পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা কতদূর?

যদি কয়েক মাস আগের দেশের পুঁজিবাজারের চিত্রের দিকে তাকাই, তা হলে দেখা যাবে বর্তমান বাজার অনেকটাই ইতিবাচক। লেদেনের পরিমাণ, সূচকে কিছুটা বৃদ্ধি, সুশাসনের ইঙ্গিত- এ সবই হয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) পরিবর্তনের পর। তারপরও বিনিয়োগকারীদের মূল দাবি, একটি স্থিতিশীল পুঁজিবাজার আসলে কতদূর?

বর্তমান পুঁজিবাজারে সূচকের যেটুকু উন্নতি হয়েছে, এটি প্রত্যাশার মাত্রায় খুবই নগণ্য। এছাড়া লেনদেনের যে চিত্র দেখা যাচ্ছে, তাতেও খুব একটা ভরসা পাওয়া যাচ্ছে না। ৫শ থেকে হাজার কোটি টাকায় লেনদেন ওঠা-নামা করছে। অনেক কোম্পানির শেয়ার দর এখনও তলানিতে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অযৌক্তিকভাবে শেয়ার দর বাড়ছে। ফলে ঘুরে ফিরে আসছে বাজার স্থিতিশীলতার প্রশ্নটি। যা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। একটি পুঁজিবাজার যদি মজবুত ভিত্তির উপর দাঁড়াতে চায় তাহলে সেটি স্থিতিশীল হওয়া আবশ্যক। অর্থনীতির ঘটনা প্রবাহের জের পুঁজিবাজারে থাকবে। তবে তার উপযুক্ত কারণ থাকা চাই। এর জন্য সব ধরনের ক্রিত্রিমতা মুক্ত হওয়া দরকার। আমাদের পুঁজিবাজারে এখনও অকারণে শেয়ার দর এদিক-ওদিক হচ্ছে। মনে হয় বাজারের নিয়মের বাইরের প্রভাবও এখানে কম নয়। এ জন্যই স্থিতিশীল বাজারের বিষয়টি খুবই জরুরি।

Tagged