বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হলে লাভবান হয় কারা?

আবারও টানা দরপতনের বৃত্তে আটকে গেছে দেশের পুঁজিবাজার। আবারও যেনো আতঙ্ক ভর করেছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। তারা আতঙ্কে শেয়ার ছেড়ে দিলে লাভবান হয় কারা? এমন প্রশ্নই এখক সামনে চলে আসছে। এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর খুঁজে পাওয়া গেলে, বাজারের ভৌতিক আচরণের কারণ জানা যাবে। তখন বোঝা যাবে কোথায় আসলে গলদ।

আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবারও প্রধান ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহের চার কার্যদিবসেই পুঁজিবাজারে দরপতন হলো।

দিনের লেনদেন শেষে মূল্যসূচক কমলেও এদিন লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রথম আধাঘণ্টাজুড়েই অব্যাহত থাকে। এতে লেনদেনের আধাঘণ্টার মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ১৮ পয়েন্ট বেড়ে যায়।

এরপর বাজারচিত্র বদলে যেতে থাকে। দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দরপতনের তালিকায় নাম লেখাতে থাকে। লেনদেনের সময় গাড়নোর সঙ্গে সঙ্গে বড় হতে থাকে দরপতনের তালিকা। ফলে প্রধান সূচকের বড় পতন দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়। এখন কথা হচ্ছে বাজারের এমন অবস্থার কারণ কী? নাকি ফাঁদ পেতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সর্বনাশ করার জন্যই এটি হচ্ছে?

Tagged