গোষ্ঠীর চেয়ে দেশ বড়: কবে হবে বোধোদয়

যেকোনো গোষ্ঠীর চেয়ে দেশ বড়-এই বোধ আমাদের মধ্যে কবে উদয় হবে? কবে আমরা বুঝতে শিখবো, মুষ্টিমেয় লোকের স্বার্থ উদ্ধার হওয়া গণতন্ত্রের লক্ষণ্ নয়। আর গণতন্ত্র বাদ দিয়ে দেশের স্বার্থ রক্ষাও সম্ভব নয়। পৃথিবীর কোনো দেশেই এটি হয়নি। কিন্তু আমাদের দেশে প্রায়ই দেখা যায় কতিপয় ব্যক্তি বা সিন্ডিকেট দেশের স্বার্থে চেয়ে বড় হয়ে যায়। এ প্রবণতা যখন কাজ করে তখন জাতির অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়। স্বাধীনতার পর থেকে আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে এটি দেখেছি। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারেও এই ধরনের প্রবণতা দেখা যায়।

সাধারণ বিনিয়োগকারীসহ বাজার সংশ্লিষ্টরা নানাভাবে বলে আসছেন, পুঁজিবাজার কর্তৃপক্ষ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থায় পরিবর্তন দরকার। এখানে সৎ ও যোগ্য লোক বসানো প্রয়োজন। কিন্তু তাদের এ দাবি উপেক্ষিতই থেকে যাচ্চে। বিনিয়োগকারীদের সাম্প্রতিক আন্দোলনে এ দাবি আরো জোরালো হয়েছে। এতে সংশ্লিষ্টদের টনক নড়বে কিনা বলা যাচ্ছে না। পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত দেশে দেখা যায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ব্যর্থ হলে নিজ থেকে সরে যান। অর্থাৎ পদত্যাগ করেন। কিন্তু আমাদের এখানে ব্যর্থদের আরও শক্ত হয়ে চেয়্যারে বসে থাকতে দেখা যায়। লাখ লাখ বিনিয়োগকারীর ক্ষতির মুখেও তারা নিশ্চিন্তে থাকেন। দেশ ও মানুষের স্বার্থের চেয়ে কতিপয় ব্যক্তি বা সিন্ডিকেটের স্বার্থ বড় হয়ে যায়। বিশেষ করে পুঁজিবাজারের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় এই ধরনের কাজ জাতীয় স্বার্থ পরিন্থি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপই কাম্য।

Tagged