পুঁজিবাজারের প্রত্যাশা পূরণে বাজেট কতটা সার্থক?

কোম্পানির করপোরেট কর কমানো ছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য কিছুই নেই। আবার করপোরেট কর কমানোর যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার সুবিধাও পুঁজিবাজারের এক-তৃতীয়াংশ কোম্পানি পাবে না। এসব কারণে বাজেট-উত্তর প্রথম কার্যদিবসে বাজেটের নেতিবাচক প্রভাব দেখা গেছে পুঁজিবাজারে।

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল রোববার লেনদেন শুরু হয়েছে বেশির ভাগ শেয়ারের দরপতন দিয়ে। তাতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এদিন ৪৯ পয়েন্ট কমে গেছে। লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৮১ শতাংশ বা ৩০৬টিরই দাম কমেছে, বেড়েছে কেবল ১৪ শতাংশ বা ৫৩টির দাম।

বাজেটকে ঘিরে এবার বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বেশ কিছু প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু সেগুলোর কোনোটিই পূরণ হয়নি। এ কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা হতাশা ভর করেছে। বাজেট-উত্তর প্রথম কার্যদিবসে যার প্রভাব সূচক ও লেনদেনে কমেছে।

গত বৃহস্পতিবার সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের বাজেট উপস্থাপনের দিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজারে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৭৫৮ কোটি টাকা। গতকাল কমে দাঁড়িয়েছে ৬৩৬ কোটি টাকায়।

এবারের বাজেটে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অন্যতম প্রত্যাশা ছিল করমুক্ত লভ্যাংশ আয়ের সীমা বাড়ানো। পাশাপাশি লভ্যাংশ আয়ের দ্বৈত কর পরিহার করা। এ ছাড়া স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর পক্ষ থেকে লেনদেনের ওপর ধার্য উৎসে কর কমানোও প্রত্যাশা ছিল। এ ছাড়া চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) পক্ষ থেকে কালোটাকা সাদা করার সুযোগও চাওয়া হয় বাজারে। কিন্তু এসব দাবির কোনোটিই পূর্ণ হয়নি। প্রস্তাবিত বাজেটে শর্ত সাপেক্ষে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট করের হার কমানোর ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী। সামগ্রিকভাবে পুঁজিবাজারের প্রত্যাশা পূরণে এই বাজেট কতটা সার্থক?

Tagged