পুঁজিবাজারে অশুভ তৎপরতা চলছেই

দেশের পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের প্রথম কর্মদিবস গত রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএস) সূচক কমেছে ৯৬ পয়েন্টের বেশি।

তার পরের দুই কর্মদিবস সোমবার ও মঙ্গলবার সূচক বেড়েছে ৩৬ পয়েন্ট। সর্বশেষ দুই কর্মদিবস বুধবার ও বৃহস্পতিবার সূচক কমেছে ১২০ পয়েন্ট।

এতে দেখা যায়, ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে দুই কর্মদিবস সূচক বেড়েছে ৩৬ পয়েন্ট। তিন কর্মদিবসে সূচক কমেছে ২১৬ পয়েন্ট। যার ফলে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের কারণে ডিএসইর সূচক হারিয়েছে ২১৬ পয়েন্ট।

অন্যদিকে, ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের দিন বৃহস্পতিবার ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৯০৪ কোটি টাকা। ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পাঁচ কর্মদিবস পর বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৫৪ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের ফসল হলো ডিএসইর বাজার মূলধন ৩২ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা গায়েব।

এদিকে, ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের জন্য যারা অনবরত চাপ দিচ্ছিল, ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর দুই কর্মদিবস তাদের কিছুটা সক্রিয় ছিল। তারপর ফের নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। ওই বিনিয়োগকারীরা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ায় গত দুই কর্মদিবস বাজারে বড় পতন দেখা গেল। তারা ফের কম দামে বাজার থেকে শেয়ার তোলার কৌশল নিয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।

Tagged