সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি ঘটলেই স্বাধীনতা অর্থবহ হবে

বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে স্বাধীনতাই সব চেয়ে বড় অর্জন। বিভিন্ন সময় এ জনপদের মানুষ বিদেশি শাসকদের দ্বারা নানাভাবে বঞ্চিত ছিলো। ফলে-ফসলে উর্বর ভূমি থাকলেও মানুষ অন্যায়ভাবে সুবিধাবঞ্চিত হয়েছে। শোষণের জাঁতাকলে তারা বন্দি ছিলো। ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে, ত্রিশ লাখ শহিদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে বাঙালির স্বাধীনতা। বিশ্বের মানচিত্রে সৃষ্টি হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশ।

১৯৭১ সালে মূলত স্বাধীন হলেও এদেশের মানুষের রয়েছে দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। সেই ইতিহাসের নায়ক খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। সেই মানুষগুলো ভালো থাকলেই বাংলাদেশ ভালো থাকবে। বিশেষ করে সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি না ঘটলে স্বাধীনতা অর্থবহ হবে না। ফলে আজ স্বাধীনতা দিবসে আমরা তাদেরকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করতে চাই- যাদের আত্মত্যাহের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। পাশাপাশি স্বাধীনতার পর থেকে গত ৫০ বছর জীবন সংগ্রাম করে যারা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে জাগিয়ে রাখছে তাদের প্রতিও আমাদের শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছ।

অর্থনীতির চাকা আশানুরূপ গতিশীল করতে হলে দেশের পুঁজিবাজারের উন্নতি করতে হবে। এই দৃষ্টান্ত আমরা বিশ্বের উন্নত দেশগুলো দেখতে পাই। আমরা মনে করি, বাংলাদেশের মানুষ অলস অকর্মা নয়। তারা লড়াই সংগ্রামে পোড়খাওয়া। তাই তাদের পক্ষে সম্ভব অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ উতরে যাওয়া।

Tagged