বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তা আমাদের আশান্বিত করে

শত হতাশার পর পুজিবাজার একটু ঘুরে দাঁড়ালে বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেন। এটি আমাদের আশান্বিত করে। এতে বিনিয়োগকারীদের বাজারের প্রতি আগ্রহের বিষয়টি খুবই ইতিবাচক।

বাজারে গতি ফিরে আসায় আবার নিষ্ক্রিয় বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে প্রায় ৭৯ হাজার নিষ্ক্রিয় বিনিয়োগকারী বাজারে সক্রিয় হয়েছেন। এসব বিনিয়োগকারীর শেয়ারশূন্য বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে গত দুই দিনে শেয়ার কেনা হয়েছে।

ফলে বাজারে একদিকে কমছে শেয়ারশূন্য বিও হিসাব, অন্যদিকে বাড়ছে শেয়ার আছে এমন বিও হিসাবের সংখ্যা। বিও হিসাব সংরক্ষণকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড বা সিডিবিএল সূত্রে গণমাধ্যমে এ তথ্য জানা যায়। পুঁজিবাজারে কোনো বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করতে চাইলে তার বিও হিসাব থাকা বাধ্যতামূলক। বিও হিসাবের মাধ্যমে লেনদেনে অংশ নেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে বিও হিসাবের পরিসংখ্যান থেকে সক্রিয় ও নিষ্ক্রিয় বিনিয়োগকারীদের তথ্য জানা যায়। নিয়ম অনুযায়ী, কোনো বিও হিসাবে শেয়ার না থাকা মানে ওই বিও হিসাব নিষ্ক্রিয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর যেসব বিও হিসাবে শেয়ার থাকে, সেগুলোকে সক্রিয় বিও হিসাব বিবেচনা করা হয়ে থাকে।

দু-তিন মাস আগে যেসব বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রি করে চুপচাপ বসে ছিলেন, তাদের অনেকে সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে আবারও সক্রিয় হয়েছেন। এটি নতুন করে যারা পুঁজিবাজারে আসতে চান, তাদেরকে অনুপ্রাণিত করবে বলে আমাদের ধারণা।

Tagged