আবারও ১৬৯ শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস আরোপ

এসএমজে ডেস্ক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৬৯ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারে আবারও সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গত বুধবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিএসইসি জানিয়েছে, নতুন এ সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে। ফলে আজ বৃহস্পতিবার থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে আবারও সর্বনিম্ন মূল্যস্তর আরোপিত হবে। নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সব প্রতিষ্ঠানের ওপর আবারও সর্বনিম্ন মূল্যস্তর ফিরে আসছে। এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর ১৬৯ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের ওপর থেকে সর্বনিম্ন মূল্যস্তর তুলে নেওয়া হয়েছিল। ফলে এসব শেয়ার ও ফান্ডের দাম প্রতিদিন ১ শতাংশ করে কমতে পারত।

এদিকে পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক টানা দরপতনের কারণে সর্বনিম্ন মূল্যস্তর তুলে নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশির ভাগেরই দাম প্রতিদিন একটু একটু করে কমছিল। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। এ জন্য বিনিয়োগকারীসহ বাজার–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের একটি পক্ষ এ নিয়ে আপত্তি তোলে। তাদের যুক্তি, এক বাজারে দুই ধরনের নিয়ম থাকতে পারে না। তাই তাঁরা দাবি তোলেন, হয় সব কোম্পানির ওপর থেকে সর্বনিম্ন মূল্যস্তর তুলে নেওয়া হোক, নতুবা যেসব প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে এ মূল্যস্তর তুলে নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর ওপর আবার তা আরোপ করা হোক।

বিনিয়োগকারীদের আলাদা আলাদা দুটি প্রতিনিধিদল সম্প্রতি বিএসইসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ দাবি জানান। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার ১৬৯ প্রতিষ্ঠানের দামের ওপর আবারও সর্বনিম্ন মূল্যস্তর আরোপের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি।

সর্বনিম্ন মূল্যস্তর হচ্ছে এমন একটি ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দামের একটি নির্ধারিত সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। ফলে বাজারমূল্য ওই বেঁধে দেওয়া দামের নিচে নামার কোনো সুযোগ নেই। বাজারের পতন ঠেকাতে এভাবেই কৃত্রিমভাবে শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দাম ধরে রেখেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

জানতে চাইলে বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, বাজারসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ ও বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সব প্রতিষ্ঠানে সর্বনিম্ন মূল্যস্তর আরোপের সুপারিশ করা হয়। বাজার–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সেই দাবির প্রেক্ষিতে আবারও ১৬৯ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের ওপর সর্বনিম্ন মূল্যস্তর ফিরিয়ে আনা হয়।

বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, যেসব প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন করে আবারও সর্বনিম্ন মূল্যস্তর আরোপ করা হয়েছে সম্মিলিতভাবে এসব প্রতিষ্ঠানের বাজার মূলধন বাজারের মোট মূলধনের প্রায় ৫ শতাংশ। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমলে বা বাড়লে তার বড় ধরনের কোনো প্রভাব সূচকে পড়বে না।

পুঁজিবাজারে সূচকের পতন ঠেকাতে গত বছরের ২৯ জুলাই থেকে তালিকাভুক্ত সব শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ওপর সর্বনিম্ন মূল্যস্তর আরোপ করে বিএসইসি। ওই সময় বিএসইসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Tagged