পুঁজিবাজারে লোকদেখানো কিছু হওয়া কাম্য নয়

মানুষকে একবার দুইবার কিংবার তিনবার বিভ্রান্ত করা যায়। কিন্তু বারবার বিভ্রান্ত করা যায় না। তবে কেউ যদি সচেতনভাবে প্রতারণা করেন, তা হলে কিছু করার থাকে না। তখন মানুষে আস্থা থাকে না। মানুষ পরিস্কার সবকিছু বুঝে যায়। আমাদের দেশের পুঁজিবাজারে বর্তমানে যা হচ্ছে, সেটিকে সামগ্রিকভাবে এক প্রকার অস্বাভাবিকতাই মনে হয়। এতে সাধারণ বা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজার থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরতে থাকবেন। এটি আখেরে পুঁজিবাজারের জন্য ভালো কিছু হবে না।

টানা পাঁচ কার্যদিবস পতনের পর বুধবার দেশের পুঁজিবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে কম। একই সঙ্গে বেড়েছে সবকটি মূল্যসূচক।

পাঁচ কার্যদিবস পর মূল্যসূচক ঊর্ধ্বমুখী করতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে গ্রামীণফোন ও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো। ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার পর এ দুই প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দামে বড় পতন হয়। সেই পতন থেকে বেরিয়ে এদিন দাম বাড়ার তালিকায় চলে এসেছে কোম্পানি দুটি।

এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ২০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এমন উত্থানে মাঝে মধ্যেই দেখা যাচ্ছে। ফলে লোকদেখানো কিছু হলে, সেটি কাম্য নয়।

Tagged