ছুটছে গ্রামের দিকে। মধ্যরাতে পিকআপ ভ্যানে ঢাকা ছাড়ছে বহু মানুষ। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌপথে ঘরমুখী যাত্রীদের ভিড় বাড়ছেই। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঢাকা থেকে বিভিন্ন পরিবহনে শিমুলিয়া ঘাটে এসে ফেরিতে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে তারা। প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকায় করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ছে। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৬০ জেলায় করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছে।
অনেকে মনে করছন, সমাজের শ্রমজীবী মানুষ সামাজিক দূরত্ব মানছে না বা না মানতে বাধ্য হচ্ছে মোটা দাগে পেটের দায়ে। কিন্তু মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তের কিছু মানুষও স্বস্থ্যবিধি মানছে না। এটি দুঃখজনক। সরকার পূর্বে ঘোষণা দিয়েছে এবার ঈদে লোকজনকে ঢাকায় আবস্থান করতে। এখন আমরা তার উল্টোচিত্র দেখছি। সরকারে একার পক্ষ লকডাউন কার্যকর সম্ভব নয়। সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

Tagged