পুঁজিবাজারের টালমাটাল অবস্থার শেষ কোথায়

কিছুতেই কাটছে না দেশের পুঁজিবাজারে টালমাটাল অবস্থা। গতকাল সূচকে বড় ধরনের পতন হয়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এর আগের কয়েক দিনও বাজার নিম্নমুখী ছিল। যখনই বাজার কিছুটা চাঙ্গা হয়, তখনই ফের বড় ধরনের হোঁচট খায়।

সম্প্রতি পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য মার্জিন ঋণে সুদের হার সর্বোচ্চ ১২ শতাংশ নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, স্টক ব্রোকার ও মার্চেন্ট ব্যাংকার (পোর্টফোলিও ম্যানেজার) প্রদত্ত মার্জিন ঋণ প্রদানের বিপরীতে গ্রাহকের কাছ থেকে কস্ট অব ফান্ডের পাশাপাশি অতিরিক্ত সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ স্প্রেড আদায় করতে পারবে, কিন্তু কোনোমতেই তা ১২ শতাংশের বেশি হবে না। এ নির্দেশনা আগামী মাস থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন, এ সীমা বেঁধে দেয়ার কারণে মার্জিন ঋণের প্রবাহ আগের চেয়ে কমে গেছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা এখন নিজেদের পুঁজির বাইরে কম বিনিয়োগ করতে পারছেন। তাছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা নেগেটিভ ইকুইটির বোঝা কমাতে শেয়ার বিক্রি করছেন। এ ধরনের কথা সান্ত্বনাবাক্য কিনা সেটিও দেখার বিষয়। কারণ এর বাইরেও রয়েছে কি না সেটি খতিয়ে দেখা দরকার। এ ধরনের অস্থিরতার বাজারের স্থিতিশীলতার পথে অন্তরায়।

Tagged