পুঁজিবাজারে কারসাজিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন

দেশের পুঁজিবাজারে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কারসাজি চক্র। চক্রটি একের পর এক কোম্পানির শেয়ারের দাম কৃত্রিমভাবে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের অর্থ। তবে এই চক্রের দৌরাত্ম্য বন্ধে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।

কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম যেভাবে বেড়েছে তাতে সহজেই বোঝা যাচ্ছে কারসাজির মাধ্যমে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে তথ্য প্রচার করে শেয়ারের দাম বাড়ানো হচ্ছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই কারসাজি বন্ধ করতে পারছে না।

বর্তমানে বাজারে সবচেয়ে আলোচিত কোম্পানি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন। মাত্র ১৭ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৮০ শতাংশ। অর্থাৎ ১৭ কার্যদিবসে ১০০ টাকায় লাভ ১৮০ টাকা। গত ২৩ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ৪৯ টাকা ৪০ পয়সা। যা টানা বেড়ে ১৭ জানুয়ারি লেনদেন শেষে দাঁড়িয়েছে ১৩৮ টাকা ৩০ পয়সায়।

কোম্পানিটির শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার প্রবণতা শুরু হয় ২০২১ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে। গত ২৬ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটি এই আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এরপর থেকেই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকে। ১৯৭৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির শেয়ারের দাম এর আগে কখনো এমন উচ্চতায় পৌঁছায়নি। এমন আরও কোম্পানি রয়েছে। এখন দরকার হচ্ছে বিষয়টি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ। না হলে সব ধরনের চেষ্টাই ভেস্তে যেতে পারে।

Tagged