পুঁজিবাজারে তিন ধরনের পরিকল্পনা প্রয়োজন

মানুষের সংসার থেকে শুরু করে জীবন-যাপনের সব কিছুতেই তিন ধরনের পরিকল্পনা দরকার হয়। একটি স্বল্প মেয়াদি আরেকটি দীর্ঘ মেয়াদি। এছাড়াও আরেক ধরনের পরিকল্পনা থাকার প্রয়োজন হতে পারে। সেটি হচ্ছে, অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা বা বাস্তবতার নিরিখে পরিকল্পনা। এই তিনের সম্বনেয় তৈরি কাঠামোর মধ্য দিয়েই একটি টেকসই ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা সম্ভব। দেশের পুঁজিবাজার স্বাভাবিক করতেও এই তিনের সম্বয় প্রয়োজন।

একটা লম্বা সময় ধরে দেশের পুঁজিবাজার অস্থির ও নেতিবাচক প্রবণতায় রয়েছে। এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে নানা ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসব উদ্যোগ খুব একটা কার্যকর হয়েছে, বলা যাবে না। কারণ এর পেছনে উল্লেখিত তিন ধরনের পরিকল্পনার সমন্বয় হয়নি। দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনায় দূরদর্শিতার প্রয়োজন। আগামী ১০-২০-৫০ বছরে কী ঘটবে সেটি মাথায় রেখে এ পরিক্লনা করাই বাঞ্ছনীয়। আবার পুঁজিবাজারের বর্তমান দুর্বলতা কাটানোর জন্য স্বল্প মেয়াদি পরিকল্পনাগুলো হওয়া উচিৎ কার্যকর কিছু। যার মধ্য দিয়ে উত্তরণ সম্ভব। অপর পরিকল্পনাটি হওয়া চাই একেবারে স্যালাইনের মতো। মানবদেহে স্যালাইন পুশ করলে যেমন তাৎক্ষণিক ফলদায়ক হয়, এটিও পুঁজিবাজারের জরুরি অবস্থায় কাজ করবে। এভাবে যদি এগোনো যায় তাহলে একটি টেকসই পুঁজিবাজারের স্বপ্নপূরণ আর দূরের বিষয় নয়। আমাদের ধারণা, বাজার কৃর্তপক্ষ ও নিয়ন্ত্রকরা বিষয়গুলো জানেন। তারপরও কেনো প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না, বাজার সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি আমাদেরও প্রশ্ন।

Tagged