পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিল যেন শুধু কাগুজে বিষয় না হয়

পুঁজিবাজার নিয়ে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে আসছে বর্তমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিল। বিভিন্ন মহল থেকে এটিকে স্বাগত জানানো হয়। একটি ভালো উদ্যোগ হিসেবে একে মনে করা হয়। কিন্তু বর্তমানে এর অবস্থা কতটুকু অগ্রসর হলো? আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, এটি যেন শুধু কাগুজে বিষয় হয়ে না যায়।

সম্প্রতি পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিলে (ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড- সিএমএসএফ) ব্যাংকগুলো কত টাকা বা অবণ্টিত ও দাবিহীন লভ্যাংশ দিয়েছে তা জানতে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গত বছরের ১ জুলাই পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিল গঠনের গেজেট হয়। পুঁজিবাজারে বিভিন্ন কোম্পানির বিপুল পরিমাণ দাবিহীন ও অবণ্টিত অর্থ বিনিয়োগে আনতে এ তহবিল গঠন করা হয় বলে জানায় বিএসইসি।

সংস্থাটি এমন ধারণাও দিয়েছিল যে, দাবিহীন ও অবণ্টিত অর্থের পরিমাণ ১৭ হাজার কোটি টাকা। তবে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত এ তহবিলে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা জমা হয়েছে।

তহবিলের অর্থ পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে। তবে কোনো বিনিয়োগকারী কখনো যদি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখিয়ে তার লভ্যাংশ দাবি করেন, তাহলে যাচাই-বাছাই শেষে তা তহবিল থেকে নিষ্পত্তি করা হবে।

তহবিল গঠনের বিধিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে পুঁজিবাজারের কোনো কোম্পানির কাছে বিনিয়োগকারী বা গ্রাহকের অর্থ তিন বছরের বেশি সময় অদাবিকৃত অবস্থায় পড়ে থাকলে তা নতুন এ তহবিলে স্থানান্তর করতে হবে। আমরা মনে করি বিষয়টি কার্যকর করতে পারলে ভালো ফল হতে পারে। তাই সংশ্লিষ্টদের উচিত এ বিষয়ে আরও তৎপর হওয়া।

Tagged