বিনিয়োগকারীদের রক্তক্ষরণ বাড়ছে

মহামারি করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যে কঠিন পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) দায়িত্ব নিয়ে বেশকিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয় শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম নেতৃত্বাধীন কমিশন। এতে মন্দার শেয়ারবাজারে ধীরে ধীরে গতি ফিরে আসে।

কঠিন পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার দায়িত্ব নিয়ে যে কমিশন বিনিয়োগকারীদের মুখে হাসি ফোটায়, সেই কমিশনের মেয়াদের শেষ দিকে এসে কঠিন চাপের মুখে পড়েছে শেয়ারবাজার। অব্যাহত দরপতনের মধ্যে প্রতিনিয়ত পুঁজি হারাচ্ছেন লাখ লাখ বিনিয়োগকারী।

এমন পতনের প্রকৃত কারণ যেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি হারানোর আর্তনাদও থামছে না। বরং দিন যত যাচ্ছে বিনিয়োগকারীদের রক্তক্ষরণ তত বাড়ছে।

বাজারে দরপতনের পেছনে কয়েকটি কারণ কাজ করছে। তবে সেসব কারণে বাজারে যে হারে দরপতন হওয়ার কথা, প্রকৃতপক্ষে দরপতনের মাত্রা তার থেকে বেশি। এখন বাজারে যে হারে দরপতন হচ্ছে তার যুক্তিসঙ্গত কোনো কারণ নেই। এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের বাঁচানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপটি কেউ নিতে পারছেন না? এটিই এখন বিনিয়োগকরীদের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। আজ হোক ,কাল হোক পুঁজিবাজার হয়তো নিজের জায়গায় ফিরে আসবে। কিন্তু সেটি আর কত দিন? এখন এই প্রশ্নই সবচেয়ে দামী।

Tagged