শুধু ফ্লোর প্রাইস কতটা সুরক্ষা দেবে বিনিয়োগকারীদের?

দিন যতই যাচ্ছে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের অবস্থা নাজুক হচ্ছে। এমনকি ফ্লোর প্রাইস বহাল থাকার পরও বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক হারে ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন। এই অবস্থায় আবারও নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে তালিকাভুক্ত ১৬৯ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারে সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সম্প্রতি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখ কথা হচ্ছে এই ফ্লোর প্রাইস বিনিয়োগকারীদের কতটা সুরক্ষা দেবে।

বিএসইসি জানিয়েছে, নতুন এ সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে। ফলে আজ বৃহস্পতিবার থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে আবারও সর্বনিম্ন মূল্যস্তর আরোপিত হবে। নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সব প্রতিষ্ঠানের ওপর আবারও সর্বনিম্ন মূল্যস্তর ফিরে আসছে। এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর ১৬৯ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের ওপর থেকে সর্বনিম্ন মূল্যস্তর তুলে নেওয়া হয়েছিল। ফলে এসব শেয়ার ও ফান্ডের দাম প্রতিদিন ১ শতাংশ করে কমতে পারত।

টানা দরপতনের কারণে সর্বনিম্ন মূল্যস্তর তুলে নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশির ভাগেরই দাম প্রতিদিন একটু একটু করে কমছিল। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। এ জন্য বিনিয়োগকারীসহ বাজার–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের একটি পক্ষ এ নিয়ে আপত্তি তোলে। তাদের যুক্তি, এক বাজারে দুই ধরনের নিয়ম থাকতে পারে না। তাই তাঁরা দাবি তোলেন, হয় সব কোম্পানির ওপর থেকে সর্বনিম্ন মূল্যস্তর তুলে নেওয়া হোক, নতুবা যেসব প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে এ মূল্যস্তর তুলে নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর ওপর আবার তা আরোপ করা হোক।

আমাদের ভাষ্য হচ্ছে শুধু ফ্লোর প্রাইসই নয়, বাজারের সার্বিক সার্পোট বাড়াতে হবে। না হলে এতে খুব একটা কাজ হবে বলে মনে হয় না।

Tagged