ব্রোকারেজ হাউসগুলোর স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা থাকা দরকার

পুঁজিবাজারের উন্নয়নের স্বার্থে ব্রোকারেজ হাউসগুলোর কাজে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা থাকা দরকার। অনেক সময় দেখা যায়, ব্রোকারেজ হাউসগুলোর কাজ প্রশ্নবিদ্ধ হয়। আবার বিনিয়োগকারীদের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রেও প্রতিষ্ঠানগুলোয় পার্কন্য দেখা যায়। বিষয়গুলো উন্নত পুঁজিবাজারের ক্ষেত্রে অন্তরায়। বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানগুলো ফি নিচ্ছে। তাই তাদেরকে সঠিক সেবার পাশাপাশি পুঁজিবাজার বিষয়ে সচেতনতা মূলক কর্মকাণ্ড চালাতে পারে ব্রোকারেজ হাউসগুলো।

শেয়ার ব্যবসার জন্য নতুন করে ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে ব্রোকার–ডিলার সনদ দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। প্রতিষ্ঠানগুলো প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) অধীনে ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট বা ট্রেক সনদ পাবে, যে সনদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ার ব্যবসায় যুক্ত হবে।

নতুন ট্রেক ইস্যুর জন্য গত ফেব্রুয়ারি মাসে আবেদন আহ্বান করে ডিএসই। ৬৬টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করলে ডিএসই যাচাই–বাছাই করে ৫১টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা পাঠায় বিএসইসিতে। পরে বিএসইসি বাতিল করা ১৫টি থেকে ৩টিকে যোগ্য হিসেবে বিবেচনায় নেয়। সেই ৫৪টি থেকে প্রথম পর্যায়ে ৩০টিকে অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি। ১৯৫২ সালে ডিএসইর কার্যক্রম শুরুর পর ২০০৪–২০০৫ সময়ে একসঙ্গে ৩৮টি সদস্যপদ বিক্রি করেছিল ডিএসই। এরপরই এবার একসঙ্গে এত ব্রোকার-ডিলারের অনুমোদন দিল বিএসইসি।

নতুন ট্রেক ইস্যুর বিষয়টিকে বাজারের জন্য ইতিবাচক বলেই হবে বলেই আমরা মনে করি।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেখানে ডিমিউচুয়ালাইজেশন হয়েছে, সেখানে প্রতিবছর নিয়ম করে নির্দিষ্টসংখ্যক নতুন ট্রেক ইস্যু করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশেও  বাস্তবতা বুঝে এটি হতে পারে। তবে ক্ষেত্রে অবশ্যই যোগ্য প্রতিষ্ঠান বাছাই করা জরুরি।

Tagged