যে কথা বারবার না বললেই নয়

উন্নতবিশ্বে পুঁজিবাজার হচ্ছে উন্নয়নের চাবিকাঠি। এমনকি তারা এটিকে অর্থনীতির হৃদপিণ্ডও মনে করে। আর আমরা উন্নয়নের ক্ষেত্রে পুঁজিবাজারকে কাজে লাগাতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছি। এখানে যৌক্তিক কারণ ছাড়াই দুইশ’ টাকার শেয়ারের দর ২০ টাকায় নেমে আসে। আবার অকারণে জেড ক্যাটাগিরর কোম্পানির ২০ টাকার শেয়ারের দর বেড়ে হচ্ছে ৭৫ টাকা। এতে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা বিভ্রান্ত হন। তাদের মনে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক- কার স্বার্থে এমনটি হচ্ছে?
সাধারণ বিনিয়োগকারীরা হয়তো ধারণা করছেন, মৌলত্তির কোম্পানির শেয়ার দর বাড়বে। তারা বিনিয়োগও করছেন সেই নিচন্তা থেকে কিন্তু দেখা যাচ্ছে দর বেড়েছে দুর্বল মৌলভিত্তির কোম্পানির। এটিকে কারসাজি না বলে উপায় নেই। এতে প্রতারিত হয়ে অনেক বিনিয়োগকারী পথে বসছেন। এর দায় কোনোভাবেই এড়াতে পারে না নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কঠোর আইন প্রয়োগ করার মাধ্যমে বিএসইসিকে প্রমাণ করতে হবে যে, তারা কার্যকর কিছু করতে চায়। আবার আইনি দুর্বলতাও দূর করতে হবে। যাতে ফাকফোকর দিয়ে কারসাজিকারীরা বের হয়ে যেতে না পারে। তবেই পুঁজিবারের বর্তমান সংকট দূর হতে পারে।