নতুন বিনিয়োগকারী প্রবেশ করলে পুঁজিবাজার প্রাণবন্ত হয়

মন্দা কাটিয়ে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছে দেশের পুঁজিবাজার। গত কয়েক কার্যদিবস ধরে মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনের গতি। দুইশ কোটি টাকার ঘরে নেমে যাওয়া লেনদেন বেড়ে ৭০০ কোটি টাকার ঘরে উঠে এসেছে। বাজারের এ পরিস্থিতিতে নতুন নতুন বিনিয়োগকারীও আসছেন।

গত এক মাসে সাড়ে চার হাজারের বেশি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব বেড়েছে। বিও হলো পুঁজিকাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্রোকারেজ হাউজ অথবা মার্চেন্ট ব্যাংকে একজন বিনিয়োগকারীর খোলা হিসাব। এই বিও হিসাবের মাধ্যমেই বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে লেনদেন করেন। বিও হিসাব ছাড়া লেনদেন করা সম্ভব নয়।

নতুন করে যেসব বিও হিসাব খোলা হয়েছে তার পুরোটাই দেশিও বিনিয়োগকারীদের। এরমধ্যে যেমন পুরুষ বিনিয়োগকারী রয়েছেন তেমনি রয়েছেন নারী বিনিয়োগকারী। সেই সঙ্গে কোম্পানির বিও হিসাবের সংখ্যাও বেড়েছে। তবে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা কমেছে।

সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ (সিডিবিএল)-এর তথ্য অনুযায়ী, ৫ সেপ্টেম্বর শেষে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪৭ হাজার ৬২১টি। এ হিসাবে আগস্ট মাস ও সেপ্টেম্বরের পাঁচ দিনে বিও হিসাব বেড়েছে ৪ হাজার ৫৯৭টি।

রাজনৈতিক উত্তাপ ও নানান ধরনের গুজবে জুলাই ও আগস্ট মাসের প্রায় সময়জুড়েই বাজারে মন্দাভাব দেখা যায়। ধারাবাহিকভাবে মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি লেনদেনের গতিও কমে আসে। হাজার কোটি টাকার ওপরে থাকা লেনদেন মাত্র দুইশ কোটির ঘরে নেমে যায়। তবে আগস্টের শেষ সপ্তাহে এসে বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এটি একটি ইতিবাচক দিক। আর পুঁজিবাজারে নতুন বিনিয়োগকারী প্রবেশ করলে বাজার প্রাণবন্ত হয়।

Tagged