পুঁজিবাজারে মন্দা কাটানোর উদ্যোগ নিতে হবে

দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকার কারণে কেনাবেচা হয় না। এমন শেয়ার রয়েছে ৫৮ শতাংশ। ফ্লোর প্রাইসের ওপরে বাকি ৪২ শতাংশ শেয়ার থাকলেও ২০ থেকে ২৫টি শেয়ার ঘিরে লেনদেন আবর্তিত হচ্ছে। এর মধ্যেই কিছু শেয়ারের দরে হঠাৎ উল্লম্ফন হচ্ছে। তবে এক দিন বাড়লে পরের তিন দিন পতন হচ্ছে। অথচ সার্বিকভাবে বাজারে মন্দা পরিস্থিতেই চলছে।

কয়েক মাস ধরে এমন ঘটনা অহরহ ঘটছে। ২ থেকে ৩ দিনে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ দর বাড়ানোর নজির রয়েছে। কিছু শেয়ার হঠাৎ সার্কিট ব্রেকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ দরে কেনাবেচার পর দিনই দর হারাতে দেখা গেছে। দরবৃদ্ধির দিনে আরও দর বাড়তে পারে এমন আশায় কিছু বিনিয়োগকারী ওই শেয়ার কেনেন। যারা এমন ভেবে শেয়ার কেনেন, তারা লোকসানে পড়েন।

এভাবে অল্প কিছু শেয়ারের দরে বেশ উত্থান-পতন হলেও সার্বিকভাবে পুরো বাজার মন্দায় রয়েছে। এই মন্দা কাটানোর জন্য বিশেষভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। না হলে পরিস্থির গুণগত পরিবর্তন সম্ভব নয়। এটি হচ্ছে বর্তমানে পুঁজিবাজারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

Tagged