দুর্বোদ্ধ পুঁজিবাজার স্বচ্ছ হবে কবে

পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা যেনো আসছেই না। দিন দিন আরও দুর্বোদ্ধ হচ্ছে। এর সঠিক কারণও যেনো কারো জানা নেই। যে কারণে পুঁজিবাজারে এতো অস্থিরতা।

ব্যাংকগুলো যাতে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে সেজন্য নানামুখী চেষ্টা চলছে। এরইমধ্যে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকগুলোর বিশেষ তহবিলের পরিমাণও ধীরে ধীরে বাড়ছে। পুঁজিবাজারের জন্য গঠিত বিশেষ তহবিলের বাইরে আরও প্রায় ৯০০ কোটি টাকা নিজস্ব তহবিল থেকে বিনিয়োগ করেছে ব্যাংকগুলো। বেশ কয়েকটি ব্যাংক সীমা অতিক্রম করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে গিয়ে জরিমানা গুনেছে । তবু পুঁজিবাজারে চাঙা হচ্ছে না। সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন আড়াই হাজার কোটি টাকার ওপরে কমে গেছে।

অনেকেই বলছেন, অলিখিতভাবে এই বাজারকে টেনে তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ব্যাংক খাতকে। ইতোমধ্যে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যাংকগুলোকে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৬১টি ব্যাংককে চিঠিও দিয়েছে।

পুঁজিবাজারে ব্যাংক যাতে বাড়তি টাকা বিনিয়োগ করতে পারে এবং এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেন তাতে সায় দেয়, সে ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকেও ইতিবাচক মনেভাব রয়েছে।

ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে গত বুধবার দেশের ৩৩টি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীকে চিঠি দিয়েছে বিএসইসি। এর বাইরে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের জন্য ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের অনুরোধ জানিয়ে ২৮টি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এতো কিছুর পরও বাজারের আশানুরূপ চিত্র দেখা যাচ্ছে না।

Tagged