বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আর কত প্রতারণা?

পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা এখন থেকে ই-মেইলে বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবের তথ্য বিনা খরচে পাবেন। সে জন্য বিও হিসাব খোলার সময় বিনিয়োগকারীদের দেওয়া ই-মেইলটি সঠিক ও কার্যকর হতে হবে। সম্প্রতি নতুন এ সেবা চালু করেছে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বিও হিসাব ও শেয়ার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আগারগাঁও কার্যালয়ে এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এখন থেকে প্রতি মাসের ৫ তারিখের মধ্যে বিনিয়োগকারীর ই-মেইলে তাঁর বিও হিসাবের আগের মাসের লেনদেন তথ্যসহ পূর্ণাঙ্গ বিবরণী বা স্টেটমেন্ট স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে চলে যাবে।

এ সময় বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি নানা কারসাজির মাধ্যমে কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসের পক্ষ থেকে বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। নতুন এ সেবা এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে সহায়তা করবে। বিনিয়োগকারীরা ঘরে বসে সিডিবিএল থেকে পাওয়া প্রকৃত তথ্যের সঙ্গে ব্রোকারেজ হাউস থেকে পাওয়া তাদের বিও হিসাবের তথ্য মিলিয়ে নিতে পারবেন।

প্রযুক্তির উন্নয়নের যুগে পুঁজিবাজারে অনেক ধরনের নজরদারি ও সুবিধা যুক্ত হবে এটাই স্বাভাবিক। তাই এই পদক্ষেপকে আমরা সাধুবাদ জানাই। সেইসঙ্গে একটি প্রশ্ন থাকে, সেটি হচ্ছে- আর কত প্রতারণার শিকার হবেন বিনিয়োগকারীরা? ব্রোকারেজ হাউসগুলো কেনো এখনও নিয়মের মধ্যে আসছে না? এই দায় কার? এটিই এখন বড় প্রশ্ন।

Tagged