রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে পুঁজিবাজারকে মুক্ত রাখতে হবে

দীর্ঘ দিন ধরেই অস্থির দেশের পুঁজিবাজার। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যাতে আরও বেশি ভয় ও শঙ্কা তৈরি না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে সংশ্লিষ্টদের। বিশেষ করে রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব যাতে পুঁজিবাজারে না পড়ে তার জন্য সর্তক থাকতে হবে। এমনিতেই আস্থা হারিয়ে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। অন্যদিকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা রয়েছে বাজার নিষ্ক্রিয়।

বাজারে এ অবস্থা চলছে গত এক মাস প্রায় একমাস ধরে। এই সময়ে মাত্র সাত দিন উত্থানের বিপরীতে ১৩ কর্মদিবস পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে। তাতে বিনিয়োগকারীদের মূলধন অর্থাৎ পুঁজি হাওয়া হয়ে গেছে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি। লেনদেনও কমতে কমতে ঠেকেছে তলানিতে।

এদিকে জাতীয় নির্বাচনের সময়ে নিতে হবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এবং ইনভেস্টমেনন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি)। নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইতোমধ্যে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী দিনের কর্মপরিকল্পানা তৈরি করেছে বলে সংবাদ মাধ্যমের বরাতে জানা গেছে। এটি ইতিবাচক দিক।

আসছে জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে উত্তপ্ত রাজনৈতিক মাঠ। সামনে পরিস্থিতি আরও খারাপ দিকে যেতে পারে। এতে করে পুঁজিবাজারে আরও দরপতন হতে পারে এই ভয় ও শঙ্কায় দিন পার করছে বিনিয়োগকারীরা। তাই তারা শেয়ার বিক্রি করে নিজের অর্থ তুলে নিচ্ছেন। ফলে একদিন সূচক সামান্য বাড়লে দুদিন কমছে। বিনিয়োগকারীদের এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। লোকসানে শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া কোনো সমাধান নয়। প্রয়োজন হচ্ছে ধৈর্য ধরে বিচার বুদ্ধি খাটিয়ে বাজারে আঁকড়ে থাকা।

Tagged