সুশাসন থাকলে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগবে না

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- দিনাজপুরগামী ট্রেনে চড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছানো সম্ভব নয়। গন্তব্য অনুযায়ী ট্রেন ধরতে হবে। আমাদের পুঁজিবাজারেও বিষয়টি এভাবে বলা যায়- লক্ষ্য অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। এ কারণে করণীয় ঠিক করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথমেই সামনে চলে আসে পুঁজিবাজারের সুশাসনের বিষয়টি। এর সঙ্গে সবকিছু জড়িত। তাই সুশাসন থাকলে পুঁজিবাজার ঘুড়ে দাঁড়াতে সময় লাগবে না।

গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুঁজিবাজারে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব উদ্যোগের পরও বাজার সম্পূর্ণরূপে ঘুরে দাঁড়ায়নি। মাঝে মধ্যে বাজারে আলোর ঝলকানি দেখা যায়। আবার কিছু দিনের মধ্যেই মিলিয়ে যায়। এ কারণে বাজারের প্রতি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা কেবল পেণ্ডলামের মতো দুলতে থাকে। বাজার স্থিতিশীল হয় না। বিনিয়োগকারীরাও শতভাগ ভরসা নিয়ে বিনিয়োগ করতে পারেন না। কারণ নানা সময় প্রলোভনে পড়ে তারা পুঁজি হারিয়েছেন। অনেকে ছিটকে পড়েছেন পুঁজিবাজার থেকে। কেউ অভিমানে চুপচাপ চলে গেছেন। এসব বিনিয়োগকারীরা ফের বাজারে সক্রিয় হবেন কিনা বলা মুশকিল। এসবই হয়েছে বাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হয়নি বলে। তাই সঠিক গন্তব্যে পৌঁছতে হলে সবার আগে সুশাসন দরকার।

Tagged