পরিস্থিতি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে ফ্লোরপ্রাইস বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত

দেশের পুঁজিবাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের রক্ষায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দামে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু সেই ফ্লোর প্রাইসই নিয়েই এখন উঠেছে নানামুখী প্রশ্ন। অনেকে মনে করছেন স্বাভাবিক পরিবেশ হারিয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। কারও কারও মতে, ফ্লোর প্রাইস দিয়ে শেয়ারবাজারের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

গত দেড় বছরে অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকায় গতি হারিয়েছে লেনদেন। এ পরিস্থিতিতে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার দাবি উঠেছে সব মহল থেকে। এখন বাজারের গতি ফেরাতে সাবধানতার সঙ্গে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া উচিত কিনা এই প্রশ্ন উঠেছে।

অনেকে মনে করছেন, ফ্লোর প্রাইসের কারণে গত দেড় বছর পুঁজিবাজার মূলত বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এতে নষ্ট হয়েছে বাজারের স্বাভাবিক পরিবেশ। ফ্লোর প্রাইসের কারণে কিছু কারসাজি চক্র সুবিধা পেয়েছে। প্রকৃত বিনিয়োগকারী ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ফ্লোর প্রাইসে খুব একটা লাভ হয়নি। বরং দীর্ঘদিন ধরে বিনিয়োগকারীদের টাকা এক জায়গায় আটকে রয়েছে।

বিএসইসির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশন থেকে দাবি জানানো হচ্ছে। তবে কমিশন এখনো ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি। আমরা মনে করি পরিস্থিতি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে তারপর কমিশনের এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।

Tagged