মিথ্যা তথ্য এড়ানোর উপায় বের করবেন কারা?

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, পুঁজিবাজারে আমরা সুস্থ ও সুন্দরভাবে কাজ করতে চাই। বিএসইসি কমিশনাররা প্রাইভেট কোম্পানির মতো কাজ করে। ওনারা দিন রাত কাজ করেন। শতশত কাজের পরও প্রতিদিন সকালে ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অনেক ভয় লাগে। কাল আবার মার্কেট কেমন হবে, সেসব নিয়ে চিন্তায় থাকতে হয়। এটার কারণ সোশ্যাল মিডিয়া। আমাদের সবচেয়ে অসুবিধায় ফেলে ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রচার করা মিথ্যা তথ্য। অনেক ভিউ হয়, তারা ভিউ বাড়িয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করতে চায়। মানুষ এগুলো পড়েও বেশি। এর ফলে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়।

বিষয়টি খুবই গুরত্বপূর্ণ। বিএসইসি চেয়ারম্যান ভালো একটি জায়গা ধরেছেন বলে আমরাও মনে করি। কারণ মিথ্যা তথ্য পুঁজিবাজরের সর্বনাশ করছে। এর মধ্য দিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীও ক্ষতির মধ্যে পড়ছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এটি এড়ানোর উপায় কী? এ উপায় কারা বের করবেন? এটি তো বিনিয়োগকারীদের কাজ নয়। কাজটি করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। তাদেরই দায়িত্ব এ ধরনের জটিল পরিস্থিতি থেকে পুঁজিবাজারকে বাঁচানো। না হলে মানুষের আস্থায় থাকবে কেনো?

সোশ্যাল মিডিয়ার মিথ্যা প্রচারণার কারণে ভিউ থেকে অনেকে বিপুল পরিমাণ আয় করে। এই ভিউকে কেন্দ্র করেই পুঁজিবাজার নিয়ে প্যানিক সৃষ্টিকারী সংবাদ প্রচার করে আসছে অনেকে। পুঁজিবাজারে ইথিকস প্রিন্সিপাল নিয়ে যারা কাজ করে তাদের সংবাদ খুব বেশি চলে না। আগামী ৭ দিন পর মার্কেটে এটা হয়ে যাবে ওটা হয়ে যাবে এমন সংবাদ প্রচার করা হয় হয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

আমাদের ধারণা, মিথ্যা তথ্য এড়াতে হলে বিনিয়োগকারীদের সচেতন হওয়ার পাশাপাশি পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।

Tagged