এক মাসের বেশি সময় ধরে টানা পতনে রয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। গত ১১ ফেব্রুয়ারি প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ছিল ৬ হাজার ৪৪৭ পয়েন্ট। এক মাস অতিক্রান্তের পর গতকাল ১৪ মার্চ ডিএসইর প্রধান সূচক কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯৬৮ পয়েন্টে। এই সময়ে সূচক কমেছে ৪৭৯ পয়েন্ট।
সূচকের এমন ধারাবাহিক পতনে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা পুঁজি হারিয়ে এখন দিশেহারা। অনেকের পুঁজি ২৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশের বেশি উধাও হয়ে গেছে। আর যারা মার্জিন ঋণে শেয়ার কিনেছিলেন, তাদের সিংহভাগ এখন প্রায় নিঃস্ব। গত কয়েকদিন যাবত তাদের পোর্টফোলির শেয়ার ছিল ফোর্স সেলের আওতায়।
ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের ধাক্বা সামলিয়ে বাজার যখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল, ঠিক তখন জেড ক্যাটাগরির শেয়ার নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সিদ্ধান্ত বাজারে দুর্যোগ নেমে আসে। এর সাথে যুক্ত হয় বহুজাতিক মেগা কোম্পানি গ্রামীণফোন ও বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকোর ফ্লোর প্রত্যাহার। চলতি সপ্তাহে আরও যুক্ত হয় বিএসইসি ও ডিএসই’র পারস্পরিক বিরোধ এবং বড় বিনিয়োগকারীদের রেষারেষি।
মার্চেন্ট ব্যাংক, ব্রোকারেজ হাউজ অ্যাসোসিয়েশন, ডিলার অ্যাসোসিয়েশনগুলো ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের জন্য উঠেপড়ে লেগেছিল। তারা এখন কোথায়? ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা এখন কোনোই কুলকিনারা পাচ্ছেন। তাদের মধ্যে চলছে আর্তনাদ আর হাহাকার।
শেয়ারবাজার দেখভাল করার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা নামে একটি প্রতিষ্ঠানও দেশে রয়েছে। সেই প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা এখন চুপচাপ। তাঁরাও যেন নিরবে বিনিয়োগকারীদের দুর্দশা দেখতে পাচ্ছেন না।